ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল 石川県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 石川県 |
• রোমাজি | Ishikawa-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | চুউবু |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | কানাযাওয়া |
আয়তন | |
• মোট | ৪,১৮৫.২২ বর্গকিমি (১,৬১৫.৯২ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৩৫ তম |
জনসংখ্যা (১লা ফেব্রুয়ারি, ২০১১) | |
• মোট | ১১,৬৮,৯২৯ |
• ক্রম | ৩৪ তম |
• জনঘনত্ব | ২৭৯.৩০/বর্গকিমি (৭২৩.৪/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-17 |
জেলা | ৫ |
পৌরসভা | ১৯ |
ফুল | কালো লিলি (ফ্রিটিলারিয়া কামচাটকেন্সিস) |
গাছ | হিবা (থুজোপ্সিস ডোলাব্রাটা) |
পাখি | সোনালি ঈগল (অ্যাকুইলা ক্রিসেটোস) |
ওয়েবসাইট | [১] |
ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল (石川県? ইশিকাওয়া কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউবু অঞ্চলের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী কানাযাওয়া নগর।[২]
ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলে প্রাপ্ত পুরা প্রস্তর যুগের সামান্য নিদর্শন পাওয়া গেছে নোমি এলাকার তাদাশিনো অঞ্চলে। নোতো-চোওয়ের মাওয়াকি ধ্বংসাবশেষ জোমোন সংস্কৃতির একটি দীর্ঘস্থায়ী আস্তানা ছিল বলে অনুমান করা হয়। উত্তর-পূর্ব উপকূলে অর্থাৎ হোকুরিকু উপাঞ্চলে য়ায়োই সংস্কৃতির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
হেইয়ান যুগে হাকুসান পর্বতকে কেন্দ্র করে এক ধর্মবিশ্বাস মাথাচাড়া দেয় এবং দীর্ঘকাল ধরে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুগামীদের সাথে রাষ্ট্রক্ষমতার বিরোধ চলতে থাকে।
সেন্গোকু যুগে ওদা নোবুনাগার হুকুমে শিবাতা কাৎসুয়্যা এই অঞ্চল জয় করেন; এর পর নোদো অঞ্চলটি মায়েদা তোশিইয়েকে এবং কাগা অঞ্চল সাকুমা সাকামাসাকে দান করেন। নোবুনাগার মৃত্যুর পর তোয়োতোমি হিদেয়োশি ক্ষমতায় এলে ওয়্যামা দুর্গ (বর্তমান কানাযাওয়া দুর্গ) মায়েদা তোশিয়ার অধিকারে আসে।
এদো যুগের শেষার্ধে ১৭৯২ খ্রিঃ নাগাদ এখানে কাগা পরিবারের শাসনে বালিকা বিদ্যালয় মেইজিন-দো ও মার্শাল আর্টের বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। সমসাময়িক শিক্ষাপদ্ধতিতে কনফুসীয় ধর্মের পাশাপাশি শিক্ষাবিজ্ঞান, ভেষজবিদ্যা, বর্ষপঞ্জি গণনা, গণিত ইত্যাদিও শেখানো হত। তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের অন্তিম লগ্ন থেকে সামুদ্রিক প্রতিরক্ষায় নজর দেওয়া হয়। এর অন্তর্গত ছিল পাশ্চাত্য ধাঁচে গড়া একটি সেনা বিদ্যালয়, সমুদ্র পর্যবেক্ষণ ও নজরদারির জন্য ইউরোপ থেকে একটি দূরপাল্লার জাহাজও কেনা হয়েছিল।
১৮৭২ খ্রিঃ কাগা ও নোতো প্রদেশের সংযোগের মাধ্যমে বর্তমান ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল গড়ে ওঠে।[৩]
১৮৯৬ ও ১৯৩৪ খ্রিঃ তেতোরি নদীর বন্যায় অনেক ক্ষয়ক্ষতিহয়। বিশেষত ১৯৩৪ এর বন্যাটি হয়েছিল নদীর পার্বত্য প্রবাহে, ফলে ব্যাপক ধস নেমে সমগ্র নদী অববাহিকা বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ৯৭ জনের মৃত্যু ও ১৫ জন নিখোঁজ হন। এহেন দুর্ঘটনা জাপানে নজিরবিহীন।[৪]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলকে বিশেষ দুর্ভোগ পোয়াতে হয়নি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেত্রে যুদ্ধের সময় এটিই ছিল জাপানের একমাত্র প্রশাসনিক অঞ্চল যা মার্কিন বোমারু বিমানের হানা এড়িয়ে গিয়েছিল।
ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল জাপান সাগরের উপকূলে অবস্থিত। এর উত্তরের অংশটি নোতো উপদ্বীপ, এবং সংকীর্ণ দক্ষিণভাগ বন্ধুর ও পর্বতময়; এখানকার উপকূলেই অবস্থিত ইশিকাওয়ার প্রধান নগর কানাযাওয়া। কয়েকটি দ্বীপও ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের অন্তর্গত, যেমন নোতোজিমা, মিৎসুকেজিমা ও হেগুরাজিমা।
২০১২ এর এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী ইশিকাওয়ার ১৩ শতাংশ ভূমি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে হাকুসান জাতীয় উদ্যান, এচিযেন-কাওয়া কাইগান ও নোতো হান্তোও উপ-জাতীয় উদ্যান এবং পাঁচটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৫]