আজরিস্তান اجرستان | |
---|---|
জেলা | |
আফগানিস্তানে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩৩°২৮′০১″ উত্তর ৬৭°১৪′২০″ পূর্ব / ৩৩.৪৬৬৯৬২° উত্তর ৬৭.২৩৮৮৪৬° পূর্ব | |
দেশ | আফগানিস্তান |
প্রদেশ | গজনি প্রদেশ |
আয়তন | |
• মোট | ২,৬৫৩ বর্গকিমি (১,০২৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ৬২,০২৮ |
আজরিস্তান (পশতু: اجرستان, ফার্সি: اجرستان),আফগানিস্তানের পশ্চিম গজনী প্রদেশ এর একটি জেলা।
২০০১ সালে এই জেলার জনসংখ্যা গণনা করা হয় ৬২,০২৮ জন, যাদের অধিকাংশই মোল্লা খালি উপজাতিভুক্ত ঘালিজি পশতুন।[১] সংগর এই জেলার প্রধান নগরী যা জেলার মূল কেন্দ্রে অবস্থিত।[১] জেলার অধিকাংশ লোক জিখাই নদীর উপাত্যকায় বাস কর এবং কৃষির উপর নির্ভর করে। কৃষি এখানকার অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। বিগত দশকের তীব্র শীত ও খরার কারণে এখানকার অর্থনীতি ও স্বাভাবিক জীবনের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
আজরিস্তানের মোট আয়তন২,৬৫৩ কিমি২ (১,০২৪ মা২) এবং কয়েকটি উপাত্যকা নিয়ে গঠিত। শাহ তুস আকা ঘরএবং কৈশাফিল পাহাড় আজরিস্তানকে ঘিরে আছে এবং পাহাড়গুলো প্রাকৃতিক বেষ্টনী হিসেবে কাজ করে। আজরিস্তানের সাথে উত্তর-পূর্বের মালিস্তান জেলা, পূর্বের ঘিজাউ জেলা এবং দায়া ছোপান জেলার সাথে কোন প্রাকৃতিক সীমানা নেই।
এই জেলার সবেচয়ে কাছের শহর হল গজনী যা জেলার পশ্চিমে অবস্থিত। আজরিস্তান কয়েকটি পর্বতের কূলে, যা শাহ তুস বাবা পর্যন্ত বিস্তৃত,অবস্থিত। এলাকাটি অনিয়মিতভাবে গঠিত, এর কিছু অংশ পশ্চিমে, কিছু অংশ পূর্ব দিকে বিস্তৃত, কিন্তু প্রধান অংশটুকু উত্তর-দক্ষিণের দিকে বিস্তৃত। পর্বতগুলো অনেক ছোট ছোট উপাত্যকাকে বেষ্টন করে আছে। জিখাই নদী উপাত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি এখানকার পানির প্রধান উৎস, বিশেষ করে কৃষি কাজের জন্য।
ঐতিহাসিকভাবে আজরিস্তানন উরুজগান প্রদেশ এর অংশ ছিল, তখন এটিকে দায়া বলা হত। ১৮০০ সালে হহাজারা রোরাল জেলাট দখল করে নেয়। মোল্লাখাইল খান কর্তৃক প্রণীত একটি চুক্তি যা একটি গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায় তাতে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। জেলাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হাজরা সম্প্রদায় অনুসারী পশতুন অধ্যুষিত।[১]
ঐতিহাসিকভাবে আজরিস্তানন উরুজগান প্রদেশ এর অংশ ছিল, তখন এটিকে দায়া বলা হত। ১৮০০ সালে হহাজারা রোরাল জেলাট দখল করে নেয়। মোল্লাখাইল খান কর্তৃক প্রণীত একটি চুক্তি যা একটি গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায় তাতে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। জেলাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হাজরা সম্প্রদায় অনুসারী পশতুন অধ্যুষিত।[১]
আজরিস্তানের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে কৃষি এবং অন্যান্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের উপর নির্ভরশীল। ২০০৯ সালের একটি গবেষণাপত্র দেখা যায় আজরিস্তানের লোকজন আলফ্লফা খায় য় তাতাদের শরীরের পাচক বব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর।[২][৩] এখানাকার স্বাস্থ্যসেবা খুবই অপ্রতুল।[১]