ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইয়ান এডওয়ার্ড ও’ব্রায়ান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লোয়ার হাট, নিউজিল্যান্ড | ১০ জুলাই ১৯৭৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২২৯) | ১০ মার্চ ২০০৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৪৭) | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৪ মার্চ ২০০৯ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৩৮) | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ৬ জুন ২০০৯ বনাম স্কটল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০/০১ - ২০০৯/১০ | ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ | লিচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০ | মিডলসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ |
ইয়ান এডওয়ার্ড ও’ব্রায়ান (ইংরেজি: Iain O'Brien; জন্ম: ১০ জুলাই, ১৯৭৬) লোয়ার হাট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটন এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার ও মিডলসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ইয়ান ও’ব্রায়ান।
২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ইয়ান ও’ব্রায়ানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
২০০৯ সালে লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন। ২৬.০৪ গড়ে ২১টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান। নিজ জন্মস্থানে অনুষ্ঠিত খেলায় ৬/৩৯ বোলিং পরিসংখ্যানসহ খেলায় নয় উইকেট পান। দলে তাকে গুছিয়ে নিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
২০১০ সালে তেমন ভালোমানের খেলা উপহার দিতে পারেননি তিনি। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের দ্বিতীয় বিভাগে মিডলসেক্সের সদস্যরূপে ২৭.৩০ গড়ে ২৩ উইকেট পান। পাশাপাশি, আঘাতের কারণে মিডলসেক্সের পক্ষে চ্যাম্পিয়নশীপের মাত্র সাতটি খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন। সিবি৪০ খেলায় একটি ও এফপি টুয়েন্টি২০ খেলার একটিতে অংশ নেন। তন্মধ্যে, সিবি৪০ খেলায় ৮ ওভারে ৪/৪১ পান।[১]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে বাইশটি টেস্ট, দশটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিক ও চারটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন ইয়ান ও’ব্রায়ান। ১০ মার্চ, ২০০৫ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে ন্যাপিয়ারে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
মার্চ, ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম খেলেন। এ পর্যায়ে শেন বন্ড, ড্যারিল টাফি ও ক্রিস মার্টিনের ন্যায় দলের জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়দের আঘাতজনিত কারণে ঘাটতি পূরণে তাকে দলে রাখা হয়। তারপর থেকেই দলে তিনি আসা-যাওয়ার পালায় অবস্থান করতেন।[২] ঐ মৌসুমে ২৬.৫৫ গড়ে ২০ উইকেট দখল করেছিলেন। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই টেস্টে অংশ নিয়ে খুব কমই ভূমিকা রাখতে পেরেছিলেন। উভয় খেলা থেকে কেবলমাত্র একটি করে উইকেট পান। এরপর, ২০০৬-০৭ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টির বাইরে অবস্থান করেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে ইয়ান ও’ব্রায়ানের। তবে, অভিষেক পর্বটি মোটেই সুখকর হয়নি। ৬ ওভারে ১/৫৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন তিনি। তাসত্ত্বেও, ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে টেস্ট দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি। তুলনামূলকভাবে একদিনের আন্তর্জাতিকে কম অংশ নিয়েছেন। মূলতঃ শেন বন্ডের অনুপস্থিতিজনিত ঘাটতি পূরণে তাকে ওডিআই দলে রাখা হয়। ওয়েলিংটনের বোলিং অনুপযোগী পিচে তিনি প্রায়শঃই বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ব্ল্যাক ক্যাপসদের পক্ষে ফাস্ট বোলার হিসেবে সফলতা পেয়েছেন। যুক্তরাজ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ও নিজ দেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বেশ ভালো খেলা উপহার দেন। তন্মধ্যে, শেষ দলটির বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৬/৭৫ দাঁড় করান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্বদেশে-বিদেশে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করেছেন।
২০০৮ সালে ইংল্যান্ড সফরেও একই সফলতা পেয়েছেন। ২৬.৮০ গড়ে ১৫ উইকেট লাভ করেন।[৩] ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে নিজ দেশে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ভাঙ্গা আঙ্গুল নিয়েও তিন উইকেট লাভ করেন ও নিউজিল্যান্ডের বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। সিরিজের পরের টেস্টেই ছয় উইকেট পান।
সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও ওডিআই দলে তাকে রাখা হয়। তবে তাকে খেলানো হয়নি। তাসত্ত্বেও, স্টেট চ্যাম্পিয়নশীপে শীর্ষ বোলারে পরিণত করতে সচেষ্ট ছিলেন। ২০.৮৫ গড়ে ৩৪ উইকেট পান। এরফলে, কাইল মিলসের আঘাতপ্রাপ্তির ফলে নভেম্বর, ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাকে যুক্ত করা হয়।
পেস বোলার ইয়ান ও’ব্রায়ান সব মিলিয়ে ৭৩টি টেস্ট উইকেট পেয়েছেন। তন্মধ্যে, ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৬/৭৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।
ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। ইংল্যান্ডে অবস্থানরত স্ত্রীকে অধিক সময় দিতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।[৪] তার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে মিডলসেক্স কর্তৃপক্ষ ২০১০ সালের জন্য তাকে বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে দলে চুক্তিবদ্ধ করে।[৫]
জানুয়ারি, ২০১২ সালে ক্রমাগত আঘাতজনিত সমস্যার কারণে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।[৬] অনলাইনে বিকল্প ক্রিকেট ধারাভাষ্য সেবার সাথে জড়িত টেস্ট ম্যাচ সোফাসহ বিবিসি ও স্কাই ক্রিকেট ধারাভাষ্যকারদের দলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।