রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য | |
---|---|
উচ্চারণ | /æmˈloʊdɪˌpiːn/[২] |
বাণিজ্যিক নাম | অ্যামডোক্যাল, অ্যামলোপিন, অ্যামলোট্যাব, ক্যামলোডিন, ইত্যাদি। |
এএইচএফএস/ ড্রাগস.কম | মনোগ্রাফ |
মেডলাইনপ্লাস | a692044 |
লাইসেন্স উপাত্ত |
|
গর্ভাবস্থার শ্রেণি |
|
প্রয়োগের স্থান | মুখ |
ঔষধ বর্গ | ক্যালসিয়াম চ্যানেল অবরোধক |
এটিসি কোড | |
আইনি অবস্থা | |
আইনি অবস্থা | |
ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত | |
জৈবপ্রাপ্যতা | ৬৪-৯০% |
প্রোটিন বন্ধন | ৯৩%[৮] |
বিপাক | যকৃৎ |
মেটাবলাইট | বিবিধ নিষ্ক্রিয় পিরিমিডিন মেটাবোলাইট বা বিপাকজাত বস্তু। |
কর্মের সূত্রপাত | মুখে সেবনের ৬-১২ ঘণ্টা পরে সর্বাধিক লভ্যতা[১০] |
বর্জন অর্ধ-জীবন | ৩০–৫০ ঘণ্টা |
কর্ম স্থিতিকাল | অন্ততপক্ষে ২৪ ঘণ্টা[১০] |
রেচন | মূত্র[১০] |
শনাক্তকারী | |
| |
সিএএস নম্বর | |
পাবকেম সিআইডি | |
আইইউপিএইচএআর/ বিপিএস | |
ড্রাগব্যাংক | |
কেমস্পাইডার | |
ইউএনআইআই | |
কেইজিজি | |
সিএইচইবিআই | |
সিএইচইএমবিএল | |
পিডিবি লিগ্যান্ড | |
কমপটক্স ড্যাশবোর্ড (আইপিএ) | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | 100.102.428 |
রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য | |
সংকেত | C20H25ClN2O5 |
মোলার ভর | ৪০৮.৮৮ g·mol−১ |
থ্রিডি মডেল (জেএসমোল) | |
চিরালিটি | রেসেমিক মিশ্রণ |
| |
|
অ্যামলোডিপিন (ইংরেজি: Amlodipine) হলো একটি ক্যালসিয়াম চ্যানেল অবরোধক ওষুধ যা উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। [১০] এটি মুখে সেবন করতে হয়।[১০]
সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে স্ফীতি, ক্লান্তি অনুভব, পেটব্যথা ও বমনেচ্ছা।[১০] গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে নিম্ন রক্তচাপ অথবা হার্ট অ্যাটাক[১০] গর্ভধারণ ও স্তন্যদান অবস্থায় এই ওষুধের ব্যবহার নিরাপদ কি না তা স্পষ্ট না।[১][১০] বয়স্ক ও যকৃতের সমস্যায় ভুগছে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ওষুধের মাত্রা কমানো উচিত।[১০] অ্যামলোডিপিন ধমনির আকার আংশিক বৃদ্ধি করার মাধ্যমে কাজ করে। [১০] এটি ডাইহাইড্রোপিরিডিন গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত একটি দীর্ঘক্ষণ ক্রিয়াশীল ক্যালসিয়াম চ্যানেল অবরোধক[১০]
অ্যামলোডিপিনের প্যাটেন্ট করা হয়েছিল ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে এবং চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে।[১১] এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অপরিহার্য ওষুধের তালিকাভুক্ত একটি ওষুধ।[১২] এটি জেনেরিক ওষুধ হিসেবে পাওয়া যায়।[১০] ২০২০ সালে আমেরিকাতে ৬ কোটি ৯০ লাখেরও বেশি ব্যবস্থাপত্রে এই ওষুধ লেখা হয়েছিল এবং ব্যবস্থাপত্রে সর্বাধিক লিখিত ওষুধের মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিল।[১৩][১৪]
অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক প্রতিরোধ[১৫] ও করোনারি ধমনির রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। হৃদ্বৈকল্য ব্যতীত সুস্থিত হৃৎশূল বা অ্যানজাইনা (যেখানে প্রধানত শারীরিক বা আবেগীয় পীড়নের পরে বুকে ব্যথা হয়[১৬] অথবা প্রিন্জমেটাল অ্যানজাইনা বা রক্তবাহের সংকোচনজনিত হৃৎশূল (যেখানে এটি চক্রাকারে ঘটে) সমস্যায় এটি ব্যবহার করা যায়। উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদ্রোগে এটিকে এককথেরাপি বা অন্য ওষুদের সাথে সমন্বয় থেরাপি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যামলোডিপিন প্রাপ্তবয়স্ক ও ৬-১৭ বছর বয়সিদের প্রদান করা যেতে পারে।[৮] অন্যান্য শ্রেণির রক্তচাপ হ্রাসকারী ওষুধের তুলনায় অ্যামলোডিপিনসহ অন্যান্য ক্যালসিয়াম চ্যানেল অবরোধক স্ট্রোক প্রতিরোধে বেশি কার্যকর।[১৭] রেইনো’জ সিনড্রোম রোগের চিকিৎসায় অ্যামলোডিপিনসহ অন্যান্য ক্যালসিয়াম চ্যানেল অবরোধকসমূহ প্রথম পছন্দ হিসেবে বিবেচিত হয়।[১৮]
অ্যামলোডিপিন বা অন্য যে-কোনো ডাইহাইড্রোপিরিডিনের প্রতি অ্যালার্জি বা অতিপ্রতিক্রিয়া হলো একমাত্র পরম প্রতিনির্দেশনা।[৮] এছাড়া কিছু পরিস্থিতি রয়েছে যেখানে অ্যামলোডিপিনের ব্যবহার অনুচিত। কার্ডিয়োজেনিক শক বা হৃদ্ অভিঘাত রোগে হৃৎপিণ্ডের নিলয় যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত পাম্প বা সঞ্চালন করতে পারে না বিধায় এক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম চ্যানেল অবরোধকসমূহ ব্যবহার করলে অবস্থার আরও অবনতি হয়, কারণ এগুলো কার্ডিয়াক বা হৃদ্কোষের মধ্যে ক্যালসিয়াম আয়নের প্রবাহ প্রতিহত করে যা হৃৎপিণ্ডের পাম্প বা সঞ্চালন করার জন্য প্রয়োজন।[১৯] নিলয়ের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত না করায় অ্যাওর্টিক স্টিনোসিস (অ্যাওর্টা বা মহাধমনি ও বাম নিলয়ের সংযোগস্থল সরু হয়ে যাওয়া) রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার সাধারণত নিরাপদ, তবে গুরুতর স্টিনোসিস বা সংবৃতি হলে বিপদ ঘটতে পারে।[২০]
অস্থিত হৃৎশূল বা অ্যানজাইনাতে (প্রিন্জমেটাল অ্যনজাইনা বা বাহ-আক্ষেপক হৃৎশূল ব্যতীত)অ্যামলোডিপিন হৃদ্যন্ত্রের সংকোচনশীলতা ও হৃৎস্পন্দন হার বৃদ্ধি করে যা একত্রে হৃৎপিণ্ডের অক্সিজেন চাহিদা বৃদ্ধি করে, তাই এক্ষেত্রে এর ব্যবহার অনুচিত।[২১] গুরুতর নিম্ন রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে, এবং হৃদ্বৈকল্যের রোগীদের পালমোনারি ইডিমা বা ফুসফুসীয় শোথ হতে পারে। যকৃতের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত এমন রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যামলোডিপিনের বিপাক পুরোপুরিভাবে হয় না, ফলে এর অর্ধায়ু স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়।[৭][৮] গর্ভাবস্থায় অ্যামলোডিপিন নিরাপদ কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মায়ের বুকের দুধে অ্যামলোডিপিন প্রবেশ করে কি না সেটিও অজানা।[৭][৮] হৃদ্বৈকল্য অথবা সম্প্রতি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের সাবধানে অ্যামলোডিপিন সেবন করা উচিত।[২২]
অ্যামলোডিপিনের কিছু মাত্রা-নির্ভরশীল সাধারণ বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলো, রক্তবাহের প্রসারণজনিত প্রভাব, প্রান্তীয় শোথ, বুক ধড়ফড়ানি বা হৃৎকম্প, মাথা ঝিমঝিম, মুখমণ্ডলের আকস্মিক রক্তোচ্ছ্বাস বা রক্তিমা।[৮][২৩] ১০ মি.গ্রা. মাত্রায় প্রান্তীয় শোথ (টিসুতে তরল জমা হওয়া) হয় ১০.৮% হারে, পুরুষের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে এটি হওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি।[৮] কৈশিকা-পরবর্তী নালি ও উপশিরাগুলোর তুলনায় এটি ধমনিকা ও কৈশিকাপূর্ব নালিতে বেশি সম্প্রসারণ ঘটায়। অধিক সম্প্রসারণের ফলে বেশি রক্ত জমা হয় এবং অপেক্ষাকৃত সংকুচিত কৈশিকা-পরবর্তী উপশিরা ও নালির মধ্য দিয়ে চালিত করা সম্ভব হয় না; রক্তনালিতে চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ রক্তরস ইন্টারস্টিসিয়াল ফাঁকে চলে যায়[২৪] অন্যান্য মাত্রা-নির্ভরশীল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে বুক ধড়ফড়ানি ও রক্তিমা নারীদের ক্ষেত্রে বেশি হয়; মাথা ঝিমঝিম নারী ও পুরুষ উভয়ক্ষেত্রে সমানভাবে হতে পারে।[৮]
মাত্রা নির্ভরশীল নয় এমন সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসমূহ হলো ক্লান্তি (৪.৫% বনাম প্লাসিবোতে ২.৮%), বমনেচ্ছা (২.৯% বনাম ১.৯%), পেটব্যথা (১.৬% বনাম ০.৩%) ও তন্দ্রাচ্ছন্নতা (১.৪% বনাম ০.৬%)।[৮] ১%-এর কম হয় এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো হলো: রক্তের রোগ, পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ, বিষণ্ণতা, প্রান্তীয় স্নায়ুরোগ, অনিদ্রা, ট্যাকিকার্ডিয়া বা হৃদ্দ্রুতি, হেপাটাইটিস বা যকৃতের প্রদাহ, মাড়ি বৃদ্ধি ও জন্ডিস বা পাণ্ডুরোগ।[৮][২৫][২৬]
অ্যামলোডিপিন সেবনের পরে দাঁতের মাড়ির অতিবৃদ্ধি অপেক্ষাকৃত সাধারণ বিষয়[২৭] দাঁতের স্বাস্থ্য বিষয়ে উদাসীনতা ও দন্তমল জন্মানো এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।[২৭]
|pmc=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) //www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC8099365 |PMC=
এ শিরোনাম অনুপস্থিত (সাহায্য)।