অনিল কাপুর | |
---|---|
জন্ম | [১][২] | ২৪ ডিসেম্বর ১৯৫৬
পেশা | অভিনেতা, প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৭৯ – বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | শুনিতা কাপুর (১৯৮৪ – বর্তমান) |
সন্তান | সোনাম কাপুর রিয়া কাপুর হর্ষবর্ধন কাপুর |
পিতা-মাতা | সুরিন্দর কাপুর (বাবা) নির্মল (মা) |
আত্মীয় | বনি কাপুর (বড় ভাই) সঞ্জয় কাপুর (ছোট ভাই) অর্জুন কাপুর (ভাতিজা) শ্রীদেবী (ভাবী) খুশি কাপুর (ভাতিজি) |
এই নিবন্ধটি অনিল কাপুর সিরিজের অংশ | |
---|---|
অনিল কাপুর (জন্ম ২৪ ডিসেম্বর ১৯৫৬)[১] একজন ভারতীয় সফল অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক। তাকে অসংখ্য বলিউড সিনেমায় এবং সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সিনেমায় তাকে অভিনয় করতে দেখা যায়। অনিল কাপুর, ৪০ বছর ধরে অভিনয় করেন এবং এরপর তিনি সমালোচক গান্ধী, মাই ফাদার চলচ্চিত্র প্রযোজনার মাধ্যেম তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনা শুরু করেন।
অনিল কাপুর হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন, উমেষ মেহরার হামারে তুমহারে (Hamare Tumhare) (১৯৭৯) সিনেমায় একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। তারপর ১৯৮০ সালে প্রধান অভিনেতা হিসেবে বর্ষীয়ান পরিচালক বাপু পরিচালিত তেলুগু সিনেমা ভামসা ভ্রুক্ষাম (Vamsa Vruksham) এ অভিনয় করেন। তারপর তিনি কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিষেক করেন মানি রত্নের ব্লকবাস্টার পল্লবী আনু পল্লবী (Pallavi Anu Pallavi) এ অভিনয়ের মাধ্যমে। তিনি প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেন, সহ-অভিনেতা বিভাগে। তিনি যশ চোপরার মশাল (Mashaal) (১৯৮৪) এ সহ-অভিনেতা হিসেবে অভিনয়ের জন্যে তিনি এই পুরস্কার জিতেন। কাপুর প্রথম ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেন এন.চন্দ্রের তেজাব (Tezaab) (১৯৮৮) এবং পরে আবার সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেন ইন্দ্র কুমারের ব্যথা (Beta) (১৯৯২) সিনেমায় অভিনয়ের জন্যে। এছাড়া তিনি সমালোচক প্রসংশিত এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল বহু সিনেমায় অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ ও সাত দিন (Woh Saat Din) (১৯৮৩), মেরি জাং (Meri Jung) (১৯৮৫), জাংবাজ (Janbaaz) (১৯৮৬), কার্মা (Karma) (১৯৮৬), মি. ইন্ডিয়া (Mr. India) (১৯৮৭), ভিরাসাত (Virasat) (১৯৯৭) এই সিনেমার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন, বিবি নাম্বার ওয়ান (Biwi No.1) (১৯৯৯), তাল (Taal) (১৯৯৯) এই সিনেমার জন্য তিনি তার দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার সেরা সহ-অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন, পুকার (Pukar) (২০০০) এই সিনেমার জন্য তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেন, নো এন্ট্রি (No Entry) (২০০৫) এই সিনেমার জন্যেও তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেন, ওয়েলকাম (Welcome) (২০০৭), রেস (Race) (২০০৮) এবং রেস ২ (Race 2) (২০১৩)।
অনিল কাপুরের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের প্রথম অভিনয় করেন, ড্যানি বয়েলে ২০০৮ একাডেমী পুরস্কার জয়ী সিনেমা স্লামডগ মিলিয়নীর (Slumdog Millionaire)। এই সিনেমায় অসাধারণ অভিনয়ের জন্যে তিনি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং পাফরমেন্স বাই এ কাস্ট ইন এ মোশন পিকচার (Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Cast in a Motion Picture) অর্জন করেন। একশন টেলিভিশন সিরিজ টুয়েন্টি ফোর এর অষ্টম অধিবেশনে তার কাজ আমেরিকান সংবাদপত্রে প্রশংসা অর্জন করে।[৩][৪] সারা বিশ্বব্যপী, অনিল কাপুর সর্বজন স্বীকৃত ভারতীয় অভিনেতাদের মধ্যে একজন।[৫]
অনিল কাপুর ১৯৫৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভারতের মুম্বাইয়ের চেম্বুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজক সুরিন্দর কাপুর এবং নির্মল কাপুরের পুত্র।[৬]
তিনি মুম্বাইয়ের চেম্বুরে অবস্থিত আওয়ার লেডি অব পারপেক্টচুয়াল সাকর হাই স্কুলে এবং পরবর্তীকালে মুম্বাইয়ের সেন্ট যাভিয়ার কলেজে অধ্যয়ন করেন।[৭] অনিল কাপুরের বড়ো ভাই চলচ্চিত্র প্রযোজক বনি কাপুর, তার ছোটো ভাই সঞ্জয় কাপুর, যিনিও একজন অভিনেতা। এছাড়া বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী তার ভাবী।
১৯৮৪ সালে, তিনি সুনিতা কাপুরকে বিয়ে করেন তাদের দুই কন্যা এবং এক পুত্র। তার বড়ো মেয়ে অভিনেত্রী সোনাম কাপুর। তার ছোটো মেয়ে রিয়া কাপুর নিউইয়র্কের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করেন এবং বর্তমানে মুম্বাইয়ের একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক।
অনিল কাপুরের বলিউড চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে উমেশ মেহরার হামারে তুম্হারে (Hamare Tumhare) (১৯৭৯) সিনেমায় একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। তিনি বলিউডে স্বীকৃতি পান যশ চোপরার ড্রামা সিনেমা মশাল (Mashaal) (১৯৮৪) এ টাপুরী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে, যার জন্য তিনি সেরা সহ-অভিনেতার বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জয় করেন। তার টাপুরী চরিত্র এবং অন্য ধরনের পোশাক আষাক তখনকার দিনে অনেকটা ব্যতিক্রমধর্মী ছিল, কিন্তু বহু বছর পর তা জনপ্রিয় ফ্যাশন স্টাইলে পরিনত হয়।[৮] কাপুরের ১৯৮৫ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্যে যুদ্ধ (Yudh) এবং সাহেব (Saaheb)।
তার প্রসংশিত সিনেমা মেরি জাং (Meri Jung) (১৯৮৫), একজন রাগান্বিত তরুন আইনজীবী যিনি ন্যায়বিচারের জন্য যুদ্ধ করেন। অনিল কাপুর একটি হাস্যরসাত্মক টাপুরী চরিত্রে অভিনয় করেন কার্মা (Karma) (১৯৮৬), যা সে বছরের বড়ো ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা।[৯] এছাড়া ১৯৮৬ সালে, তিনি একটি ডানপিটে ছেলের চরিত্রে ফিরোজ খানের সাথে জাংবাজ (Janbaaz) সিনেমায় অভিওয় করেন।[১০][১১] কাপুরের ১৯৮৬ সালের অন্যান্য মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্যে ইনসাফ কি আওয়াজ (Insaaf Ki Awaaz) বক্স অফিসে হিট হয়।[১২] ঐ একই বছর, বাসু চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত চামেলী কি শাদী (Insaaf Ki Awaaz) সিনেমায় তিনি হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয় করেন।[১৩]
অনিল কাপুর শেখর কাপুরের কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র মিঃ ইন্ডিয়া (Mr. India) (১৯৮৭) সিনেমায় তিনি শিরোনাম ভূমিকায় অভনয় করেন, যা সে বছরের সর্ববৃহৎ হিট ছিল।[১৪] এই সিনেমাটি অন্যতম বৃহত্তম বক্স অফিস হিট চলচ্চিত্র ছিল ফলে তাকে সুপারস্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।[১৫] অনিল কাপুর সমান হারে ভাল অভিনয় করেন মহেশ ভাট পরিচালিত ঠিকানা (Thikana) সিনেমায়।[১৬] ১৯৮৮ সালে, তিনি তার সর্বপ্রথম ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার অর্জন করেন তেজাব (Tezaab) সিনেমায় অভিনয়ের জন্যে, যা ১৯৮৮ সালের সর্ববৃহৎ ব্লকবাস্টার ছিল।[১৭] অনিল অসফল সিনেমা রাম-অবতার (Ram-Avtar) এ অভনিয় করে প্রমাণ করেন যে, অসফল সিনেমাতেও দর্শকদের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়।[১৮] এরপরের বছর, তিনি রাম লক্ষ্মণ (Ram Lakhan) সিনেমায় অভিনয় করেন। যা ১৯৮৯ সালের বক্স অফিসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১৯] এই সিনেমায় একটি গান জনপ্রিয়তা লাভ করে, ওয়ান টু কা ফোর (One Two Ka Four)। এই সিনেমায় পারিন্দা, অনিল কাপুর এই চরিত্রে তার সর্বোচ্চ প্রতিভা দিয়ে অভিনয় করেন এবং এতে চরিত্রটি একবারে নিখুতভাবে ফুটে উঠে।[২০] রাখওয়ালা (Rakhwala) সিনেমায় অনিল পুনরায় টাপুরীর চরিত্রে অভিনয় করেন, এই সিনেমাটিও সফলতা অর্জন করে।[১৫][২১] কাপুর ঈশ্বর (Eeshwar) (১৯৮৯) সিনেমায় খুব পারদর্শের সাথে একজন খাটি মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেন। ফলে অভিনেতা হিসেবে তার বহুমুখী প্রতিভার প্রকাশ পায়।[২২]
১৯৯০ দশকের সিনেমায় তাকে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়, কিষান কানাইয়্যা (Kishen Kanhaiya) সিনেমায় জমজ ভাই হিসেবে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন এবং এই সিনেমাটি সফলতা লাভ করে এবং একই বছর তার ঘার হো এসা (Ghar Ho To Aisa) বক্স অফিসে মোটামুটি সফলতা লাভ করে।[২৩] আওয়ার্গি (Awaargi) সিনেমায় তার অভিনয় প্রচুর প্রশংসা লাভ করে। অনেক সমালোচক এটি তার জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিনয় হিসেবে চিহ্নিত করে।[২৪] এরপর তিনি যশ চোপরার রোমান্টিক চলচ্চিত্র লামহে (Lamhe) সিনেমায় শ্রীদেবীর বিপরীতে একটি সংযত কিন্তু আকর্ষণীয় অভিনয় করেন একজন মধ্যবয়সী মানুষের চরিত্রে, যার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতার পুরস্কার অর্জন করেন। এই সিনেমাটি ভারতীয় চলচ্চিত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে ধরা হয় এবং এখনো যা যশ চোপারার শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। এইটিই প্রথম সিনেমা যেখানে অনিল কাপুর গোফ ছাড়া অভিনয় করেন। যদিও এই সিনেমাটি বক্স অফিসে সাড়া জাগাতে পারে নি, কিন্তু বহিঃবিশ্বে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। অনিল কাপুরের ১৯৯১ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর মধ্যে, বেনাম বাদশাহ্ (Benaam Badsha) এর গড়হারে টিকেট বিক্রয় হয়।[২৫]
১৯৯২ সালে, কাপুর দ্বিতীয়বারের মত ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার জিতেন, ইন্দ্র কুমার পরিচালিত মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে ঐ বছরের সর্ববৃহৎ ব্লকবাস্টার বেটা (Beta) সিনেমায় হিট অভিনয়ের জন্য।[২৬] একই বছরের খেল (Khel) সিনেমায় তার হাস্যরসাত্মক অভিনয় দর্শকদের নজর কাড়ে এবং তার সময়োপযোগী হাস্যরসাত্মক সিনেমার অন্যতম হাইলাইট ছিল।[২৭] ১৯৯৩ সালে, বনি কাপুরের বৃহৎ বাজেটের সিনেমা রুপ কি রাণী চোরুন কা গোলাম (Roop Ki Rani Choron Ka Raja) বক্স অফিসে নিরঙ্কুশ অসফলতা অর্জন করে, ফলে চলচ্চিত্র শিল্পের বৃহৎ তারকা হিসেবে কাপুরের সুনাম দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বছরের তার একমাত্র সবচেয়ে সফল সিনেমা হল, শ্রীদেবীর বিপরীতে লাডলা (Laadla), এই সিনেমার প্রযোজনা করেন নিতিন মনমোহন।[২৮] অনিল কাপুর হিট গান ভিত্তিক চলচ্চিত্র ১৯৪২: এ লাভ স্টোরি (1942: A Love Story) সিনেমায় প্রশংসাপূর্ণ অভিনয় করেন। ১৯৯৫ সালে তার মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্যে ত্রিমূর্তি (Trimurti) অনিল কাপুরের অভিনয়ের বদৌলতে বক্স অফিসে সাড়া জাগায়।[২৯] ঘারওয়ালী বাহারওয়ালী (Gharwali Bharwali) সিনেমা যা বক্স অফিসে গড় সফলতা লাভ করে, যেখানে অনিল কাপুরের অভিনয় প্রসংশিত হয়।[৩০]
কিছু অসফল সিনেমার পর, অনিল কাপুরের কিছু সিনেমা বক্স অফিসে সফল হয়। যেমন, লোফার (Loafer) (১৯৯৬);[৩১] জুদাই (Judaai), এই সিনেমায় কাপুর দুই স্ত্রীর স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেন যা প্রসংশিত হয় এবং বক্স অফিসে ভাল অবস্থানে থাকে।[৩২] দেওয়ানা মাস্তানা (Deewana Mastana) (১৯৯৭), বিবি নাম্বার ওয়ান (Biwi No.1) (১৯৯৯) এবং হাম আপকে দিল মে রেহতি হ্যায় (Hum Aapke Dil Mein Rehte Hain) (১৯৯৯) তার অভিনীত বক্স হিট সিনেমা।[৩৩] তাল (Taal) (১৯৯৯) কাপুর অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেন, যেখানে তিনি একজন প্রতিহিংসাপরায়ণ তারকা শিল্পীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই সিনেমাটি দর্শক এবং সমালোচক উভইয়কে অবাক করে।[৩৪] কামাল হাসান অভিনীত তামিল চলচ্চিত্র থেভার মাগান (Thevar Magan) (১৯৯২) সিনেমার হিন্দি ভাষায় পুনঃনির্মিত চলচ্চিত্র ভারাসাত (Virasat) সিনেমায় উন্নত অভিনয়ের জন্য তিনি প্রশংসা অর্জন করেন। এই সিনেমায় কাপুর কামাল হাসানের চরিত্রে অভিনয় করেন। জুহি চাওলার বিপরীতে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের সর্বশেষ বাণিক্যিক সিনেমা ঝুট বলে কাওয়া কাটে (Jhooth Bole Kauwa Kaate) তে তিনি অভিনয় করেন, যা বাণিজ্যিক সফলতার মুখ দেখতে পারে নি। এই সিনেমার জন্য তিনি পুনরায় তার গোফ কেটে ফেলেন। সিনেমার শেষার্ধে যখন তিনি সাজিদ খানের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন এবং তখন তার হাস্যরসাত্মক অভিনয় সিনেমার একটি বিরাট আকর্ষণ ছিল।
২০০০ সালে অনিল কাপুরের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা হল, বুলান্দি (Bulandi), যেখানে তিনি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন, যেখানে তিনি বড়ো ঠাকুর হিসেবে যৌবন এবং তরুণ বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেন।[৩৫] তিনি ২০০০ সালে সেরা অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেন রাজকুমার শশীর সমালোচক প্রসংশিত পুকার (Pukar) সিনেমায় অভিনয়ের জন্য। ২০০০ সালে কাপুর পুনরায় সমালোচক প্রসংশিত এবং বাণিজ্যিক সফল সিনেমায় অভিনয়ে তার দক্ষতার পরিচয় রাখেন। সিনেমটি হল হামারা দিল আপকে পাস হে (Hamara Dil Aapke Paas Hai) (২০০০)।[৩৬][৩৭] কাপুর অনেক পরে রাজীব হিসেবে অভিনয় করেন, রাকেশ রোশন পরিচালিত কারোবার (Karobaar) সিনেমায়, এই সিনেমায় তার সংলাপ প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেন।[৩৮] ২০০১ সালে তিনি নায়ক (Nayak) সিনেমায় খুব শক্তিশালী অভিনয় করেন, অনেকের মতে এটা তার সবচেয়ে সেরা অভিনয়।[৩৯][৪০][৪১][৪২]
২০০২ সালে, হলিউড হিট চলচ্চিত্র দ্য নাটি প্রফেসর (The Nutty Professor) সিনেমার উপর ভিত্তি করে নির্মিত বাধাই হো বাধাই (Badhaai Ho Badhaai), যেখানে তিনি একজন মোটা ব্যক্তির চরিত্রে খুব উচ্চমানের অভিনয় করেন।[৪৩][৪৪] তিনি সফলতার আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যান ইন্দ্র কুমার পরিচালিত রিস্তে (Rishtey) সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে।[৪৫][৪৬] ওম জয় জগদীশ (Om Jai Jagadish) সিনেমায়, তিনি অভিনয়ে দক্ষতার পরিচয় রাখেন।[৪৭] কাপুর সর্বপ্রথম বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সাথে আরমান (Armaan) (২০০৩) সিনেমায় অভিনয় করেন, এই সিনেমায় তিনি দক্ষতার সাথে নিউরোসার্জনের চরিত্রে অভিনয় করেন।[৪৮][৪৯]
২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্যে, কলকাতা মেইল (Calcutta Mail) অন্যতম, যেখানে তিনি তার শ্রেষ্ঠত্য আবার প্রমাণ করেন।[৫০][৫১] তিনি রুপালী পর্দা কাপান ২০০৪ সালের মুসাফির (Musafir) সিনেমায় একজন শক্তিশালী মানুষের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে।[৫২][৫৩] কাপুর থ্রিলার মাই ওয়াফ’স মার্ডার (My Wife's Murder) সিনেমায় একজন খুন হওয়া স্ত্রীর স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করেন, যে সিনেমার প্রযোজক তিনি নিজেই।[৫৪][৫৫][৫৬][৫৭] এরপর একই বছর কাপুর অভিনয় করেন অনিস বাজমীর সুপার হিট কমেডি সিনেমা নো এন্ট্রি (No Entry) (২০০৫)। এই সিনেমাটি সে বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।[৫৮] এছাড়া তিনি বেওয়াফা (Bewafaa) সিনেমায় অভিনয় করেন, যেখানে তিনি একজন ধনী ব্যবসায়ীর চরিত্রে অভিনয় করেন, যেখানে তার স্ত্রীর সন্তান জন্মদানের সময় মৃত্যু হওয়ার পর তার স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করার জন্য বাধ্য করা হয়।
কাপুর ২০০৫ সালের থ্রিলার চকোলেট (Chocolate) সিনেমায় দক্ষতার সাথে অভিনয় করেন।[৫৯][৬০]
২০০৭ সালে অনিলের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র হল, সালাম-ই-ইস্ক: এ ট্রিবিউট টু লাভ (Salaam-e-Ishq: A Tribute to Love), যা ভারতে সফলতা না পেলেও ভারতের বাইরে সফল হয়।[৬১] আনিস বাজমির ওয়েলকাম (Welcome), যা ২০০৭ সালের ২১ ডিসেম্বর মুক্তি পায় এবং সে বছরের সবচেয়ে সফল সিনেমা হিসেবে স্বীকৃতিলাভ করে।[৬২] সুবাশ ঘাই পরিচালিত কাপুরের ব্লাক এন্ড হোয়াইট (Black and White) সিনেমায় তার অভিনয় প্রসংশিত হয়।[৬৩][৬৪][৬৫]
২০০৮ সালে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা হল, আব্বাস মাস্তানের থ্রিলার রেস (Race), যা বক্স অফিসে হিট হয়। বিজয় কৃষ্ণ আচার্য্যর সিনেমা তাশান (Tashan), যাকে মাধ্যমে যশ রাজ ফিল্মে অনিল কাপুরের পুনরাগমণ হিসেবে ধরা হয়, যা বক্স অফিসে সফল হতে পারে নি।
তার সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র ছিল ইংরেজি চলচ্চিত্র স্লামডগ মিলিয়নীয়ার (Slumdog Millionaire), মুক্তি পায় ২০০৮ সালের ১২ নভেম্বর এবং যুবরাজ (Yuvvraaj), মুক্তি পায় ২০০৮ সালের ২১ নভেম্বর। সালমান খান এবং ক্যাটরিনা কাইফ এই সিনেমায় প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন, যা বক্স অফিসে সফলতা লাভ করতে পারে নি। অন্যদিকে স্লামডগ মিলিয়নীয়ার (Slumdog Millionaire) সমালোচকদের প্রচুর প্রশংসা অর্জন এবং বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেন। এই সিনেমাটির নির্মাণ ব্যয় মাত্র $১৫ মিলিয়ন কিন্তু এটি সারা বিশ্বব্যপী আয় করে $৩৫২ মিলিয়নের বেশি। ২০০৯ সালে জানুয়ারিতে, স্লামডগ মিলিয়নীয়ার (Slumdog Millionaire) সিনেমার কলা-কৌশলী দলের সাথে ৬৬তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকেন। এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই সিনেমাটি ৪ টি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতে। স্লামডগ মিলিয়নীয়ার (Slumdog Millionaire) সিনেমটি একাডেমী সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার (মোট ৮ টি বিভাগে) জিতে, ফলে অনিল কাপুরের তার সুপরিচিত উদ্যম প্রদর্শিত হয়। এছাড়া, এই সিনেমাটি ২০০৮ সালে ব্লাক রিল পুরস্কার (Black Reel Awards) অনুষ্ঠানে সেরা সুসমন্বিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয় এবং এই সিনেমাটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং পাফরমেন্স বাই এ কাস্ট অ্যা মোশন পিকচার (Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Cast in a Motion Picture) জয় করে।
২০১০ সালে, কাপুর আমেরিকান টেলিভিশন সিরিজ টুয়েন্টি ফোর (24) এ অভিনয় করেন ওমর হাসান নামক চরিত্রে। যিনি ইসলামিক রিপাবলিক অব কামিস্তানের প্রেসিন্ডেন্টের কাল্পনিক চরিত্র। এই বছরের অক্টোবরে তিনি হলিউড চলচ্চিত্র মিশন ইম্পসিবল: গোস্ট প্রটোকল (Mission: Impossible – Ghost Protocol) (ডিসেম্বর ২০১১ তে মুক্তিপ্রাপ্ত) এবং পাওয়ার (Power) উভয় সিনেমায় খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন।[৬৬] পাওয়ার সিনেমাটি পরিচালনা করার কথা ছিল রাজকুমার সান্তোষীর কিন্তু কোন অজানা কারণে পরিচালনা থেকে বিরত থাকেন। তার অন্যান্য চলচ্চিত্র প্রকল্পের মধ্যে সিটিস (Cities) (ক্লাইভ ওয়েন এবং অরল্যান্ডো ব্লোম সহ-অভিনীত একটি হলিউড চলচ্চিত্র প্রকল্প), মিঃ ইন্ডিয়া ২ (Mr. India 2), নো এন্ট্রি (No Entry) সিনেমার ধারাবাহিক, রেস ২ (Race 2) এবং সঞ্জয় গুপ্তের শুটআউট অ্যাট ওয়াডালা (Shootout at Wadala) অন্তর্ভুক্ত আছে। এছাড়া তিনি খিলড়ি ৭৮৬ (Khiladi 786) সিনেমায় অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন, যা ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় কিন্তু তাকে সে সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায় নি।[৬৭] তেজ (Tezz) অনিল কাপুরের ২০১২ সালের একমাত্র সিনেমা যা সমালচকদের কাছ থেকে তার অণুকূল মতামত অর্জন করে। তারন আদর্শের মতে, "It's a treat watching Anil Kapoor on screen. Though the actor has been an integral part of so many movies in the past, you can never accuse him of repeating himself. Besides, he may be in his early 50s, but that hasn't deterred Anil from performing the high-octane action stunts with flourish." [৬৮] শুটআউট অ্যাট ওয়াডালা (Shootout at Wadala) সিনেমায় তার অভিনয় সমালচকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা অর্জন করে। হিন্দু পত্রিকার সুদিশ কামাথ অনিল কাপুরের প্রশংসা করে বলেন, "Anil Kapoor is first rate, revelling in a tailor-made role as a no-nonsense cop, reminding us of the superstar he used to be in the Eighties."[৬৯]
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে, টরেন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এ বিশেষ অণুষ্ঠাংশ 'In conversation' এ প্রথম ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে নিমন্ত্রিত হন। এটি এমন একটি সম্মান যেখানে অভিনেতাদের তাদের অভিনয়ের দক্ষতার জন্য সেরা তাদের আমন্ত্রণ করা হয়।[৭০][৭১]
২০০২ সালে, কাপুর প্রথম চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন, কমেডি বাধাই হো বাধাই (Badhaai Ho Badhaai), যেখানে তিনি অভিনয়ও করেন। এর পূর্ব চলচ্চিত্র হল মাই ওয়াইফ’স মার্ডার (My Wife's Murder) (২০০৫) এবং গান্ধী, মাই ফাদার (Gandhi, My Father) (২০০৭)।গান্ধী, মাই ফাদার সিনেমাটিতে মহাত্মা গান্ধী এবং তার ছেলে হরিয়াল গান্ধীর সম্পর্কে দেখানো হয় এবং এটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে বিশেষ জুরি পুরস্কার বিভাগে। এরপর তিনি প্রযোজান করেন শর্টকাট: দ্য কোন ইজ অন (Shortkut: The Con Is On), এই সিনেমায় প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন তার কন্যা সোনাম কাপুর, এবং অভয় দেওল। এই সিনেমাটি বক্স অফিসে ভাল অবস্থানে থাকে, এর আয় ১৫৫ মিলিয়ন রুপি।[৭২]
তিনি আমেরিকান টিভি শো টুয়েন্টি ফোর এর পুননির্মানের জন্য অণুমিত পান, এর জন্য তিনি ১ বিলিয়ন রুপির প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এই শো নির্মানের অনুমতি পেতে তার ১.৫ বছর সময় লাগে।[৭৩] কাপুর এই শো’র অষ্টম অধিবেশনে ওমর হাসান নামক চরিত্রে ভিনয় করেন এবং আসল অনুষ্ঠানটি ফক্স নেটওয়ার্কে প্রচারিত হয়।
অনিল কাপুর মাঝে মাঝে তার অভিনীত বিভিন্ন সিনেমায় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে গান রেকর্ড করেন। তার অন্যতম প্লেব্যাক গান হল ১৯৬৮ সালের কমেডি চামেলী কি শাদী (Chameli Ki Shaadi) সিনেমার শিরোনাম সঙ্গীত। কাপুর যে গানটি রেকর্ড করেন তা অনেকটা হাস্যরসাত্মক ধরনের এবং চামেলী এবং তার প্রেমিক চরণদাসের ভালবাসা এই গানে ফুটে উঠে। চামেলী চরিত্রে অভিনয় করেন অমৃতা সিং। একই দশকে, ও সাত দিন (Woh Saat Din) সিনেমায় "তের বিনা মে নাহিন মেরে বিনা তু নাহিন" (Tere Bina Main Nahin Mere Bina Tu Nahin) গানটি রেকর্ড করেন। এছাড়া, তিনি হামারা দিল আপ কে পাস হে (Hamara Dil Aapke Paas Hai) সিনেমায় "আই লাভ ইউ" গানের জন্য কাজ করেন। ২০০৮ সালে, যশরাজ ফিল্মের তাশান (Tashan) সিনেমায় একটি ছড়ার মত সংলাপ দেন। তার সংলাপটির নাম “ভাইয়্যাজি কা তাশান”। মজার ব্যপার হল, তার সহ-শিল্পীরাও এই সিনেমার প্লেব্যাক সঙ্গীতে অংশ নেন, যার কম্পোজ করেন বিশাল-শেখর। অক্ষয় কুমারের থিমটার নাম “বচ্চন পান্ডে কা তাশান”, কারিনা কাপুরের থিম টাইটেল “পুজা কা তাশান” এবং সাইফ আলী কাহ্নের থিমের নাম “জিম্মি কা তাশান”। তার একটি গানের পূর্ন এলবামও আছে, "ওয়েলকাম" (Welcome), এই এলবামে তিনি সালমা আঘার সহ-শিল্পী হিসেবে কাজ করেন ১৯৮৬ সালে। এই এলবামটি স্কোর করেন বাপ্পী লাহিড়ী।
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। |
বছর | চলচ্চিত্র | চরিত্র | অন্যান্য টীকা |
---|---|---|---|
১৯৭৯ | হামারে তুমহারে (Hamare Tumhare) | বিপিন | বিশেষ অতিথি |
১৯৮০ | ভামসা ভ্রুক্ষম (Vamsa Vruksham) | তেলুগু চলচ্চিয়ত, প্রধান অভিনেতা হিসেবে অভিষেক | |
এক বার কাহো (Ek Baar Kaho) | সহ-অভিনেতা | ||
হাম পাঁচ (Hum Paanch) | বিশেষ অতিথি | ||
১৯৮২ | শক্তি (Shakti) | রবি কুমার | |
১৯৮৩ | পল্লবী অণু পল্লবী (Pallavi Anu Pallavi) | কন্নড় চলচ্চিত্র | |
ও সাত দিন (Woh Saat Din) | প্রেম প্রতাপ পাতিওয়ালে | হিন্দির চলচ্চিত্রে প্রধান অভিনেতা হিসেবে প্রথম অভিনয়, তামিল আন্ধা এযু নাতকাল (Andha Ezhu Naatkal) সিনেমার পুনঃনির্মান | |
১৯৮৪ | মশাল (Mashaal) | রাজা | ফিল্মফেয়ার সেরা সহ-অভিনেতা পুরস্কার অর্জন |
আন্দার বাহার (Andar Baahar) | রাজা | ||
লাইলা (Laila) | কুমার দেশরাজ সিং | ||
লাভ ম্যারিজ (Love Marriage) | |||
১৯৮৫ | সাহেব (Saaheb) | সুনি শর্মা | |
যুদ্ধ (Yudh) | পাবলিক প্রসিকিউটর অভিনাশ এবং জুনিয়র (দ্বৈত চরিত্র) | ||
মোহাব্বাত (Mohabbat) | শেখর | ||
মেরি জং (Meri Jung) | অরুন বর্মা | মনোনয়ন - ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার | |
১৯৮৬ | কাহা কাহা সে গুজার (Kahan Kahan Se Guzar) | ||
পেয়ার কা সিন্দুর (Pyaar Ka Sindoor) | |||
চামেলী কি শাদী (Chameli Ki Shaadi) | চরণদাস | ||
মশাল (Aap Ke Saath) | বিমল | ||
জানবাজ (Janbaaz) | অমর সিং | ||
পেয়ার কিয়া পেয়ার কারেঙ্গা (Pyar Kiya Hai Pyar Karenge) | আনন্দ | ||
কর্ম (Karma) | জনি/গণেশ্বর | ||
ইনসাফ কি আওয়াজ (Insaaf Ki Awaaz) | |||
১৯৮৭ | ইতিহাস (Itihaas) | ||
মি. ইন্ডিয়া (Mr. India) | অরুন ভাররাম/মিঃ ইন্ডিয়া | ||
হিফাযত (Hifazat) | রাম কুমার /রাজ কুমার | ||
ঠিকানা (Thikana) | রবি | ||
১৯৮৮ | কসম (Kasam) | ||
রাম-অবতার (Ram-Avtar) | অভতার | ||
বিজয় (Vijay) | অর্জুন | ||
সোনে পে সোহাগা (Sone Pe Suhaaga) | রবি কুমার/যোগীন্দর | ||
তেজাবে (Tezaab) | মহেশ দেশমুখ (মুন্না) | ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার অর্জন | |
ইন্তেকাম (Inteqam) | |||
১৯৮৯ | রাম লক্ষ্মণ (Ram Lakhan) | লক্ষ্মণ প্রতাপ সিং | |
জোশিলায় (Joshilaay) | কারান | ||
ঈশ্বর (Eeshwar) | ঈশ্বরচান্দ বিষ্ণুনাথ ব্রহ্মানান্দ | মনোনীত - ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার; তেলুগু সাথী মুত্যায়াম (Swathi Mutyam) সিনেমার পুনঃনির্মান | |
রাখওয়ালা (Rakhwala) | |||
অভিমন্যু (Abhimanyu) | মান্নু/অভিমন্যু আমেরিকা পুরী /য়াব্দুল জব্বার |
||
আগ সে খেলেঙ্গা (Aag Se Khelenge) | ইনেসপেক্টর রবি সাক্সেনা/রাজা সাক্সেনা | ||
কালা বাজার (Kala Bazaar) | বিজয় | ||
পারিন্দা (Parinda) | কারান | ||
১৯৯০ | আওয়ার্গ (Awaargi) | আজাদ | |
কিশান কানাইয়্যা (Kishen Kanhaiya) | দ্বৈত চরিত্র কিশান/কানাইয়্যা | ||
ঘার হো তো এইসা (Ghar Ho To Aisa) | অমর | ||
জীবন এক সংঘর্ষ (Jeevan Ek Sangharsh) | কারান | ||
আমাব (Amba) | আফজাল | ||
জামাই রাজা (Jamai Raja) | রাজা | তেলুগু আথাইকি যামুদু আম্মাইকি মগুদু (Athaiki Yamudu Ammaiki Mogudu) সিনেমার পুনঃনির্মান | |
১৯৯১ | জিগারওয়ালা (Jigarwala) | অমর সিং | |
বেনাম বাদশাহ্ (Benaam Badsha) | দ্বীপক | ||
প্রতিকার (Pratikar) | কৃষ্ণা শ্রীবাস্তব | ||
লামহে (Lamhe) | বীরেন্দ্র কাপুর (বীরেন) | মনোনীত - ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার | |
১৯৯২ | বেটা (Beta) | রাজু | ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার অর্জন |
জিন্দেগী এক জুয়া (Zindagi Ek Jua) | হরিকিশান আলিয়াস হরি | ||
হামলা (Humlaa) | শিব | ||
খেল (Khel) | দেবদাস/অরুন কুমার | ||
হীর রাঞ্ঝা (Heer Ranjha) | দিধো/রঞ্ঝা | ||
অপরাধী (Apradhi) | শিব | ||
১৯৯৩ | রুপ কা রাণী চোরুন কা রাজা (Roop Ki Rani Choron Ka Raja) | রমেশ বর্মা/রোমিও | |
গুরু দেব (Guru Dev) | গুরু (গৌরব) | ||
১৯৯৪ | লাডলা (Laadla) | রাজু | কন্নড় অণুরাগা আরালিথু (Anuraaga Aralithu) সিনেমার পুনঃনির্মান |
আন্দাজ (Andaz) | অজয় | তামিল সুন্দর কান্দাম (Sundara Kandam) সিনেমার পুনঃনির্মান | |
১৯৪২: এ লাভ স্টোরি (1942: A Love Story) | নরেন সিং | মনোনীত - ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা | |
মিঃ আজাদ (Mr. Azaad) | আজাদ | ||
১৯৯৫ | ত্রিমূর্তি (Trimurti) | আনন্দ সিং/সিকান্দার | মনোনীত - ফিল্মফেয়ার সেরা স-অভিনেতা পুরস্কার |
১৯৯৬ | রাকুমার (Rajkumar) | রাজকুমার | |
লোফার (Loafer) | রবি কুমার | তামিল চলচ্চিত্র ভেলাই কিদাইচুদুচু (Velai Kidaichuduchu) এর পুনঃনির্মান | |
মিঃ বেচারা (Mr. Bechara) | আনন্দ বর্মা | তামিল চলচ্চিত্র ভিতলা ভিশেঙ্গা (Veetla Viseshanga) এর পুনঃনির্মান | |
১৯৯৭ | জুদাই (Judaai) | রাজ | তেলুগু চলচ্চিত্র শুভলঙ্গম (Subhalagnam) এর পুনঃনির্মান |
ভিরাসাত (Virasat) | শক্তি ঠাকুর Thakur | ফিল্মফেয়ার সমালোচক সেরা অভিনেতা পুরস্কার মনোনীত - ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার থেভার মাগান (Thevar Magan) সিনেমাত পুনঃনির্মান | |
দিওয়ানা মাস্তানা (Deewana Mastana) | রাজ কুমার(রাজা)/ইনেসপেক্টর বান্সি রাও | ||
চন্দ্রলেখা (Chandralekha) | মালায়ালাম চলচ্চিত্র, বিশেষ অতিথি | ||
১৯৯৮ | কাভি না কাভি (Kabhi Na Kabhi) | রাজেশ্বর (এলিয়াস রাজা) | |
ঘারওয়ালী বাহারওয়ালী (Gharwali Baharwali) | অরুন | থাইকুলাম থাইকুলাম (Thaaikulame Thaaikulame) সিনেমার পুনঃনির্মান | |
ঝুট বলে কাওয়া কাটে (Jhooth Bole Kauwa Kaate) | শঙ্কর শর্মা/রামঞ্জু | ||
১৯৯৯ | হাম আপ কে দিল মে রেহতি হ্যায় (Hum Aapke Dil Mein Rehte Hain) | বিজয় | পবিত্র বন্ধন (Pavitra Bandham) সিনেমার পুনঃনির্মান |
বিবি নাম্বার ওয়ান (Biwi No.1) | লাখান | মনোনীত - ফিল্মফেয়ার সেরা কমেডি অভিনেতা পুরস্কার | |
মন (Mann) | রাজ | বিশেষ অতিথি | |
তাল (Taal) | বিক্রান্ত কাপুর | ফিল্মফেয়ার সেরা সহ-অভিনেতা পুরস্কার | |
২০০০ | বুলান্দি (Bulandi | ধরমরাজ "দাদা" ঠাকুর/অর্জুন ঠাকুর | নাত্তামাই (Nattamai) সিনেমার পুনঃনির্মান |
পুকার (Pukar) | মেজর জয়দেব রাজবংশ | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সেরা অভিনেতা মনোনীত - ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার | |
হামারা দিল আপকে পাস হে (Hamara Dil Aapke Paas Hai) | বিনাশ | পেল্লিচেসিকুন্দাম (Pellichesikundam) সিনেমার পুনঃনির্মান | |
কারোবার (Karobaar: The Business of Love) | রাজীব | ||
২০০১ | লজ্জা (Lajja | রাজু | |
Nayak) | শিবাজী রাও | মুধাল্ভান (Mudhalvan) সিনেমার পুনঃনির্মান | |
২০০২ | বাধাই হো বাধাই (Badhaai Ho Badhaai) | রাজা | পুভ উনাক্কাগা (Poove Unakkaga) সিনেমার পুনঃনির্মান |
ওম জয় জগদীস (Om Jai Jagadish) | ওম বাট্রা | ||
রিস্তে (Rishtey) | সূর্য সিং | ||
২০০৩ | আরমান (Armaan) | ড. আকাশ সিংহা | |
কলকাতা মেইল (Calcutta Mail) | অবিনাশ | ||
২০০৪ | মুসাফির (Musafir) | লাকি | |
২০০৫ | বেওয়াফা (Bewafaa) | আদিত্য সাহাই | |
মাই ওয়াফ’স মার্ডার (My Wife's Murder) | রবি পট্ববর্ধন | ||
নো এন্ট্রি (No Entry) | কিষেন | মনোনীত - ফিল্মফেয়ার সেরা কমিক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য | |
চকোলেট (Chocolate) | অ্যাড. কিষান পণ্ডিত | ||
২০০৬ | হামকো দিওয়ানা কার গায়ি (Humko Deewana Kar Gaye) | কারান ওবেরয় | |
ডারনা জারুরী হ্যায় (Darna Zaroori Hai) | কারান চোপড়া | ||
২০০৭ | সালাম-ই-ইস্ক: এ ট্রিবিউট টু লাভ (Salaam-e-Ishq: A Tribute To Love) | বিনয় | |
ওয়েলকাম (Welcome) | সাগর পান্ডে আকা মঞ্জু ভাই | মনোনীত - ফিল্মফেয়ার সেরা সহ-অভিনেতা পুরস্কার | |
২০০৮ | মাই নেম ইজ অ্যান্থনী গোঞ্জালভেজ (My Name is Anthony Gonsalves) | নিজ ভূমিকা | কেমিও |
ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট (Black & White) | রাজন মাথুর চরিত্রে বিশেষ উপস্থিতি | ||
রেস (Race) | ইনেসপেক্টর রবার্ট ড’কস্তা (আর.ডি) | ||
তাশান (Tashan) | লক্ষ্মণ সিনহা বাল্লেবাজ (ভাইয়্যাজি) | ||
স্লামডগ মিলিয়নীয়ার (Slumdog Millionaire) | প্রেম কুমার | Screen Actors Guild Award for Outstanding Performance by a Cast in a Motion Picture | |
যুবরাজ (Yuvvraaj) | গণেশ যুবরাজ | ||
২০০৯ | শর্টকাট: দ্য কন ইজ অন (Shortcut: The Con is on) | নিজ ভূমিকা | "মারিজি মোহাব্বাত" গানে বিশেষ উপস্থিতি |
ওয়ান্টেড (Wanted) | নিজ ভূমিকা | "জালওয়া" গানে বিশেষ উপস্থিতি | |
২০১০ | নো প্রব্লেম (No Problem) | ইনেসপেক্টর অর্জুন সিং | |
২০১১ | মিশন: ইম্পসিবল – গোস্ট প্রটোকল (Mission: Impossible – Ghost Protocol) | ব্রিজ নাথ | |
২০১২ | তেজ (Tezz) | অর্জুন | |
পাওয়ার (Power) | বলরাজ | বিলম্বিত/সাময়িক | |
২০১৩ | রেস ২ (Race 2) | ইনেসপেক্টর রবার্ট ড’কস্তা (আর.ডি) | |
শুটআউট অ্যাট ওয়াডালা (Shootout at Wadala) | ইনেসপেক্টর আফাক ভাগ্রা | ||
বোম্বে টকিজ (Bombay Talkies) | নিজ ভূমিকা | "আপনা বোম্বে টকিজ" গানে বিশেষ উপস্থিতি | |
মহাভারত থ্রি-ডি চলচ্চিত্র (Mahabharat 3D Film) | কর্ণ (কন্ঠদান) | ||
২০১৪ | ওয়েলকাম ব্যাক (Welcome Back) | চলমান | |
নো এন্ট্রি মে এন্ট্রি (No Entry Mein Entry) | পরবর্তী চলচ্চিত্র | ||
২০১৪ | দিল দাড়কানে দো (Dil Dhadakne Do) | পরবর্তী চলচ্চিত্র | |
২০১৮ | রেস ৩ (Race 3) |
বছর | নাম | চরিত্র | টীকা |
---|---|---|---|
২০১০ | টুয়েন্টি ফোর (24) | কামিস্তান প্রেসিডেন্ট ওমর হাসান | নিয়িমতি (৮ম অধিবেশন) |
২০১৩ | টুয়েন্টি ফোর (24) (ভারতীয়) | জয় সিং রাথোড় [৭৪] | প্রধান অভিনেতা |