ডা আফগানিস্তান জারান্দোই তোলেনাহ | |||
---|---|---|---|
![]() আফগানিস্তান স্কাউট অ্যাসোসিয়েশন | |||
দেশ | আফগানিস্তান | ||
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৩১ | ||
সদস্য | ৩৪,০০০ (আনুমানিক) | ||
| |||
ওয়েবসাইট afghan-scouts.org | |||
আফগানিস্তানে আফগানিস্তান স্কাউট অ্যাসোসিয়েশন (পশতু: د افغانستان څارندوی ټولنه ডা আফগানিস্তান জারান্দোই তোলেনাহ, সাধারণত সংক্ষিপ্ত করে বলা হয় জারান্দোই), আনুষ্ঠানিকভাবে একটি রাজকীয় ফরমান জারি করে, ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮৮০ সালে রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েলের দ্বিতীয় পোস্টিং আফগানিস্তানে হয়েছিল। ১৯৩২ সাল থেকে আফগানিস্তান বিশ্ব স্কাউট সংস্থার সদস্য ছিল। ১৯৪৭ সালে আফগান সরকার স্কাউট অ্যাসোসিয়েশন ভেঙ্গে দেয়।[১] আফগান স্কাউটিংটি আবার ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত চলেছিল এবং স্কাউট আন্দোলনের বিশ্ব সংগঠনের কাছে স্বীকৃতি পেয়েছিল।[২]
মুহাম্মদ নাদির শাহের শাসনকালে, প্রায় ৩০০ সদস্য নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। তারা স্কাউটসকে অভিযুক্ত করে অগ্নি-উপাসক বলে, কারণ ক্যাম্পের সময় তারা বাজনা বাজিয়ে আগুনের চারিদিক ঘিরে গান গাইত।
স্কাউটিং পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৬ সালে। মুহাম্মদ জহির শাহের গণতান্ত্রিকীকরণের প্রচেষ্টায় এটি পুনর্গঠিত হয়। তিনি, তাঁর দুই কাকা, সরদার মুহাম্মদ হাশিম খান এবং সরদার শাহ মাহমুদ খানের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে ৩০ বছর থাকার পর, নিজের অধিকারে তখন সদ্য শাসক হয়েছেন।[৩]
ডা আফগানিস্তান জারান্দোই তোলেনাহ (ডিএজেডটি) প্রতিষ্ঠানটি, বিশ্ব স্কাউট সম্মেলনে আবার প্রবেশ করে ১লা জুন ১৯৬৪ সালে, তখন সদস্য ছিল ২০০০ থেকে ৭০০০-এর মধ্যে, ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই ছিল, সঙ্গে ছিল প্রাপ্তবয়স্ক নেতারা।
সেই সময় সংগঠনটি রাজা জাহির শাহের মতানুসারী ছিল। প্রশাসকেরা স্কাউট আন্দোলনের সাধারণ নীতিগুলোতে আরো দায়বদ্ধতা যোগ করলেন, সেগুলো ছিল রাজা, জাতি এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা। শাসন করার জন্য শৃঙ্খলা এবং বাধ্যবাধকতাকে শিক্ষাগত লক্ষ্য হিসাবে রাখা ছিল এবং এখানে, অন্যান্য জাতির সাথে তুলনা করলে, স্কাউটিং প্রায়ই খুব আঁটোসাটো এবং সামরিকভাবে পরিচালিত হতো। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্য সরকার এই সংগঠনটি ব্যবহার করত; তবে সংস্থাটি আফগানিস্তানে তরুণদের কাজের ক্ষেত্রে একটি বড় অবদান রেখেছিল; বিশেষত দায়িত্ব, আত্মনির্ভরতা, সম্প্রদায়ের অনুভূতি এবং সমান অধিকার, পাশাপাশি মেয়ে এবং মহিলাদের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে।
জার্মানি, আফগান স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের জন্য পোশাক সরবরাহ করেছিল। আফগান স্কাউট প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ডা. এবারহার্ড ক্রুগার এবং মিসেস রোসমেরি জুঙ্গারমান জার্মানি থেকে এসেছিলেন।
সংগঠনটি জাতীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা, শিক্ষামন্ত্রী ড. ওমর ওয়ারদক এবং উপশিক্ষামন্ত্রী ড. আলী আহমদ পোপালের অধীনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। স্কাউট গ্রুপ, নেতাদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি শিক্ষাঙ্গন, তাঁর অফিসে তৈরি হয়েছিল।
১৯৫৯ সাল থেকে শুরু করে নারী এই সংগঠনের কাঠামোর মধ্যে থেকে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে, উদযাপন এবং স্বাধীনতার অনুষ্ঠানগুলোতে, আফগান স্কাউটদের নারী ও পুরুষ উভয়ে, কাঠামো গঠন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংগঠনে অংশগ্রহণ করত। মেরমন পারভিন প্রতিষ্ঠানটিকে সমর্থন করেছিলেন, স্কাউটের গান গেয়েছিলেন এবং স্কাউট প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নে বেশ কয়েকবার উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬১ সালে স্কাউটগুলোর একটি দল গ্রীসের ম্যারাথনে ১১ তম বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরিতে অংশগ্রহণ করেছিল। এটি ১৯৬৩ সালে গ্রীসের রোডসে ১৯তম ওয়ার্ল্ড স্কাউট কনফারেন্সের সঙ্গে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আফগান স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের উপ-সভাপতি, ড. সৈদ হাবিব, সঙ্গীতশিল্পী স্কাউট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করেছিলেন।
৬ই জানুয়ারী ১৯৬৪ সালে, সংগঠনটি মালয়েশিয়ার ৪র্থ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্কাউট সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিল এবং ওয়ার্ল্ড স্কাউট কনফারেন্সে পুনরায় ভর্তির সদস্যপদের নথি পেয়েছিল।
১৯৬৪ থেকে ১৯৭৩ সালের মধ্যে, যুবক ও নারীদের কাজকর্মের পাশাপাশি সঙ্গীত, খেলাধুলা এবং স্কাউটিংয়ের ভূমিকা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছিল। সংগঠনটি, যা তখন দেশের বিভিন্ন অংশে স্থানীয় দল হিসাবে ছিল, আরও স্কাউট গ্রুপ তৈরি করেছিল সঙ্গীতের জন্য, শিবির সংগঠিত করেছিল এবং অন্যান্য অবসর এবং শিক্ষা ব্যবস্থা সংগঠিত করেছিল, যেখানে বাচ্চারা এবং তরুণেরা হস্তশিল্প, ছবি আঁকা এবং গান গাওয়া শিখত। অ্যাসোসিয়েশনের বেশিরভাগ ক্রিয়াকলাপ কাবুলেই সীমাবদ্ধ ছিল।
১৯৭৩ সালে সোভিয়েত অনুরাগী মুহাম্মদ দাউদ খানের অভ্যুত্থানের পর, স্কাউট সংগঠনটি আভ্যন্তরীণ মন্ত্রণা বিভাগের অংশ হয়ে ওঠে, পুলিশের কাজে অংশ নেয় এবং আফগান পুলিশের একটি অংশ হয়ে ওঠে। অশান্তি ও যুদ্ধের বছরগুলিতে, স্কাউটের কাজকর্ম কিছুটা নিম্নগামী হয়ে পড়ে, কারণ প্রায় ১০ লাখ মানুষ ওই সময় দেশ ছেড়ে চলে গিয়ে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অস্থিরতার শুরুতে, সুবিধাভোগী শ্রেণী দেশ ছেড়ে চলে যান, যাতে গ্রামাঞ্চলে এই সংস্থা আর বিদ্যমান না থাকতে পারে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৭৮ সালে, সাম্যবাদী সরকার, ১১,২১২ সভ্য সমন্বিত আফগানিস্তান স্কাউট অ্যাসোসিয়েশন কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। আভ্যন্তরীন অস্থিরতার জন্য আফগানিস্তানে স্কাউটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিলনা। তাই ১৯৮১ এর মধ্যে, ২৮তম বিশ্ব স্কাউট সম্মেলনে ডিএজেডটি কে আর স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। সোভিয়েত আক্রমণের আগে পর্যন্ত, কাবুলে আমেরিকান বয় স্কাউটস বিদ্যমান ছিল। তারা আমেরিকা বয় স্কাউটসের সরাসরি সেবা বিভাগে যুক্ত হয়ে বয় স্কাউট দলে কাজ করত। এদের শাখা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিল।
১৯৯০ এর দশকে বারবার, এবং আবার ২০০২তে, আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের ফলে, আফগানিস্তানে স্কাউটিংয়ের পুনরভ্যুদয়ের অনেক সুযোগ এসেছিল। ২০০২এর প্রথম দিকে, আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আফগানিস্তানে স্কাউটিং পুনরুজ্জীবনে সহায়তা করার জন্য নির্বাচিত দেশের দূতাবাসকে অনুরোধ করে, এবং ১৯৭৮ এর আগে সক্রিয় থাকা প্রাপ্তবয়স্কদের নেতৃত্বে নতুন দল তৈরী হতে শুরু করে। নতুন প্রতিষ্ঠানটি হল দা আফগানিস্তান সারান্দোয় তোলানাহ, আফগানিস্তান স্কাউট অ্যাসোসিয়েশন (এসএ)। এটি ২০০৩ সালে তৈরী হয়েছে এবং ডবলিউওএসএম এর স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এএসএ সংবিধানের কাজ দারি, পশতু ও ইংরেজি ভাষায় চলছে, এবং আশা করা হচ্ছে,২০০৮ সালের শেষের দিকে বা ২০০৯ এর প্রথম দিকে এটি অনুমোদনের জন্য সংসদে পাঠানো হবে।
স্কাউটিং, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্রীড়া ও স্কাউটিং শাখার অধীনে পড়ে এবং কাবুল স্টেডিয়ামের কাছে একটি শাখা-অফিসে জায়গা নিয়েছে। একটি শাখা পুনর্গঠন জুলাই ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হয় এবং তখন ছয়টি বিভাগে কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে ২৫ করে, সেগুলি হল: জাতীয় সচিবালয়, বাজেট, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, প্রশিক্ষণ এবং যুবা, অনুষ্ঠান এবং পরিকল্পনা এবং ব্যান্ড (যদিও এই শেষ অধ্যায়টি কে পরিচালনা করবে তা নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে)। জাতীয় অফিস, দেশব্যাপী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে, সব দলের মধ্যে প্রায় ৩৪,০০০ স্কাউটের খোঁজখবর রাখে। আমেরিকান স্কাউটের সাহায্যে একটি দল কাবুলের উত্তরে বাগরাম এয়ার বেসে কিছুদিন কাজ চালিয়েছিল কিন্তু তাদের এএসএ এর সঙ্গে কোন যোগাযোগ ছিলনা।
আফগানিস্তান স্কাউটিং, মনিলা সদর দফতরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (এপিআর) এর আওতায় পড়ে। এপিআর অফিস পরামর্শ দিয়ে, কিছু প্রশিক্ষণ তহবিল এবং প্রাপ্তবয়স্ক প্রশিক্ষক দিয়ে, এএসএকে সাহায্য করে। এমনকি, এটি আন্তর্জাতিক ঘটনাগুলিতে স্কাউট পাঠানোর জন্য, দক্ষিণ এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টাকে সমন্বয় করতে সাহায্য করেছে এবং ২০০৪ সালের জুনে, ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম, আফগান স্কাউটের একটি দল দেশ ছেড়ে বেরোয়। তারা পাকিস্তান ন্যাশনাল জাম্বোরিতে অংশগ্রহণের জন্য বেরিয়েছিল। ঐ বছরই, তিনজন মহিলা স্কাউট কোরিয়া গিয়েছিল। ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কা ও কোরিয়াতে, ২০০৬ সালে নেপালে, ২০০৭ সালে পাকিস্তান ও জাপানে আফগান স্কাউট গিয়েছিল, এবং এই বছর আশা করা যাচ্ছে ১২ জন পুরুষ এবং মহিলা স্কাউট বাংলাদেশ ভ্রমণ করবে। এছাড়াও, এএসএ আন্তর্জাতিক স্কাউট সংস্থা থেকে নিয়মিত সমর্থন পায়। সমস্ত বিভাগের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক স্কাউট নেতাদের সাধারণত বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে নেওয়া হয়, কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে, অন্য স্বেচ্ছাসেবকেরাও যোগ দিতে পারে। সমস্ত স্কাউট বিদ্যালয়ে কাজ করে, প্রেক্ষাগৃহে নজর রাখে, বিদ্যালয় দর্শকদের জন্য সাম্মানিক নজরদারির কাজ করে। কিছু দল বিদ্যালয়ের বাইরেও কাজ করা শুরু করেছে, যেমন বাজার অঞ্চলে জনস্বার্থে ঘোষণা করা, মসজিদ পরিষ্কার করা, অগ্নিনির্বাপনকারীদের সাহায্য করা, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান এবং আহত মানুষকে হাসপাতালে যেতে সাহায্য করা ইত্যাদি। আফগান স্কাউট শুধু সময় কাটানোর বদলে নাগরিক কর্তব্যের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার ওপর বেশি জোর দিয়েছে।
বর্তমানে আফগান স্কাউট এসোসিয়েশন ছেলে ও মেয়ে এবং পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আছে। এছাড়া ৮ বছর থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য আছে কাব, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য স্কাউট এবং ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের জন্য আছে রোভার্স। কাব, স্কাউট এবং রোভাররা সবাই স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের উর্দি পরে থাকে, কারণ সেখানেই তারা তাদের অধিকাংশ দায়িত্ব পালন করে। যদিও আফগানিস্তান একটি গাইড প্রতিষ্ঠান আছে, (সম্ভবত সহশিক্ষা, বা একটি আলাদা দল),যারা ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ গার্ল গাইডস অ্যান্ড গার্ল স্কাউটস এর সঙ্গে কাজ করে, কিন্তু তাদের সদস্যপদ স্বীকৃতি অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
বিভিন্ন দেশব্যাপী যোগাযোগে অসুবিধার কারণে অভিন্ন উর্দির মানসম্মতকরণ কঠিন। স্কাউটদের তাদের নিজস্ব ইউনিফর্ম তৈরি করে বা কিনে নিতে হয়, যদিও কাবুলে মন্ত্রণালয়ের বাজেটের কিছু অংশ উর্দি উৎপাদনের জন্য অনুমোদন করা আছে। যদি কেউ উর্দি না পেয়ে থাকে তাহলে তাকে দর্জির কাছ থেকে তৈরি করে নিতে হয়। জাতীয় ইউনিফর্মটি তামাটে রঙের। ছেলেরা শার্ট এবং প্যান্ট পরে, মেয়েরা দীর্ঘ শার্ট এবং ঢোলা পায়জামা পরে। মাথা ঢাকার জন্য, ছেলেরা ঘন নীল রঙের চ্যাপ্টা টুপি পরে। মেয়েরা সাধারণত একটি মাথাঢাকা রুমাল চাদর ব্যবহার করে। কখনো তারা এর সঙ্গে চ্যাপ্টা টুপিও নেয়। এদের গলাবন্ধনীটি নীল রঙের এবং হলুদ বর্ডার দেওয়া। পিতলের বগলস দেওয়া চামড়ার তৈরি একটি স্কাউট বেল্ট তারা পরে। এই পরিধেয়গুলির মোট খরচ প্রায় ১৮০০ আফগানি, বা ৩৬ মার্কিন ডলার; এটি একটি বিশাল পরিমাণ অর্থ, কারণ আফগানিস্তানে দৈনিক মজুরি $১০ হলেই বেশ ভাল পরিমান অর্থ বোঝায়। যদিও স্কাউটেরা ছোট খাট কিছু কাজ করে একেকবারে কিছু আফগানি রোজগার করে,কিন্তু কিছু এলাকায় উর্দির পেছনে খরচ করাটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এইসব জায়গায় স্কাউট দল কিছু বিকল্প পোশাক এবং উপযুক্ত প্যান্ট পরে বা আধা সামরিক ধরনের শার্ট এবং প্যান্ট বাজার থেকে কিনে নেয়।
যুদ্ধপরবর্তী আফগানিস্তানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, সুতরাং জাতীয় সদর দপ্তর ও স্কাউটদের মধ্যে খবর আদানপ্রদানে সময় লাগে। খুব কম কম্পিউটার আছে, সীমিত অন্তর্জাল ব্যবহারের সুযোগ, এবং মোবাইল টেলিফোন ব্যবহারের পরিধিও খুব কম। অঞ্চল পরিদর্শনের সময়েই স্কাউটদের গণনা করার সুযোগ পাওয়া যায়। কাবুলে গৃহীত নতুন কোন নীতি ছড়িয়ে দেওয়া কঠিন। পশতুতে স্কাউট নীতিবাক্য হল তৈয়ার ওসায়, অনুবাদ করলে বোঝায় প্রস্তুত হও।