ইলেকট্রনিক সিটি কেনিক্স ইলেকট্রনিক সিটি | |
---|---|
শহরতলী | |
ইলেকট্রনিক-সিটি | |
ডাকনাম: ই-সিটি | |
স্থানাঙ্ক: ১২°৫১′ উত্তর ৭৭°৪০′ পূর্ব / ১২.৮৫° উত্তর ৭৭.৬৭° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | কর্ণাটক |
জেলা | ব্যাঙ্গালোর নগর |
প্রতিষ্ঠাতা | আর কে বালিগা এমডি কেনিক্স |
সরকার | |
• শাসক | বিবিএমপি, শিল্প এলাকা: এলিসিটিএ আবাসিক এলাকা: দোদা থগুর গ্রাম পঞ্চায়েত |
আয়তন | |
• মোট | ৩.২৩৭৪৯ বর্গকিমি (৮০০ একর) |
উচ্চতা | ৯১৯ মিটার (৩,০১৫ ফুট) |
ভাষা | |
• সরকারি | কন্নড়, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | আইটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | আইএন-কেএ |
যানবাহন নিবন্ধন | কে-৫১ |
ওয়েবসাইট | www |
বিদ্যুন্মাননগর বা ইলেক্ট্রনিক সিটি আনকাল তালুকে অবস্থিত ভারতের ব্যাঙ্গালোর মহানগরীর একটি তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র।[১] কনাপ্পানা আগ্রাহার ও দদ্দাথগুর গ্রামে ৮০০ একর (৩.২ বর্গ কিলোমিটার) এরও বেশি এলাকায় বিস্তৃত এই তথ্য প্রযুক্তির কেন্দ্রটি ভারতের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক/ আইটি শিল্প পার্কগুলির মধ্যে একটি। এটি চারটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত। আঞ্চলগুলি হল- প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব, তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্ব। তথ্য প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রণী কেওনিক্স, কর্ণাটক ইলেক্ট্রনিক,[২] দ্বারা ইলেক্ট্রনিক সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ইলেকট্রনিক সিটিতে অবস্থিত প্রায় ২০০ টি আইটি / আইটিইএস কোম্পানি রয়েছে, যার মধ্যে আইটি / জৈব প্রযুক্তি প্রধান ইনফোসিস , উইপ্রো , টিসিএস , এইচসিএল , টেক মাহিন্দ্র , বায়োকন ইত্যাদি সংস্থার প্রধান ক্যাম্পাস রয়েছে।
ইলেকট্রনিক সিটি কর্ণাটক ইলেকট্রনিক্স কেওনিক্সের প্রথম চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর কে বালিগের মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল। [২] তিনি ইলেকট্রনিক সিটির ধারণাটি বিকশিত করার সময় ব্যাঙ্গালোরকে ভারতের সিলিকন উপত্যকা বানানোর স্বপ্ন দেখেন। তিনি ১৯৭৮ সালে, কনাপ্পানা আগ্রাহার ও দদ্দাথগুর গ্রামে ৩৩২ একর জমিতে ইলেক্ট্রনিক সিটি স্থাপন করেন। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিংহ রাও এবং তৎকালীন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী ড মনমোহন সিং দ্বারা গৃহীত ভারতীয় অর্থনীতির উদারীকরণ নীতি ইলেক্ট্রনিক সিটিকে আজকের বিশ্বের আউটসোর্সিং রাজধানী রূপে রুপান্তর হতে সহায়তা করে।
১৯৯৭ সালে ইলেকট্রনিক্স সিটি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের দায়িত্ব কেওনিক্স কর্তৃক ইকোনমিক সিটি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনকে দেয়া হয়েছিল। এটির নিরাপত্তা ইএলসিআইএ কর্তৃক প্রদান করে, যারা প্রায় ৫০০ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে এবং কৌশলগত অবস্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে।
ব্যাঙ্গালোর শহরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যোগাযোগের ব্যবস্থার বিপরীতে ইলেকট্রনিক সিটিতে উন্নততর যোগাযোগ ব্যবস্থার অবকাঠামো রয়েছে।
ইলেকট্রনিক সিটির হোসুর সড়ক, যা বাঙ্গালুরু শহরের একটি প্রধান মহাসড়ক। অনেকগুলি বিএমটিসি বাস ও আন্তঃসীমান্ত বাস চলাচল করে এই সড়কে।
সিল্ক বোর্ড জংশন থেকে ইলেক্ট্রনিক সিটি থেকে চার-লেনের মিশ্র করিডোর এলিভেটেড হাইওয়ে ২২ জানুয়ারী ২০১০ সালে খোলা হয়। ৯.৯৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে দেশের (দ্বিতীয়) দীর্ঘতম উত্তোলিত জাতীয় মহাসড়ক। এই উত্তোলিত মহাসড়ক, ১৫ মিনিটেরও কম সময়ে একজন যাত্রীকে সিল্ক বোর্ড থেকে ইলেকট্রনিক সিটিতে পৌঁছানোর সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়। [৩]
নাইস সড়কটি বেঙ্গালুরু শহরের পশ্চিমে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকার সঙ্গে ইলেকট্রনিক যুক্ত করে। এলাকাগুলি হল সিটি, ব্যানার্গত্ত সড়ক, মৈসর সড়ক, কানকাপুরা সড়ক এবং তুমকুর সড়ককে সংযুক্ত করে। এটি একটি ৬৩ কিমি দীর্ঘ ৬-লেন বিশিষ্ট প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত শুল্কপথ।
ইলেকট্রনিক সিটি নাম্মা মেট্রো হলুদ লাইনের (আরভি সড়ক - বম্মসান্দ্রা লাইন) অধীনে আসে। মেট্রো রেল প্রকল্প ২০২২ সালে সম্পন্ন হতে পারে।
হিলালিজ রেলওয়ে স্টেশন, ইলেকট্রনিক সিটি পর্যায় ২ থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে বেঙ্গালুরু শহরতলি রেলের ( বাঙ্গালুরু কম্যুটার রেল ) অংশ হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ-পশ্চিম রেলওয়ে এই রুটে ডিজেল মাল্টিপল ইউনিট (ডিএমইউ)-এর একটি ট্রেন চালু করেছে।
কেম্পগাউদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আইএটিএ: বিএলআর, আইসিএও: ভিওবিএল)। ইলেক্ট্রনিক সিটি থেকে দূরত্ব: ৫৪ কিমি। সড়ক পথে দ্বারা পৌঁছাতে সময় লাগে ২ ঘণ্টা। হসুর এয়ারড্রোম, যা প্রধানমন্ত্রীর উড়ান প্রকল্পের অধীনে একটি আসন্ন চালু হতে যাওয়া বিমানবন্দর। এটি ইলেকট্রনিক শহর থেকে ২8 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত
২০১৮ সালের মার্চ মাসে ব্যাঙ্গালোর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে হেলিকপ্টার ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করা হয়। ইলেকট্রনিক সিটিতে পৌঁছাতে সময় লাগে ১৫ মিনিট।
উড়ান প্রকল্পের অধিনে থালি সড়কের বেলগাঁদপল্লিতে প্রস্তাবিত হোসর বিমানবন্দরটি ইলেকট্রনিক সিটির নিকটবর্তী হতে পারে। ভ্রমণ সময়: রাস্তা দ্বারা ৩০ মিনিট। ইলেকট্রনিক্স সিটি থেকে দূরত্ব: ২৮ কিমি
ইলেকট্রনিক্স সিটি এবং এর আশেপাশের বিশিষ্ট আবাসিক এলাকাগুলি হল নিলাদ্রি সড়ক, বেগুর সড়ক, দোদদথগুরু এবং অননথনগর