অলকা যাজ্ঞিক | |
---|---|
জন্ম | |
পেশা | নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী |
দাম্পত্য সঙ্গী | নীরজ কাপুর (বি. ১৯৮৯) |
সন্তান | ১ |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | চলচ্চিত্র |
বাদ্যযন্ত্র | ভোকাল |
কার্যকাল | ১৯৮০-বর্তমান |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অলকা যাজ্ঞিক (গুজরাতি: અલકા યાજ્ઞિક; জন্ম: ২০ মার্চ ১৯৬৬) একজন ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। তিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে থাকেন। ১৯৯০-এর দশকে বলিউডের অন্যতম প্রসিদ্ধ সঙ্গীতশিল্পী অলকা ২ বার শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ২ বার বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার, রেকর্ড সংখ্যক ৩৬টি মনোনয়ন থেকে ৭ বার শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার-সহ অসংখ্য সঙ্গীত পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
অলকা তার চার দশকের কর্মজীবনে সহস্রাধিক ভারতীয় চলচ্চিত্রে এবং অসমীয়া, বাংলা, গুজরাতি, মালয়ালম, মারাঠি, মণিপুরি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, ভোজপুরি, তামিল ও তেলুগু-সহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় প্রায় ২০,০০০ এর বেশি গান রেকর্ড করেছেন।[১][২] তার গাওয়া ২০টি গান বিবিসির সর্বকালের শীর্ষ ৪০ বলিউড সাউন্ডট্র্যাক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।[৩] ২০২৩ সালের জানুয়ারি অবধি তিনি ইউটিউবের মিউজিক চার্টস অ্যান্ড ইনসাইটসের শীর্ষ বৈশ্বিক শিল্পী তালিকায় শীর্ষ স্থানে অবস্থান করেন। তিনি ৩৭১ মিলিয়ন ভিউ নিয়ে এই চার্টে ৩৩১ সপ্তাহ শীর্ষে ছিলেন।[৪]
অলকা ২০২২ সালে ১৫.৩ বিলিয়ন ইউটিউব ভিউ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্ট্রিম হওয়া শিল্পী হিসেবে গিনেস বিশ্ব রেকর্ড কর্তৃক স্বীকৃত হন। এই রেকর্ড বই আরও প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে, "কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী যাজ্ঞিক, ৫৬, ২০২১ সালে ১৭ বিলিয়ন এবং ২০২০ সালে ১৬.৬ বিলিয়ন স্ট্রিমিং নিয়ে বিগত তিন বছর ধরে এই প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী হিসেবে স্থান ধরে রেখেছেন।[৫]
যাজ্ঞিক ১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ কলকাতার এক গুজরাতি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। [৬] তার বাবা ধর্মেন্দ্র শঙ্কর [৭][৮] ও মা শোভা যাজ্ঞিক ছিলেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী। তিনি মডার্ন বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৭২ সালে মাত্র ৬ বছর বয়সে তিনি আকাশবাণী (অল ইন্ডিয়া রেডিও) কলকাতাতে গানের যাত্রা শুরু করেন। [৯][১০] ১০ বছর বয়সে তার মা তাকে শিশু শিল্পী হিসেবে মুম্বই নিয়ে আসেন।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেওয়া যাজ্ঞিক মাত্র ছয় বছর বয়সে আকাশবাণী (অল ইন্ডিয়া রেডিও), কলকাতায় ভজন গাওয়ার মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন।[১০] চলচ্চিত্রে তার গাওয়া প্রথম গান পায়েল কি ঝংকার (১৯৮০)-এর "তিরকত আঙ্গ লাচকি ঝুকি"। তিনি ১৯৮১ সালে কল্যাণজী-আনন্দজীর সুরে লাওয়ারিস (১৯৮১) চলচ্চিত্রের "মেরে আঙ্গনে মেঁ" গানে কণ্ঠ দেন। তিনি এই গানের জন্য তার প্রথম শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। গানটি ২০২০ সালে তনিষ্ক বাগচী পুনঃসৃষ্টি করেন, যাতে কণ্ঠ দেন নেহা কক্কর ও রাজা হাসান।[১১]
তিনি রাজেশ রোশনের সুরে সন্নাটা (১৯৮১)-এ উদিত নারায়ণের সাথে "সুন জানে জা" ও হামারি বহু অলকা (১৯৮২)-এ অমিত কুমারের সাথে "হাম তুম রহেঙ্গে আকেলে", কামচোর (১৯৮২)-এ কিশোর কুমারের সাথে "তুম সে বড়কর দুনিয়া মেঁ" এবং রাহুল দেব বর্মণের সুরে নমকিন (১৯৮২)-এর "অ্যায়সা লাগা কোই সুরমা নজর মেঁ" গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৮৮ সালে তিনি কেয়ামত সে কেয়ামত তক চলচ্চিত্রে উদিত নারায়ণের সাথে "অ্যায় মেরে হামসফর", "আকেলে হ্যাঁয় তো ক্যায়া গম হ্যায়" ও "গজব কা হ্যায় দিন" গানে কণ্ঠ দেন। মজরূহ সুলতানপুরির লেখা ও আনন্দ-মিলিন্দের সুরে দ্বৈত গানগুলো বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।[১২][১৩] মিথুন শর্মা "অ্যায় মেরে হামসফর" গানটি ২০১৫ সালের অল ইজ ওয়েল চলচ্চিত্রের জন্য পুনঃসৃষ্টি করেন। অমিতাভ বর্মার অতিরিক্ত গীত নিয়ে সৃষ্ট এই গানটিতে কণ্ঠ দেন মিথুন ও তুলসী কুমার।[১৪]
তার প্রথম আলোচিত সাফল্য আসে লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলালের সুরে তেজাব (১৯৮৮) চলচ্চিত্রের "এক দু তিন" গানের মধ্য দিয়ে। এই গানের রেকর্ডিংয়ের সময় তার বেশ জ্বর ছিল, কিন্তু লক্ষ্মীকান্ত তাকে সাহস জুগান এবং গানটি একবারেই চূড়ান্ত রেকর্ড হয়।[১৫] এই গানের জন্য তিনি তার প্রথম শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।[১৬] এই গানটি পরবর্তীকালে বাঘী ২ (২০১৮) চলচ্চিত্রের জন্য পুনঃসৃষ্টি করা হয়, এতে কণ্ঠ দেন শ্রেয়া ঘোষাল।[১৭]
১৯৯১ সালে তিনি নাদিম-শ্রাবণের সুরে সাজন চলচ্চিত্রে "তু শায়র হ্যায়", এস. পি. বালসুব্রহ্মণ্যমের সাথে "দেখা হ্যায় পহেলি বার" ও কুমার সানুর সাথে "মেরা দিল ভি কিতনা" গানগুলো সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে। প্ল্যানেট বলিউডের শাহিদ খান লিখেন, "যাজ্ঞিক তার প্রফুল্ল ভাবাবেগ দিয়ে এই গানে প্রাণ নিয়ে এসেছেন।"[১৮] যাজ্ঞিক "দেখা হ্যায় পহেলি বার" গানে তার স্বাভাবিক উচ্চ মাত্রা ব্যবহার করেছেন।[১৯] তিনি এই গানের জন্য তার তৃতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২০]
১৯৯২ সালে তিনি পুনরায় নাদিম-শ্রাবণের সুরে দিওয়ানা চলচ্চিত্রের দুটি গানে কণ্ঠ দেন এবং এই অ্যালবামটি ছিল এই বছরের সর্বোচ্চ বিক্রীত অ্যালবাম।[২১] এই চলচ্চিত্রে তার গাওয়া "অ্যায়সি দিওয়াঙ্গি" গানটি রাজন-নাগেন্দ্রন সুরারোপিত ১৯৭৭ সালের কন্নড় ভাষার বায়ালু দারি চলচ্চিত্রের "কানাসুলু নিনে" গানের হিন্দি পুনঃসংস্করণ।[২২] এই গানের জন্য তিনি আরেকটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২৩] নাদিম-শ্রাবণের সুরের তিনি পুনরায় সপনে সাজন কে চলচ্চিত্রের ৭টি গানে কণ্ঠ দেন এবং এই অ্যালবামটি ছিল এই বছরের অষ্টম সর্বোচ্চ বিক্রীত অ্যালবাম।[২১] এই চলচ্চিত্রে কুমার শানুর সাথে তার দ্বৈত গান "ইয়ে দুয়া হ্যায় মেরি রব সে" জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এছাড়া তিনি আনু মালিকের সুরে চমৎকার চলচ্চিত্রের "ইস প্যায়ার সে মেরি তরফ" গানে কণ্ঠ দেন।
১৯৯৩ সালে তিনি লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলালের সুরে খলনায়ক চলচ্চিত্রে পাঁচটি গানে কণ্ঠ দেন। ইলা অরুণের সাথে সম্মোহক তার গাওয়া "চোলি কে পিচে ক্যায়া হ্যায়" গানটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আনন্দ বকশীর রচিত গানটি এর গীতের জন্য বিতর্কের জন্ম দেয়। কিন্তু তিনি ও ইলা অরুণ এই গানের জন্য যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।[২৪] এই গানটি সানোনার জরিপে শতাব্দীর সেরা উত্তেজক গান হিসেবে নির্বাচিত হয়।[২৫] এছাড়া তিনি এই চলচ্চিত্রের "আজা সাজন আজা", "পালকি পে হোকে সওয়ার", "অ্যায়সে তেরে ইয়াদ আতি হ্যায়" ও "ডর সে আনা জলদি" গানে কণ্ঠ দেন। এরপর তিনি নাদিম-শ্রাবণের সুরে হাম হ্যাঁয় রাহি প্যায়ার কে চলচ্চিত্রে কুমার শানুর সাথে প্রণয় ধর্মী "ঘুঙ্গট কী আড় সে দিলবার কা", "মুঝসে মোহব্বত কা ইজহার" ও "ইউহি কাট যায়েগা সফর সাথ" এবং এককভাবে "বাম্বাই সে গয়ি পুনা" গানে কণ্ঠ দেন। তিনি "ঘুঙ্গট কী আড় সে দিলবার কা" গানের জন্য তার প্রথম শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি কুমার শানুর সাথে বাজীগর চলচ্চিত্রের শীর্ষ গানে কণ্ঠ দেন। এই তিনটি চলচ্চিত্রের অ্যালবাম সেই বছরের শীর্ষ বিক্রীত অ্যালবাম হিসেবে স্থান পায়।[২১] যাজ্ঞিক এই বছরের "বাজীগর ও বাজীগর", "পালকি পে হোকে সওয়ার" ও "হাম হ্যাঁয় রাহি প্যায়ার কে" গানের জন্য আরও তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২৬]
১৯৯৪ সালে তিনি আমানত চলচ্চিত্রে বাপ্পী লাহিড়ীর সুরে কুমার শানু ও ইলা অরুণের সাথে "দিন মেঁ লেতি হ্যায়" শীর্ষক আরেকটি সম্মোহক গানে কণ্ঠ দেন।[২৭] দ্বৈত গানটি ছাড়াও তিনি ইলা অরুণের সাথে এই গানের নারী সংস্করণেও কণ্ঠ দেন।[২৮]
তিনি ১৯৯৭ সালের পরদেশ চলচ্চিত্রের "মেরি মেহবুবা" গানের জন্য তার তৃতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি কুছ কুছ হোতা হ্যায় চলচ্চিত্রের শিরোনাম গানের জন্য তার দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। যাজ্ঞিক ১৯৯৯ সালে এ. আর. রহমানের সুরে তাল চলচ্চিত্রের শিরোনাম গানের জন্য তার চতুর্থ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
২০০০ সালে তিনি নাদিম-শ্রাবণের সুরে ধড়কন চলচ্চিত্রের "দিল নে ইয়ে কহা হ্যায় দিল সে" গানের জন্য তার পঞ্চম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া এই চলচ্চিত্রে তার গাওয়া "তুম দিল কি ধড়কন", "আকসার ইস দুনিয়া মে" ও "না না করতে প্যায়ার" গানগুলো জনপ্রিয়তা অর্জন করে[২৯] এবং এই অ্যালবামটি সেই বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রীত অ্যালবাম ছিল।[৩০] এরপর তিনি আনু মালিকের সুরে জোশ ও রিফিউজি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। জোশ চলচ্চিত্রে তিনি উদিত নারায়ণের সাথে "হায়ে মেরা দিল" ও "হাম তো দিল সে হারে" দ্বৈত গানে এবং রিফিউজি চলচ্চিত্রের "পাঞ্চি নদীয়া পবন কে"-সহ পাঁচটি গানে কণ্ঠ দেন। এই দুটি অ্যালবাম সেই বছরের সর্বোচ্চ বিক্রীত অ্যালবামের তালিকায় স্থান পায়।[৩০] যাজ্ঞিক "হায়ে মেরা দিল" ও "পাঞ্চি নদীয়া পবন কে" গানের জন্য আরও দুটি মনোনয়ন লাভ করেন।[৩১]
২০০১ সালে লগান চলচ্চিত্রের "ও রে ছোরি" গানের জন্য তার ষষ্ঠ ও টানা তৃতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।[৩২][৩৩] এছাড়া তিনি অশোকা চলচ্চিত্রের "সন সনানা" ও দিল চাহতা হ্যায় চলচ্চিত্রের "জানে কিঁও" গানের জন্য আরও দুটি মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০৪ সালে হাম তুম চলচ্চিত্রের "হাম তুম" গানের জন্য তার সপ্তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
বলিউড গানসমূহ
বছর | ছবির নাম | গানের নাম | সহ-শিল্পী | সঙ্গীত পরিচালক |
---|---|---|---|---|
২০১৩ | বম্বে টকিজ | বম্বে টকিজ | কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, শান, সুখবিন্দর সিং, মোহিত চৌহান | অমিত ত্রিবেদী |
২০১৩ | কাশ তুম হোতে | samrat | শান | রাম বর্মা |
২০১২ | ইটস রকিং দার্দ-এ-ডিসকো | “মোহব্বাতেঁ” | জুবিন গার্গ | বাপ্পি লাহিড়ী |
২০১২ | রজনিগন্ধা (গজল) | “ক্যায়া পুকারে”, ক্যায়া কহে হম তুমহে”, রজনিগন্ধা সে মিখি” | হরিহরণ, উস্তাদ রশিদ খান | সুদীপ ব্যানার্জী |
২০১২ | রং (অ্যালবাম) | “হাওয়া নে ইয়ে পয়গাম” | সলো | নাদিম-শ্রাবণ |
২০১১ | ক্যায়া এহী সচ হ্যায় | “উদাকাই মুঝকো ইয়ে হাউয়া” | সলো | নির্মল অগুসতায়া |
২০১১ | শিভম | “ক্যায়া ইয়ে নজরে হ্যায় গুমসুম”, খওয়ে সে হম খোয়ে সে হম” | সলো, উদিত নারায়ণ | রমেন বড়ই |
২০১১ | ইক হী রাস্তা | “মহামারি গজব ভয়া রমা” | উদিত নারায়ণ | পুরি জগন্নাথ |
২০১১ | মাই হ্যামব্যান্ড ওয়াইফ | “জিটনা বানা সাকু ডিয়ানা” | বাবুল সুপ্রিয় | দিনেশ অর্জুনা |
২০১০ | ট্রাম্প কার্ড | তুম্হারে লিয়ে | কুণাল গাঞ্জাওয়ালা |
অলকা যাজ্ঞিক তার মাকে তার প্রথম গুরু উল্লেখ করেন। তিনি মাত্র চার বছর বয়স থেকে মায়ের নিকট গানের তালিম নেওয়া শুরু করেছিলেন।[১৬] মায়ের পাশাপাশি তিনি কল্যাণজী-আনন্দজী ও লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলালের নিকট গানের তালিম নেন।[৩৪] তিনি প্রণয়ধর্মী, দুঃখজনক, সম্মোহক ও আইটেম নাম্বার-সহ বিভিন্ন ধারার গান গেয়েছেন,[২৮][৩৫] কিন্তু তার মতে তার কণ্ঠ প্রণয়ধর্মী ধারার গানে সবচেয়ে মানানসই।[৩৬] অলকা প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরকে তার অনুপ্রেরণা বলে স্বীকার করেন।[৩৬]
যাজ্ঞিককে "নেপথ্য সঙ্গীতের রানি" বলে অভিহিত করা হয়।[৩৭] ২০১৯ সালের ১২ মে মা দিবস মোতাবেক অলকা স্পটিফাইয়ে সবচেয়ে বেশি শ্রুত ভারতীয় শিল্পী-মা।[৩৮] দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া তাকে "মধুকণ্ঠী সঙ্গীতশিল্পী" বলে আখ্যায়িত করে।[৩৯] হিন্দুস্তান টাইমস তার কণ্ঠকে "জাদুকরী কণ্ঠ" বলে উল্লেখ করে।[৪০] মিড ডে তাকে উল্লেখযোগ্য ৯০-এর দশকের নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[৪১] সঙ্গীতশিল্পী সুনিধি চৌহান একদা বলেন যে তিনি লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে ও অলকা যাজ্ঞিক যে স্থানে পৌঁছেছেন তা কল্পনাও করতে পারেন না।[৪২]
অলকা যাজ্ঞিক ১৯৮৯ সালে শিলং-ভিত্তিক ব্যবসায়ী নীরজ কাপুরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক কন্যা রয়েছে, যার নাম সায়েশা।[৪৩]