ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আফতাব বালুচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | করাচি, সিন্ধু, পাকিস্তান | ১ এপ্রিল ১৯৫৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এমএস বালুচ (পিতা); করিমুল্লাহ বালুচ (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬৪) | ৮ নভেম্বর ১৯৬৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ এপ্রিল ১৯৭৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ অক্টোবর ২০২০ |
আফতাব বালুচ (উর্দু: آفتاب بلوچ; জন্ম: ১ এপ্রিল, ১৯৫৩) সিন্ধু প্রদেশের করাচি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে করাচি, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট ও সিন্ধু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।
১৯৬৯-৭০ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত আফতাব বালুচের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ও কার্যকর ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার ছিলেন তিনি। ৪০০ রান সংগ্রহকারীদের তালিকার সদস্য হিসেবেই মূলতঃ তিনি অধিক পরিচিতি লাভ করেন।
১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে সিন্ধু দলের সদস্যরূপে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এ কৃতিত্বের অধিকারী হন। প্রতিপক্ষীয় বালুচিস্তান দল মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে গেলে তার দল ৯৫১/৭ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে তিনি ৪২৮ রান তুলেছিলেন।[১] ঐ সময়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসের ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হয়েছিলেন। ৪০০ রানের মাইলফলকে তিনি সপ্তম খেলোয়াড় হিসেবে রয়েছেন। খেলায় তার দল ইনিংস ও ৫৭৫ রানের ব্যবধানে সিন্ধু দল বিজয়ী হয়। এরফলে, খেলাটি সর্বকালের একপেশে খেলার অন্যতম হিসেবে পরিণত হয়।[২]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন আফতাব বালুচ। ৮ নভেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে ঢাকায় সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫ তারিখে লাহোরে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ইংল্যান্ড গমনার্থে পাকিস্তান দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, তিনি কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি। তার এ রেকর্ড ইনিংসের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের দলের হোটেলের ৪২৮ নম্বর কক্ষ তাকে বরাদ্দ দেয়া হয়।[৩] এক বছর পর ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫ সালে আফতাব বালুচকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনা হয়।
নভেম্বর, ১৯৬৯ সালে মাত্র ১৬ বছর ২২১ দিন বয়সে অভিষেক ঘটে তার। এরফলে, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্বিতীয় কনিষ্ঠ অভিষেকধারী খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান।[৪] ঢাকায় সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে তিনি ২৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ভিক পোলার্ডের বলে বিদেয় নেন। জয়ের জন্যে ১৮৪ রানের লক্ষ্যমাত্রায় অর্জন করে তার দল ও তাকে ব্যাটিং করার প্রয়োজন পড়েনি।
লাহোরে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। প্রথম ইনিংসে ১২ রান সংগ্রহ করেন ও কিথ বয়েসের ৩ উইকেটের প্রথম শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। পরের ইনিংসে তার দলের সংগ্রহ ১৯৯ রানে এগিয়েছিল ও হাতে ৫ উইকেট ছিল। অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৩৫৮ রানে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখেন। তবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল নিজেদেরকে সামলে নিলে খেলাটি ড্রয়ের দিকে অগ্রসর হয়।
বালুচ ও গুজরাতি মিশ্র বংশোদ্ভূত পরিবারের আফতাব বালুচের জন্ম।[৫]
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন তিনি। কানাডায় অনুষ্ঠিত ২০০১ সালের আইসিসি ট্রফিতে নেপাল দলের কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।[৬]