ইয়াঙ্গুন অঞ্চল ရန်ကုန်တိုင်းဒေသကြီး | |
---|---|
অঞ্চল | |
মিয়ানমা প্রতিলিপি | |
• বর্মী | rankun tuing: desa. kri: |
মিয়ানমারের মানচিত্রে ইয়াঙ্গুন অঞ্চল | |
স্থানাঙ্ক: ১৭°০′ উত্তর ৯৬°১০′ পূর্ব / ১৭.০০০° উত্তর ৯৬.১৬৭° পূর্ব | |
দেশ | মিয়ানমার |
অঞ্চল | নিম্ন মিয়ানমার |
রাজধানী | ইয়াঙ্গুন |
সরকার | |
• মুখ্যমন্ত্রী | ফিও মিন থিন (এনএলডি) |
• মন্ত্রিসভা | ইয়াংন অঞ্চল সরকার |
• আইন-সভা | ইয়াগুন অঞ্চল হুট্টু |
• উচ্চ আদালত | ইয়াংন অঞ্চল হাই কোর্ট |
আয়তন | |
• মোট | ১০,২৭৬.৭ বর্গকিমি (৩,৯৬৭.৯ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ১৪ তম |
জনসংখ্যা (২০১৪ সালের আদমশুমারি)[১] | |
• মোট | ৭৩,৬০,৭০৩ |
• ক্রম | প্রথম |
• জনঘনত্ব | ৭২০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল) |
জনপরিসংখ্যান | |
• জাতি | বামার, কারেন, রাখাইন, চীনা, ইন্ডিয়ানস, মক |
• ধর্ম | বৌদ্ধধর্ম, খ্রীষ্টধর্ম, হিন্দুধর্ম, ইসলাম |
সময় অঞ্চল | এমএসটি (ইউটিসি+০৬:৩০) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | এমএম-০৬ |
Literacy rate (2014) | ৯৬.৬%[২] |
ওয়েবসাইট | eyangon |
ইয়াঙ্গুন অঞ্চল (বর্মী: ရန်ကုန်တိုင်းဒေသကြီး; এমএলসিটিএস: rankun tuing desa. kri, উচ্চারিত: [jàɴɡòʊɴ táɪɴ dèθa̰ dʑí]; পূর্বে রেঙ্গুন বিভাগ এবং ইয়াংন বিভাগ) মিয়ানমারের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি নিম্ন মিয়ানমারের অন্তর্গত। অঞ্চলটির উত্তর এবং পূর্ব দিকে বাগ অঞ্চলের সঙ্গে সীমানা রয়েছে, দক্ষিণে মার্তাবান উপসাগর এবং পশ্চিমে আয়েয়ারওয়াদি অঞ্চলের সঙ্গে সীমানা রয়েছে। ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের রাজধানী শহর ইয়াঙ্গুন দেশের জাতীয় রাজধানী এবং দেশের বৃহত্তম শহর। এই অঞ্চলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর থানলিন এবং টোয়েন্টি। বিভাগটি দেশের সবচেয়ে উন্নত অঞ্চল এবং প্রধান আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার। বিভাগটির মোট আয়োতন ১০,১৭০ বর্গ কিমি (৩,৯৩০ বর্গ মাইল)।[৩]
অঞ্চল ঐতিহাসিকভাবে মোক জাতি দ্বারা জনবহুল ছিল। রাজনৈতিকভাবে এলাকাটি ১০৫৭ সালের পূর্বে মোক রাজ্যের রাজধানী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল এবং ১০৫৭ সালের পরে উত্তর থেকে বার্মা রাজ্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত। ১৩তম থেকে ১৬তম শতাব্দীতে (১২৮৭-১৫৩৯) এবং ১৮ শতকে সংক্ষিপ্ত সময়ের (১৭৪০-৫৭) জন্য অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ বাগ-ভিত্তিক মোক রাজ্যের কাছে ফিরে আসে। ১৫৯৯ থেকে ১৬১৩ সাল পর্যন্ত থানলিন (সিরিয়াম) এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা পর্তুগিজদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।[৪]
শতবছর ধরে থানলিন ১৮শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত নিন্ম মিয়ানমারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী ছিল, যখন রাজা আলাউংপায়া দাগোন নামে শায়েদোডাগন প্যাগোডা কাছে নদীর তীরে একটি ছোট গ্রাম গড়ে তোলার জন্য করতে বেছে নিয়েছিলেন।[৫]
ব্রিটিশরা প্রথমে প্রথম অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধে (১৮২৪-২৬) ইয়াঙ্গুনকে অধিগ্রহণ করে নিয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধের পর বার্মিজ প্রশাসনের কাছে ব্রিটিশরা ইয়াঙ্গুন এলাকাটি ফিরিয়ে দেয়। ১৮২৫ সালের দ্বিতীয় অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধে ব্রিটিশরা ইয়াঙ্গুন এবং নিম্ন মিয়ানমারের সমস্ত অঞ্চল দখল করে এবং পরবর্তীকালে ইয়াঙ্গুনকে ব্রিটিশ বার্মার বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত করে। ইয়াঙ্গুন ব্রিটিশ বার্মা এবং হানতাওয়াদি প্রদেশের রাজধানী ছিল, যা আজকের ইয়াঙ্গুন ও ব্যাগ অঞ্চল দ্বারা আচ্ছাদিত। ব্রিটিশরা শ্রমিক ও সরকারি কর্মচারী হিসাবে কাজ করার জন্য অনেক ভারতীয়দের এখানে এনেছিল। ১৯৩০-এর দশকে ভারতীয়রা ইয়াঙ্গুন শহরের অর্ধেক জনসংখ্যা গঠন করেছিল এবং সেই সময়ে শহরটির মোট জনংখ্যার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বামার (বর্মি) ছিল।
ইয়াঙ্গুন অঞ্চলে ৪টি জেলা ও ৪৪ শহর রয়েছে।[৬] ৪৪টি শহরের মধ্যে ইয়াঙ্গুন শহরসহ ৩৩টি শহরতলি অন্তর্ভুক্ত।
বামার, রাখাইন, কারেন এবং মক জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠী তৈরি করে। বিভাগতে বিশাল সংখ্যক চীনা ও দক্ষিণ এশিয়ার অধিবাসীও বসবাস করে। বেশিরভাগ অধিবাসী থেরভাদ বৌদ্ধ, মুসলমান, খ্রিস্টান এবং হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে। ২০১৪ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের জনসংখ্যা ৭.৩৬ মিলিয়ন।[৭] বর্মী এই অঞ্চলের প্রাথমিক ভাষা যা বার্মীজসহ সকল জাতিগোষ্ঠী দ্বারা ব্যবহৃত হয়। ইয়াঙ্গুনের শহুরে অভিজাতদের মধ্যে ইংরেজি দ্বিতীয় প্রধান ভাষা।