আহমেদ তৌফিক পাশা | |
---|---|
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম | |
কাজের মেয়াদ ২১ অক্টোবর ১৯২০ – ৪ নভেম্বর ১৯২২ | |
সার্বভৌম শাসক | পঞ্চম মুহাম্মদ |
পূর্বসূরী | দামাত ফরিদ পাশা |
উত্তরসূরী | দপ্তর বিলুপ্ত |
কাজের মেয়াদ ১১ নভেম্বর ১৯১৮ – ৩ মার্চ ১৯১৯ | |
সার্বভৌম শাসক | ষষ্ঠ মুহাম্মদ |
পূর্বসূরী | আহমেদ ইজ্জত পাশা |
উত্তরসূরী | দামাত ফরিদ পাশা |
কাজের মেয়াদ ১৩ এপ্রিল ১৯০৯ – ৫ মে ১৯০৯ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় আবদুল হামিদ |
পূর্বসূরী | হুসাইন হিলমি পাশা |
উত্তরসূরী | হুসাইন হিলমি পাশা |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৮৯৯ – ১৯০৯ | |
সার্বভৌম শাসক | দ্বিতীয় আবদুল হামিদ |
প্রধানমন্ত্রী | হালিল রিফাত পাশা মুহাম্মদ সাইদ পাশা মুহাম্মদ ফরিদ পাশা কামিল পাশা হুসাইন হিলমি পাশা |
পূর্বসূরী | সাইদ হালিম পাশা |
উত্তরসূরী | মুহাম্মদ রিফাত পাশা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কনস্টান্টিনোপল, উসমানীয় সাম্রাজ্য | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৫
মৃত্যু | ৮ অক্টোবর ১৯৩৬ ইস্তানবুল, তুরস্ক | (বয়স ৯১)
জাতীয়তা | তুর্কি |
রাজনৈতিক দল | কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রোগ্রেস |
আহমেদ তৌফিক পাশা (উসমানীয় তুর্কি: احمد توفیق پاشا; ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৫ – ৮ অক্টোবর ১৯৩৬) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের শেষ উজিরে আজম। ১৯৩৪ সালে পদবী আইন চালু হওয়ার পর তিনি ওকদাই পদবী গ্রহণ করেন এবং আহমেদ তৌফিক ওকদাই নামে পরিচিত হন।[১]
তিনি মোট তিনবার উজিরে আজম হয়েছিলেন। দ্বিতীয় আবদুল হামিদের সময় ১৯০৯ সালে প্রথমবার, ষষ্ঠ মুহাম্মদের সময় ১৯১৮ সাল থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয়বার এবং ১৯২০ সাল থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত তৃতীয়বার তিনি এই পদে ছিলেন। এছাড়াও তিনি একজন কূটনৈতিক, সিনেটের সদস্য এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
আহমেদ তৌফিক ১৮৪৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি কনস্টান্টিনোপলে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ফরিক ইসমাইল পাশা ছিলেন গিরাই রাজবংশোদ্ভূত ক্রিমিয়ান তাতার।[২] আহমেদ তোউফিক সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। জুনিয়র অফিসার হওয়ার পর তিনি সামরিক দায়িত্ব ত্যাগ করে বেসামরিক প্রশাসনে যোগ দেন। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। রোম, ভিয়েনা, সেন্ট পিটার্সবার্গ ও এথেন্সে তিনি রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি বার্লিনে ১৮৮৫ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত চার্জ দা'এফেয়ার্স ও রাষ্ট্রদূত ছিলেন।[২] ইস্তানবুল ফেরার পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। ১৮৯৯ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। ১৯০৮ সালে দ্বিতীয় সাংবিধানিক যুগ শুরু হওয়ার পর তিনি সিনেট সদস্য হন।
১৯০৯ সালের পাল্টা অভ্যুত্থানকারীরা তৎকালীন উজিরে আজম হুসাইন হিলমি পাশার পদত্যাগ দাবি করে। এরপর আহমেদ তৌফিক পাশা উজিরে আজম হন।[৩] পরে পাল্টাঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় আবদুল হামিদ ক্ষমতাচ্যুত হন এবং আহমেদ তৌফিক পাশা পদত্যাগ করেন। এরপর হুসাইন হিলমি পাশা পুনরায় উজিরে আজম হন।
আহমেদ ইজ্জত পাশা উজিরে আজমের পদ ত্যাগ করার পর ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর আহমেদ তৌফিক পাশা উজিরে আজম নিযুক্ত হন। তার মেয়াদ শুরুর দুইদিন পরে মিত্রবাহিনী কনস্টান্টিনোপল দখল করে। ১৯১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর মিত্রপক্ষ সুলতান ষষ্ঠ মুহাম্মদকে সংসদ বাতিলের জন্য চাপ দেয়। আহমেদ তৌফিক পাশার সরকারও এরপর বিলুপ্ত হয়। ১৯১৯ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি পুনরায় সরকার গঠন করেন। কিন্তু মিত্রপক্ষ পুনরায় তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে। ১৯১৯ সালের ৩ মার্চ তিনি পদত্যাগ করেন।[৪]
দ্বিতীয় মেয়াদে উজিরে আজম হওয়ার পর তৌফিক পাশা সিনেটের প্রধান হন। তিনি প্যারিস শান্তি সম্মেলনে উসমানীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান ছিলেন। প্রতিনিধিরা উত্থাপিত কঠিন শর্ত প্রত্যাখ্যান করে। তবে দামাত ফরিদ পাশার প্রেরিত প্রতিনিধিরা শর্ত মেনে নেয় এবং সেভ্রেস চুক্তি স্বাক্ষর হয়।[৫]
১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর তিনি পুনরায় উজিরে আজম নিযুক্ত হন। অন্যদিকে তুর্কি জাতীয় আন্দোলন আঙ্কারায় আরেকটি সরকার স্থাপন করে নিজেদেরকে বৈধ সরকার ঘোষণা করে। ১৯২১ সালে লন্ডন সম্মেলনের সময় তৌফিক পাশা আঙ্কারার সরকারকে ইস্তানবুলের সরকারে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে মোস্তফা কামাল তা প্রত্যাখ্যান করে বাকির সামিহ কুন্দুহর নেতৃত্বে সম্মেলনে নিজস্ব প্রতিনিধিদল প্রেরণ করেন। ইস্তানবুলের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে তৌফিক পাশা ছিলেন।
১৯২২ সালের ১ নভেম্বর উসমানীয় সাম্রাজ্য বিলুপ্ত করা হয়। তৌফিক পাশা ৪ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।
১৯৩৪ সালে পদবী আইন চালুর পর তিনি ওকদাই পদবী গ্রহণ করেন। ১৯৩৬ সালের ৮ অক্টোবর তিনি ইস্তানবুলে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে এদির্নেকাপি শহীদ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তার নাতি শফিক মেতু ওকদাই তার জীবনী লিখেছেন। এটি ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এর নাম ছিল বুয়ুকবাবাম সুন সদরআজম আহমেদ তৌফিক পাশা (অর্থাৎ আমার দাদা শেষ উজিরে আজম আহমেদ তৌফিক পাশা)।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সাইদ হালিম পাশা |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৮৯৯–১৯০৯ |
উত্তরসূরী মুহাম্মদ রিফাত পাশা |
পূর্বসূরী হুসাইন হিলমি পাশা |
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম ১৯০৯ |
উত্তরসূরী হুসাইন হিলমি পাশা |
পূর্বসূরী আহমেদ ইজ্জত পাশা |
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম ১৯১৮–১৯১৯ |
উত্তরসূরী দামাত ফরিদ পাশা |
পূর্বসূরী দামাত ফরিদ পাশা |
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম ১৯২০–১৯২২ |
দপ্তর বিলুপ্ত |