ধরন | বেসরকারি |
---|---|
আইএসআইএন | INE423A01024 |
শিল্প | সমষ্টিগত |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০ জুলাই ১৯৮৮ |
প্রতিষ্ঠাতা | গৌতম আদানি |
সদরদপ্তর | , |
বাণিজ্য অঞ্চল | বিশ্বব্যাপী |
প্রধান ব্যক্তি | |
পরিষেবাসমূহ | |
আয় | ₹১.১ লক্ষ কোটি ($১৫ বিলিয়ন)[১] (২০২০) |
মালিক | গৌতম আদানি (১০০%) |
কর্মীসংখ্যা | ১৭,০০০+ (২০২০)[১] |
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান |
|
ওয়েবসাইট | www |
আদানি গোষ্ঠী একটি ভারতীয় বহুজাতিক সংস্থা। সংস্থার সদর দফতর ভারতের গুজরাত রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে অবস্থিত। এটি ১৯৮৮ সালে গৌতম আদানি প্রধান সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (পূর্বে আদানি এক্সপোর্টস লিমিটেড) এর সাথে একটি পণ্য বাণিজ্যের ব্যবসায়ীক সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেন। গৌতম আদানি সংস্থাটির চেয়ারম্যান। এই গোষ্ঠীর বিবিধ ব্যবসাসমূহের মধ্যে শক্তি, সংস্থান, রসদ, কৃষি, আবাসন, আর্থিক পরিষেবা, প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ রয়েছে।[২] এই গোষ্ঠীর বার্ষিক আয় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[৩] সংস্থাটি ৫০ টি দেশের ৭০ টি স্থানে কার্যক্রম পরিচালনা করে।[৪][৫] এটি মুন্দ্রা বন্দর সহ দশটি বন্দর ও টার্মিনালের সাথে ভারতের বৃহত্তম বন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান।[৬] সিঙ্গাপুরে উইলমার ইন্টারন্যাশনালের সাথে একটি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে, গোষ্ঠীটি ভারতের বৃহত্তম ভোজ্য তেলের পণ্য ফরচুন অয়েল-এর সহ-মালিকানা অর্জন করে।[৭]
এটি তিরোদা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে ৬৬০ মেগাওয়াটের চতুর্থ ইউনিট যুক্ত করে, যা আদনি পাওয়ারকে ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ উত্পাদকে পরিণত করে। ২০১৫ সালের দ্য ব্র্যান্ড ট্রাস্ট রিপোর্ট ২০১৫ অনুযায়ী আদানিকে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অবকাঠামো ব্র্যান্ড হিসাবে স্থান দেওয়া হয়।[৮] গোষ্ঠীটি ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় খনি পরিচালনা করে এবং বাংলাদেশ, চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে কয়লা সরবরাহ করে। ২০১৮–১৯ সালে মোট ২০০ মেগাটন (এমটি) কার্গো পরিচালনা করে।[৯]
গোষ্ঠীর লজিস্টিকস ও এসইজেড বাহিনী আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড লিমিটেড ভারতের বৃহত্তম ড্রেজার বহরে পরিণত হওয়ার জন্য ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করে।[১০] গোষ্ঠীটি ভারতে প্রথম একটি উচ্চ ভোল্টেজের একমুখী বিদ্যুৎ (এইচভিডিসি) ব্যবস্থা তৈরি করে, যা ২০১২ সালের মে মাসে উদ্বোধন করা হয়।[১১][১২]
২০১৮ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য চুক্তি হয়, যা ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছিল।[১৩] পরবর্তীতে পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে বিদ্যুৎ না আসলেও ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে বাংলাদেশকে ৳১২১৯ কোটি দিতে হয়েছিল।[১৪]
আদানি এক্সপোর্টস লিমিটেড ১৯৮৮ সালে একটি কমোডিটি ট্রেডিং ফার্ম হিসেবে সূচনা করে এবং বহুমুখী পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনে। প্রতিষ্ঠাকালীন এটির মূলধন ছিল ৫ লক্ষ রুপি। এটি ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজের একটি অংশীদার সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। [১৫]১৯৯০ সালে আদানি গ্রুপ তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য একটি "ঘাঁটি" হিসেবে মুন্দ্রায় নিজস্ব বন্দর তৈরি করে। এটির নির্মানকাজ ১৯৯৫ সালে শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে, এটি ইন্ডিয়া ইনকর্পোরেটেডের গড় বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারীর তালিকায় শীর্ষে উঠে যায়। [১৬] কোম্পানিটি ১৯৯৯ সালে কয়লা ব্যবসা শুরু করে, তারপর ২০০০ সালে আদানি উইলমার গঠনের মাধ্যমে ভোজ্য তেল পরিশোধনের কাজ শুরু করে। [১৭]
আদানি গ্রুপের মুন্দ্রায় অবস্থিত বন্দরটি ২০০২ সালে ভারতের বৃহত্তম ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বন্দর হয়ে ওঠে। ২০০৬ সালে, কোম্পানিটি ভারতের ১১ তম শীর্ষ কয়লা আমদানিকারক হয়ে ওঠে। [১৬]
২০১৪ সালে আদানি গ্রুপে পরিচালিত আদানি পাওয়ার ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীতে পরিণত হয়। [১৮] তখন আদানি পাওয়ারের মোট উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়ায় ৯,২৮০ মেগাওয়াট। [১৯] ধামরা বন্দর ছিল টাটা স্টিল এবং এলএন্ডটি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি, যা আদানি পোর্টস দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। বন্দরটি ২০১১ সালের মে মাসে কাজ শুরু করে। [২০]
২০১৫ সালে, আদানি গ্রুপের ১০,০০০ মেগাওয়াট ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ভারতের বৃহত্তম সৌর পার্ক স্থাপনের জন্য রাজস্থান সরকারের সাথে একটি যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর করে। [২১] ২০১৫ সালের নভেম্বরে, আদানি গ্রুপ কেরালায় ভিজিনজাম বন্দর নির্মাণ শুরু করে। [২২]
২০১৬ এপ্রিল মাসে, আদানি এন্টারপ্রাইজ গুজরাট সরকারের কাছ থেকে একটি সৌরবিদ্যুৎ সরঞ্জাম প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ শুরু করার জন্য অনুমোদন পায়। ২০২০ সালে, আদানি গ্রুপ একটি ৬৪৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সৌরবিদ্যুত প্রকল্প চালু করে। এটি স্থাপনের সময় এটি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। [২৩] সে বছরের ডিসেম্বরে, আদানি গ্রুপ পাঞ্জাবের ভাটিণ্ডায় একটি ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন কর। এটি ছিল পাঞ্জাবের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র।