আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ | |
সংক্ষেপে | এএমপিএস (AMPS) |
---|---|
নীতিবাক্য | Ātmamokśārthaṃ jagaddhitāya ca (আত্মার মোক্ষপ্রাপ্তি ও জগতের কল্যাণ সাধন) |
গঠিত | ১ জানুয়ারি ১৯৫৫ |
প্রতিষ্ঠাতা | প্রভাতরঞ্জন সরকার |
ধরন | সামাজিক-আধ্যাত্মিক সংগঠন |
আইনি অবস্থা | ফাউন্ডেশন |
উদ্দেশ্য | শিক্ষামূলক, জনহিতকর, দার্শনিক অধ্যয়ন, আধ্যাত্মিকতা |
সদরদপ্তর | আনন্দনগর, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
অবস্থান |
|
এলাকাগত সেবা | বিশ্বব্যাপী |
দাপ্তরিক ভাষা | ইংরেজি, সংস্কৃত, বাংলা, হিন্দি |
Head | পুরাধা প্রমুখ |
প্রধান অঙ্গ | কেন্দ্রীয় পুরাধা বোর্ড |
ওয়েবসাইট | www anandamarga21 ampsnys |
আনন্দমার্গ বা আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ (আনন্দের পথের প্রচারের সংস্থা) হল একটি বিশ্বব্যাপী সামাজিক-আধ্যাত্মিক সংগঠন। এটি ১৯৫৫ সালের ভারতের বিহারের জামালপুরে প্রভাতরঞ্জন সরকার (শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি) কর্ত্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই সংঘটনটি বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি দেশে সক্রিয় আছে।[১][২] এর মূলমন্ত্র হল "আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ" অর্থাৎ আত্মার মোক্ষপ্রাপ্তি ও জগতের কল্যাণ সাধন করা।[২]
প্রভাতরঞ্জন সরকার দ্বারা ব্যাখ্যা করা তন্ত্র যোগ আনন্দমার্গের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। তাঁর শিক্ষা অনুসারে, তন্ত্র মানে মনের প্রসারণের মাধ্যমে অন্ধকার থেকে মুক্তি। ধ্যান হল এই তান্ত্রিক ঐতিহ্যের প্রধান আধ্যাত্মিক অনুশীলন, যা অনুশীলনকারীকে দুর্বলতা এবং অপূর্ণতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। আনন্দ মার্গে মুক্তির পথ ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কার, কৃত্রিম সামাজিক বাধা এবং আচার-অনুষ্ঠান থেকে মুক্ত। আনন্দ মার্গ আধ্যাত্মিকতা এবং মুক্তিকে জাতি, বর্ণ, ধর্ম, জাতীয়তা, লিঙ্গ, আর্থ-সামাজিক অবস্থা বা বিশ্বাস ব্যবস্থা নির্বিশেষে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্মগত অধিকার হিসাবে স্বীকৃত করে।
আনন্দ মার্গ অনুশীলনের ভিত্তি হল 'ষোড়শ বিধি' নামক নিয়মের একটি সেট দ্বারা আচ্ছাদিত। যা অনুশীলনকারীকে আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক উভয় দিকেই গাইড করে। এতে যোগাসন, মুদ্রা, বাঁধা, প্রাণায়াম, স্ব-ম্যাসেজ এবং দুটি নির্দিষ্ট নৃত্য (কৌষিকী এবং তান্ডব) রয়েছে । ল্যাক্টো- ভেজিটেরিয়ান ডায়েট এবং উপবাসও যোগিক অনুশীলনের একটি মৌলিক অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। আনন্দ মার্গের লক্ষ্য হল " আত্ম-উপলব্ধি এবং সকলের কল্যাণ"।
আনন্দমার্গের আদর্শ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – গুরু, গুরু সকাশ, নমস্কার, যোগসাধনা ও সাধনাক্রম, দীক্ষা, প্রভাত সঙ্গীত, পাঞ্চজন্য, কীর্ত্তন (বাবা নাম কেবলম্), চরম নির্দেশ, ধর্মচক্র, ধর্মমহাচক্র, ধর্ম-মহাসম্মেলন, সেমিনার, তত্ত্বসভা, স্বাধ্যায়, প্রতীক, পতাকা, মার্গীয় অনুশাসন, স্নান-বিধি, উপবাস বিধি, যম-নিয়ম,আসন, প্রাণায়াম, কৌষিকী নৃত্য, তান্ডব নৃত্য, ষোড়শ-বিধি, পঞ্চদশ শীল, সকল প্রকার জীবের সেবা ও ত্রাণকার্য, শিক্ষা, সাহিত্য, সমাজ আন্দোলন, নিজস্ব বিধিতে কুসংস্কারমুক্ত সমস্ত ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান পালন, পণবিহীন বৈপ্লবিক বিবাহ, এক মানবসমাজ, মানবধর্ম, কৃষি গবেষণা, ইত্যাদি।
প্রভাত রঞ্জন সরকার বা শ্রী শ্রী আনন্দমূর্তি ভারতের বিহারের জামালপুরে ১লা জানুয়ারি ১৯৫৫-এ আনন্দ মার্গ প্রতিষ্ঠা করেন।[৩][৪][৫] এর বিবৃত উদ্দেশ্য হল "আত্মমুক্তি এবং জগৎকল্যাণ"।[৬][৪]
সমগ্র বিশ্বে সর্বাত্মক সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাবার জন্য আনন্দমার্গের ৯টি প্রধান সেক্টর বা হেডকোয়ার্টার রয়েছে।এগুলো হলো – দিল্লি সেক্টর, হংকং সেক্টর, ম্যানিলা সেক্টর, নিউইয়র্ক সেক্টর, জর্জটাউন সেক্টর, সুবা সেক্টর, কায়রো সেক্টর, নাইরোবি সেক্টর এবং বার্লিন সেক্টর। বিশাল কর্মযজ্ঞকে সাফল্যমন্ডিত করে তোলার জন্য আনন্দমার্গের মোট ২৮টি বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগগুলোর আবার উপবিভাগও রয়েছে।
শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ও আনন্দমার্গের বর্ষানুক্রমিক ইতিহাস (অসম্পূর্ণ)–
ভারতীয় সংগঠন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |