আইসি ১১০১ একটি অতিবৃহৎ উপবৃত্তাকার ছায়াপথ যা এবেল ২০২৯ ছায়াপথগুচ্ছের কেন্দ্রে অবস্থিত। এটি পৃথিবী থেকে আনুমানিক ৩২০ মেগাপারসেক(১.০৪ বিলিয়ন আলোক বর্ষ ) দূরে।
এই ছায়াপথকে অতিবৃহৎ উপবৃত্তাকার ছায়াপথ হিসেবে শ্রেনিভুক্তকরন করা হয়েছে এবং এটি এ২০২৯-বিজিসি এর সবচেয়ে উজ্জ্বল ছায়াপথ। এটি পৃথিবী থেকে সমতল চাকতির মত দৃশ্যমান হওয়ার কারণে উপবৃত্তাকার ছায়াপথে স্থান দেওয়া হয়েছে। যাহোক, উপবৃত্তাকার ছায়াপথের পরিসর ১৫-৩৭ কিলোপারসেক(৫০-১২০ আলোক বর্ষ) হয়।
আইসি ১১০১ পর্যবেক্ষনীয় মহাবিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ছায়াপথ,[১] তবুও জ্যোতির্বিজ্ঞানে অনেক বিতর্ক রয়েছে যে, কীভাবে এমন একটি ছায়াপথের আয়তন নির্নয় করা যায়। ছায়াপথ থেকে আসা নীল রশ্মির ফটোগ্রাফিক প্লেট একটি সক্রিয় ব্যাসার্ধ উৎপন্ন করে যা ৬৫-১১২ কিলোপারসেক(১১২-৩৯ হাজার আলোক বর্ষ) । উক্ত ছায়াপথের অনেক বৃহৎ বর্ণবলয় রয়েছে যা কম প্রবলতা সম্পন্ন যার ব্যাসার্ধ বৃদ্ধি পেয়ে ৬০০ কিলোপারসেক(২ মিলিয়ন আলোক বর্ষ ) হয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, এই ছায়াপথের বর্ণবলয় সবচেয়ে উজ্জ্বল আর এটি পর্যবেক্ষনীয় মহাবিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ছায়াপথ।[২][৩]
অন্যান্য ছায়াপথের মতো আইসি ১১০১ এ অনেক নক্ষত্র রয়েছে যা সূর্যের চেয়েও ৭ বিলিয়ন বছর আগের, যার ফলে এদের চারিদিকে অনেকটা হলুদাভ রঙ দেখা যায়। এর কেন্দ্রে একটি উজ্জ্বল রেডিও উৎস অবস্থিত, যা খুব সম্ভবত একটি অতি বৃহৎ কৃষ্ণগহবর, যার ভর প্রায় ৪০-১০০ বিলিয়ন সৌরভরের সমান।[৪]
এই ছায়াপথ ১৭৯০ সালের ১৯ জুন ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রেডরিখ উইলিয়াম হারশেল আবিষ্কার করেন। এটি ১৯৮৫ সালে শ্রেনিভুক্তকরণ করা হয়। এডুইন হাবলের ১৯৩২ সালের আবিষ্কার অনুযায়ী এটাকে একটা স্বাধীন ছায়াপথ হিসেবে প্রকাশ করা হয়।