অশ্বিনী পোন্নাপ্পা | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম নাম | অশ্বিনী পোন্নাপ্পা |
দেশ | ভারত |
জন্ম | বেঙ্গালুরু, কর্ণাটক, ভারত | ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯
বাসস্থান | হায়দ্রাবাদ, ভারত |
উচ্চতা | ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৬৫ মিটার) |
কার্যকাল | ২০০৭–বর্তমান |
হাত | ডান হাতি |
প্রশিক্ষক | টম জন |
ব্যাডমিন্টন - মহিলাদের দ্বৈত ও মিশ্র দল | |
সর্বোচ্চ অবস্থান | ১০ (২০ আগস্ট ২০১৫) |
বর্তমান অবস্থান | ১৪ (১৪ জানুয়ারী ২০১৬) |
পদকের তথ্য | |
বিডাব্লিউএফ প্রোফাইল |
অশ্বিনী পোন্নাপ্পা (জন্মঃ ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯) হলেন একজন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় যিনি মহিলাদের ও মিশ্র দ্বৈত উভয় ডিসিপ্লিনেই আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন সার্কিটে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার, সহখেলোয়াড় জ্বালা গুট্টার সাথে একটি সফল অংশীদারত্ব রয়েছে। জ্বালা গুট্টা ও অশ্বিনী পোন্নাপ্পার জুড়ি কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণ পদক এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে একটি ঐতিহাসিক ব্রোঞ্জ জেতা সহ বহু আন্তর্জাতিক ইভেন্টে আরো অনেক পদক জিতেছেন। ২০১৮ সালে, কমনওয়েলথ গেমসে, মহিলাদের দ্বৈত ইভেন্টে, তার এবং এন সিক্কী রেড্ডির জুটি ব্রোঞ্জ পদক[১] এবং মিশ্র দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ পদক জিতেছেন।[২]
অশ্বিনী পোন্নাপ্পা ১৯৮৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এম.এ.পোন্নাপ্পা এবং মাতা কাবেরী পোন্নাপ্পা।[৩] তার পিতা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একজন ম্যানেজার এবং তার মা নিউ ইন্ডিয়া এসসুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করতেন।[৩] তার একটি ছোট ভাইও আছে।[৩] তার পিতা জাতীয় হকি খেলোয়াড় হলেও তিনি হকির থেকে ব্যান্ডিন্টনকে পছন্দে করে ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
অশ্বিনী সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস হাই স্কুল, বেঙ্গালোরে তার স্কুল সম্পন্ন করেন এবং স্নাতকের জন্য তিনি হায়দ্রাবাদে পড়তে যান। ২০০১ সালে, তার প্রথম জাতীয় শিরোপা জিতেছেন। ২০০৫ সালে, ভারতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০০৭ সালে, সাব জুনিয়র মেয়েদের দ্বৈত বিভাগে তার প্রথম জাতীয় শিরোপা জিতেছেন। ২০০৫ ও ২০০৭ সালে জুনিয়র মেয়েদের দ্বৈত জাতীয় শিরোপা জয়ের মাধ্যমে ২০০৫ সালে জুনিয়র মেয়েদের দ্বৈতে জাতীয় শিরোপা জিতেছেন। ২০১০ সালে, দক্ষিণ এশীয় গেমসে, তিনি মিশ্র ইভেন্টে এবং দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ পদক জিতেছেন। ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে, তিনি জ্বালা গুট্টার সাথে মহিলাদের দ্বৈত ইভেন্টে স্বর্ণ পদক জিতেছিলেন এবং এই ইভেন্টে ভারতের জন্য প্রথম স্বর্ণ পদক জিতে ইতিহাস গড়েন। দেশে পদক জেতার পর, অশ্বিনী এবং গুট্টার নাম ঘরে ঘরে পরিচিত নাম হয়ে ওঠে।[৪]
২০১১ সালে, তারা তাদের সেরা পারফরম্যান্স নিয়ে এসেছিল যখন তিনি এবং গুট্টা, ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম নতিভুক্ত করেন, প্রথম ভারতীয় জুটি যারা বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের একটি পদক নিশ্চিত করার হিসাবে। তারা টুর্নামেন্টের ১২ নম্বর ইন্দোনেশিয়ার জুটি বেটা মারিসা ও নাদয়া মেলতিকে ১৭-২১, ২১-১০, ২১-১৭ স্কোরে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে, কিন্তু সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টের পঞ্চম নম্বর জুটি চীনে দলের কাছে হেরে যান এবং ব্রোঞ্জ পদক জেতেন।
অশ্বিনী ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে মহিলাদের দ্বৈত খেলেছিলেন। উদ্বোধনী মহিলাদের দ্বৈত ম্যাচে, জাপানের জুটি মিৎসুকি ফুজি ও রেইকা কাকিওয়ার বিপক্ষে অশ্বিনী ও গুট্টার জুটি হেরে যায়। তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম জয়ী হন যখন তারা ২৫-২৩, ১৬ -২১, ২১-১৮ স্কোরে চায়নিজ তাইপের জুটি ওয়েইন হেসিং চেং এবং ইউ চিন চিয়েনকে পরাজিত করে। অশ্বিনী ও গুট্টা মাত্র এক পয়েন্টের পার্থক্যে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাতে পারল না, যদিও তারা তাদের শেষ গ্রুপে বি ম্যাচে সিঙ্গাপুরের শিনতা মুলিয়া সারি ও লেই ইয়াওকে ২১-১৬, ২১-১৫ এ হারিয়ে দেয় এবং জাপান ও তাইপেইের সাথে জয়ের সংখ্যা এক ছিল। মঙ্গলবার রাতের ভারতের শেষ গ্রুপে ম্যাচের আগে বিশ্বের পাঁচ নম্বর জাপানি জুটি, মিজুকি ফুজি ও রেইকা কাকিওয়াকে ১৯-২১, ১১-২১, দশ নম্বর চায়নিজ তাইপের জুটি চেং ওয়েন হিং এবং চিয়েন ইউ চিনের কাছে হেরে যায়। ভারত গেম আয়োজকদের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ দায়ের করে যে জাপান ও চায়নিজ তাইপের ম্যাচ সঠিক ভাবে খেলা হয়েছিল কিনা? তবে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অলিম্পিক গেমসে পর, গুট্টা একটি অস্থায়ী স্বেচ্ছা অবসর নেন ব্যাডমিন্টন খেলা থেকে। ২০১৩ সালে, অশ্বিনী, সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রদনয়া গাদ্রের সাথে জুটি বেঁধে খেলা শুরু করেন এবং সেই বছরের শেষের দিকে আবার জ্বালা গুট্টার সাথে জুটি বাঁধেন।২৯ শে জুন, ২০১৫ সালে, তিনি জ্বালা গুট্টার সাথে শীর্ষস্থানকারি ডাচ জুটি ইফজে মুশকেন ও সেলেনা পাইকে পরাজিত করে কানাডার ওপেনের মেয়েদের শিরোপা জিতে নেন।[৫]
২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে, অশ্বিনী ব্যবসায়ী ও মডেল করণ মেদাপ্পাকে বিয়ে করেন।[৬][৭] তার প্রিয় লেখক নিকোলাস স্পার্কস এবং তার প্রিয় সিনেমা, ২০১৩ সালের রোম্যান্টিক-কমেডি "বিগিন এগেন"। তার প্রিয় ব্যাডমিন্টন শট হল স্মাশ।[৮]
মহিলাদের দ্বৈত
বছর | স্থান | অংশীদার | প্রতিপক্ষের | স্কোর | ফল |
---|---|---|---|---|---|
২০১১ | ওয়েম্বলি এরিনা, লন্ডন, ইংল্যান্ড | জ্বালা গুট্টা | টিয়ান কিং ঝাও ইউনলি |
১৪-২১, ১৬-২১ | ব্রোঞ্জ |
মহিলাদের দ্বৈত
বছর | স্থান | অংশীদার | প্রতিপক্ষের | স্কোর | ফল |
---|---|---|---|---|---|
২০১৮ | কাররারা স্পোর্টস অ্যান্ড লেইসুর সেনটার, গোল্ড কোস্ট, অস্ট্রেলিয়া |
এন. সিক্কী রেড্ডি | সেটয়ানা মাপাসা গ্রানিয়া সোমরভিল |
২১-১৯, ২১-১৯ | ব্রোঞ্জ |
২০১৪ | এমিরেটস এরিনা, গ্লাসগো, স্কটল্যান্ড | জ্বালা গুট্টা | ভিভিয়ান কাহ মুন হু ওয়ুন খি ওয়েই |
১৭-২১, ২১-২৩ | রৌপ্য |
২০১০ | সিরি ফোর্ট স্পোর্টস কমপ্লেক্স, নিউ দিল্লি, ভারত | জ্বালা গুট্টা | শিনটা মুলিয়া শাড়ি ইয়াও লেই |
২১-১৬, ২১-১৯ | স্বর্ণ |
মহিলাদের দ্বৈত
বছর | স্থান | অংশীদার | প্রতিপক্ষের | স্কোর | ফল |
---|---|---|---|---|---|
২০১৪ | গিমচিয়েন ইন্ডোর স্টেডিয়াম, গিমচিয়ন, দক্ষিণ কোরিয়া |
জ্বালা গুট্টা | লুও ইয়িং লুও ইয়ু |
১২-২১, ৭-২১ | ব্রোঞ্জ |
মহিলাদের দ্বৈত
বছর | স্থান | অংশীদার | প্রতিপক্ষের | স্কোর | ফল |
---|---|---|---|---|---|
২০১৬ | মাল্টিপারপাস হল এসএআই-এসএজি সেন্টার, গুয়াহাটি, ভারত |
জ্বালা গুট্টা | এন. সিক্কী রেড্ডি কে মানিশা |
২১-৯, ২১-১৭ | স্বর্ণ |
মিশ্র দ্বৈত
বছর | স্থান | অংশীদার | প্রতিপক্ষের | স্কোর | ফল |
---|---|---|---|---|---|
২০১৬ | মাল্টিপারপাস হল এসএআই-এসএজি সেন্টার, গুয়াহাটি, ভারত |
মানু অ্যাট্রি | প্রানাভ জেরি চোপড়া এন. সিক্কী রেড্ডি |
২৯-৩০, ১৭-২১ | রৌপ্য |
বিডব্লিউএফ গ্র্যান্ড প্রিক্সের দুটি স্তর, গ্র্যান্ড প্রিক্স এবং গ্র্যান্ড প্রিক্স গোল্ড। ২০০৭ সাল থেকে ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন (বিডব্লিউএফ) কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের একটি সিরিজ।
মহিলাদের দ্বৈত
বছর | স্থান | অংশীদার | প্রতিপক্ষের | স্কোর | ফল |
---|---|---|---|---|---|
২০১৭ | সৈয়দ মোদী ইনটারন্যাশনাল | এন. সিক্কী রেড্ডি | কামিল্লা রাইটার জুল ক্রিস্টিনা পেডারসন |
১৬-২১, ১৮-২১ | দ্বিতীয় স্থান |
২০১৫ | কানাডা ওপেন | জ্বালা গুট্টা | ইফজে মুসকেনস সেলেনা পাইক |
২১-১৯, ২১-১৬ | বিজয়ী |
২০১০ | ভারত ওপেন | জ্বালা গুট্টা | শিনটা মুলিয়া শাড়ি ইয়াও লি |
১১-২১, ২১-৯, ১৫-২১ | দ্বিতীয় স্থান |
মিশ্র দ্বৈত
বছর | স্থান | অংশীদার | প্রতিপক্ষের | স্কোর | ফল |
---|---|---|---|---|---|
২০১৭ | সৈয়দ মোদী ইনটারন্যাশনাল | বি সুমিত রেড্ডি | প্রণব চোপড়া এন সিক্কী রেড্ডি |
২০-২২, ১০-২১ | দ্বিতীয় স্থান |
মহিলাদের একক
বছর | স্থান | প্রতিপক্ষের | স্কোর | ফল |
---|---|---|---|---|
২০০৮ | বাহরাইন আন্তর্জাতিক | ট্রুপতি মুরগণ্ডে | ১৬-২১, ১৩-২১ | দ্বিতীয় স্থান |
মহিলাদের দ্বৈত
বছর | স্থান | অংশীদার | প্রতিপক্ষের | স্কোর | ফল |
---|---|---|---|---|---|
২০১৬ | ওয়েলশ ইনটারন্যাশনাল | এন. সিক্কী রেড্ডি | আন্নাস্তাসিয়া চার্ভাইকোভা ওলগা মোরোজোভা |
১৬-২১, ১১-২১ | দ্বিতীয় স্থান |
২০১৩ | টাটা ওপেন ইন্ডিয়া ইনটারন্যাশনাল | জ্বালা গুট্টা | প্রদনয়া গাদ্রে এন. সিক্কী রেড্ডি |
১৯-২১, ১৯-২১ | দ্বিতীয় স্থান |
মিশ্র দ্বৈত
বছর | স্থান | অংশীদার | প্রতিপক্ষের | স্কোর | ফল |
---|---|---|---|---|---|
২০১৩ | টাটা ওপেন ইন্ডিয়া ইনটারন্যাশনাল | তরুন কোনা | অক্ষয় দেওয়ালকার প্রাদন্যা গাদ্রে |
১৭-২১, ২১-১৮, ১৮-২১ | দ্বিতীয় স্থান |
মহিলাদের দ্বৈত জ্বালা গুট্টার সাথে সুপার সিরিজ ফাইনাল, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ সেমিফাইনালেস্ট এবং অলিম্পিক কোয়ার্টার ফাইনালস্টিসের বিরুদ্ধে এর ফলাফল।[৯]