ইয়ারোস্লাভ হেইরোভ্স্কি | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৭ মার্চ ১৯৬৭ | (বয়স ৭৬)
জাতীয়তা | চেকোস্লোভাকিয়া |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পরিচিতির কারণ | তড়িৎ রসায়ন পোলারোগ্রাফি |
পুরস্কার | |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র |
ইয়ারোস্লাভ হেইরোভ্স্কি (২০ ডিসেম্বর ১৮৯০ - ২৭ মার্চ ১৯৬৭) হলেন একজন চেক রসায়নবিদ ও উদ্ভাবক। এছাড়াও, তিনি পোলারোগ্রাফিক পদ্ধতির উদ্ভাবক এবং তড়িৎবিশ্লেষণ পদ্ধতির জনক হিসেবেও পরিচিত। পোলারোগ্রাফিক পদ্ধতি আবিষ্কার ও বিশ্লেষণের জন্য ১৯৫৯ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[২] তার কাজের প্রধান ক্ষেত্র ছিল পোলারোগ্রাফি।[১][৩][৪][৫][৬][৭]
এই অনুচ্ছেদ যাচাইযোগ্যতার জন্য অতিরিক্ত তথ্যসূত্র প্রয়োজন। |
ইয়ারোস্লাভ হেইরোভ্স্কি ১৮৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রাগের চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক লিওপল্ড হেরোভস্কির পঞ্চম সন্তান। তার স্ত্রীর নাম ক্লারা, ন্যান হ্যানল ফন কির্চ্রেয় |[৮] তিনি প্রাগের চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিত বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করার সময় ১৯০৯ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯১০ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে অধ্যাপকদের অধীনে পড়াশোনা চালিয়ে যান যাদের মধ্যে ছিল স্যার উইলিয়াম র্যামসে, ডাব্লিউ.সি ম্যাকসি. লুইস, এবং এফ. জি.ডনান্ন। তিনি ১৯১৩ সালে তার বি.এস.সি ডিগ্রি অর্জন করেন। মূলত তিনি অধ্যাপক ডোনানের সাথে তড়িৎ রসায়নে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় হেইরোভ্স্কি এক মিলিটারি হাসপাতালে রসায়নবিদ এবং রেডিওলজিস্ট হিসাবে কাজ করেছিলেন, যেটি তাকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, প্রাগে ১৯১৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি এবং ১৯২১ সালে ডিসএসসি ডিগ্রি অর্জনে সহযোগিতা করেছিলো।
হেইরোভ্স্কি প্রাগের চার্লস বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অফ অ্যানালিটিক্যাল রসায়ন ইনস্টিটিউটে প্রফেসর বি. ব্রুনারের সহকারী হিসাবে তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করেন। ১৯২২ সালে তাকে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি দেওয়া হয় এবং ১৯২৬ সালে তিনি শারীরিক রসায়ন বিভাগের প্রথম অধ্যাপক হন।
হেইরোভ্স্কি ১৯২২ সালে পোলারোগ্রাফিক পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন এবং তিনি তার পুরো বৈজ্ঞানিক তৎপরতার মাধ্যমে তড়িৎরসায়নের এই নতুন শাখার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে চেক পোলারোগ্রাফারদের একটি স্কুল গঠন করেছিলেন এবং পোলারোগ্রাফিক গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি নিজেই শীর্ষে ছিলেন। ১৯৫০ সালে হেইরোভ্স্কি নতুন প্রতিষ্ঠিত পোলারোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিযুক্ত হন যেটি ১৯৫২ সাল থেকে চেকোস্লোভাক বিজ্ঞান একাডেমিতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯২৬ সালে প্রফেসর হেরোভস্কি মেরি কোরানভিকে বিয়ে করেন এবং এই দম্পতির দুটি সন্তান ছিল, মেয়ে জিতকা এবং ছেলে মাইকেল।
ইয়ারোস্লাভ হেইরোভ্স্কি ১৯৬৭ সালের ২৭ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। প্রাগের কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এই অনুচ্ছেদ যাচাইযোগ্যতার জন্য অতিরিক্ত তথ্যসূত্র প্রয়োজন। |
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হেইরোভ্স্কিকে সম্মানিত করেছেন। তিনি ১৯২৭ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ফেলো নির্বাচিত হন এবং টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ড্রেসডেন (১৯৫৫), ওয়ার্সা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৬), ইক্স-মার্সেইল বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৯), প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬০) থেকে সম্মাননা স্বরূপ ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৩৩ সালে মার্কিন কলা ও বিজ্ঞান একাডেমির সম্মানিত সদস্যতা লাভ করেন। এছাড়াও, হাঙ্গেরিয় বিজ্ঞান একাডেমি (১৯৫৫), ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমি, ব্যাঙ্গালোর (১৯৫৫), ওয়ার্সাও এর পোলিশ একাডেমি (১৯৬২) সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৫ সালে রয়েল একাডেমির বিদেশি সদস্য নির্বাচিত হন। [১]
১৯৫১ সালে তিনি প্রথম শ্রেণির রাষ্ট্রীয় পুরস্কার এবং ১৯৫৫ সালে অর্ডার অব দ্য চেকস্লোভাক লাভ করেন।
তিনি পোলারোগ্রাফির ওপর ১৯৩৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ১৯৩৪ সালে ইউএসএসআরে, ১৯৪৬ সালে যুক্তরাজ্যে, ১৯৪৭ সালে সুইডেনে, ১৯৫৮ সালে চীনে, ১৯৬০ ও ১৯৬১ সালে মিশরে বক্তৃতা প্রদান করেন। হেইরোভস্কি নামে চাঁদে তার সম্মানে একটি গর্তের নাম রাখা হয়েছে।
|বিবকোড=
length পরীক্ষা করুন (সাহায্য)।