অরুণা চৌধুরি | |
---|---|
শিক্ষা মন্ত্রী, এমএলএ, পাঞ্জাব | |
কাজের মেয়াদ ২০০২ - ২০০৭ | |
পূর্বসূরী | রূপ রানি |
উত্তরসূরী | সীতা রাম কাশ্যপ |
নির্বাচনী এলাকা | দিনা নগর |
কাজের মেয়াদ ২০১২ - ২০১৭ | |
পূর্বসূরী | সীতা রাম কাশ্যপ |
উত্তরসূরী | অরুণা চৌধুরি |
নির্বাচনী এলাকা | দিনা নগর |
কাজের মেয়াদ ২০১৭ - বর্তমান | |
পূর্বসূরী | অরুণা চৌধুরি |
নির্বাচনী এলাকা | দিনা নগর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | অমৃতসর, পাঞ্জাব | ১৬ এপ্রিল ১৯৫৭
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
দাম্পত্য সঙ্গী | অশোক চৌধুরি |
বাসস্থান | গুরুদাসপুর, পাঞ্জাব, ভারত |
অরুণা চৌধুরি একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য। তিনি পাঞ্জাব সরকারের বর্তমান মন্ত্রী পরিষদের একজন মন্ত্রী এবং শিক্ষা বিভাগের প্রধান। তিনি ১৫তম পাঞ্জাব বিধানসভা (এমএলএ) সদস্য এবং দিনা নগর নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত। চার বার বিধানসভায় নির্বাচিত জয় মুনি চৌধুরি তার শ্বশুর মশাই।
অরুণা চৌধুরির বিবাহ হয় অশোক চৌধুরির সঙ্গে, যিনি লোকাল বডি পাঞ্জাবের অতিরিক্ত নির্দেশক হিসাবে অবসর গ্রহণ করেছেন। তাদের দুটি পুত্র আছে। বড় ছেলেটি একজন ডাক্তার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ছোট ছেলেটি ইন্ডিয়ান ইনস্টিট্যুট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) থেকে এমবিএ পাস করে একটি বহুজাতিক সংস্থায় (এমএনসি) কর্মরত।
২০০২ সালে শ্রীমতি চৌধুরী দিনা নগর থেকে পাঞ্জাব বিধান সভায় নির্বাচিত হন।[১] ২০১২ সালে তিনি দিনা নগর থেকে পুনরায় নির্বাচিত হন।[২] তাকে নিয়ে মোট ৪২ জন আইএনসি (ভারতীয় কংগ্রেস) এমএলএ ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের একটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাদের পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তাদের বক্তব্য ছিল শতদ্রু-যমুনা সংযোগ (এসওয়াইএল) খাল নিয়ে ন্যায়ালয়ের আদেশ অসাংবিধানিক।[৩]
বর্তমানে অরুণা চৌধুরী পাঞ্জাব সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন। এ ছাড়াও, তিনি পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক, এবং এআইসিসি (সারা ভারত কংগ্রেস কমিটি)র একজন সদস্য। অরুণা পরপর চারটি নির্বাচনে আইএনসি (ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস)র হয়ে লড়াই করেছেন এবং তিনটিতে জিতেছেন, ২০০২, ২০১২ এবং ২০১৭ সালে। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত শেষ নির্বাচনে, তিনি ৭২,০০০ এরও বেশি ভোট পেয়েছেন এবং ৩১,৯১৭ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন (মহিলাদের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং রাজ্যে ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ)। তিনি বিজেপির বি.ডি. ধুপল কে হারান। ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টির মাত্র ৩ মহিলা বিধায়কের মধ্যে তিনি বরিষ্ঠ এবং মন্ত্রী পরিষদে রাজ্য মন্ত্রী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে পাঞ্জাবের স্কুল শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন।[৪] তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পাঞ্জাব সিভিল সাপ্লাই বিভাগের সভাপতি ছিলেন। অরুণা তৃতীয় প্রজন্মের রাজনীতিবিদ, তার শ্বশুরমশাই চ. জয় মুনির কাছ থেকে তিনি রাজনীতির উত্তরাধিকার পেয়েছেন। জয় মুনি দিনা নগরের প্রতিষ্ঠাতা বিধায়ক ছিলেন এবং ১৯৬৭, ১৯৭২, ১৯৮০ ও ১৯৮৫ সালে একই আসনে থেকে ২৫ বছর ধরে এমএলএ ছিলেন।
অরুণা তার নির্বাচনী এলাকায এবং তার আশেপাশের উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন এবং ৮৫ কিমি নতুন সংযোগ সড়ক নির্মাণে, সব বিদ্যমান রাস্তা মেরামতে সহায়তা করেছেন। ইন্দো-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থিত নির্বাচনী এলাকার এমএলএ হিসাবে তার নির্বাচনী মেয়াদের মধ্যে তিনি এগুলি করেছেন। এই সময়ের মধ্যে তার কাজের মধ্যে পড়ে পাঁচটি সড়ক কালভার্ট এবং দুটি প্যান্টুন সেতু নির্মাণের জন্য অনুমোদন ও নির্মাণ কাজ শেষ করা, প্রায় সব গ্রামে নলবাহিত পানীয় জলের সরবরাহ করা, ধর্মশালা নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, গ্রামে নিকাশী নালা ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ ইত্যাদি।
যোগ্য বরিষ্ঠ নাগরিকদের পেনশন এবং অন্যান্য অনুমোদিত সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন, বিধবা এবং অনাথ শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তা / কল্যাণ বিভাগ থেকে সাহায্যের অনুমোদন দিয়েছেন। সমাজের কল্যাণে তিনি অব্যাহতভাবে কাজ করেন, বিশেষ করে যুবক, নারীরা, সমাজের দুর্বল ও অসহায় শ্রেণীর জন্য।