ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | উইনস্টন কিথরয় ম্যাথু বেঞ্জামিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অল সেন্টস, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুদা | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | রাই বেঞ্জামিন (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮৯) | ২৫ নভেম্বর ১৯৮৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৯ এপ্রিল ১৯৯৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪৯) | ১৭ অক্টোবর ১৯৮৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৮ মে ১৯৯৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৫ - ১৯৯৫ | লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৬ - ১৯৯৩ | লিচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৪ - ১৯৯৬ | হ্যাম্পশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০ |
উইনস্টন কিথরয় ম্যাথু বেঞ্জামিন (ইংরেজি: Winston Benjamin; জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৬৪) অ্যান্টিগুয়া ও বারবুদার অল সেন্টস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে লিওয়ার্ড আইল্যান্ডস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন উইনস্টন বেঞ্জামিন।
১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত উইনস্টন বেঞ্জামিনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক সেরা ফাস্ট বোলারদের অন্যতম ছিলেন তিনি। তবে, সেরাদের কাতারে খুব কম সময়ই সমুজ্জ্বল ছিলেন। ছোটখাটো গড়ন ও ক্ষীপ্রগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে তিনি ২১ টেস্ট খেলেছেন প্রায় আট বছর সময়ে নিয়ে। তবে, কোনবারই পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পাননি ও নতুন বল হাতে নিয়ে স্বীয় দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারেননি তিনি।
১৯৮৫ সালে উইনস্টন বেঞ্জামিন পাদপ্রদীপে চলে আসেন। ঐ বছরে ভিভ রিচার্ডস বৃত্তি লাভ করে ইংল্যান্ডে চলে যান। উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন লিভারপুল প্রতিযোগিতায় চেস্টার বোটন হল ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। ঐ মৌসুম শেষে ৭.৫৭ গড়ে ১০৬ উইকেট দখল করেন। সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়নে ৮/২০। এগারোবার পাঁচ বা ততোধিক উইকেট পেয়েছেন। ঐ মৌসুমে চেস্টার বোটন হল শিরোপা জয়ে সমর্থ হয়।
ক্লাব দলে বিস্ময়কর ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ লিচেস্টারশায়ার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখান। ঐ দলের সদস্যরূপে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে খেলেন। এরপর ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে খেলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একুশটি টেস্ট ও পঁচাশিটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন উইনস্টন বেঞ্জামিন। ২৫ নভেম্বর, ১৯৮৭ তারিখে দিল্লিতে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৯ এপ্রিল, ১৯৯৫ তারিখে কিংস্টনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদস্যরূপে ভারত গমন করেন। দিল্লি টেস্টে অভিষেক ঘটে তার। আট টেস্ট খেলার পর ১৯৯৩ সালে দল থেকে বাদ পড়েন। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিশ্বসেরার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে সচেষ্ট হন। বার্বাডোসে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ও অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস খেলে দলকে দুই উইকেটের জয় এনে দেন এবং সিরিজে সমতা আনয়ণ করেন। ১৯৮৮ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে ১২.৫৮ গড়ে ১২ উইকেট দখল করে সফরকারী দলের বোলিং গড়ে শীর্ষস্থানীয় বোলারের মর্যাদা পান। এরপর আরও দুই বছর দলে নিয়মিতভাবে খেলেন।
ব্যাট হাতে নিয়ে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বল প্রতি ৮৫ রান তুলেছিলেন। এক পর্যায়ে টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং উদ্বোধন করারও সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, একই মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার পর আবারও দলের বাইরে অবস্থান করেন। এরপর আর তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে খেলতে দেখা যায়নি।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর সংস্করণে অধিকতর নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে পেশাওয়ারে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে খেলেন। ১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ড সফর পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একদিনের খেলায় অংশগ্রহণ ছিল তার।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অংশগ্রহণ শেষ হয়ে যাবার পর লিওয়ার্ড আইল্যান্ডসের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। জুন, ২০০৫ সালে এ দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয় তাকে। বর্তমানে তিনি অ্যান্টিগুয়ার লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের ক্লেয়ার হল সেকেন্ডারি স্কুলের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন।[১]
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অ্যাথলেট রাই বেঞ্জামিন সম্পর্কে তার পুত্র।[২]