ইন তাম | |
---|---|
কম্বোডিয়ার ২৭তম প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৬ মে, ১৯৭৩ – ৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৩ | |
রাষ্ট্রপতি | লন নোল |
পূর্বসূরী | হ্যাং থুন হাক |
উত্তরসূরী | লং বোরেট |
পার্লামেন্টের রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৮ মার্চ, ১৯৭০ – ১১ মার্চ, ১৯৭১ | |
প্রধানমন্ত্রী | লন নোল |
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬৪ – ১৯৬৬ | |
প্রধানমন্ত্রী | নরোডম ক্যান্টল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কাম্পোং চাম, ক্যাম্বোডিয়ার | ২২ সেপ্টেম্বর ১৯২২
মৃত্যু | ১ এপ্রিল ২০০৬ চ্যান্ডলার, অ্যারিজোনা, যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৮৩)
রাজনৈতিক দল | ডেমোক্রেটিক পার্টি |
ইন তাম (খ্মের: អ៊ិន តាំ; ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ – ১ এপ্রিল, ২০০৬) ছিলেন কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ৬ মে, ১৯৭৩ থেকে ৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বপালন করেন। রাজনীতিতে তিনি দীর্ঘজীবন অতিবাহিত করেন।
পূর্ব কম্বোডিয়ার কাম্পোং চাম প্রদেশের স্টাং ট্রেং জেলার প্রেক কাক গ্রামে ইন তাম জন্মগ্রহণ করেন। শিশু হিসেবে তিনি ট্রেং প্যাগোডায় পালি ভাষায় শিক্ষালাভ করেন। এরপর তিনি লিয়েসে সিসওয়াথ এ পড়তে যান। প্রাদেশিক সামরিক বাহিনির ইনসপেক্টর হিসেবে দায়িত্বপালন করার পর ধীরে ধীরে তিনি ব্রেভেটে জেনারেল পদে পৌছান এবং তাকেও প্রদেশের গভর্নর পদে উন্নীত হন।
১৯৬০-এর দিকে তাম রাজপুত্র নরোডম সিহানৌকের স্যাংকাম সরকারের বিভিন্ন পদে দায়িত্বপালন করেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্বপালন।
তার আপন ভাতিজা প্রিপ ইনকেও গ্রেপ্তার করেন, যিনি সিহানৌক-বিরোধী ছিলেন। তার ভাতিজা খোমের সেরেই নামের একটি ডানপন্থী গেরিলা সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন, এমন অভিযোগে পরবর্তীতে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। সিহানৌকের প্রতি প্রাথমিকভাবে অনুগত হলেও ইন তাম ১৯৭০-এর ক্যাম্বোডিয় ক্যু এর মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সিহানৌককে অপসারণের অন্যতম প্রধান সংগঠক ছিলেন। ১৯৭০ সালের অক্টোবর মাসে তাম প্রজাতন্ত্রী খোমের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেন।[১]
১৯৭২ সালে তাম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লন নোল ও কেও অ্যানের বিরুদ্ধে যান। ইউনাইটেড স্টেটস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল তামকে তৎকালীন ক্যাম্বোডিয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যার সুনীতি ও আধুনিক জীবনধারা সম্পর্কে গভীর ধারণা রয়েছে।[২] তিনি ২৪% ভোটলাভ করে লোন নলের পিছনে গিয়ে দ্বিতীয় স্থানলাভ করেন। ধারণা করা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠভাবে হলে তিনিই বিজয়ী হতেন। এবং নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও তিনি রাজধানী ফেনোম পেনে জয়লাভ করেন।[৩] রাজপুত্র সিসোওয়াথ সিরিক মাতাকের রিপাবলিকান পার্টির সাথে তামের ডেমোক্রেটিক পার্টি ঐ বছরে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান, কারণ প্রতিষ্ঠিত অবস্থা লন নোল ও তার ভাই লন নোনের আর্থ-সমাজতান্ত্রিক দলকেই সুবিধা করে দেয়।
একই বছর, ইন তাম লন নোল সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাতমাস দায়িত্বপালন করেন। পরবর্তীতে সরকারিপক্ষের বিপরীতের একটি কর্মসূচীতে সমাজতন্ত্রীদের যোগ দেয়ানোর জন্য নিযুক্ত হন; রাজনীতি থেকে অব্যাহতি পেয়ে পরিবার ও ব্যাটামব্যাংয়ের সমর্থকদের সাথে থাকার জন্য। লং বোরেটের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও তিনি সফল হন।
এপ্রিল, ১৯৭৫ সালে খোমের রাউজ ক্যাম্বোডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার সময় ইন তাম পয়পেটে অবস্থিত তার ফার্মে ছিলেন। তিনি মৃত্যুদণ্ডেই দণ্ডিত হতেন, কিন্তু থাইল্যান্ডে চলে গিয়ে তিনি রাউজের বিরুদ্ধে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিপ্লবের চেষ্টা করেন। এই প্রচেষ্টা খুব বেশিদিন টেকেনি, বরং, কর্তৃপক্ষ তাকে বিতাড়িত করে দেন। তিনি ফ্রান্সে যান এবং ১৯৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে মানসিক চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা নেন।
খোমার রাউজের পরাস্ত করার পর, ইন তাম ভিয়েতনামভিত্তিক সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে নরোডম সিহানৌক এবং তার ফানসিনপেক সংস্থাকে সমর্থন করে। তিনি ফানসিনপেকের সামরিক বাহিনী, মৌলিনাকার সর্বাধিনায়ক ছিলেন। মৌলিনাকা পরবর্তীতে "আর্মি ন্যাশনালে সিহানৌকিস্তে" নামে পরিচিতি লাভ করে, যতদিন না তিনি রাজপুত্র নরোডম রানারিদ্ধ কর্তৃক ১৯৮৫ সালে প্রতিস্থাপিত হয়। তিনি ছিলেন গণতান্ত্রিক কাম্পুচিয়ার জোট সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ৩জনের একজন ছিলেন।[৪] তিনিই পুনর্গঠন করেন ডেমোক্রেটিক পার্টি, ক্যাম্বোডিয়া, যা ১৯৯৩ সালের নির্বাচনে পার্লামেন্টে আসন পেতে ব্যর্থ হয়। ১৯৯৭ সালে তিনি কম্বোডিয়া পিপলস পার্টির সাথে জোট করেন।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী হ্যাং থুন হাক |
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী মে ৬, ১৯৭৩–ডিসেম্বর ৯, ১৯৭৩ |
উত্তরসূরী লং বোরেট |