কামালুদ্দিন আবুল কাসিম উমর ইবনে আহমাদ ইবনে হিবাতুল্লাহ ইবুন আদিম (১১৯২-১২৬২; আরবি: كمال الدين عمر بن أحمد ابن العديم) আলেপ্পোর একজন আরব[১] জীবনীকার এবং ইতিহাসবিদ ছিলেন।[২] তিনি তার কাজ বুগয়াতুত তালব ফি তারিখ হালাব (بغية الطلب في تاريخ حلب; আলেপ্পোর ইতিহাস সম্পর্কে কাঙ্খিত সবকিছু) এর জন্য বেশি পরিচিত। আলেপ্পোর বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনীগুলির একটি বহু-খণ্ডের সংকলন। এছাড়া এটিতে এই অঞ্চলের ভূগোল এবং ঐতিহ্যের একটি খণ্ড রয়েছে। এটি তোপকাপি প্রাসাদে সুলতান তৃতীয় আহমেদের গ্রন্থাগারে পাণ্ডুলিপিতে আংশিকভাবে সংরক্ষিত আছে। তিনি এই কাজটির ধারাবিবরণী হিসেবে যুবদাতুল হালাব ফি তারিখি হালাব (زبدة الحلب في تأريخ حلب; আক্ষরিক অর্থে, আলেপ্পোর ইতিহাসের দুধের ননী, ভাবানুবাদ: আলেপ্পোর ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য অংশ) নামে একটি সংস্করণ প্রকাশ করেছেন। এটির একটি অনুলিপি জিন-ব্যাপটিস্ট কোলবার্ট এবং তারপর বিবলিওথেক ন্যাশনাল ডি ফ্রান্সের লাইব্রেরিতে পৌঁছেছিল।[৩] ১৮১৯ সালে জর্জ ফ্রেট্যাগ দ্বারা এটির নির্বাচিত অংশের লাতিন অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। তার ঐতিহাসিক সূত্র বিভিন্ন, কিছু মৌখিক এবং কিছু লিখিত। এগুলোর মধ্যে বিখ্যাত দুটি হল উসামা ইবনে মুনকিদ এবং ইবনে কালানসি।[৪] আরেকটি কাজ "কিতাবুল ওয়াসিলাত ইলাল হাবিব ফি ওয়াসফিত তাইয়্যিবাত ওয়াত তিব্ব" হচ্ছে সুগন্ধি তৈরির জন্য একটি নির্দেশিকা।[৫] তার কাজগুলো সিরীয় হাশাশিনদের সম্পর্কে জ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা প্রথম বিশ্লেষণ করেছেন সিলভেস্টার ডি স্যাসি।[৪]
অনেক আইয়ুবীয় শাসক ইবনুল আদিমকে কূটনৈতিক দূত হিসেবে দায়িত্ব দেন। ১২৬০ সালে তার শেষ মিশনে তাকে মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে সামরিক সহায়তার জন্য মিশরে পাঠানো হয়েছিল।[৬]