ইয়াকুজা

ইয়াকুজা
কাতাকানা ভাষা "ইয়াকুজা" লেখা হয়েছে।
সাধারণ তথ্য
সূচনা১৭শ খ্রিস্টাব্দতে
বর্তমান সদস্য১০২,৪০০ সদস্য[]
প্রধান গোষ্ঠী
  1. Yamaguchi-gumi
  2. Sumiyoshi-kai
  3. Inagawa-kai
  4. Aizukotetsu-kai
  5. Toa-kai
ক্রিয়াকলাপঅপহরণ, এক্সটোরশেন, জুয়া খেলা, casinos, খুন, পতিতাবৃত্তি, চোরাচালানি

ইয়াকুজা (জাপানি ভাষায়: হিরাগানা やくざ, কাতাকানা ヤクザ), (গোকুদো (極道) অর্থ চরম পথ, নামেও পরিচিত), হল জাপানের আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধ সিন্ডিকেটের সদসদের একটি সংগঠন। জাপানী পুলিশ এবং মিডিয়া, পুলিশের অনুরোধে তাদেরকে বোরিওকুডাং (暴力団, "উগ্রবাদী দল") বলে ডাকে। ইয়াকুজারা নিজেদেরকে ডাকে নিনকিইও দান্তাই (任侠団体 অথবা 仁侠団体), "সাহসী সংগঠন" বলে ডাকে। ইয়াকুজা শব্দটির বাংলা সমার্থক শব্দ হলো গুন্ডা, অর্থাৎ এমন এক ব্যক্তি যিনি মাফিয়াদের মত অপরাধী সংগঠনের সাথে জড়িত।[] ইয়াকুজারা তাঁদের কঠোর আচরণবিধি, জায়গীর ধরনের সুসংগঠিত সাংগঠনিক কাঠামো এবং ইউবিটসুমে বা বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল কেটে ফেলার মত অপ্রচলিত আচার অনুষ্ঠানের জন্য পরিচিত।[] এই দলটির সদস্যদের সংবাদমাধ্যমে অধিকাংশ সময় ফুন্ডুশি (জাপানী অন্তর্বাস), কিমোনো (জাপানী পোশাক) অথবা সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা ধাঁচের স্যুট পরিহিত অবস্থায়, ঘন উল্কি করা শরীরে উপস্থাপন করা হয়।[] এই দলটিকে এখনও "সবচেয়ে পরিশীলিত এবং ধনী অপরাধী সংগঠন" হিসাবে বিবেচনা করা হয়।[]

সবচেয়ে ভাল সময়ে ইয়াকুজারা জাপানী গণমাধ্যমে একটা বড় অবস্থান ধারণ করে রেখেছিল এবং তাঁরা আন্তর্জাতিকভাবেও কাজ করত। ১৯৬০ সালে তাদের সবচেয়ে ভাল সময়ে পুলিশের তথ্যমতে আনুমানিক ২,০০,০০০ সদস্য ইয়াকুজার সাথে জড়িত ছিল বলে ধারণা করা হয়।[] তবে জাপানের বাজারে সুযোগ কমে যাওয়ায় এবং বেশ কিছু সামাজিক ও আইনি পরিবর্তনের কারণে ইয়াকুজাতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ কমে গেছে ফলে এই সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে।[] ইয়াকুজারা এখনও নিয়মিত অপরাধমূলক কার্যক্রমে লিপ্ত হয় এবং অনেক জাপানী নাগরিক এই সকল ব্যক্তিদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবার ভয়ে থাকেন।[] বর্তমানে জাপানে ইয়াকুজার সদস্যপদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন ধরনের কঠোর আইনের অস্তিত্ব নেই তবে জাপান সরকার এমন অনেক আইন পাশ করেছে যেসব আইন অপরাধমূলক কার্যকলাপে বাঁধা দেয় এবং দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করে।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

যদিও ইয়াকুজার উদ্ভবের বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিষ্কার নয়, তবুও একে ১৭শ খ্রিষ্টাব্দতে এডো সময়কালে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাপান, এই সময় একটানা যুদ্ধের পরে, তোকুগাওয়া শোগুনাতে আমলে একটি রাজনৈতিক এবং সামাজিক নিশ্চিত অবস্থায় পৌছায়। এই সত্ত্বেও, অনেক সামুরাই, যারা এই পর্যন্ত তাদের ভূমিকা পালন করে এসেছে তারা আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি। তারা নিজেদেরকে সমাজ দ্বারা প্রান্তি অনুভব করতে থাকে। তখন তারা একটি ছোট দল তৈরি করে নাম দিল "হাতামোতোইয়াককো" এবং সিদ্ধান্ত নিল জনগণদেরকে নিপীড়ন কারার। এইটি অনেক ইয়াকুজা দ্বারা বিবেচিত হয়ে থাকে। কিছু তত্ত্ব সমূহও রয়েছে যা নিনজাদের জড়িয়ে থাকার ইঙ্গিত করে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Criminal Investigation: Fight Against Organized Crime (1)" (পিডিএফ)Overview of Japanese PoliceNational Police Agency। ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৩  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Britannica Academic"academic.eb.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১২ 
  3. Bosmia, Anand; Griessenauer, Christoph J.; Tubbs, Shane (২০১৪-০৭-০১)। "Yubitsume: ritualistic self-amputation of proximal digits Among the yakuza"Journal of Injury and Violence Research6 (2)। ডিওআই:10.5249/jivr.v6i2.489পিএমআইডি 24284812পিএমসি 4009169অবাধে প্রবেশযোগ্য। ২০২১-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১২ 
  4. "Feeling the heat; The yakuza"The Economist (English ভাষায়)। 390 (8620): 55(EU)–55(EU)। ২০০৯-০২-২৮। 
  5. Reilly, Edward (২০১৪-০১-০১)। "Criminalizing Yakuza Membership: A Comparative Study of the Anti-Boryokudan Law"Washington University Global Studies Law Review13 (4): 801–829। আইএসএসএন 1546-6981 
  6. "Wayback Machine" (পিডিএফ)web.archive.org। ২০১৮-১০-০১। ২০১৮-১০-০১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১২ 
  7. Hill, Peter (ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। "The Changing Face of the Yakuza"Global Crime (ইংরেজি ভাষায়)। 6 (1): 97–116। আইএসএসএন 1744-0572ডিওআই:10.1080/1744057042000297007 
  8. Shikata, Ko (২০০৬-১০-০১)। "Yakuza – organized crime in Japan"Journal of Money Laundering Control (ইংরেজি ভাষায়)। 9 (4): 416–421। আইএসএসএন 1368-5201ডিওআই:10.1108/13685200610707653 
  9. "Yakuza - organized crime in Japan - ProQuest"www.proquest.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-১২