ইলেকট্রনিক প্রমাণীকরণ বলতে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থাসমূহে কোন পক্ষ বা যন্ত্রের পরিচয়ের সত্যতা প্রমাণ করাকে বোঝায়। অন্য ভাষায় ইলেকট্রনিক প্রমাণীকরণ প্রক্রিয়াতে কোনও পক্ষ কোনও বার্তা আসলেই পাঠিয়েছে কি না এবং বার্তাটিতে কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা যাচাই করে দেখা হয়। যাচাই প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হলে তথ্যের উৎস ও সঠিকতা প্রমাণিত হয়। প্রমাণীকরণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। ব্যক্তিগত পরিচয় নম্বর বা পিন নম্বর, শব্দচাবি বা পাসওয়ার্ড, আঙুলের ছাপ, চোখের রেটিনা স্ক্যান, এমনকি তথ্যগুপ্তিবিদ্যাজাত সমাধান যেমন গাণিতিক সূত্রনির্ভর ডিজিটাল স্বাক্ষর, ইত্যাদি সবই ইলেকট্রনিক প্রমাণীকরণের বিভিন্ন রূপ।[১]
ইলেকট্রনিক প্রমাণীকরণের সাথে তথ্যকে সংকেতের মাধ্যমে গুপ্তকরণ বা তথ্যের গোপনীয়তার ব্যাপারগুলির কোনও সম্পর্ক নেই। এতে শুধু তথ্য প্রেরণকারী পক্ষকে শনাক্ত করা হয় এবং তথ্যটি যে ঐ পক্ষের কাছ থেকেই এসেছে তা যাচাই করা হয়। প্রমাণীকরণ প্রতারকদের ধরে ইলেকট্রনিক তথ্য ব্যবস্থার উপর ব্যবহারকারীদের আস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করে।[১]
ইলেকট্রনিক বাণিজ্যে ইলেকট্রনিক প্রমাণীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখনই দুইটি বেসরকারী পক্ষ ইলেকট্রনিক বাণিজ্যে কোন চুক্তি করে, তখনই ইলেকট্রনিক প্রমাণীকরণের দরকার হয়। [১]