আনোয়ারুদ্দিন চৌধুরী | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১৯৫৯ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | গৌহাটী বিশ্ববিদ্যালয় |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পক্ষী বিজ্ঞান, স্তন্যপায়ী বিজ্ঞান |
আনোয়ারুদ্দিন চৌধুরী একজন ভারতীয় প্রকৃতিবিদ এবং ভারত-এর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রাণী বিশেষজ্ঞ।[১] তিনি একজন পক্ষীবিদ, স্তন্যপায়ীবিদ, সেবা প্রধান, ফটোগ্রাফার এবং লেখক। তিনি ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বন্যপ্রাণী সমূহের অধ্যয়ন করার জন্য বিখ্যাত।[১][২][৩][৪][৫][৬] তিনি উত্তর পূর্ব ভারতের রাইন ফাউণ্ডেশনের সম্মানীয় মুখ্য কার্যবাহী প্রধান।[৪][৬] তিনি আসামের লখিমপুর জেলা এবং বাক্সা জেলার উপায়ুক্ত এবং আসাম সরকার-এর সচিব হিসাবেও কার্যনির্বাহ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি বরাক উপত্যকা সংমণ্ডলের ডিভিশনাল কমিশনার। তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পক্ষীকুলের ওপর গবেষণা করে প্রথমবারের জন্য আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং মেঘালয়-এর পক্ষীর বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তাঁকে আসামের পক্ষী মানব বলে অভিহিত করা হয়।[৭][৮][৯][১০][১১][১২] তাঁর গবেষণা এবং অধ্যয়নে উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রাণীসমূহের সংরক্ষণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। তিনি বর্তমান পর্যন্ত ২৬ টি গ্রন্থ রচনা করেছেন এবং তাঁর ৬৮৬ টা প্রবন্ধ এবং গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে।[৬]
১৯৫৯ সালে মেঘালয়ে আনোয়ারুদ্দিন চৌধুরীর জন্ম হয়েছিল। তিনি গুয়াহাটি-এর বি.বরুয়া মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে ভূগোল বিষয়ে সম্মানসহ শিল্পকলা শাখার স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেছিলেন। তারপর তিনি ১৯৮৫ সালে গৌহাটী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেছিলেন। তিনি গৌহাটী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে প্রাইমেট প্রাণীর ওপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেছিলেন।[৩][৪] ২০০৮ সালে তিনি স্তন্যপায়ী প্রাণীর ওপর গবেষণা করে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি ডিগ্রী লাভ করেছিলেন। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি ডিগ্রী লাভ তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি।
১৯৯৪ সালে তাঁর বিলকিস বেগম মজুমদারের সঙ্গে বিবাহ হয়। ১৯৯৭ সালে তাঁদের কন্যা ডনার জন্ম হয়। ২০০৫ সালে তাঁদের পুত্র ডিনের জন্ম হয়।
ছোট থেকে চৌধুরী বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণের প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলেন। ১৯৮৩ সালে তিনি আসাম সেবার প্রধান হিসাবে নিযুক্ত হয়। পরে তিনি ভারতীয় প্রশাসনিক সেবায় পদোন্নতি লাভ করেছিলেন। প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদবী যেমন কার্যবাহী দণ্ডাধীশ, গবেষণা প্রধান, মহকুমাধিপতি, গ্রামোন্নয়নের প্রকল্প নির্দেশক,ঝুম চাষ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সহ-ব্যবস্থাপক, পরিবেশ এবং বন ও পর্যটন বিভাগের যুটীয়া সচিব, চায়ের নির্দেশক, উপযুক্ত ও জেলা দণ্ডাধীশ এবং সচিব ইত্যাদির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।
আনোয়ারুদ্দিন চৌধুরী অনেক জাতীয় ও আন্তঃজাতিক পুরস্কার এবং সম্মান লাভ করেছে। তাঁকে আসামের পক্ষী মানব বলা হয়। তিনি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোনার পদক লাভ করেছিলেন। তাঁর অবদানের জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভৌগোলিক সমাজে পদক পেয়েছিলেন। তিনি ওরিয়েণ্টাল বার্ড ক্লাবের ফোর্কটেইল-লেইকা এওয়ার্ড ফর মিসেস হিউমস পিসেণ্ট ষ্টাডি লাভ করেছিলেন। তিনি নাগাল্যান্ডে করা সংরক্ষণমূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ যুক্তরাজ্য-এর ওবিসি-উয়াইল্ডউইংস কনজার্ভেসন পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনি ইআরডি ফাউণ্ডেসনের পরিবেশের ক্ষেত্রে কমিউনিটি লিডারশিপ পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তদুপরি তিনি বালিপারা ফাউণ্ডেসনের পূর্ব হিমালয় সংরক্ষণ পুরস্কার এবং টেলিগ্রাফ গ্রুপের ট্রু লেজেন্ড পুরস্কার লাভ করেছিলেন।