আচরণিক অর্থনীতি শাস্ত্র, আচরণিক অর্থনীতিবিদ্যা বা সংক্ষেপে আচরণিক অর্থনীতি বলতে একক ব্যক্তি বা সংগঠন-সংস্থা পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাথে সংশ্লিষ্ট মানসিক, সংজ্ঞানিক, আবেগিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উপাদান এবং এই সিদ্ধানগুলি কীভাবে ধ্রুপদী অর্থনীতি শাস্ত্রে নিহিত সিদ্ধান্তগুলি থেকে বিচ্যুত হয়ে থাকে, সেই বিষয়ে গবেষণা সম্পাদনকারী শাস্ত্রকে বোঝায়।[১][২]
আচরণিক অর্থনীতি শাস্ত্রে মূলত অর্থনৈতিক ঘটকদের যৌক্তিকতার সীমা অধ্যয়ন করা হয়। আচরণিক প্রতিমানগুলিতে সাধারণত মনোবিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান ও ব্যষ্টিক অর্থনীতি শাস্ত্রের তাত্ত্বিক অন্তর্দৃষ্টিগুলির সংশ্লেষণ করা হয়।[৩][৪] আচরণিক অর্থনীতি শাস্ত্রের গবেষণার মধ্যে বাজার সিদ্ধান্তগুলি কীভাবে গ্রহণ করা হয় এবং কোন ক্রিয়াকৌশলগুলি জনমতকে চালিত করে, সে বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
১৯৭০ ও ১৯৮০-র দশকে একটি স্বতন্ত্র গবেষণাক্ষেত্র হিসেবে আচরণিক অর্থনীতি শাস্ত্রের যাত্রা শুরু হলেও ১৮শ শতকের অর্থনীতিবিদ, যেমন অ্যাডাম স্মিথের গবেষণাকর্মেও এর আভাস পাওয়া যায়। ব্যক্তিবিশেষের আকাঙ্ক্ষা কীভাবে তার অর্থনৈতিক আচরণের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়ে স্মিথ চিন্তাভাবনা করেছিলেন।[৫]
অর্থনীতি শাস্ত্রের একটি উপক্ষেত্র হিসেবে আচরণিক অর্থশাস্ত্রের মর্যাদা একটি সাম্প্রতিক বিবর্তন। এর আগে ২০শ শতাব্দীর শেষ তিন দশক ধরে প্রকাশিত অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাকর্ম শাস্ত্রটির বুনিয়াদ গঠন করে।[৬][৭] আচরণিক অর্থনীতি শাস্ত্রটি এখনও উচ্চশিক্ষায়তনিক শাস্ত্র হিসেবে বর্ধনশীল এবং গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে এর ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।[৮]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; :82
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নিটেমপ্লেট:Microeconomics টেমপ্লেট:Instecon টেমপ্লেট:Schools of economic thought