ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আলফ্রেড শ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বার্টন জয়েস, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড | ২৯ আগস্ট ১৮৪২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৬ জানুয়ারি ১৯০৭ গেডলিং, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড | (বয়স ৬৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম / স্লো - মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৯) | ১৫ মার্চ ১৮৭৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ মার্চ ১৮৮২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৬৪–১৮৯৭ | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৯৪–১৮৯৫ | সাসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৬৫–১৮৮১ | এমসিসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১ এপ্রিল ২০১৭ |
আলফ্রেড শ (ইংরেজি: Alfred Shaw; জন্ম: ২৯ আগস্ট, ১৮৪২ - মৃত্যু: ১৬ জানুয়ারি, ১৯০৭) নটিংহ্যামশায়ারের বার্টন জয়েস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার ও রাগবি ফুটবলার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলার ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও দলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। ঘরোয়া কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আলফ্রেড শ। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বল করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন। এছাড়াও ইনিংসে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট দখলেরও কৃতিত্ব তারই।
১৮৬৪ থেকে ১৮৯৭ সাল পর্যন্ত তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন বিস্তৃত ছিল। অধিকাংশ খেলাই নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে অংশ নেন। ১৮৮৩ থেকে ১৮৮৬ পর্যন্ত একাধারে দলটিকে চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ে সহায়তা করেন। ১৮৭৩-৭৪ মৌসুমে ডব্লিউজি গ্রেসের সাথে সফরে যেতে অস্বীকার করেন। নিখুঁত বোলার হিসেবে তার বিরাট ভূমিকা ছিল। ১৮৮৯ সালে পাঁচ-বলের সমন্বয়ে গড়া ওভারের প্রবর্তন হয়। তার করা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ওভারই রানবিহীন ছিল। অফ-স্ট্যাম্প বরাবর বোলিং করতেন। ফলে, অফ-সাইডে আটজন ফিল্ডারকে দাঁড় করাতেন। ১৮৭০ থেকে ১৮৮০ সালের মধ্যে তিনি ইংল্যান্ডের সেরা বোলার ছিলেন।[১] অনেকগুলো বছর এমসিসি’র গ্রাউন্ডস্টাফ ছিলেন। ১৮৭৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর ইনিংসে ক্লাবের পক্ষে দশ উইকেটের সবগুলোই তার দখলে যায়। ১৮৭৫ সালে এমসিসি’র বিপক্ষে ৭/৭ লাভ করেন। ৪১.২ ওভারের ৩৬ ওভারই মেইডেন ছিল।
১৮৭৬ মৌসুমের শেষদিকে জেমস লিলিহোয়াইট জুনিয়রের দলে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান পাঁচ ফুট সাড়ে ছয় ইঞ্চি উচ্চতার অধিকার শ। টেস্ট খেলার প্রথম বলটি করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। চার্লস ব্যানারম্যানকে (১৬৫) করা তার ঐ বলটিতে কোন রান উঠেনি। অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি পাঁচ উইকেট পান।[২] ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে টম কেন্ডলের বলে জ্যাক ব্ল্যাকহামের হাতে স্ট্যাম্পড হন।[৩]
১৮৮১-৮২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে চার টেস্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ঐ সফরে তার দল দুই টেস্টে পরাজিত হয় ও দুই টেস্ট ড্র করে। জেমস লিলিহোয়াইট ও আর্থার শ্রিউসবারি’র সাথে তিনিও ঐ সফরের সহঃ উদ্যোক্তা ছিলেন। প্রথম আট টেস্টের ৭টিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু ১৮৮২ সালে তার বোলিংয়ের ছন্দ না থাকায় খেলেননি।
১৮৮৬-৮৭ মৌসুমে আলফ্রেড শয়ের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যায়। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক পার্সি ম্যাকডোনেলকে উদ্দেশ্য করে বিলি বার্নসের ছোঁড়া বল দেয়ালে আঘাত করলে বলটি হারিয়ে যায়। এরফলে এ সফরের বেশ কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে তিনি তাকে বিরত রাখেন। ঐ বলটি রেজিনাল্ড উড খুঁজে পান ও তার পরিবর্তে উডকে তিন খেলায় অংশগ্রহণ করান।
১৮৮৮ সালে অস্ট্রালেশিয়ায় রাগবি সফরেরও আয়োজন করেন তিনি।
প্রথমবারের মতো খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর আম্পায়ার হিসেবে পরিচিতি পান। কিন্তু, খেলায় অংশগ্রহণের দিকেই তার মন উন্মুখ ছিল। শেফিল্ডের পঞ্চম ব্যারন আর্থার স্ট্যানলি’র আমন্ত্রণে সাসেক্সের তরুণ ক্রিকেটারদেরকে প্রশিক্ষণ দেন। এছাড়াও, আর্ডিংলি কলেজে পার্ট-টাইম ক্রিকেট কোচের দায়িত্ব পান। ৫২ বছর বয়সে কাউন্টি ক্রিকেটে ফিরে আসেন।
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী উইলিয়াম অসক্রফট |
নটিংহ্যামশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট অধিনায়ক ১৮৮৩-১৮৮৬ |
উত্তরসূরী মোর্ডেকাই শেরউইন |
রেকর্ড | ||
পূর্বসূরী প্রথম ধারক |
টেস্ট ক্রিকেট জীবনে সর্বাধিক উইকেট ১ টেস্টে ৮ উইকেট (১০.৭৫ গড়ে) ১৯ মার্চ, ১৮৭৭ - ৩১ মার্চ, ১৮৭৭ |
উত্তরসূরী টম কেন্ডল |