উইলিয়াম চার্লস ওয়েল্স (ইংরেজি ভাষায়: William Charles Wells) (১৭৫৭ [১] - ১৮১৭) একজন চিকিৎসক এবং মুদ্রণকারী। তিনি রবার্ট এবং মেরি ওয়েল্সের দ্বিতীয় পুত্র। ওয়েল্সের বাবা-মা দুজনেই স্কটল্যান্ডীয় যারা ১৭৫৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলাইনাতে বসতি স্থাপন করেছিলেন।
১৮১৩ সালে ডঃ ওয়েল্স রয়েল সোসাইটিতে একটি গবেষণাপত্র পাঠ করেন যার শিরোনাম ছিল "জনৈক শ্বেতকায় মহিলার চর্মের কিছু অংশ নিগ্রোসদৃশ"। অবশ্য এই পত্রটি তখন প্রকাশিত হয়নি। ১৮১৮ সালে "ডিও অ্যান্ড সিঙ্গল ভিশন" সংক্রান্ত দুটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন তিনি। এরপর ১৮১৩ সালের সেই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। চার্লস ডারউইন তার অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিস গ্রন্থে ওয়েল্সের গবেষণার কথা উল্লেখ করেছেন। ডারউইন বলেছেন যে, ওয়েল্স বিবর্তনের উপায় হিসেবে প্রাকৃতিক নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। [২] অবশ্য ওয়েল্স কেবল মানবজাতির কয়েকটি চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রেই এটা প্রয়োগ করেছিলেন। নিগ্রো এবং মুলাটো গোত্রের মানুষেরা ক্রান্তীয় রোগের সংক্রমণ থেকে মুক্ত; এ কথা উল্লেখ করে তিনি তার প্রবন্ধে বলেছিলেন,
“ | প্রথমত সমস্ত প্রাণীরাই কোন না কোন মাত্রায় পরিবর্তনপ্রবণ হয়, দ্বিতীয়ত কৃষিবিদরা নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের গৃহপালিত প্রাণীদের উন্নত করেন। এই কাজটি প্রকৃতিতে অন্তত ধীর গতিতে হলেও সমান দক্ষতায় সম্পন্ন হয়েছে- হয়েছে কোন নির্দিষ্ট দেশে বসবাসের উপযুক্ত মানুষ সৃষ্টির প্রক্রিয়ায়। মানুষের আকস্মিক ভ্যারাইটিদের মধ্যে, যা আফ্রিকার মধ্যভাগে বিচ্ছিন্ন অধিবাসীদের মধ্যে প্রথম ঘটেছে, সেইসব দেশের বিভিন্ন অসুখ সহ্য করার ব্যাপারে অন্যদের তুলনায় কোন একটি জাত অধিক উপযুক্ত হবে। পরিণামে সেই জাতটি অধিক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে যখন অন্যরা সংখ্যায় হ্রাস পাবে। এই হ্রাস পাওয়ার কারণ কেবল রোগাক্রমণ থেকে বাঁচার অক্ষমতাই নয়, সুস্থ-সবল প্রতিবেশিদের সাথে প্রতিযোগিতায় সক্ষম হতে না পারাও তার কারণ হিসেবে কাজ করে। ইতোমধ্যে যা বলা হয়েছে তা থেকে আমি বিনা বিচারেই স্বীকার করে নিচ্ছি যে এই সবল জাতিটির বর্ণ হবে কালো। কিন্তু ভ্যারাইটি সৃষ্টির এই প্রবণতা বিদ্যমান থাকলে কালক্রমে কৃষ্ণ থেকে কৃষ্ণতর জাতির উদ্ভব ঘটবে। এবং যেহেতু কৃষ্ণতমরা আবহাওয়াটিতে সবচেয়ে উপযুক্ত হবে সেহেতু সেই বিশেষ দেশটিতে তারা একমাত্র জাত না হলেও কালক্রমে সবচেয়ে প্রভাবশালী জাতে পরিণত হবে। | ” |