আলতুনিজাদ মসজিদ | |
---|---|
Altunizade Camii İsmail Zühtü Paşa Camii | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | উস্কুদার |
প্রদেশ | ইস্তাম্বুল |
অবস্থান | |
অবস্থান | আলতুনিজাদ, উস্কুদার, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক |
স্থানাঙ্ক | ৪১°০১′১৩″ উত্তর ২৯°০২′৪৪″ পূর্ব / ৪১.০২০২৮° উত্তর ২৯.০৪৫৫৬° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামি স্থাপত্য উসমানীয় স্থাপত্য #সাম্রাজ্যের সময়কাল (১৮০৮-১৮৭৬) |
সম্পূর্ণ হয় | ১৮৬৫ |
বিনির্দেশ | |
মিনার | ১ |
উপাদানসমূহ | চুনাপাথর আশলার |
আলতুনিজাদ মসজিদ (তুর্কি: Altunizade Camii) ইসমাইল জুহতু পাশা মসজিদ (তুর্কি: İsmail Zühtü Paşa Camii) নামেও পরিচিত। এটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ১৯ শতকের উসমানীয় মসজিদ।
মসজিদটি ইস্তাম্বুলের উস্কুদার জেলার আলতুনিজাদ পাড়ায় অবস্থিত। এটি আলতুনিজাদ ইসমাইল জুহতু পাশা (১৮০৬-১৮৮৭) দ্বারা নির্মাণ করা হয়। তাকে মসজিদের আঙিনায় একটি সুরক্ষিত স্থানে সমাহিত করা হয়। মসজিদটি ১৮৬৫ সালে নির্মাণ করা হয়।[১] এটি সম্ভবত ইস্তাম্বুলের আনাতোলিয়া উপদ্বীপের উসমানীয় স্থাপত্য বিশিষ্ট মসজিদের শেষ উদাহরণ। প্রাথমিকভাবে, মসজিদটি একটি সামাজিক কমপ্লেক্সের অংশ ছিল (তুর্কি: külliye)। যেটি একটি শিশু বিদ্যালয়, একটি তুর্কি স্নান, নামাজের জন্য একটি সময় নির্ধারক অফিস, একটি ঝর্ণা, ইমামের বাসস্থান, খতীব এবং মুয়াযযিন অর্থাৎ প্রার্থনার আহ্বানকারীর জন্য থাকার জায়গা, একটি বেকারি এবং কিছু দোকান নিয়ে গঠিত। তবে মসজিদের সামাজিক কমপ্লেক্সে শুধুমাত্র কিছু দোকানই সংরক্ষিত আছে। মসজিদটি বর্তমানে খুব ভালো অবস্থায় আছে।[২]
মসজিদটি বারোক রিভাইভাল স্থাপত্যে নকশা করা হয়।[১] যা শুধুমাত্র বড় জানালা দেখেই বোঝা যায়। এই শৈলীতে নির্মিত মসজিদগুলো উসমানীয় সাম্রাজ্যের শেষ যুগের উদাহরণ। এই মসজিদটি একটি ছোট চত্বরের মধ্যে অবস্থিত, যার তিনটি প্রবেশপথ রয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রবেশপথটির উপরে একটি শিলালিপি দেখা যায়। আরেকটি শিলালিপি মক্কায় কাবার মুখোমুখি দেয়ালের বাইরের অংশে সংযুক্ত। মসজিদের উত্তর দিকটি একটি আচ্ছাদিত জায়গা হিসেবে নির্মাণ করা হয়। উত্তরের তিনটি দরজা (একটি বড় এবং দুটি ছোট) মুসল্লিদের অভয়ারণ্যের দিকে নিয়ে যায়। মসজিদের বন্ধ সময়ে নামাজের জন্য উত্তরের দেয়ালে একটি অলঙ্কৃত ছোট মিহরাব এবং একটি কুলুঙ্গি নির্মাণ করা হয়। নর্থেক্সের পাশে দুটি কাঠের সিঁড়ি মহিলাদের বিভাগ এবং মুয়াযযিন বিভাগে নিয়ে যায়। চতুর্মুখী পরিকল্পনায় মসজিদটি চুনাপাথর এবং আশলার দ্বারা নির্মাণ করা হয়। মসজিদের ভিতরে প্লাস্টার করা হয়। অভয়ারণ্যের দেয়ালগুলো হাতে খোদাই করা মূর্তি দিয়ে অলঙ্কৃত করা। মসজিদটিতে একটি গম্বুজ রয়েছে,[১] যা মসজিদের কোণায় চারটি স্তম্ভ দ্বারা বাহিত চারটি খিলানের উপর ভর করে আছে। গম্বুজের অভ্যন্তরীণ পৃষ্ঠতে দুটি নকশার আটটি টুকরা দ্বারা ১৬টি জোনে খাঁজ কাটা রয়েছে। মনোযোগ আকর্ষণের জন্য গম্বুজের কেন্দ্রটি নীল রঙের এবং এতে একটি কুরআনের আয়াত রাখা হয়। মার্বেল মিম্বরটি পানীয় গ্লাসের আকারে নকশা করা হয়, যেমনটি "হীরকা-ই শেরিফ মসজিদে" দেখা যায়। বারোক রিভাইভাল স্থাপত্য শৈলীর উদাহরণ হিসেবে জানালাগুলো অস্বাভাবিক বড় আকারে তৈরি করা হয়। মসজিদটিতে বারান্দার সাথে একটি মিনার রয়েছে।[১] এটি একটি চতুর্মুখী ভিত্তির উপর উঠে। ধ্রুপদী উসমানীয় মসজিদ স্থাপত্যগুলোতে সীসার চাদরে আচ্ছাদিত স্পায়ারে মিনার নির্মাণ করা হয়, কিন্তু এই মসজিদটিতে মিনারের চূড়াটি পাথর দিয়ে তৈরি করা। স্পায়ারটি গ্র্যান্ড উজিয়ারের পাগড়ির আকারে নকশা করা হয়। মিনারের মাঝখানে তারার একটি অলংকৃত রেখা দেখা যায়। নিচের সারিতে পাশের দেয়ালে তিনটি বড় জানালা রয়েছে এবং মিহরাবের দেয়ালের পাশে দুটি বড় জানালা রয়েছে। উপরের সারিতে প্রতি পাশে আবার তিনটি করে জানালা আছে, তবে বড় জানালাটি মাঝখানে রয়েছে এবং ছোট দুইটি দুইপাশে রয়েছে।[২]