ইয়াহিয়া পেত্রা | |||||
---|---|---|---|---|---|
মালয়েশিয়ার ৬ষ্ঠ ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং কেলানতানের সুলতান | |||||
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং | |||||
রাজত্ব | ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ – ২৯ মার্চ ১৯৭৯ | ||||
মালয়েশিয়া | ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ | ||||
পূর্বসূরি | আবদুল হালিম মুয়াজ্জম শাহ | ||||
উত্তরসূরি | আহমেদ শাহ আল মুসতাইন বিল্লাহ | ||||
কেলানতানের সুলতান | |||||
রাজত্ব | ১০ জুলাই ১৯৬০ – ২৯ মার্চ ১৯৭৯ | ||||
রাজ্যাভিষেক | ১৭ জুলাই ১৯৬১ | ||||
পূর্বসূরি | ইবরাহিম পেত্রা | ||||
উত্তরসূরি | ইসমাইল মেত্রা | ||||
জন্ম | কোতা ভারু, কেলানতান, আনফেডারেটেড মালয় স্টেটস, ব্রিটিশ মালয় | ১০ ডিসেম্বর ১৯১৭||||
মৃত্যু | ২৯ মার্চ ১৯৭৯ ইসতানা নেগারা, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া | (বয়স ৬১)||||
সমাধি | ৩০ মার্চ ১৯৭৯ কোতা ভারু, কেলানতান, মালয়েশিয়া | ||||
দাম্পত্য সঙ্গী | তুঙ্কু জয়নব | ||||
বংশধর | ইসমাইল পেত্রা | ||||
| |||||
পিতা | ইবরাহিম পেত্রা | ||||
মাতা | চে এম্বং বিনতে দাউদ | ||||
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি) |
সুলতান ইয়াহিয়া পেত্রা ইবনে আলমরহুম সুলতান ইবরাহিম পেত্রা (১০ ডিসেম্বর ১৯১৭ – ২৯ মার্চ ১৯৭৯) ছিলেন মালয়েশিয়ার ষষ্ঠ সম্রাট। ১৯৭৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি সম্রাট ছিলেন। তিনি কেলানতানের দ্বাদশ সুলতান।
ইয়াহিয়া পেত্রা কোতা ভারুতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন সুলতান ইবরাহিম পেত্রার দ্বিতীয় ছেলে।[১]
ইয়াহিয়ার নিঃসন্তার চাচা তুঙ্কু ইসমাইল তাকে লালনপালন করেছেন। ইসমাইল পরে সুলতান হন। ইয়াহিয়াকে পেনাঙের ফ্রান্সিস লাইট স্কুলে পড়াশোনার জন্য পাঠানো হয়। এরপর তিনি ইংল্যান্ডে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে যান। তার চাচা সুলতান ইসমাইল ১৯৩৯ সালের ২১ জুলাই তাকে তুঙ্কু তেমেংগং নিযুক্ত করেছিলেন। পর তার বাবা সুলতান ইবরাহিম ১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে তুঙ্কু বেন্দাহারা নিযুক্ত করেন। ইয়াহিয়া ১৯৪১ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত কেলানতানের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বপালন করেছেন।[২]
তুঙ্কু ইন্দ্রা পেত্রা ছিলেন সুলতান ইবরাহিমের বড় ছেলে। সুলতান ইবরাহিম তার নিঃসন্তান ভাই সুলতান ইসমাইলের উত্তরসূরি হওয়ার পর তুঙ্কু ইন্দ্রা পেত্রা ১৯৪৪ সালের ২৫ অক্টোবর রাজা মুদা তথা উত্তরাধিকারী মনোনীত হন। তবে ইবরাহিমের সাথে দ্বন্দ্বের ফলে ১৯৪৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তাকে অপসারণ করে ইয়াহিয়াকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করা হয়।
সুলতান ইবরাহিমের মৃত্যুর পর ইয়াহিয়া পেত্রা ১৯৬০ সালের ৯ জুলাই কেলানতানের সুলতান হন। ১৯৬১ সালের ১৭ জুলাই কোতা ভারুর ইসতানা বালাই বেসারে তার অভিষেক হয়।
সুলতান ইয়াহিয়া পেত্রা ১৯৭০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেপুটি ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং ছিলেন।
ষষ্ঠ সম্রাট নির্বাচনের সময় সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ শাসক পাহাঙের আবু বকর এবং জোহরের সুলতান ইসমাইল উভয়ে দায়িত্বগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। স্বাস্থ্যগত কারণে সুলতান ইয়াহিয়াও রাজি ছিলেন না। তবে পরে তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন।[৩] ১৯৭৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ইয়াহিয়া পেত্রা মালয়েশিয়ার সম্রাট হন।
সুলতান ইয়াহিয়া ১৯৭৯ সালের ২৯ মার্চ ইসতানা নেগারায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে কোতা ভারুর রাজকীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।[৪]
তিনি তুঙ্কু জয়নবকে বিয়ে করেছিলেন। তুঙ্কু জয়নবের উপাধি ছিল রাজা পেরেমপুয়ান ও রাজা পেরমাইসুরি আগং। সুলতান ইয়াহিয়া ও তুঙ্কু জয়জবের এক ছেলে ও ছয় মেয়ে রয়েছে।[৫]
রাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী আবদুল হালিম মুয়াজ্জম শাহ (কেদাহর সুলতান) |
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং (মালয়েশিয়ার সম্রাট) ১৯৭৫–১৯৭৯ |
উত্তরসূরী সুলতান আহমেদ শাহ (পাহাঙের সুলতান) |
পূর্বসূরী ইবরাহিম পেত্রা |
কেলানতানের সুলতান ১৯৬০–১৯৭৯ |
উত্তরসূরী ইসমাইল পেত্রা |