আলী শরীয়তি | |
---|---|
علی شریعتی | |
জন্ম | আলী শরীয়তি মাযিনানি ২৩ নভেম্বর ১৯৩৩ কাহাক, রাজাভি খোরাশান, সাবজেভার, পেহলভী সম্রাজ্য |
মৃত্যু | ১৮ জুন ১৯৭৭ সাউথাম্পটন, যুক্তরাজ্য | (বয়স ৪৩)
সমাধি | সায়্যিদা যায়নব মসজিদ, দামেস্ক, সিরিয়া |
জাতীয়তা | ইরানি |
মাতৃশিক্ষায়তন | ফেরদৌসি মাশহাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | সমাজবিজ্ঞানি, ইতিহাদবেত্তা |
কর্মজীবন | ১৯৫২-১৯৭৫ |
নিয়োগকারী | ফেরদৌসি মাশহাদ বিশ্ববিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠান | হোসেইনিয়া এরশাদ |
রাজনৈতিক দল | ইরানি মুক্তি আন্দোলন (ফ্রিডম মুভমেন্ট অব ইরান)[১] |
দাম্পত্য সঙ্গী | পোরান শরীয়ত রাজাভি |
সন্তান | ৪ |
আলী শরীয়তি মাযিনানি (ফার্সি: علی شریعتی مزینانی, ২৩ নভেম্বর ১৯৩৩ – ১৮ জুন ১৯৭৭) ছিলেন একজন ইরানি বিপ্লবী[২] এবং একজন সমাজবিজ্ঞানী, যিনি ধর্মীয় সমাজবিজ্ঞানের উপর আগ্রহী ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর প্রভাবশালী ইরানি বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন।[৩] তাকে ইরানি বিপ্লবের কর্ণধার বলা হয়, যদিও ইরানি ইসলামিক রাষ্ট্রে তার সব চিন্তার বাস্তবায়ন সম্ভব হয় নি।[৪]
মাস্টার শহীদ নামে পরিচিত আলী শরীয়তি সাবেজেভারের উপকণ্ঠে কাহাক গ্রামে ২৩ নভেম্বর ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য দুইবার গ্রেফতার হন এবং তিনি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আন্দোলনের সদস্য হন। মাশহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফারসি সাহিত্যের কোর্স শেষ করার পর তিনি তার অধ্যয়নের জন্য ফ্রান্সে যান এবং সেখানে তিনি সমাজবিজ্ঞান, ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে পড়াশোনা করেন। সমাজবিজ্ঞান এবং ধর্মের ইতিহাসের উপর ডক্টরেট গ্রহণের পর তিনি ইরানে ফিরে আসেন।[৫]
তিনি আধুনিক পুঁজিবাদ এবং ভোক্তা কেন্দ্রিক বাজারের ব্যাপক সমালোচক ছিলেন। এবং তিনি আধুনিকতা এবং সভ্যতাকে আলাদা করে দেখেছেন। তার মতে বর্তমানে পশ্চিমা মূল্যবোধ এবং আধুনিকতাকে বেশি সভ্য বলে প্রচার করা হচ্ছে। আর যা পশ্চিমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় সেগুলো সভ্যতা নয় বলে প্রচার করা হচ্ছে।[৬]