ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বার্মিংহাম, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস, ইংল্যান্ড | ৯ জুন ১৯৭৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৪ মে ২০২২ হার্ভি রেঞ্জ, কুইন্স আইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৪৬)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | রয়, সাইমো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১৮৭.৫ সেন্টিমিটার (৬ ফুট ১.৮ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৮৮) | ৮ মার্চ ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৩৯) | ১০ নভেম্বর ১৯৯৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ মে ২০০৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৬৩ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪-২০০১ | কুইন্সল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৫-১৯৯৬ | গ্লুচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯-২০০৪ | কেন্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-২০১০ | ডেকান চার্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০ | সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | মুম্বই ইন্ডিয়ান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |
অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস (ইংরেজি: Andrew Symonds; ৯ জুন, ১৯৭৫ — ১৪ মে, ২০২২) ছিলেন ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে তিনি অল-রাউন্ডারের ভূমিকা পালন করেছেন। দুইবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ডানহাতি মধ্যমসারির ব্যাটসম্যান এবং মিডিয়াম পেস ও অফ-স্পিনে দক্ষতা প্রদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি ফিল্ডিংয়েও সমান দক্ষ ছিলেন। রয় ডাকনামে তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন।[১]
অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৫০০০+ রান করেছেন এবং গড় ১০০-এর বেশি করেছে[২][৩]ন।
১৯৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একাডেমি থেকে বৃত্তি লাভ করেন তিনি।[৪] ১৯৯৫ সালে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের পক্ষে প্রথম মৌসুম অতিক্রম করেন তিনি। মৌসুম শেষে তিনি বর্ষসেরা ক্রিকেট রাইটার্স ক্লাব ইয়ং ক্রিকেটার পুরস্কারে ভূষিত হন।[৫] এরপরই শীতকালে তাকে ইংল্যান্ড এ-দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান সফরের জন্য মনোনীত করা হয়। কিন্তু তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে খেলার স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি সফরে যাবেন না যা পরবর্তীতে মিডলসেক্সের খেলোয়াড় জেসন পুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৫]
১০ নভেম্বর, ১৯৯৮ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অভিষেক ঘটে তার।[৬] একদিনের আন্তর্জাতিকে তার স্ট্রাইক রেট ৯০-এর ঊর্ধ্বে ও তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান হচ্ছে ১৫৬।
ব্যতিক্রমধর্মী ফিল্ডার হিসেবে ২০০৫ সালে ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে দেখায় যে, ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকে যে-কোন ফিল্ডারদের তুলনায় একদিনের আন্তর্জাতিকে রান-আউটের ক্ষেত্রে যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করেন তিনি ও সফলতার দিক থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ।[৭]
সাইমন্ডস ক্রিকেট শো গেম অন হ্যায় উপস্থিত হয়েছিল, যা ১৪ জুলাই ২০১৬-এ পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ডের সময় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল। কার্টলি অ্যামব্রোসও ওডিআই সিরিজের সময় তার সাথে যোগ দিয়েছিলেন।[৮]
২০১৬-১৭ অস্ট্রেলিয়ান বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দ্য গাব্বা এবং WACA-তে ম্যাচ সহ অতিথি ধারাভাষ্যকার হিসেবে সাইমন্ডস উপস্থিত ছিলেন। অতি সম্প্রতি তিনি ২০১৮/১৯ বিগ ব্যাশ মৌসুমের ফক্স স্পোর্টসের কভারেজের একজন ধারাভাষ্যকার ছিলেন।
তিনি ২০১১ সালের বলিউডের সিনেমা পাতিয়ালা হাউসে অভিনয় করেছিলেন, যেটিতে অক্ষয় কুমার প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।[৯]
২০০৮ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে অধিকাংশ সময় তাকে দলের বাইরে অবস্থান করতে হয়। এর প্রধান কারণ ছিল শৃঙ্খলাজনিত ও মদপানের কারণে।[১০]
ভাদোদরা, নাগপুর এবং মুম্বাই-এ ওয়ানডে সিরিজে ভিড়কে বানর স্লোগান দিয়ে সাইমন্ডসকে বিরক্ত করতে দেখা গেছে। BCCI প্রাথমিকভাবে ভাদোদরায় ঘটনাটি ঘটেছিল তা অস্বীকার করার পর (এটি বানরের দেবতা হনুমানকে পূজা করার সাথে একটি বিভ্রান্তি বলে দাবি করে), সিরিজের অন্যান্য গ্রাউন্ডে আরও ঘটনা ঘটেছে।[১১][১২]
২০০৭ সালের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী শ্রীলঙ্কা সফরের সময়, ব্যাট হাতে সাইমন্ডস ভালো ফর্মে ছিলেন কিন্তু গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন, যার কারণে তিনি টেস্ট সিরিজের বাকি অংশ থেকে বাদ পড়েছিলেন। এরপর তিনি ২০০৭-০৮ অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজে ফিরে আসেন।[১৩]
২০০৭ সালের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী শ্রীলঙ্কা সফরের সময়, ব্যাট হাতে সাইমন্ডস ভালো ফর্মে ছিলেন কিন্তু গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন, যার কারণে তিনি টেস্ট সিরিজের বাকি অংশ থেকে বাদ পড়েছিলেন। এরপর তিনি 2-০৮ অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজে ফিরে আসেন।
জুন, ২০০৯ সালে বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতা থেকে তৃতীয়বারের মতো নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে তার চুক্তি বাতিল করা হয়।[১৩] অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে ও অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ তাকে আর দলে নেবে না। এরফলে সাইমন্ডস হয়তোবা তার অবসরের বিষয়টি ঘোষণা করবেন।[১৪] এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ তারিখে পারিবারিক জীবনকে উপভোগ করতে সাইমন্ডস সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।[১৫]
সাইমন্ডস ১৪ মে ২০২২ তারিখে ৪৬ বছর বয়সে কুইন্সল্যান্ডের টাউনসভিলে একটি একক যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। কুইন্সল্যান্ড পুলিশ একটি বিবৃতিতে বলেছে যে সাইমন্ডস অ্যালিস রিভার ব্রিজের কাছে হার্ভে রেঞ্জ রোডে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তখন তার গাড়িটি ছেড়ে যায়। স্থানীয় সময় রাত ১০:৩০ টার দিকে রাস্তা এবং ঘূর্ণিত. সাইমন্ডস গাড়ির একমাত্র যাত্রী ছিলেন। প্যারামেডিকরা প্রতিক্রিয়া জানায় এবং তাকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করে, কিন্তু সাইমন্ডসকে ঘটনাস্থলে মৃত ঘোষণা করা হয়।[১৬][১৭]