আলফ্রেড এ্যাডলার Alfred Adler | |
---|---|
জন্ম | ৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৭০ |
মৃত্যু | ২৮ মে ১৯৪৭ |
জাতীয়তা | অস্ট্রেয়ান |
মাতৃশিক্ষায়তন | ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | Individual psychology Superiority complex Inferiority complex Style of life |
দাম্পত্য সঙ্গী | রাইসা এপস্টাইন |
সন্তান | Alexandra Adler, Kurt Alfred Adler, Valentine Adler, Cornelia Adler |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | সাইকোথেরাপিস্ট, মনোরোগ বিজ্ঞান |
আলফ্রেড অ্যাডলার (৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৭০ - ২৮ মে ১৯৪৭) একজন অস্ট্রিয়ান মেডিকেল ডাক্তার, সাইকোথেরাপিস্ট এবং মনোবিজ্ঞানের জন্য একটি আলাদা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। [১] গবেষণারে ক্ষেত্রে হীনমণ্যতার অনুভূতির গুরুত্বের উপরে তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।[২] তিনি হীনম্মন্যতা, একটি পৃথক উপাদান হিসাবে স্বীকৃত দেন, যা ব্যক্তিত্ব বিকাশে মূল ভূমিকা পালন করে।[৩]
আলফ্রেড এ্যাডলারের জন্ম মারিয়াহিল্ফার স্ট্রেই ২০৮-এ[৪] রুডলফশিম, ভিয়েনার পশ্চিম প্রান্তের একটি গ্রামে। এই শহরটি ছিলো ১৫তম জেলা; রুডলফসিম-ফেনফৌসের হচ্ছে ভিয়েনার একটি আধুনিক শহর। তিনি ছিলেন ইহুদি দম্পতির, পলিন (বিয়ার) এবং লিওপল্ড এ্যাডলারের সাত সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়।[৫][৬][৭] লিওপল্ড এ্যাডলার ছিলেন হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত একজন শস্য ব্যবসায়ী। আলফ্রেডের ছোট ভাই মারা যায় যখন আলফ্রেডের বয়স মাত্র তিন বছর ছিল।[৮] তিনি মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান এবং দর্শনের বিষয়গুলিতে খুব আগ্রহী ছিলেন।[৯] ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পরে, তিনি চক্ষু চিকিৎসক হিসাবে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন এবং পরে স্নায়ুবিজ্ঞান এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞের জন্য ছিলেন।[৯]
তিনি কলেজে পড়ার সময়, তিনি একদল সমাজতান্ত্রিক শিক্ষার্থীর সাথে যুক্ত হয়েছিলেন; যার মধ্যে তিনি তার স্ত্রীও ছিলেন। তারা ১৮৯৭ সালে বিবাহ করেছিলেন[১০] এবং তাদের চারটি সন্তান রয়েছে, তাদের মধ্যে দুটি সন্তান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হন। তাদের একটি সন্তান ছিলেন লেখক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং সমাজতান্ত্রিক কর্মী আলেকজান্দ্রা অ্যাডলার;[১১] মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কুর্ট অ্যাডলার;[১২] লেখক এবং কর্মী ভ্যালেন্টাইন অ্যাডলার;[১৩] এবং কর্নেলিয়া "নেলি" অ্যাডলার।[১৪]
এ্যাডলারের গবেষণা ছিলো মনোসমীক্ষাণ এবং সেটা ব্যক্তিকেন্দ্রীক। তিনি ব্যক্তিকে একটি স্বয়ংসম্পর্ণ চরিত্র বলে মনে করেন। একটি ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব পরিবেশ দ্বারা গঠিত। হীনমণ্যতা বা মনোবিকার বা মানসিক রোগের মূলেই আছে পরিবেশের সঙ্গে ব্যক্তির সংঘাত। একজন ব্যক্তি চাই পরিবেশকে জয় করতে।