অমরকানন | |
---|---|
গ্রাম পর্যটন কেন্দ্র | |
পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে অমরকাননের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৩′৫০.৩″ উত্তর ৮৭°০৬′৩২.০″ পূর্ব / ২৩.৩৯৭৩০৬° উত্তর ৮৭.১০৮৮৮৯° পূর্ব | |
দেশ | টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত Indiaভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | বাঁকুড়া |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
দূরাভাষ/এসটিডি কোড | ০৩২৪২ |
লোকসভা কেন্দ্র | বাঁকুড়া |
বিধানসভা কেন্দ্র | বরজোড়া |
ওয়েবসাইট | bankura |
অমরকানন হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার সদর মহকুমার অন্তর্গত গঙ্গাজলঘাটী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম ও পর্যটন কেন্দ্র। এই ব্লকের প্রধান কার্যালয় অমরকানন গ্রামেই অবস্থিত।[১][২]
২০১১ সালের জনগণনা প্রতিবেদনে অমরকাননের জনসংখ্যার পৃথক উল্লেখ পাওয়া যায় না। সম্ভবত এই প্রতিবেদনে অমরকানন ও তার পার্শ্ববর্তী ভৈরবপুর গ্রামের জনসংখ্যা একত্রিত করে ধরা হয়ে। উক্ত বছরের জনগণনা অনুসারে, ভৈরবপুরের সামগ্রিক জনসংখ্যা ৪.৬৬৯ জন। এর মধ্যে ২,৩৭৯ জন (৫১%) পুরুষ এবং ২,২৯০ জন (৪৯%) নারী। ৫০৬ জনের জনসংখ্যা ছয় বছরের নিচে। ভৈরবপুরের মোট সাক্ষর জনসংখ্যা ২,৯১১ (ছয় বছরের অধিক জনসংখ্যার ৬৮.৯৩%)।[৩]
মোরগ্রাম থেকে খড়গপুর পর্যন্ত প্রসারিত ১৪ নং জাতীয় সড়ক (পুরনো সংখ্যা অনুসারে ৬০ নং জাতীয় সড়ক অমরকাননের উপর দিয়ে গিয়েছে।[৪] এই অংশেই পুরুলিয়া জেলার সাঁওতালডিহি থেকে উত্তর চব্বিশ পরগনা নদীয়া জেলার মাঝদিয়া পর্যন্ত প্রসারিত ৮ নং জাতীয় সড়ক ১৪ নং জাতীয় সড়কের সঙ্গে একই রুট ভাগ করে নিয়েছে।[৫]
অমরকাননের নিকটস্থ ৪০০ ফুট উঁচু কোরো পাহাড় বহু পর্যটক ট্রেকিং ও বনভোজন করতে আসেন। এই পাহাড়টি বাঁকুড়া শহর থেকে ১৯ কিলোমিটা দূরে অবস্থিত।[৬]
অমরকাননের আরেকটি পর্যটন কেন্দ্র হল গাংদুয়া বাঁধ। শালি নদীর উপর ৪,৯০০ ফুট উঁচু এই বাঁধ এবং তার পিছনে জলাধারটি একটি জনপ্রিয় বনভোজন স্থল। এটি অমরকানন থেকে ৪ কিলোমিটার ও বাঁকুড়া থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[৭]
স্বাধীনতা সংগ্রামী গোবিন্দ প্রসাদ সিংহের নামানুসারে ১৯৮৫ সালে অমরকাননে গোবিন্দ প্রসাদ মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত। এখানে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও ভূগোলের সাম্মানিক পাঠক্রম ও কলাবিভাগে সাধারণ পাঠক্রম চালু রয়েছে।[৮]
অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতাল হল গঙ্গাজলঘাটী সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের কেন্দ্রীয় হাসপাতাল। এছাড়া শ্রীচন্দনপুর, গঙ্গাজলঘাটী ও রামহরিপুরে তিনটি জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ৩০টি উপকেন্দ্র রয়েছে।[৯]