আয়োজক | আসিয়ান ফুটবল ফেডারেশন |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ২০০৩ |
অঞ্চল | দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া |
দলের সংখ্যা | ১২ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | ট্যাম্পাইন্স রোভার্স (১ম শিরোপা) |
সবচেয়ে সফল দল | ইস্টবেঙ্গল ট্যাম্পাইন্স রোভার্স (১টি শিরোপা) |
২০২৩ আসিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ |
আসিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির শীর্ষ স্তরের পেশাদার ফুটবল লিগজয়ী ক্লাবগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এটি আসিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত।[১] এটি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন ও ফিফা কর্তৃক সাহায্যপ্রাপ্ত। প্রথম মরসুমে এটি এলজির স্পনসরশিপ পেয়েছিল।[২] ২০০৩ সালে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন-এর সাথে একটি সমঝোতার দ্বারা ভারতের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবকেও অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।[৩][৪][১] এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রথম ভারতীয় ক্লাব হিসেবে ইস্টবেঙ্গল এই প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন হয়।[৫]
আসিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতাটি ২০১৩ সালে শুরু হয়েছিল একটি দ্বিবার্ষিক টুর্নামেন্ট হিসেবে। ২০১৫ আসরটিও অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৬] কিন্তু পরে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন কর্তৃক প্রেরিত আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের সাথে সামঞ্জস্য না আসায় ও স্পনসরের অভাবে এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১২-তে পুনরায় তৈরীর চেষ্টা করা হয়েছিল।[৭]
২০২০ সালে এটির আয়োজনের জন্য আবার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়। কিন্তু ২০২১ পর্যন্ত কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।[৮] এরপর ২০২২ ও ২০২৩-এ আয়োজন করার পরেও আন্তর্জাতিক খেলার জন্য আর আয়োজন করা হয়ে ওঠেনি। ২০২৪ সালে পুনরায় উদ্যোগ নেবার কথা চিন্তা করা হয়েছে।
২০২২ টুর্নামেন্টটি প্রাথমিকভাবে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু মহামারীর কারণে স্থগিত করা হয়েছিল। ২০২১-এ পুনঃনির্ধারণ প্রতিযোগিতার কারণে টুর্নামেন্টটি পরে আবার ২০২২-এ স্থগিত করা হয়েছিল; ২০২২ এশিয়ান বিশ্বকাপ যোগ্যতা, ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব, এএফসি প্রতিযোগিতা এবং ২০২০ এএফএফ চ্যাম্পিয়নশিপ ইত্যাদি প্রতিযোগিতা এবং চলমান মহামারীর কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টটি বাতিল করা হয়। ২০২৩ আসরটি ২০২৬ এশিয়ান বিশ্বকাপ যোগ্যতার জন্য বাতিল করা হয়েছিল।[৯]
আসিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের বিন্যাসটি এএফসি কাপ-এর মতোই ছিল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিটি জাতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাদের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবকে ঘরোয়া লিগ বিজয়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে পাঠায়। অংশগ্রহণকারী দলগুলিকে কয়েকটি দলের গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছিল (প্রতিটি গ্রুপে অংশগ্রহণকারী দলের প্রকৃত সংখ্যার উপর নির্ভর করে), প্রতিটি দল রাউন্ড-রবিন বিন্যাসে গ্রুপের অন্যদের সাথে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের বিজয়ী এবং রানার্স আপ গ্রুপের সংখ্যার উপর নির্ভর করে কোয়ার্টার ফাইনাল বা সেমিফাইনালে উঠে। এই ফাইনালগুলো স্বাগতিক দেশে নকআউট প্রতিযোগিতা হিসেবে খেলা হয়েছিল।
প্রথমে সদস্য দেশগুলির শীর্ষ লিগের খেলার মান পর্যালোচনা করার পর তাদের র্যাঙ্ক নির্ধারণ করা হয় ও সেই অনুযায়ী দলের কোটা প্রদান করা হয়। কোটা দু'রকমের,যথাক্রমে, সরাসরি গ্রুপ পর্ব এবং প্লে-অফ কোটা। ২০২৩ সালের জন্য নিম্নলিখিত ভাবে দলীয় কোটা রাখা হয়েছিল:
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | গ্রুপ পর্ব | প্লে-অফ |
---|---|---|
ইন্দোনেশিয়া | ২ | — |
মালয়েশিয়া | ২ | — |
থাইল্যান্ড | ২ | — |
ভিয়েতনাম | ২ | — |
ফিলিপাইন | ১ | — |
সিঙ্গাপুর | ১ | — |
ব্রুনাই | — | ১ |
কম্বোডিয়া | — | ১ |
লাওস | — | ১ |
মিয়ানমার | — | ১ |
পূর্ব তিমুর | — | — |
মরসুম | বিজয়ী | ফলাফল | রানার্স-আপ | মাঠ | ||
---|---|---|---|---|---|---|
দেশ | দল | দেশ | দল | |||
২০০৩ | ভারত | ইস্টবেঙ্গল[১০] | ৩–১ | থাইল্যান্ড | বিইসি তেরো সাসানা | গেলোরা বাং কর্ণ স্টেডিয়াম, জাকার্তা |
২০০৫ | সিঙ্গাপুর | ট্যাম্পাইন্স রোভার্স | ৪–২ | মালয়েশিয়া | পাহাং এফএ | হাসান আল বলকিয়া ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, বন্দর সেরি বেগাওয়ান |
২০২২ | বাতিল | |||||
২০২৩ | ||||||
২০২৪–২৫ |
খেলোয়াড় | ক্লাব | বছর | গোল |
---|---|---|---|
বাইচুং ভুটিয়া | ইস্টবেঙ্গল | ২০০৩ | ৯ |
বার্নার্ড চুয়োটাং | পাহাং এফএ | ২০০৫ | ৭ |
নগুয়েন দিন ভিয়েত | হোয়াং আন গিয়া লাই | ২০০৫ | ৭ |
ফ্র্যাঙ্ক সিয়েটর | পেরাক এফএ | ২০০৩ | ৫ |