আরন রেডমন্ড

আরন রেডমন্ড
২০০৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে আরন রেডমন্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
আরন যোসেফ রেডমন্ড
জন্ম (1979-09-23) ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ (বয়স ৪৫)
অকল্যান্ড, অকল্যান্ড রিজিওন, নিউজিল্যান্ড
ডাকনামরেডার্স
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ স্পিন
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্করডনি রেডমন্ড (পিতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৩৯)
১৫ মে ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩ ডিসেম্বর ২০১৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৫৭)
৩ অক্টোবর ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই১৪ অক্টোবর ২০১০ বনাম বাংলাদেশ
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ৪০)
১১ জুন ২০০৯ বনাম আয়ারল্যান্ড
শেষ টি২০আই২৩ মে ২০১০ বনাম শ্রীলঙ্কা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৫–বর্তমানওতাগো
২০০০–২০০৪ক্যান্টারবারি
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১১২
রানের সংখ্যা ৩২৫ ১৫২ ১২৬ ২,৩৩৯
ব্যাটিং গড় ২১.৬৬ ২৫.৩৩ ২১.০০ ২৩.৬২
১০০/৫০ ০/২ ০/১ ০/১ ৩/১০
সর্বোচ্চ রান ৮৩ ৫২ ৬৩ ১৩৪*
বল করেছে ১০৫ ১৭ ১,০৮৮
উইকেট ২৩
বোলিং গড় ২৬.৬৬ ১২.০০ ৪০.২৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ২/৪৭ ২/২৪ ৩/৪০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ৩/– ৩/– ৩৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

আরন জেমস রেডমন্ড (ইংরেজি: Aaron Redmond; জন্ম: ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯) অকল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ২০১০-এর সূচনালগ্ন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি ও ওতাগো এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগ স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘রেডার্স’ ডাকনামে পরিচিত আরন রেডমন্ড

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৯৯-২০০০ মৌসুম থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আরন রেডমন্ডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ২০০৮-০৯ মৌসুমে স্টেট টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার শিরোপা বিজয়ে ওতাগো দলের যথোচিত ভূমিকা রেখেছিলেন।

১৯৯৯ সালের শুরুতে মূলতঃ লেগ স্পিনার হিসেবে ক্যান্টারবারি দলে যোগদান করেন। তবে, ওতাগো দলে চলে যাবার পরপরই তাকে জোরপূর্বক শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামানো হয়েছিল।[] ২০০৬ সালে স্টেট চ্যাম্পিয়নশীপ, স্টেট শীল্ড ও স্টেট টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় ওতাগো দলের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যান্টারবারির সদস্যরূপে অভিষেক ঘটে তার। দলটির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও লিস্ট এ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্ট, ছয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিক ও সাতটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন আরন রেডমন্ড। ১৫ মে, ২০০৮ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখে ডুনেডিনে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

২০০৭-০৮ মৌসুমে কয়েকজন শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানের দূর্বলমানের খেলা প্রদর্শন ও ঐ মৌসুমের ঘরোয়া ক্রিকেটে ৪০ গড়ে রান সংগ্রহের সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ পান। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমনার্থে মনোনীত হন। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ১৪৬ রান সংগ্রহ করেন। এর পূর্বে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল ১৩৫।[] ১৫ মে, ২০০৮ তারিখে লর্ডসে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। তবে, জেমস অ্যান্ডারসনের বলে তাকে শূন্যে রানে সাজঘরে ফিরে আসতে হয়েছিল। সব মিলিয়ে তিন টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে আরন রেডমন্ডের জন্যে হতাশাব্যঞ্জক ছিল। মাত্র ৯.০০ গড়ে ৫৪ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া গমন

[সম্পাদনা]

ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে দুই টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজ থেকে আরন রেডমন্ডকে বাদ দেয়া হয়। এরপর, ২০০৮-০৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে তাকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়। এ সফরে তিনি ২৮.৭৫ গড়ে ১১৫ রান তুলেন।[] অ্যাডিলেড টেস্টে ৮৩ রান তুলে নিজেকে মেলে ধরতে সচেষ্ট হয়েছিলেন।

নিউজিল্যান্ডের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মার্টিন ক্রো’র অভিমত, টেস্ট ক্রিকেটে আরন রেডমন্ডকে দূরে সরিয়ে রাখা উচিত নয়। তবে, প্রথম বছরে তিনি বেশ হিমশিম খেয়েছেন। সাত খেলায় গড়ে মাত্র ২৩.০০ গড়ে রান পেয়েছিলেন।[] ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে নিজ দেশে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

খেলার ধরন

[সম্পাদনা]

খাঁটিমানের খেলা প্রদর্শন করলেও তা দর্শনীয় ছিল না। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৬৮টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে পাঁচটি শতক সহযোগে ৩১.০১ গড়ে রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন ও আশির অধিক উইকেট পেয়েছেন। লিস্ট এ ক্রিকেটে ষাটের অধিক খেলায় দুইটি শতরান করেন ও ২৩.৬৮ গড়ে রান পেয়েছেন।[] টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে ১৩ খেলায় অংশ নিয়ে ১৪.৫৫ গড়ে রান তুলেছেন। তন্মধ্যে, নিজের সাবেক দল ক্যান্টারবারির বিপক্ষে ওতাগোর সদস্যরূপে ১৩ জানুয়ারি, ২০০৬ তারিখে অভিষেক খেলায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেছিলেন ৫৯ রান।[]

দলে তিনি নিজের স্থান পাকাপোক্তকরণে সচেষ্ট ছিলেন। তুলনান্তে তার পিতা রডনি রেডমন্ড নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন ও ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে এক টেস্টের বিস্ময়কারী হিসেবে ১০৭ ও ৫৬ রান তুলেছিলেন। ১ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে ষোল বছরের খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তির কথা ঘোষণা করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ইএসপিএনক্রিকইনফোতে আরন রেডমন্ড (ইংরেজি) retrieved 10 May 2008
  2. Redmond ton boosts Test prospects BBC News retrieved 10 May 2008
  3. Cricinfo staff (৬ ডিসেম্বর ২০০৮), Franklin included in new-look Test squad, Cricinfo.com  Retrieved on 6 December 2008.
  4. Cricinfo staff (৬ ডিসেম্বর ২০০৮), 'Ripper' New Zealand on right track - Crowe, Cricinfo.com  Retrieved on 6 December 2008.

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]