বিবরণ | |
---|---|
স্বাগতিক দেশ | |
তারিখ | ১১ জুন – ১১ জুলাই |
দল | ২৪ |
মাঠ | ১১ (১১টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | ইতালি (২য় শিরোপা) |
রানার-আপ | ইংল্যান্ড |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৫১ |
গোল সংখ্যা | ১৪২ (ম্যাচ প্রতি ২.৭৮টি) |
দর্শক সংখ্যা | ১০,৯৯,২৭৮ (ম্যাচ প্রতি ২১,৫৫৪ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | পাত্রিক শিক ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (৫টি গোল) |
সেরা খেলোয়াড় | জানলুইজি দন্নারুম্মা |
সেরা যুব খেলোয়াড় | পেদ্রি |
২০২০ উয়েফা ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (যা সাধারণত ২০২০ উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, উয়েফা ইউরো ২০২০ অথবা শুধুমাত্র ইউরো ২০২০ নামে পরিচিত) উয়েফা দ্বারা আয়োজিত চতুর্বার্ষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ১৬তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব ছিল,[১] যেখানে ইউরোপের ফুটবল সংস্থা উয়েফার অন্তর্ভুক্ত ২৪টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিযোগিতা করেছে। এই আসরটি ২০২১ সালের ১১ই জুন হতে ১১ই জুলাই পর্যন্ত ইউরোপের ১১টি দেশের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এই প্রতিযোগিতাটি ইউরোপের ১২টি দেশের ১২টি শহরে ২০২০ সালের ১২ই জুন হতে ১২ই জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে উয়েফা জানিয়েছিল যে, ইউরোপে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এই প্রতিযোগিতাটি এক বছর পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। মূলত করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপে দেশগুলোতে সরকারি পরিষেবার উপর চাপ কমাতে এবং দেশীয় লীগ স্থগিতের জন্য সময়সূচীতে স্থান দেওয়ার জন্য এই প্রতিযোগিতাটি স্থগিত করা হয়েছিল।[২] তবে, ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হলেও এই আসরটি এখনও "উয়েফা ইউরো ২০২০" নামেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।[৩]
উয়েফার তৎকালীন সভাপতি মিশেল প্লাতিনি বলেছিলেন, ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার ৬০তম "জন্মদিন" উদ্যাপনের জন্য এই আসরটি বেশ কয়েকটি দেশে "রোমান্টিক" একবারের আয়োজন হিসাবে আয়োজিত হবে।[৪] এই আসরের ম্যাচগুলো আয়োজনের জন্য প্রত্যেক দেশের অন্যতম সর্বাধিক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামগুলোতে বেছে নেওয়া হয়েছিল; ইংল্যান্ডের লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামটি এই আসরের একটি সেমিফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের পাশাপাশি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল ম্যাচের আয়োজন করবে (ইতিপূর্বে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ১৯৯৬ সালের চেক প্রজাতন্ত্র এবং জার্মানির মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে)। এই আসরের উদ্বোধনী ম্যাচটি রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে স্বাগতিক ইতালি তুরস্কের মুখোমুখি হয়েছে। মূলত ১৩টি মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তবে পরবর্তীকালে দুই স্বাগতিক দেশকে অপসারণ করা হয়েছিল: ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্রাসেল্সের ইউরোস্টেডিয়াম নির্মাণের বিলম্বের কারণে[৫] ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে দর্শকরা উপস্থিত থাকতে পারবেন এমন কোন অনিশ্চয়তার কারণে ডাবলিনকে অপসারণ করা হয়েছিল। স্পেন তাদের আয়োজক শহর বিলবাও থেকে সেভিয়ায় পরিবর্তন করে ম্যাচে দর্শকের উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছিল।[৬]
পর্তুগাল উয়েফা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৬ সালে ফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছে। উয়েফা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই আসরে ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।[৭] ফাইনালের অতিরিক্ত সময় শেষে ১–১ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টি শুট-আউটে ইতালি ইংল্যান্ডকে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে ১৯৬৮ সালের পর প্রথম, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছে।[৮][৯][১০]
বেশ কিছু দেশ উয়েফা ইউরোর এই আসরটি আয়োজন করা আগ্রহ প্রকাশ করার পর,[১১][১২][১৩][১৪][১৫][১৬][১৭][১৮] উয়েফা ইউরো ২০১২ ফাইনালের আগের দিন ২০১২ সালের ৩০শে জুন তারিখে উয়েফার তৎকালীন সভাপতি মিশেল প্লাতিনি এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, যেখানে তিনি ঘোষণা দেন যে, এই আসরটি একটি নির্দিষ্ট দেশে আয়োজন করার পরিবর্তে (অথবা দুই-তিনটি দেশ মিলিয়ে আয়োজন করার পরিবর্তে) "১২ অথবা ১৩টি শহর মিলিয়ে আয়োজন করা হতে পারে।[১৯] ইতিমধ্যে উয়েফা উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের এলিট পর্বে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে, যেখানে এলিট পর্বের ৭টি গ্রুপের খেলা ভিন্ন ভিন্ন দেশে আয়োজন করা হয়েছে।
২০১২ সালের ৬ই ডিসেম্বর তারিখে, উয়েফা ঘোষণা করেছিল যে এই প্রতিযোগিতার ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ইউরোপের একাধিক শহরে এই আসরটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।[২০][২১] এই আসরের ক্ষেত্রে আয়োজক দেশভিত্তিক জাতীয় দলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি।
উয়েফা জানিয়েছিল যে প্যান-ইউরোপে এই আসরের মঞ্চায়ন ইউরোপীয় ঋণ সংকটের সময় এক যৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছিল।[২২][২৩] এই আসরভিত্তিক উয়েফার পরিকল্পনা পুরো ইউরোপ জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করেছিল।[২৪] ক্রীড়া সমালোচকরা এই আসরের বর্ধিত বিন্যাস (১৬ দেশের মধ্যকার ৩১টি ম্যাচ হতে ২৪ দেশের মধ্যকার ৫১টি ম্যাচ) এবং এর সাথে সংযুক্ত অতিরিক্ত ব্যয়কে কেবলমাত্র একটি দেশের (তুরস্ক) গুরুতর নিলাম-ডাককে কেন্দ্র করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।[২৫]
২০১৪ সালের ২৬শে এপ্রিল তারিখে উয়েফা নিলাম-ডাকের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছিল এবং একই বছরের ১৯শে সেপ্টেম্বর তারিখে উয়েফার কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর আয়োজক শহরসমূহের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। চূড়ান্ত প্যাকেজের জন্য (যার মধ্যে দুটি সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করা অন্তর্ভুক্ত) কেবলমাত্র দুটি (যার মধ্যে একটি সফল হয়েছে, যেটি নিম্নে উল্লেখিত টেবিলে নীল রঙ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে) এবং সাধারণ প্যাকেজের জন্য ১৯টি নিলাম-ডাক ছিল (প্রাথমিকভাবে যার মধ্য হতে ১২টি সফল হয়েছিল, নিম্নে উল্লেখিত টেবিলে সবুজ রঙ দ্বারা গ্রুপ পর্ব ও কোয়ার্টার ফাইনালের আয়োজক এবং হলুদ রঙ দ্বারা গ্রুপ পর্ব ও ১৬ দলের পর্ব চিহ্নিত করা হয়েছে); ব্রাসেলস প্রাথমিকভাবে একটি আয়োজক শহর হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৭ই ডিসেম্বর তারিখে উয়েফা উক্ত শহরটির মাঠকে তালিকা থেকে অপসারণ করে এবং উক্ত মাঠে নির্ধারিত সকল ম্যাচ লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্থানান্তরিত করে।[২৬][২৭][২৮]
লাল রঙে চিহ্নিত প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছিল, কিন্তু ২০২১ সালের ২৩শে এপ্রিল ২০২১ উয়েফা কর্তৃক প্রকাশিত মাঠের তালিকা থেকে অপসারিত হয়েছিল। একই দিনে, উয়েফা আরো ঘোষণা করেছিল যে, স্পেনে অনুষ্ঠিত সকল ম্যাচ বিলবাও থেকে সেভিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছিল।[৬]
দেশ | শহর | মাঠ | ধারণক্ষমতা | প্যাকেজ | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|
আজারবাইজান | বাকু | বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৬৮,৭০০ | সাধারণ | গ্রুপ পর্ব এবং কোয়ার্টার ফাইনাল |
বেলারুশ | মিন্স্ক | দিনামো স্টেডিয়াম | ৩৪,০০০ (৩৯,০০০-এ বর্ধিত) | সাধারণ | প্রত্যাখ্যাত |
বেলজিয়াম | ব্রাসেল্স | ইউরোস্টেডিয়াম (প্রস্তাবিত নতুন জাতীয় স্টেডিয়াম) |
৫০,০০০ (সম্ভাব্য ৬২,৬১৩) | সাধারণ | গ্রুপ পর্ব এবং ১৬ দলের পর্ব (পরবর্তীতে বাতিল) |
বুলগেরিয়া | সফিয়া | ভাসিল লেভস্কি জাতীয় স্টেডিয়াম | ৪৩,০০০ (৫০,০০০-এ বর্ধিত) | সাধারণ | প্রত্যাখ্যাত |
ডেনমার্ক | কোপেনহেগেন | পার্কেন স্টেডিয়াম | ৩৮,০৬৫ | সাধারণ | গ্রুপ পর্ব এবং ১৬ দলের পর্ব |
ইংল্যান্ড | লন্ডন | ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম | ৯০,০০০ | চূড়ান্ত (সাধারণ থেকে অপসারিত) |
সেমি ফাইনাল এবং ফাইনাল; গ্রুপ পর্ব এবং ১৬ দলের পর্ব (পরবর্তীতে সংযোজন) |
জার্মানি | মিউনিখ | আলিয়ানৎস আরেনা | ৭৫,০০০ | সাধারণ, চূড়ান্ত | গ্রুপ পর্ব এবং কোয়ার্টার ফাইনাল |
হাঙ্গেরি | বুদাপেস্ট | পুস্কাস এরিনা | ৫৬,০০০ (প্রস্তাবিত ৬৭,২১৫) | সাধারণ | গ্রুপ পর্ব এবং ১৬ দলের পর্ব |
ইসরায়েল | জেরুসালেম | টেডি স্টেডিয়াম | ৩৪,০০০ (৫৩,০০০-এ বর্ধিত) | সাধারণ | প্রত্যাখ্যাত |
ইতালি | রোম | স্তাদিও অলিম্পিকো | ৭২,৬৯৮ | সাধারণ | গ্রুপ পর্ব এবং কোয়ার্টার ফাইনাল |
ম্যাসেডোনিয়া | স্কোপিয়ে | টোশে প্রোয়েস্কি এরিনা | ৩৩,৪৬০ | সাধারণ | প্রত্যাখ্যাত |
নেদারল্যান্ডস | আমস্টারডাম | ইয়োহান ক্রুইফ এরিনা | ৫৪,৯৯০ (৫৬,০০০-এ বর্ধিত) | সাধারণ | গ্রুপ পর্ব এবং ১৬ দলের পর্ব |
প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড | ডাবলিন | অ্যাভিভা স্টেডিয়াম | ৫১,৭০০ | সাধারণ | গ্রুপ পর্ব এবং ১৬ দলের পর্ব |
রোমানিয়া | বুখারেস্ট | এরিনা নাৎসিয়োনালা | ৫৫,৬০০ | সাধারণ | গ্রুপ পর্ব এবং ১৬ দলের পর্ব |
রাশিয়া | সেন্ট পিটার্সবার্গ | ক্রেস্তভস্কি স্টেডিয়াম | ৬৮,১৩৪ | সাধারণ | গ্রুপ পর্ব এবং কোয়ার্টার ফাইনাল |
স্কটল্যান্ড | গ্লাসগো | হ্যাম্পটন পার্ক | ৫২,০৬৩ | সাধারণ | গ্রুপ পর্ব এবং ১৬ দলের পর্ব |
স্পেন | বিলবাও | সান মামেস স্টেডিয়াম | ৫৩,৩৩২ | সাধারণ | গ্রুপ পর্ব এবং ১৬ দলের পর্ব (পরবর্তীকালে সেভিয়ার লা কার্তুহা স্টেডিয়ামে স্থানান্তরিত) |
সুইডেন | স্টকহোম | ফ্রেন্ডস এরিনা | ৫৪,৩২৯ | সাধারণ | অপনীত |
ওয়েলস | কার্ডিফ | মিলেনিয়াম স্টেডিয়াম | ৭৪,৫০০ | সাধারণ | অপনীত |
২০২০ সালের শুরুর দিকে, ইউরোপে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে উয়েফা এই আসরের ১২টি আয়োজক শহর, খেলোয়াড়, কর্মী এবং দর্শকদের উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।[২৯] একই বছরের মার্চের শুরুর দিকে উয়েফা কংগ্রেসে উয়েফার সভাপতি আলেকসান্দার চেফেরিন বলেছিলেন যে সংস্থাটি উক্ত পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী, অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক থেওদোর থেওদোরিদিস জানিয়েছিলেন যে উয়েফা করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আয়োজক দেশগুলোর সরকারগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে।[৩০] একই মাসের শেষের দিকে ফুটবলে করোনাভাইরাসের প্রভাব আরও বেড়ে যায়, যার ফলস্বরুপ বেশ কয়েকটি ঘরোয়া লীগ এবং উয়েফা প্রতিযোগিতা দর্শকশূন্য মাঠে আয়োজন করা শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালের ১৩ই মার্চ তারিখে, উয়েফা আসন্ন প্রতিযোগিতামূলক সকল খেলা স্থগিত ঘোষণা করে; একই সাথে ইউরোপের শীর্ষ লীগগুলো স্থগিত ঘোষণা করা হয়, যার মধ্যে বুন্দেসলিগা, লা লিগা, লীগ ১, প্রিমিয়ার লীগ এবং সেরিয়ে আ অন্যতম।[৩১]
২০২০ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে, ২০২০ সালের ইউরো প্রতিযোগিতাসহ দেশীয় এবং ইউরোপীয় সকল প্রতিযোগিতায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য উয়েফা ফিফপ্রোর একজন প্রতিনিধি, উয়েফাভুক্ত ৫৫ সদস্য, ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন এবং ইউরোপীয় লীগের বোর্ডের সাথে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করে।[৩২] উক্ত সভা শেষে, উয়েফা ঘোষণা করে যে, উয়েফা ইউরো এই আসরটি এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল এবং একই সাথে তারা ২০২১ সালের ১১ই জুন হতে ১১ই জুলাই পর্যন্ত এই আসরটি আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করে।[৩৩] এই স্থগিতাদেশটি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সরকারী সেবায় চাপ হ্রাস করতে সাহায্য করার পাশাপাশি করোনাভাইরাসের প্রভাব কিছুটা কমে এলে স্থগিত হওয়া ইউরোপীয় দেশগুলোর ঘরোয়া লীগগুলো সমাপ্ত করার সুযোগ করে দিয়েছিল।[২] এর পরের দিন, ফিফা কাউন্সিলের দফতর ফিফাভুক্ত আন্তর্জাতিক খেলার পঞ্জিকায় সকল খেলার তারিখ পরিবর্তনের অনুমোদন দেয়। এর ফলস্বরূপ, ২৪ দলের সমন্বয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের (যা ২০২০ সালের জুন হতে জুলাই মাসের মধ্যে আয়োজনের কথা ছিল) সময়সূচী পুনরায় নির্ধারণ করা হয়েছিল।[৩৪] ২০২০ সালের ২৩শে এপ্রিল তারিখে, উয়েফা নিশ্চিত করেছিল যে, এই আসরটির নাম পরিবর্তন করা হবে না; অর্থাৎ এই আসরটি উয়েফা ইউরো ২০২০ নামেই আয়োজন করা হয়েছে।[৩]
২০২০ সালের মে মাসে, চেফেরিন বলেছিলেন যে পূর্বে নির্ধারিতভাবেই এই আসরটি ১২টি নির্বাচিত আয়োজক শহর আয়োজন করবে। তবে, তিনি শহরের সংখ্যা হ্রাস করার সম্ভাবনাটি অস্বীকার করেননি, কারণ তিনটি আয়োজক শহর নতুন সময়সূচীর অধীনে ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে কিনা তা সম্পর্কে অনিশ্চিত।[৩৫]
২০২০ সালের মে মাসে, আলেকসান্দের চেফেরিন বলেছিলেন যে, নীতিগতভাবে এই আসরটি নির্বাচিত ১২টি আয়োজক শহরে অনুষ্ঠিত হবে। তবে, তিনি শহরের সংখ্যা হ্রাস করার সম্ভাবনা অস্বীকার করেননি, কারণ তিনটি স্বাগতিক দেশ নতুন সময়সূচীর অধীনে ম্যাচ অনুষ্ঠিত করতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত ছিল না।[৩৫] ২০২০ সালের ১৭ই জুন তারিখে, উয়েফা নির্বাহী কমিটি তাদের বৈঠকে এই আসরের মাঠ ও খেলার সময়সূচী পর্যালোচনা করেছিল।[৩৬] উক্ত সভায় উয়েফা নিশ্চিত করেছিল যে, ২০২১ সালে এই আসরের আয়োজক হিসেবে ১২টি মূল আয়োজক মাথই থাকবে এবং একই সাথে উয়েফা সংশোধিত ম্যাচের সময়সূচী অনুমোদন করেছিল।[৩৭][৩৮] তবে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে চেফেরিনবলেছিলেন যে, এখনও সম্ভব যে পরিকল্পিত ১২টি আয়োজক দেশের তুলনায় কম দেশে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে পারে।[৩৯] পরবর্তী মাসে, উয়েফা জানিয়েছিল যে তারা "এই বছরের শুরুতে নিশ্চিত করা মাঠ ও বিন্যাসে ইউরো ২০২০ আয়োজন করতে চাই এবং আমরা প্রস্তুতির জন্য সমস্ত আয়োজক শহরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি"।[৪০] এছাড়াও ঘোষণা করা হয়েছিল যে, প্রত্যেক আয়োজক মাঠে পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন, ১০০% থেকে ৫০% ধারণক্ষমতার মধ্যে, ৩৩% ধারণক্ষমতা সম্পন্ন অথবা বিনা দর্শকের উপস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে কিনা এই বিষয়ে উয়েফা এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করছেন। প্রতিটি আয়োজক শহরকে চারটি বিকল্প থেকে দুই অথবা তিনটি পরিকল্পনা রাখতে বলা হয়েছিল। এই বিধিনিষেধে কেবল স্থানীয় দর্শকদের ম্যাচে অনুমতি দেওয়া হতে পারে। প্রতিটি মাঠে কোন দৃশ্যপট পৃথকভাবে প্রয়োগ করা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মূলত ২০২১ সালের ৫ই মার্চ তারিখে নেওয়া হয়েছিল।[৪১][৪২] ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে, এক ঘোষণায় জানানো হয়েছিল যে ২০২০-এর নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের কারণে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান উয়েফার ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে না।[৪৩] তবে, এটি বাকুতে অনুষ্ঠিত ইউরো ২০২০ ম্যাচের পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করবে না।[৪৪] ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে, দেশদ্বয়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।[৪৫]
নববর্ষের এক সাক্ষাৎকারে চেফেরিন বলেছিলেন, "টিকা প্রদান শুরু হয়েছে এবং আমি মনে করি গ্রীষ্মে আমরা পূর্ণ অবস্থান নিতে সক্ষম হব। আপাতত, পরিকল্পনাটি হচ্ছে ১২টি দেশে এই আসর আয়োজন করার। অবশ্যই, কোন দেশের সমস্যা হলে তাদের বিকল্প রয়েছে। আমরা এগারো, দশ বা নয়টি শহরে এই আসর আয়োজন করতে প্রস্তুত... এবং এমনকি শুধুমাত্র একটি দেশেও (যদি প্রয়োজন হয়) আয়োজন করতে প্রস্তুত। তবে, আমি ৯৯.৯ শতাংশ নিশ্চিত যে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী বারোটি শহরে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ করব।"[৪৬][৪৭] ২০২১ সালের ২৭শে জানুয়ারি তারিখে, উয়েফা আয়োজক অ্যাসোসিয়েশনের সাথে এই আসরের আয়োজন বিষয়ে আলোচনা করে এবং পুনরায় নিশ্চিত করে যে এই আসরটি বারোটি শহর জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে।[৪৮] আয়োজকদের মাঠের ধারণক্ষমতার পরিকল্পনা জমা দেওয়ার সময়সীমা ২০২১ সালের ৭ই এপ্রিল তারিখে স্থানান্তরিত করা হয়[৪৯] এবং জানানো হয়েছিল যে ১৯শে এপ্রিল তারিখে আয়োজক শহর এবং দর্শকদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।[৫০] উয়েফা পরবর্তী দিন ঘোষণা করেছিল যে সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল অফিস অফ পাবলিক হেলথের সংক্রামক রোগের প্রাক্তন প্রধান ড্যানিয়েল কোচ কোভিড-১৯ মহামারী সম্পর্কিত বিষয়ে এই আসরের চিকিৎসা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।[৫১] ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দেশটিতে এই আসরের কিছু ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল, যেখানে টিকাকরণের হার বেশি ছিল। তবে, উয়েফা দ্বারা এটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল, যা বারোটি আয়োজক শহরের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করে।[৫২] ২০২১ সালের মার্চ মাসে এক সাক্ষাৎকারে চেফেরিন বলেছিলেন, "আমাদের বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে, কিন্তু আমরা প্রতিশ্রুতি দিতে পারি যে, খালি স্টেডিয়ামে ইউরো ২০২০-এর কোনো ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আমাদের নেই। প্রত্যেক আয়োজককে অবশ্যই প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তাদের খেলায় দর্শক উপস্থিত থাকবে।" উয়েফা পরবর্তীকালে বলেছিল যে, যদি তারা বিনা দর্শকের উপস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় তবে কোন আয়োজক শহর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ দেওয়া হবে না। তবে, উয়েফা বিবেচনা করবে যে দর্শক ছাড়া ম্যাচ খেলা অর্থবহ হবে কিনা অথবা উক্ত ম্যাচগুলো ভিন্ন মাঠে আয়োজন করা উচিত কিনা।[৫৩] একই মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন উয়েফাকে ইংল্যান্ডে এই আসরের অতিরিক্ত ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দেন।[৫৪]
২০২১ সালের ৯ই এপ্রিল তারিখে, উয়েফা এক ঘোষণায় জানিয়েছিল যে, এই আসরের মূল বারোটি আয়োজকদের মধ্যে আটটি আয়োজক তাদের দর্শক পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছিল, যেখানে তারা স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার ২৫% থেকে ১০০% পর্যন্ত পূর্ণ করবে। শুধুমাত্র বিলবাও, ডাবলিন, মিউনিখ এবং রোম তখনো তাদের পরিকল্পনা জমা দিতে পারেনি, প্রতিটি আয়োজককে মূলত তাদের স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা জমা দেওয়ার জন্য ১৯শে এপ্রিল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। [৫৫] ১৪ই এপ্রিল তারিখে উয়েফা জানিয়েছিল করে যে, রোম এই প্রতিযোগিতার জন্য দর্শকদের নিশ্চয়তা প্রদান করেছে এবং তাই এটিকে আয়োজক হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে।[৫৬] ১৯শে এপ্রিল তারিখে জানানো হয়েছিল যে, অবশিষ্ট তিন স্বাগতিকের ২৩শে এপ্রিল পর্যন্ত আরেকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল, তবে এরপর উয়েফা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।[৫৭] টিকেট বিক্রয়ের বিস্তারিত চূড়ান্ত করার প্রয়োজনীয়তার কারণে আয়োজক শহরগুলোর কাছে ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত সময় থাকবে, যার মধ্যে দর্শকের সীমা অপরিবর্তিত রাখা হবে নাকি তাদের অনুমোদিত ধারণক্ষমতা বর্ধিত করা হবে সে বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।[৫৮]
২৩শে এপ্রিল, উয়েফা জানিয়েছিল যে সেভিয়া বিলবাওকে এই আসরের আয়োজক হিসেবে প্রতিস্থাপন করবে, অন্যদিকে ডাবলিনের অনুষ্ঠিতব্য গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং ১৬ দলের পর্বের ম্যাচগুলো লন্ডনে পুনরায় স্থাপন করা হবে।[৬] প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ডে কোভিড-১৯ এর মহামারীর কারণে আয়ারল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, আয়ারল্যান্ড সরকার এবং ডাবলিন সিটি কাউন্সিলের কাছ থেকে স্টেডিয়ামে দর্শকের প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার আশ্বাস পেতে সক্ষম হয়নি।.[৫৯][৬০][৬১] এদিকে, রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছিল যে বাস্ক সরকার বিলবাওয়ে ম্যাচ আয়োজনের জন্য যে পরিচ্ছন্ন শর্ত আরোপ করেছে তা "মেনে চলা অসম্ভব" এবং এর ফলে দর্শকদের মাঠে উপস্থিত থাকার অনুমতি পাওয়া অসম্ভব।[৬২] আয়োজকের পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর বিলবাও সিটি কাউন্সিল জানিয়েছিল যে, তারা উয়েফা এবং রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনকে "এই আসরটি আয়োজন না করার ক্ষেত্রে আমরা সরাসরি দায়ী করি এবং আমাদের চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক থেকে একতরফাভাবে বাতিল করা হয়েছে" এবং এর ফলে আর্থিক ক্ষতিপূরণের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল।[৬৩]
এছাড়াও ২৩শে এপ্রিল তারিখে, উয়েফা জানিয়েছিলযে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মিউনিখে নির্ধারিত ম্যাচগুলোর জন্য "সর্বনিম্ন ১৪,৫০০ দর্শকের উপস্থিতি" নিশ্চিত করেছে, যার ফলে চারটি খেলার আয়োজক হিসেবে তাদের নিশ্চিত করা হয়েছে।[৬] তবে বাভারিয়ার আঞ্চলিক সরকার এবং জার্মান অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় উভয়ই পরবর্তীকালে তাদের অবস্থান পুনরায় ব্যক্ত করেছিল যে, এ ধরনের কোন নিশ্চয়তা নেই এবং দর্শকদের প্রবেশাধিকার এই আসরের সময় মহামারী পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।[৬৪] এর কিছুদিন পর উয়েফার প্রেসিডেন্ট চেফেরিন একটি জার্মান সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি অস্বীকার করেছিলেন যে উয়েফা দর্শকদের সাথে খেলার নিশ্চয়তা দাবি করেছে এবং স্বীকার করেছিলেন যে, "দর্শকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে কি না, তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ খেলার পূর্বে সিদ্ধান্ত নেবে।"[৬৫][৬৬]
২০২১ সালের ৩১শে মার্চ তারিখে উয়েফা নির্বাহী কমিটি এই আসরের ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচটি খেলোয়াড় বদল করার অনুমোদন দেয় (অতিরিক্ত সময়ে ষষ্ঠ খেলোয়াড় বদল করা অনুমোদিত)।[৬৭] তবে, প্রত্যেক দলকে খেলোয়াড় বদলের জন্য মাত্র তিনটি সুযোগ দেওয়া হয়, অতিরিক্ত সময়ে চতুর্থ সুযোগ দেওয়া হয়; যেখানে প্রথমার্ধ শেষে করা প্রতিস্থাপন, অতিরিক্ত সময় শুরুর পূর্বে এবং অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষে বদল করা খেলোয়াড় গণনা করা হয় না।[৬৮] এর ফলে ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড পাঁচটি বদলি খেলোয়াড় ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল, যা খেলোয়াড়দের উপর আরও বেশি বোঝা তৈরি করেছিল।[৬৯]
এপ্রিল মাসের শুরুতে, উয়েফা আরও জানিয়েছিল যে, একটি দলে সম্ভাব্য করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে জাতীয় দলের ম্যানেজারের আহ্বানের পরে তারা এই আসরে অংশগ্রহণকারী দলের খেলোয়াড়ের সংখ্যা সাধারণ ২৩ জন হতে সম্প্রসারিত করায় অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে, এর পাশাপাশি উয়েফা পূর্ববর্তী মৌসুমের ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে খেলোয়াড়দের ক্লান্তি হ্রাস করার কথা বিবেচনা করছে।[৭০] ২৭শে এপ্রিল তারিখে উয়েফার জাতীয় দল প্রতিযোগিতা কমিটি ২৬ জন খেলোয়াড়ের দলে সম্প্রসারণের অনুমোদন দেয় বলে উয়েফা নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছিল।[৭১] ৪ঠা মে তারিখে নির্বাহী কমিটি ২৬ খেলোয়াড়ের দল ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে, খেলার আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দলগুলো এখনো প্রতিটি আসরের সময়সূচীর জন্য ম্যাচ শিটে সর্বাধিক ২৩ জন খেলোয়াড়ের নাম বলতে পারে (যার মধ্যে ১২ জন বদলি খেলোয়াড় থাকবে)। এছাড়াও ঘোষণা করা হয়েছিল যে, প্রতিটি দলের প্রথম ম্যাচের পর, শারীরিক অসুস্থতার কারণে গোলরক্ষকদের প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে, এমনকি যদি দলে অন্যান্য গোলরক্ষক উপলব্ধ থাকে।[৭২]
২০২১ সালের ৪ঠা মে তারিখে, উয়েফা নির্বাহী কমিটি ইউরোপে কোভিড-১৯ এর মহামারীর কারণে চূড়ান্ত পর্বের জন্য বিশেষ নিয়ম অনুমোদন করেছিল:[৭২][৭৩]
এই আসরে আয়োজক দেশের স্বয়ংক্রিয়ভাবে চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করার পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছিল, যার ফলস্বরুপ উয়েফাভুক্ত ৫৫টি জাতীয় দল (যার মধ্যে ১২টি আয়োজক দেশের জাতীয় দল অন্তর্ভুক্ত) চূড়ান্ত পর্বে বিদ্যমান ২৪টি স্থানের জন্য বাছাইপর্বে লড়াই করেছিল।[৭৪][৭৫] ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উয়েফা কর্তৃক আয়োজক শহর নির্ধারণ করা সত্ত্বেও বাছাইপর্বে অংশগ্রহণকারী কোন আয়োজক দেশের জাতীয় দল চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলেও উক্ত শহরের আয়োজক হওয়ার অধিকার পরিবর্তন করা হবে না।
২০১৮ সালের ২রা ডিসেম্বর তারিখে প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের কনভেনশন সেন্টার ডাবলিনে এই আসরের বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৭৬]
এই আসরের মূল বাছাইপর্ব ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের পরপর একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের পরিবর্তে ২০১৯ সালে মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল এবং একই বছরের নভেম্বর মাসে শেষ হয়েছিল। বাছাইপর্বের বিন্যাসটি পূর্ববর্তী আসরের মতোই ছিল, যদিও চূড়ান্ত পর্বে বিদ্যমান ২৪টি স্থানের মধ্যে কেবল ২০টি মূল বাছাইপর্ব শেষে নিধারিত হয়েছিল; অবশিষ্ট ৪টি স্থানের দল নির্ধারণ এখনো বাকি রয়েছ। ২০১৬ সালের মে মাসে উয়েফায় কসোভো ফুটবল দলের অন্তর্ভুক্তির পরে ঘোষণা করা হয়েছিল যে উয়েফা নেশনস লীগের সমাপ্তির পর তৎকালীন উয়েফাভুক্ত ৫৫টি জাতীয় দলকে ১০টি গ্রুপে (৫ দলবিশিষ্ট ৫টি গ্রুপ এবং ৬ দলবিশিষ্ট ৫টি গ্রুপ, যার মধ্যে উয়েফা নেশনস লীগের চূড়ান্ত পর্বের ৪টি দল নিশ্চিতভাবে ৫ দলবিশিষ্ট গ্রুপে অবস্থান করবে) বিভক্ত করা হবে, যার মধ্য হতে প্রত্যেক গ্রুপ শীর্ষ ২টি দল চূড়ান্ত পর্বে প্রবেশ করবে। বাছাইপর্বের খেলাগুলো ২০১৯ সালের মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে দ্বৈত ম্যাচডে-তে আয়োজন করা হয়েছিল।[৭৭]
২০১৮ সালে শুরু হওয়া উয়েফা নেশনস লীগ তৈরির পর পর,[৭৭][৭৮][৭৯][৮০] ২০১৮–১৯ উয়েফা নেশনস লীগ ইউরো বাছাইয়ের সাথে যুক্ত ছিল, যা উক্ত লীগে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে এই আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জনের আরেকটি সুযোগ দিয়েছিল। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ উত্তীর্ণ না হওয়া প্রতিটি বিভাগ হতে চারটি দল প্রতিটি বিভাগের প্লে-অফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। দুটি সেমি ফাইনাল (পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল বনাম পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ দল এবং পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় দল বনাম পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় দল) খেলার মাধ্যমে প্রতিটি বিভাগের জন্য প্লে অফের বিজয়ী হিসেবে নির্ধারণ করা হবে। অতঃপর উক্ত সেমি ফাইনালে বিজয়ী দুই দলের মধ্যে একটি ফাইনাল খেলার (যার মাঠ সেমি ফাইনালে বিজয়ী দলের মধ্যে নির্ধারণ করা হবে) আয়োজন করা হবে, উক্ত খেলায় বিজয়ী দল ইতিমধ্যে এই আসরের জন্য উত্তীর্ণ ২০টি দলের সাথে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।[৮০]
এই আসরে জন্য উত্তীর্ণ ২৪টি দলের মধ্যে ১৯টি দল ২০১৬ সালে অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে বেলজিয়াম এবং ইতালি রয়েছে, যারা উভয়েই অপরাজিত থেকে (১০ ম্যাচে ১০টি জয়) চূড়ান্ত পর্বের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল,[৮১][৮২] গত আসরের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবং জার্মানি রেকর্ড টানা ১৩তম সরাসরি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।[৮৩] ফিনল্যান্ড এবং উত্তর মেসিডোনিয়া এই আসরে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক করেছে, এর পূর্বে তারা কোন বড় প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য উত্তীর্ণ হয়নি।[৮৪][৮৫] এই আসরের সহ-আয়োজক স্কটল্যান্ড ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো বড় কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা এবং ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।[৮৬] নেদারল্যান্ডস এবং ডেনমার্ক ২০১৬ সালে বাদ পড়ার পর পুনরায় ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে উত্তীর্ণ হয়েছিল, এটি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের পর নেদারল্যান্ডসের প্রথমবারের মতো বড় কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।[৮৭][৮৮] প্রথমবারের মতো অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া এবং ওয়েলস টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের অংশগ্রহণ করেছিল।[৮৯][৯০] ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন গ্রিস একমাত্র প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন, যারা এই আসরে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছিল, এটি তাদের টানা দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং টানা তৃতীয় বড় প্রতিযোগিতা যেখানে তারা উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছিল।[৯১] আলবেনিয়া, আইসল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড এবং রোমানিয়া ২০১৬ সালের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করলেও এই আসরে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছিল।[৯২]
১১টি আয়োজক দেশের মধ্যে ৭টি সরাসরিভাবে এই আসরে অংশগ্রহণ করার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল, অন্যদিকে হাঙ্গেরি ও স্কটল্যান্ড প্লে-অফের মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়েছিল। প্লে-অফের সেমি-ফাইনালে রোমানিয়া বাদ পড়েছিল।[৯৩] এবং আজারবাইজান বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল।[৯৪] মূলত এই আসরের আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ডও প্লে-অফের সেমি-ফাইনালে বাদ পড়েছিল,[৯৩] কিন্তু পরবর্তীকালে তাদের আয়োজক অধিকার অপসারণ করা হয়েছিল।
দল[ক] | মাধ্যম | তারিখ | অংশগ্রহণ[খ] |
---|---|---|---|
বেলজিয়াম | গ্রুপ আই চ্যাম্পিয়ন | ১০ অক্টোবর ২০১৯ | ৫ (১৯৭২, ১৯৮০, ১৯৮৪, ২০০০, ২০১৬) |
ইতালি | গ্রুপ জে চ্যাম্পিয়ন | ১২ অক্টোবর ২০১৯ | ৯ (১৯৬৮, ১৯৮০, ১৯৮৮, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬) |
রাশিয়া[গ] | গ্রুপ আই রানার-আপ | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ | ১১ (১৯৬০, ১৯৬৪, ১৯৬৮, ১৯৭২, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬) |
পোল্যান্ড | গ্রুপ জি চ্যাম্পিয়ন | ১৩ অক্টোবর ২০১৯ | ৩ (২০০৮, ২০১২, ২০১৬) |
ইউক্রেন | গ্রুপ বি চ্যাম্পিয়ন | ১৪ অক্টোবর ২০১৯ | ২ (২০১২, ২০১৬) |
স্পেন | গ্রুপ এফ চ্যাম্পিয়ন | ১৫ অক্টোবর ২০১৯ | ১০ (১৯৬৪, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬) |
ফ্রান্স | গ্রুপ এইচ চ্যাম্পিয়ন | ১৪ নভেম্বর ২০১৯ | ৯ (১৯৬০, ১৯৮৪, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬) |
তুরস্ক | গ্রুপ এইচ রানার-আপ | ১৪ নভেম্বর ২০১৯ | ৪ (১৯৯৬, ২০০০, ২০০৮, ২০১৬) |
ইংল্যান্ড | গ্রুপ এ চ্যাম্পিয়ন | ১৪ নভেম্বর ২০১৯ | ৯ (১৯৬৮, ১৯৮০, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০১২, ২০১৬) |
চেক প্রজাতন্ত্র[ঘ] | গ্রুপ এ রানার-আপ | ১৪ নভেম্বর ২০১৯ | ৯ (১৯৬০, ১৯৭৬, ১৯৮০, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬) |
ফিনল্যান্ড | গ্রুপ জে রানার-আপ | ১৫ নভেম্বর ২০১৯ | ০ (অভিষেক) |
সুইডেন | গ্রুপ এফ রানার-আপ | ১৫ নভেম্বর ২০১৯ | ৬ (১৯৯২, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬) |
ক্রোয়েশিয়া | গ্রুপ ই চ্যাম্পিয়ন | ১৬ নভেম্বর ২০১৯ | ৫ (১৯৯৬, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬) |
অস্ট্রিয়া | গ্রুপ জি রানার-আপ | ১৬ নভেম্বর ২০১৯ | ২ (২০০৮, ২০১৬) |
নেদারল্যান্ডস | গ্রুপ সি রানার-আপ | ১৬ নভেম্বর ২০১৯ | ৯ (১৯৭৬, ১৯৮০, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২) |
জার্মানি[ঙ] | গ্রুপ সি চ্যাম্পিয়ন | ১৬ নভেম্বর ২০১৯ | ১২ (১৯৭২, ১৯৭৬, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬) |
পর্তুগাল | গ্রুপ বি রানার-আপ | ১৭ নভেম্বর ২০১৯ | ৭ (১৯৮৪, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০০৮, ২০১২, ২০১৬) |
সুইজারল্যান্ড | গ্রুপ ডি চ্যাম্পিয়ন | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ | ৪ (১৯৯৬, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৬) |
ডেনমার্ক | গ্রুপ ডি রানার-আপ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯ | ৮ (১৯৬৪, ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০০, ২০০৪, ২০১২) |
ওয়েলস | গ্রুপ ই রানার-আপ | ১৯ নভেম্বর ২০১৯ | ১ (২০১৬) |
উত্তর মেসিডোনিয়া | প্লে-অফ পথ ডি চ্যাম্পিয়ন | ১২ নভেম্বর ২০২০ | ০ (অভিষেক) |
হাঙ্গেরি | প্লে-অফ পথ এ চ্যাম্পিয়ন | ১২ নভেম্বর ২০২০ | ৩ (১৯৬৪, ১৯৭২, ২০১৬) |
স্লোভাকিয়া | প্লে-অফ পথ বি চ্যাম্পিয়ন | ১২ নভেম্বর ২০২০ | ১ (২০১৬) |
স্কটল্যান্ড | প্লে-অফ পথ সি চ্যাম্পিয়ন | ১২ নভেম্বর ২০২০ | ২ (১৯৯২, ১৯৯৬) |
২০১৪ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর তারিখে উয়েফা ১৩টি মাঠ নির্বাচন ও ঘোষণা করেছিল।[৯৫] তবে ইউরোস্টেডিয়াম নির্মাণে বিলম্বের কারণে উয়েফা নির্বাহী কমিটি ২০১৭ সালের ৭ই ডিসেম্বর তারিখে ব্রাসেল্সকে স্বাগতিক শহরের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। ব্রাসেল্সে প্রাথমিকভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চারটি ম্যাচ (গ্রুপ পর্বের ৩টি, ১৬ দলের পর্বের ১টি) লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে পুনরায় স্থাপন করা হয়েছিল।[৫] ২০২১ সালের ২৩শে এপ্রিল তারিখে উয়েফা জানিয়েছিল যে, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দর্শকদের ব্যাপারে অনিশ্চয়তার জন্য ডাবলিনের আভিভা স্টেডিয়ামকে এই আসরের আয়োজকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচের জন্য সেন্ট পিটার্সবার্গের ক্রেস্তভস্কি স্টেডিয়াম এবং লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ১৬ দলের পর্বের সময়সূচীর চারটি ম্যাচ পুনরায় নির্ধারণ করা হয়েছিল। একইভাবে, উয়েফা স্পেনের চারটি ম্যাচ বিলবাওয়ের সান মামেস স্টেডিয়াম হতে সেভিয়ার লা কার্তুহা স্টেডিয়ামে স্থানান্তর করা হয়েছিল।[৬]
২০১৭ সালের ৭ই ডিসেম্বর তারিখে, এক ঘোষণায় জানানো হয়েছিল যে উদ্বোধনী ম্যাচটি রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় অনুষ্ঠিত হবে, যা আমস্টারডাম, গ্লাসগো এবং সেন্ট পিটার্সবার্গের পরিবর্তে নির্বাচন করা হয়েছিল। উয়েফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, যদি তারা চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়, তবে উদ্বোধনী ম্যাচে ইতালি অংশগ্রহণ করবে।[৫][৯৬]
নির্বাচিত ১১টি শহর ও দেশের মধ্যে ৭টি শহর এবং ৬টি দেশ ইতিপূর্বে কখনও ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বের ম্যাচ আয়োজন করেনি। ১৯৬৪ সালের ইউরোপিয়ান নেশন্স কাপের আয়োজন করার সময় সেভিয়ার কোন মাঠ ছিল না এবং আজারবাইজান, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, রাশিয়া অথবা স্কটল্যান্ডের কেউই ইতিপূর্বে এই প্রতিযোগিতার কোন আসর আয়োজন করেনি। নির্বাচিত ১১টি স্টেডিয়ামের মধ্যে মাত্র ২টি ইতিপূর্বে একটি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ আয়োজন করেছিল: ১৯৬৮ এবং ১৯৮০ সালে স্তাদিও অলিম্পিকো এবং ২০০০ সালে ইয়োহান ক্রুইফ এরিনা ইতিপূর্বে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ আয়োজন করেছিল। মূল ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম ১৯৯৬ সালের ম্যাচ এবং ফাইনাল আয়োজন করেছিল, যদিও এটি একই অঞ্চলে অবস্থিত, এটিকে বর্তমান ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের হতে একটি ভিন্ন স্টেডিয়াম হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
লন্ডন | রোম | মিউনিখ | ||
---|---|---|---|---|
ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম | স্তাদিও অলিম্পিকো | আলিয়ানৎস আরেনা | ||
ধারণক্ষমতা: ৯০,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৭০,৬৩৪ | ধারণক্ষমতা: ৭০,০০০ | ||
বাকু | সেন্ট পিটার্সবার্গ | বুদাপেস্ট | ||
অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ক্রেস্তভস্কি স্টেডিয়াম | পুশকাশ এরিনা | ||
ধারণক্ষমতা: ৬৮,৭০০ | ধারণক্ষমতা: ৬৮,১৩৪ | ধারণক্ষমতা: ৬৭,২১৫ | ||
সেভিয়া | বুখারেস্ট | আমস্টারডাম | গ্লাসগো | কোপেনহেগেন |
লা কার্তুহা স্টেডিয়াম | এরিনা নাৎসিয়োনালা | ইয়োহান ক্রুইফ এরিনা | হ্যাম্পটন পার্ক | পার্কেন স্টেডিয়াম |
ধারণক্ষমতা: ৬০,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৫৫,৬০০ | ধারণক্ষমতা: ৫৪,৯৯০ | ধারণক্ষমতা: ৫১,৮৬৬ | ধারণক্ষমতা: ৩৮,০৬৫ |
প্রতিটি শহর (সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং লন্ডন ব্যতীত, যারা যথাক্রমে গ্রুপ পর্বের ৬টি ম্যাচ এবং ১৬ দলের পর্বের ২টি ম্যাচ আয়োজন করবে) গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ এবং ১৬ দলের পর্ব অথবা কোয়ার্টার ফাইনালের একটি ম্যাচ আয়োজন করবে। ১১টি স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দকৃত ম্যাচ নিম্নরূপ:
আয়োজক শহরগুলো ৬টি জুটিতে বিভক্ত, যা ক্রীড়া শক্তি (ধরে নেওয়া যায় যে সকল আয়োজক দল এই আসরে খেলার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছে), ভৌগোলিক বিবেচনা এবং নিরাপত্তা/রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার ভিত্তিতে গঠন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ৭ই ডিসেম্বর তারিখে এক ড্রয়ের মাধ্যমে জুটিগুলোর দ্বারা আয়োজিত ম্যাচের গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতিটি উত্তীর্ণ আয়োজক দেশ ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন দুটি ম্যাচ খেলবে। নিম্নে গ্রুপগুলোর জুটি উল্লেখ করা হয়েছে:[৫]
নিম্নলিখিত মানদণ্ড একই গ্রুপের মধ্যে আয়োজক দলের হোম ম্যাচ আয়োজন করার জন্য প্রযোজ্য:[৯৭]
যদি প্লে-অফের একটি আয়োজক দল উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়, তবে পথ বিজয়ী ম্যাচের সময়সূচীতে স্বাগতিকে করে স্থান নেবে এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট আয়োজকের আয়োজক শহরে উপর্যুক্ত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে দুইটি অথবা তিনটি ম্যাচ খেলবে, যা উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৯ সালের ২২শে নভেম্বর তারিখে ১২:০০ সিইটি সময়ে সুইজারল্যান্ডের নিওঁয়ে অবস্থিত উয়েফার সদর দফতরে (প্লে-অফের ড্রসহ) ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৯৮] গ্রুপ বি-এর (ডেনমার্ক ও রাশিয়ার) জন্য প্রয়োজনীয় ড্রয়ে দুটি বল প্রস্তুত করা হয়েছিল।[৯৯]
গ্রুপ | আয়োজক | আয়োজকের অবস্থা | ড্র? | হোম ম্যাচের সংখ্যা | |
---|---|---|---|---|---|
তিন | দুই | ||||
এ | আজারবাইজান | বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্ব হতে বিদায় | না | ইতালি | নেই |
ইতালি | চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি উত্তীর্ণ | ||||
বি | ডেনমার্ক | চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি উত্তীর্ণ | হ্যাঁ | ডেনমার্ক | রাশিয়া |
রাশিয়া | চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি উত্তীর্ণ | ||||
সি | নেদারল্যান্ডস | চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি উত্তীর্ণ | না | নেদারল্যান্ডস | নেই |
রোমানিয়া | প্লে-অফ হতে বিদায় | ||||
ডি | ইংল্যান্ড | চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি উত্তীর্ণ | না | ইংল্যান্ড | স্কটল্যান্ড |
স্কটল্যান্ড | প্লে-অফের মাধ্যমে উত্তীর্ণ | ||||
ই | প্লে-অফ হতে বিদায় | না | স্পেন | নেই | |
স্পেন | চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি উত্তীর্ণ | ||||
এফ | জার্মানি | চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি উত্তীর্ণ | না | জার্মানি | হাঙ্গেরি |
হাঙ্গেরি | প্লে-অফের মাধ্যমে উত্তীর্ণ |
করোনাভাইরাস মহামারী এবং জনসমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে, এই আসরের অনেক মাঠ পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে না। উয়েফা প্রতিটি আয়োজককে তাদের স্থানীয়/জাতীয় সরকার এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সাথে একযোগে একটি দর্শক পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছিল। উয়েফার সাথে তাদের পরিকল্পনা জানানোর জন্য স্বাগতিকদের ২০২১ সালের ৭ই এপ্রিল তারিখে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। ৯ই এপ্রিল তারিখে, উয়েফা এক ঘোষণায় জানিয়েছিল যে এই আসরের আটটি আয়োজক তাদের স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা নিশ্চিত করেছিল, যেখানে ২৫% থেকে ১০০% দর্শক একসাথে খেলা উপভোগ করতে পারবে। বাকি চারটি স্বাগতিককে (বিলবাও, ডাবলিন, মিউনিখ এবং রোম) তাদের মাঠের ধারণক্ষমতা জমা দেওয়ার জন্য ২৩শে এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।[৫৫] ১৪ই এপ্রিল তারিখে, উয়েফা জানিয়েছিল যে রোমও তাদের মাঠের ধারণক্ষমতা নিশ্চিত করেছিল।[৫৬] ২৩শে এপ্রিল তারিখে মিউনিখও তাদের মাঠের ধারণক্ষমতা নিশ্চিত করেছিল। অন্যদিকে, দর্শকের উপস্থিতি নিশ্চিত না করায় বিলবাওয়ের সকল ম্যাচ সেভিয়ায় স্থানান্তর করা হয়েছিল। উপরন্তু, ডাবলিনকে এই আসরের আয়োজকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল, কেননা এটি দর্শকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছিল।[৬]
শহর | মাঠ | সাধারণ ধারণক্ষমতা | অনুমোদিত ধারণক্ষমতা |
---|---|---|---|
আমস্টারডাম | ইয়োহান ক্রুইফ এরিনা | ৫৪,৯৯০ | কমপক্ষে ৩৩.৩% (প্রায় ১৬,০০০), সম্ভাব্য বৃদ্ধি সাপেক্ষে[১০০] |
বাকু | অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৬৮,৭০০ | ৫০% (প্রায় ৩৪,৩৫০), অংশগ্রহণকারী দলের নাগরিক ছাড়া অন্য কোন বিদেশী দর্শক অনুমোদিত নয়[১০১] |
বুখারেস্ট | এরিনা নাৎসিয়োনালা | ৫৫,৬০০ | কমপক্ষে ২৫% (প্রায় ১৩,০০০), সম্ভাব্য বৃদ্ধি সাপেক্ষে[১০২] |
বুদাপেস্ট | পুশকাশ এরিনা | ৬৭,২১৫ | পূর্ণ ধারণক্ষমতা, দর্শকদের স্টেডিয়াম প্রবেশের কঠোর নিয়মাবলী পূরণ সাপেক্ষে |
কোপেনহেগেন | পার্কেন স্টেডিয়াম | ৩৮,০৬৫ | ৪০% (প্রায় ১৫,৯০০)[১০৩] |
গ্লাসগো | হ্যাম্পটন পার্ক | ৫১,৮৬৬ | ২৫% (প্রায় ১২,০০০)[১০৪] |
লন্ডন | ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম | ৯০,০০০ | গ্রুপ পর্ব এবং ১৬ দলের পর্বের জন্য কমপক্ষে ২৫% (প্রায় ২৫,০০০ ) সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনালের সম্ভাব্য বৃদ্ধিসহ |
মিউনিখ | আলিয়ানৎস আরেনা | ৭০,০০০ | ২০% (১৪,০০০)[১০৫] |
রোম | স্তাদিও অলিম্পিকো | ৭০,৬৩৪ | কমপক্ষে ২৫% (প্রায় ১৭,৬৫৯), সম্ভাব্য বৃদ্ধি সাপেক্ষে[১০৬] |
সেন্ট পিটার্সবার্গ | ক্রেস্তভস্কি স্টেডিয়াম | ৬৮,১৩৪ | কমপক্ষে ৫০% (প্রায় ৩৪,০৬৭), সম্ভাব্য বৃদ্ধি সাপেক্ষে |
সেভিয়া | লা কার্তুহা স্টেডিয়াম | ৬০,০০০ | ৩০% (প্রায় ১৮,০০০) |
প্রতিটি দল ম্যাচের অনুশীলন করার জন্য একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র বেছে নিয়েছিল। দলগুলো পুরো আসর জুড়ে এই স্থানগুলোতে প্রশিক্ষণ এবং বসবাস করবে, তাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে দূরে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলোর তারা শুধুমাত্র ভ্রমণ করবে। পূর্ববর্তী আসরের মতো বিপরীতে, প্রতিটি দল প্যান-ইউরোপীয় বিন্যাসের কারণে যেকোন স্থানে তাদের বেস ক্যাম্প স্থাপন করতে পারে, আয়োজক দেশগুলোর ক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।[১০৭] ২০২০ সালের ২৭শে জানুয়ারি তারিখে উয়েফা কর্তৃক সরাসরি উত্তীর্ণ বিশটি দলের জন্য নির্বাচিত প্রশিক্ষণকেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছিল।[১০৮] প্লে-অফের মাধ্যমে উত্তীর্ণ দলগুলোর প্রশিক্ষণকেন্দ্র ২০২১ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল।[১০৯]
২০১৯ সালের ৩০শে নভেম্বর তারিখের ১৮:০০টায় সিইটি (১৯:০০ ইইটি) চূড়ান্ত পর্বের ড্র রোমানিয়ার বুখারেস্টের রোমেক্সপোতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৯৪][১১৫][১১৬][১১৭] ২৪টি দল চার দলের ছয়টি গ্রুপে ড্রয়ের মাধ্যমে বিভক্ত করা হয়েছিল। ড্রয়ের সময় চারটি প্লে-অফ দলের পরিচিত জানা যায়নি, যার ফলের তাদের অবস্থান প্লে-অফ পথ এ থেকে ডি-এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।[১১৮] যদি এমন কিছু দল থাকতো যাদের চূড়ান্ত পর্বের ড্রয়ের সময় নির্দিষ্ট করা যেত না, তবে তাদের ক্ষেত্রে ২০২০ সালের ১লা এপ্রিল তারিখে প্লে-অফের পরে আরেকটি ড্র অনুষ্ঠিত হতো,[১] কিন্তু উয়েফা নিশ্চিত করেছিল যে ২০টি সরাসরি উত্তীর্ণ দলের পরিচয় জানার পর অতিরিক্ত ড্রয়ের প্রয়োজন ছিল না এবং সেসময়য় ১৬টি প্লে-অফ দলের পরিচয় জানা গিয়েছিল।[৯৯]
উয়েফা ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে দলগুলো ইউরোপীয় বাছাইপর্বের সামগ্রিক র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাছাই করা হয়েছিল। নিম্নলিখিত ড্র পাত্রগুলোর মানক গঠন ছিল:[১১৯]
যেহেতু একই গ্রুপের দুটি আয়োজক দল একই পাত্রে থাকতে পারে না, উয়েফা জরুরী সভা হয় উচ্চতর পাত্রের সর্বনিম্ন অবস্থানের দলের সাথে একটি আয়োজক দল পরিবর্তন করত অথবা নিম্নবর্তী পাত্রের সর্বোচ্চ অবস্থানের দলের সাথে একটি আয়োজক দল পরিবর্তন করত (এই নীতির উপর ভিত্তি করে এই পদক্ষেপটি ড্রয়ের পাত্রের উপর ন্যূনতম প্রভাব ফেলবে)। তবে, এই আসরের এই ধরনের কোন সমন্বয় প্রয়োজন ছিল না।
এই আসরের ড্রটি পাত্র ১-এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল এবং পাত্র ৪-এর মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল, যেখান থেকে একটি দলের অবস্থান ড্র করা হয়েছিল এবং প্রত্যেক দলকে প্রথম উপলব্ধ গ্রুপে স্থান দেয়া হয়েছিল। এরপর গ্রুপের অবস্থান (ম্যাচের সময়সূচী নির্ধারণের জন্য) ড্র করা হয়েছিল। ড্রয়ে নিম্নলিখিত শর্তগুলো প্রয়োগ করা হয়েছিল (যে দলগুলো তখনো প্লে-অফের মাধ্যমে উত্তীর্ণ হতে পারতো তাদের ক্ষেত্রেও):[১২০]
প্লে-অফের বিন্যাসের কারণে, যা সম্ভাব্য সমস্ত পরিস্থিতি অনুমান করা অসম্ভব করে তোলে, উয়েফা প্রশাসনকে উত্তীর্ণ গ্রুপ পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আসরের চূড়ান্ত ড্র সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল।[৯৭] উয়েফার পক্ষে প্লে-অফের একটি পথকে দুটি আয়োজক দল ধারণ করা থেকে বিরত রাখা সম্ভব ছিল না, যার ফলে রোমানিয়া (গ্রুপ সি-এর স্বাগতিক) এবং হাঙ্গেরিকে (গ্রুপ এফ-এর স্বাগতিক) পথ এ-তে একসাথে ড্র করা হয়েছিল। অতএব, এই প্লে-অফ পথের চ্যাম্পিয়নকে এই আসরের চূড়ান্ত ড্রয়ে দুটি গ্রুপ নির্ধারণ করা দরকার ছিল। এর জন্য অনুমতি দেওয়ার জন্য, পথ এ, পথ ডি-এর সাথে জুটি বাঁধা হয়েছিল (যা কোন আয়োজক দেশ ধারণ করে না), তাই প্রতিটি সম্ভাব্য উত্তীর্ণ দলের জন্য একটি স্পষ্ট দৃশ্য সরবরাহ করে। ২০১৯ সালের ২২শে নভেম্বর তারিখে ১২:০০টায় (সিইটি) সময়ে সুইজারল্যান্ডের নিওঁয়ে অবস্থিত উয়েফার সদর দফতরে (প্লে-অফের ড্রসহ) ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা এই আসরের চূড়ান্ত পর্বের গ্রুপের পথ এ-এর বরাদ্দের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।[৯৯]
ড্রয়ের সময় দুটি গ্রুপের নাম সম্বলিত দুটি বল প্রস্তুত করা হয়েছিল (রোমানিয়া ও হাঙ্গেরির জন্য যথাক্রমে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ এফ)। ড্র করা প্রথম বলটি দ্বিতীয় বলের আয়োজক দল ("অ-অগ্রাধিকার গ্রুপ") পথ এ-এর চ্যাম্পিয়নকে বরাদ্দ করা গ্রুপ ("অগ্রাধিকার গ্রুপ") হিসেবে নির্ধারণ করে। ড্রয়ে, গ্রুপ এফ অগ্রাধিকার গ্রুপ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল, যার ফলে নিম্নলিখিত সম্ভাব্য ফলাফল ছিল:
নিম্নলিখিত পাত্রগুলোর গঠন ছিল:[১২২]
দল | আয়োজক | অবস্থান |
---|---|---|
বেলজিয়াম[ক] | ১ | |
ইতালি | গ্রুপ এ | ২ |
ইংল্যান্ড | গ্রুপ ডি | ৩ |
জার্মানি | গ্রুপ এফ | ৪ |
স্পেন | গ্রুপ ই | ৫ |
ইউক্রেন[ক] | ৬ |
দল | আয়োজক | অবস্থান |
---|---|---|
ফ্রান্স | ৭ | |
পোল্যান্ড | ৮ | |
সুইজারল্যান্ড | ৯ | |
ক্রোয়েশিয়া | ১০ | |
নেদারল্যান্ডস | গ্রুপ সি | ১১ |
রাশিয়া | গ্রুপ বি | ১২ |
দল | আয়োজক | অবস্থান |
---|---|---|
পর্তুগাল | ১৩ | |
তুরস্ক | ১৪ | |
ডেনমার্ক | গ্রুপ বি | ১৫ |
অস্ট্রিয়া | ১৬ | |
সুইডেন | ১৭ | |
চেক প্রজাতন্ত্র | ১৮ |
দল | আয়োজক | অবস্থান |
---|---|---|
ওয়েলস | ১৯ | |
ফিনল্যান্ড | ২০ | |
পথ এ চ্যাম্পিয়ন | গ্রুপ সি এবং এফ[গ] | — |
পথ বি চ্যাম্পিয়ন | গ্রুপ ই[ঘ] | |
পথ সি চ্যাম্পিয়ন | গ্রুপ ডি[ঙ] | |
পথ ডি চ্যাম্পিয়ন[চ] |
ড্রয়ের ফলে নিম্নলিখিত গ্রুপগুলো (বাঁকা দ্বারা প্লে-অফে চ্যাম্পিয়ন দলগুলোকে নির্দেশ করা হয়েছে, যাদের পরিচয় ড্রয়ের সময় জানা যায়নি):
অব. | দল |
---|---|
এ১ | তুরস্ক |
এ২ | ইতালি[ক] |
এ৩ | ওয়েলস |
এ৪ | সুইজারল্যান্ড |
অব. | দল |
---|---|
বি১ | ডেনমার্ক[ক] |
বি২ | ফিনল্যান্ড |
বি৩ | বেলজিয়াম |
বি৪ | রাশিয়া[খ] |
অব. | দল |
---|---|
সি১ | নেদারল্যান্ডস[ক] |
সি২ | ইউক্রেন |
সি৩ | অস্ট্রিয়া |
সি৪ | উত্তর মেসিডোনিয়া |
অব. | দল |
---|---|
ডি১ | ইংল্যান্ড[ক] |
ডি২ | ক্রোয়েশিয়া |
ডি৩ | স্কটল্যান্ড[খ] |
ডি৪ | চেক প্রজাতন্ত্র |
অব. | দল |
---|---|
ই১ | স্পেন[ক] |
ই২ | সুইডেন |
ই৩ | পোল্যান্ড |
ই৪ | স্লোভাকিয়া |
অব. | দল |
---|---|
এফ১ | হাঙ্গেরি[খ] |
এফ২ | পর্তুগাল |
এফ৩ | ফ্রান্স |
এফ৪ | জার্মানি[ক] |
গ্রুপ পর্বের জন্য সময়সূচী ড্রয়ের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
দ্রষ্টব্য: সময়সূচীর জন্য অবস্থানগুলো ক্ষেত্রে পাত্রগুলো ব্যবহার করেনি এবং এর পরিবর্তে ড্রয়ের অবস্থানগুলো ব্যবহার করেছিল, যেমন ১ম দল ড্রয়ের পাত্র ১ থেকে ছিল না।
ম্যাচদিন | তারিখ | ম্যাচ |
---|---|---|
ম্যাচদিন ১ | ১১–১৫ জুন ২০২১ | ১ বনাম ২, ৩ বনাম ৪ |
ম্যাচদিন ২ | ১৬–১৯ জুন ২০২১ | ১ বনাম ৩, ২ বনাম ৪ |
ম্যাচদিন ৩ | ২০–২৩ জুন ২০২১ | ৪ বনাম ১, ২ বনাম ৩ |
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে খেলোয়াড়দের বোঝা হ্রাস করার জন্য এবং একটি দলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে, দলের আকার ২৩ (২০০৪ সাল থেকে প্রতিটি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যবহৃত) থেকে বাড়িয়ে ২৬-এ করা হয়। তবে, প্রতিটি আসরের সময়সূচীর জন্য ম্যাচ শিটে অনুমোদিত খেলোয়াড়দের সর্বাধিক সংখ্যা ২৩-ই ছিল।[৭২] প্রত্যেক দল (যেখানে অবশ্যই তিনজন গোলরক্ষক অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে) এই আসরের উদ্বোধনী ম্যাচের অন্তত দশ দিন পূর্বে (২০২১ সালের ১লা জুন তারিখের মধ্যে) তাদের চূড়ান্ত দল জমা দিতে হয়েছিল। যদি কোন খেলোয়াড় তার দলের প্রথম ম্যাচের পূর্বে এই আসরে তার অংশগ্রহণ রোধ করার জন্য যথেষ্ট আহত অথবা অসুস্থ হয়ে পড়ে, তবে তাকে অন্য খেলোয়াড় দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা যেতে পারে।[১] তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার দলের প্রথম ম্যাচের পরও গোলরক্ষকদের স্থলাভিষিক্ত করা হতে পারে।[৭২]
২০১৮ সালের ২৭ই সেপ্টেম্বর তারিখে উয়েফা নির্বাহী কমিটি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল।[৭] ২০২০ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি তারিখে, উয়েফা এবং কনমেবলের মধ্যকার সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিল, যার মধ্যে এই আসরের গ্রুপ পর্বের জন্য নিযুক্ত দক্ষিণ আমেরিকার ম্যাচ কর্মকর্তাদের একটি সম্ভাবনা দল ছিল।[১২৩]
২০২১ সালের ২১শে এপ্রিল তারিখে উয়েফা এই আসরের জন্য ১৯টি রেফারি দল ঘোষণা করেছিল।[১২৪] এর মধ্যে আর্জেন্টিনার রেফারি ফের্নান্দো রাপায়িনি এবং তার সহকারীরা ছিলেন, যারা কনমেবলের সাথে উয়েফার রেফারি বিনিময় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য নির্বাচিত প্রথম দক্ষিণ আমেরিকান রেফারি। একইভাবে ২০২১ কোপা আমেরিকার জন্য একদল স্পেনীয় রেফারিদের নির্বাচিত করা হয়েছিল।[১২৫]
প্রতিটি ম্যাচের জন্য নয় জন রেফারির একটি রেফারি দল নিয়োগ করা হয়েছিল। স্টেডিয়ামে পাঁচ জনের দলে একজন রেফারি, দুইজন সহকারী রেফারি, একজন চতুর্থ কর্মকর্তা এবং একজন সংরক্ষিত সহকারী রেফারি ছিলেন।[১২৫] এছাড়াও, চার জন ভিডিও ম্যাচ কর্মকর্তা সুইজারল্যান্ডের নিওঁয়ে অবস্থিত উয়েফার সদর দফতরে ছিলেন। এই দলে একজন ভিডিও সহকারী রেফারি (রেফারির সাথে যোগাযোগের মূল ব্যক্তি প্রধান ভিডিও রেফারি), একজন সহকারী ভিডিও সহকারী রেফারি (যিনি ম্যাচ অনুসরণে মনোনিবেশ করেন), একটি অফসাইড ভিএআর (যিনি সমস্ত সম্ভাব্য অফসাইড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন) এবং একটি সহয়তাকারী ভিএআর (যিনি সমন্বয় ক্ষমতা সম্পন্ন কাজ করেন) ছিলেন।[১২৬]
দেশ | রেফারি | সহকারী রেফারি |
---|---|---|
জার্মানি | ফেলিক্স ব্রিখ | মার্ক বর্শ স্টেফান লুপ |
তুরস্ক | জুনেয়ত চাকের | বাহাত্তিন দুরান তারিক ওনগুন |
স্পেন | কার্লোস দেল সেরো গ্রান্দে | হুয়ান কার্লোস ইয়ুস্তে হিমেনেস রোবের্তো আলন্সো ফের্নান্দেস |
সুইডেন | আন্ড্রেয়াস একবার্গ | মেহমেত কুলুম স্টেফান হালবার্গ |
ইসরায়েল | ওরেল গ্রিনফেল্ড | রয় হাসান ইদান ইয়ার্কোনি |
রোমানিয়া | ওভিদিউ হাতেগান | সেবাস্তিয়ান গেয়র্গে রাদু গিঙ্গুলেয়াক |
রাশিয়া | সের্গেই কারাসেভ | ইগত দেমেশকো মাকসিম গাভ্রিলিন |
রোমানিয়া | ইস্তভান কোভাচস | ভাসিলে মারিনেস্কু ওভিদিউ আর্তেনে |
নেদারল্যান্ডস | বিয়র্ন কইপার্স | সান্ডার ভান রোকেল এরউইন জিনস্ট্রা |
নেদারল্যান্ডস | ডানি মাক্কেলি | হেসেল স্টেগস্ট্রা ইয়ান ডে ভ্রিস |
স্পেন | আন্তোনিও মাতেউ লাহোস | পাউ সেব্রিয়ান দেভিস রোবের্তো দিয়াস পেরেস দেল পালোমার |
ইংল্যান্ড | মাইকেল অলিভার | স্টুয়ার্ট বার্ট সিমন বেনেট |
ইতালি | দানিয়েলে ওরসাতো | আলেসসান্দ্রো জাল্লাতিনি ফাবিয়ানো প্রেতি |
আর্জেন্টিনা | ফের্নান্দো রাপায়িনি | হুয়ান পাবলো বেলাত্তি দিয়েগো বোনফা |
জার্মানি | ডানিয়েল সিবার্ট | ইয়ান সাইডেল রাফায়েল ফল্টিন |
পর্তুগাল | আর্তুর সোয়ারেস দিয়াস | রুই তাভারেস পাওলো সোয়ারেস |
ইংল্যান্ড | অ্যান্থনি টেইলর | গ্যারি বেসউইক অ্যাডাম নান |
ফ্রান্স | ক্লেমঁ তুরপেঁ | নিকোলাস দানোস সিরিল গ্রিঙ্গোর |
স্লোভেনিয়া | স্লাভকো ভিনচিচ | তোমাশ ক্লানচনিক আন্দ্রাশ কোভাচিচ |
এছাড়াও, উয়েফা ২২ জন ভিডিও ম্যাচ কর্মকর্তা এবং ১২ জন সহায়তাকারী ম্যাচ কর্মকর্তার (যারা চতুর্থ কর্মকর্তা বা সংরক্ষিত সহকারী রেফারি হিসেবে কাজ করে) নাম ঘোষণা করেছিল।[১২৪] এর মধ্যে উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে প্রথম নারী কর্মকর্তা সহায়তাকারী রেফারি স্তেফারি ফ্রাপার ছিলেন।[১২৫]
দেশ | ভিডিও সহকারী রেফারি | অফসাইদ ভিএআর |
---|---|---|
ইংল্যান্ড | স্টুয়ার্ট অ্যাটওয়েল ক্রিস কাভানাগ |
লি বেটস |
ফ্রান্স | জেরোম ব্রিসার ফ্রাঁসোয়া লেতেক্সিয়ে |
বেঁজাম্যাঁ পাজেস |
জার্মানি | বাস্টিয়ান ডানকার্ট ক্রিস্টিয়ান ডিনগার্ট মার্কো ফ্রিৎস |
ক্রিস্টিয়ান গিটেলমান |
ইতালি | মার্কো দি বেল্লো মাসসিমিলিয়ানো ইররাতি পাওলো ভালেরি |
ফিলিপ্পো মেলি |
নেদারল্যান্ডস | কেভিন ব্লম পল ভান বোকেল |
|
পোল্যান্ড | পাভেল গিল | |
পর্তুগাল | জোয়াও পিনেইরো | |
স্পেন | আলেহান্দ্রো এর্নান্দেস এর্নান্দেস হুয়ান মার্তিনেস মুনুয়েরা হোসে মারিয়া সানচেস মার্তিনেস |
ইনিয়িগো প্রিয়েতো লোপেস দে সেরাইন |
দেশ | চতুর্থ রেফারি | সংরক্ষিত সহযোগী রেফারি |
---|---|---|
বুলগেরিয়া | গেয়র্গি কাভাকভ | মার্তিন মার্গারিতভ |
ফ্রান্স | স্তেফান ফ্রাপার | মিকায়েল বের্শেব্রু |
ইতালি | দাভিদে মাসসা | স্তেফানো আলাসসিও |
পোল্যান্ড | বার্তোশ ফ্রানকোভস্কি | মারৎসিন বোনিয়েক |
সার্বিয়া | স্রদান ইয়োভানোভিচ | উরোশ স্তোয়কোভিচ |
সুইজারল্যান্ড | জান্দ্রো শ্যারার | স্তেফান দে আলমেইদা |
২০১৮ সালের ২৪শে মে তারিখে, উয়েফা এই আসরের চূড়ান্ত পর্বের সময়সূচী ঘোষণা করেছিল, যার মধ্যে কেবল উদ্বোধনী ম্যাচ এবং কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য কিক-অফ সময় অন্তর্ভুক্ত ছিল।[১২৭][১২৮] চূড়ান্ত ড্রয়ের পর ২০১৯ সালের ৩০শে নভেম্বর তারিখে গ্রুপ পর্বের অবশিষ্ট এবং ১৬ দলের পর্বের ম্যাচের কিক-অফ সময় ঘোষণা করা হয়েছিল।[১২৯] ২০২০ সালের ১৭ই জুন তারিখে, উয়েফা ২০২১ সালে এই আসরের জন্য সংশোধিত ম্যাচ সূচি ঘোষণা করেছিল।[১৩০][১৩১] সকল ম্যাচের তারিখ, কিক-অফ সময় এবং মাঠ অভিন্ন ছিল, তবে সকল খেলা একদিন পূর্বে স্থানান্তরিত হয় যেন ম্যাচগুলো সপ্তাহের একই দিনে (অর্থাৎ ১২ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত উদ্বোধনী ম্যাচ শুক্রবারে থাকার কারণে) থেকে যায়। ২০২১ সালের ২৩শে এপ্রিল তারিখে উয়েফা এই আসর থেকে একটি স্টেডিয়াম অপসারণ এবং অন্যটি প্রতিস্থাপিত করার পর ম্যাচের সময়সূচীর মাঠ বণ্টন সংশোধন করেছিল।[১৩২] গ্রুপে ১ম, ২য় স্থান অধিকারী এবং সেরা চারটি তৃতীয় স্থান অধিকারী দল ১৬ দলের পর্বের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
নিম্নে তালিকাভুক্ত ম্যাচগুলোর সময় মধ্য ইউরোপীয় গ্রীষ্মকালীন সময় অনুযায়ী উল্লেখ করা হয়েছে (ইউটিসি+২)। যদি স্থানটি একটি ভিন্ন সময় অঞ্চলে অবস্থিত হয় তবে স্থানীয় সময়ও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রত্যেক দলের পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে দলের অবস্থান নির্ণয় করা হয় (জয়ের জন্য ৩ পয়েন্ট, ড্রয়ের জন্য ১ পয়েন্ট, হারের জন্য ০ পয়েন্ট), এবং যদি পয়েন্টের সমতা হয় তবে গ্রুপ পর্বের সবগুলো খেলা শেষে নিম্নে বর্ণিত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে শীর্ষ দুই দল নির্ণয় করা হয়েছিল:[১]
টীকা
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ইতালি (H) | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ৭ | ০ | +৭ | ৯ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | ওয়েলস | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ২ | +১ | ৪[ক] | |
৩ | সুইজারল্যান্ড | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৫ | −১ | ৪[ক] | |
৪ | তুরস্ক | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ১ | ৮ | −৭ | ০ |
ইতালি | ৩–০ | সুইজারল্যান্ড |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বেলজিয়াম | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ৭ | ১ | +৬ | ৯ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | ডেনমার্ক (H) | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৫ | ৪ | +১ | ৩[ক] | |
৩ | ফিনল্যান্ড | ৩ | ১ | ০ | ২ | ১ | ৩ | −২ | ৩[ক] | |
৪ | রাশিয়া (H) | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৭ | −৫ | ৩[ক] |
ফিনল্যান্ড | ০–১ | রাশিয়া |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
ফিনল্যান্ড | ০–২ | বেলজিয়াম |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | নেদারল্যান্ডস (H) | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ৮ | ২ | +৬ | ৯ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | অস্ট্রিয়া | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৪ | ৩ | +১ | ৬ | |
৩ | ইউক্রেন | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৫ | −১ | ৩ | |
৪ | উত্তর মেসিডোনিয়া | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ২ | ৮ | −৬ | ০ |
অস্ট্রিয়া | ৩–১ | উত্তর মেসিডোনিয়া |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
নেদারল্যান্ডস | ৩–২ | ইউক্রেন |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
ইউক্রেন | ২–১ | উত্তর মেসিডোনিয়া |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
উত্তর মেসিডোনিয়া | ০–৩ | নেদারল্যান্ডস |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ইংল্যান্ড (H) | ৩ | ২ | ১ | ০ | ২ | ০ | +২ | ৭ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | ক্রোয়েশিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৩ | +১ | ৪[ক] | |
৩ | চেক প্রজাতন্ত্র | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ২ | +১ | ৪[ক] | |
৪ | স্কটল্যান্ড (H) | ৩ | ০ | ১ | ২ | ১ | ৫ | −৪ | ১ |
স্কটল্যান্ড | ০–২ | চেক প্রজাতন্ত্র |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | সুইডেন | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৪ | ২ | +২ | ৭ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | স্পেন (H) | ৩ | ১ | ২ | ০ | ৬ | ১ | +৫ | ৫ | |
৩ | স্লোভাকিয়া | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৭ | −৫ | ৩ | |
৪ | পোল্যান্ড | ৩ | ০ | ১ | ২ | ৪ | ৬ | −২ | ১ |
পোল্যান্ড | ১–২ | স্লোভাকিয়া |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
সুইডেন | ১–০ | স্লোভাকিয়া |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
সুইডেন | ৩–২ | পোল্যান্ড |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ফ্রান্স | ৩ | ১ | ২ | ০ | ৪ | ৩ | +১ | ৫ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | জার্মানি (H) | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৬ | ৫ | +১ | ৪[ক] | |
৩ | পর্তুগাল | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৭ | ৬ | +১ | ৪[ক] | |
৪ | হাঙ্গেরি (H) | ৩ | ০ | ২ | ১ | ৩ | ৬ | −৩ | ২ |
অব | গ্রুপ | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | এফ | পর্তুগাল | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৭ | ৬ | +১ | ৪ | নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | ডি | চেক প্রজাতন্ত্র | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ২ | +১ | ৪ | |
৩ | এ | সুইজারল্যান্ড | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৫ | −১ | ৪ | |
৪ | সি | ইউক্রেন | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৫ | −১ | ৩ | |
৫ | বি | ফিনল্যান্ড | ৩ | ১ | ০ | ২ | ১ | ৩ | −২ | ৩ | |
৬ | ই | স্লোভাকিয়া | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৭ | −৫ | ৩ |
নকআউট পর্বে, একটি ম্যাচের ফলাফল যদি পূর্ণ ৯০ মিনিট পর সমতায় থাকে তবে অতিরিক্ত সময়ের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল (১৫ মিনিট করে দুই অর্ধে ৩০ মিনিট), যেখানে প্রতিটি দলের ষষ্ঠ খেলোয়াড় বদল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।[৬৭] যদি অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল সমতায় থাকে, তবে খেলার ফলাফল পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল।[১]
উয়েফা ইউরো ১৯৮৪-এর পর থেকে এই আসরের মতো তৃতীয় স্থানের কোন প্লে-অফ ম্যাচ নেই।
তৃতীয় স্থান অধিকারী দলগুলোর ম্যাচের সময়সূচী কোন চারটি তৃতীয় স্থান অধিকারী দল ১৬ দলের পর্বে উত্তীর্ণ হবে তার উপর নির্ভর করবে:[১]
গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ তৃতীয় স্থান অধিকারী |
১বি বনাম |
১সি বনাম |
১ই বনাম |
১এফ বনাম | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
এ | বি | সি | ডি | ৩এ | ৩ডি | ৩বি | ৩সি | |||
এ | বি | সি | ই | ৩এ | ৩ই | ৩বি | ৩সি | |||
এ | বি | সি | এফ | ৩এ | ৩এফ | ৩বি | ৩সি | |||
এ | বি | ডি | ই | ৩ডি | ৩ই | ৩এ | ৩বি | |||
এ | বি | ডি | এফ | ৩ডি | ৩এফ | ৩এ | ৩বি | |||
এ | বি | ই | এফ | ৩ই | ৩এফ | ৩বি | ৩এ | |||
এ | সি | ডি | ই | ৩ই | ৩ডি | ৩সি | ৩এ | |||
এ | সি | ডি | এফ | ৩এফ | ৩ডি | ৩সি | ৩এ | |||
এ | সি | ই | এফ | ৩ই | ৩এফ | ৩সি | ৩এ | |||
এ | ডি | ই | এফ | ৩ই | ৩এফ | ৩ডি | ৩এ | |||
বি | সি | ডি | ই | ৩ই | ৩ডি | ৩বি | ৩সি | |||
বি | সি | ডি | এফ | ৩এফ | ৩ডি | ৩সি | ৩বি | |||
বি | সি | ই | এফ | ৩এফ | ৩ই | ৩সি | ৩বি | |||
বি | ডি | ই | এফ | ৩এফ | ৩ই | ৩ডি | ৩বি | |||
সি | ডি | ই | এফ | ৩এফ | ৩ই | ৩ডি | ৩সি |
নিম্নে তালিকাভুক্ত ম্যাচগুলোর সময় মধ্য ইউরোপীয় গ্রীষ্মকালীন সময় অনুযায়ী উল্লেখ করা হয়েছে (ইউটিসি+২)। যদি স্থানটি একটি ভিন্ন সময় অঞ্চলে অবস্থিত হয় তবে স্থানীয় সময়ও উল্লেখ করা হয়েছে।
১৬ দলের পর্ব | কোয়ার্টার-ফাইনাল | সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | |||||||||||
২৭ জুন ২০২১ – সেভিয়া | ||||||||||||||
বেলজিয়াম | ১ | |||||||||||||
২ জুলাই ২০২১ – মিউনিখ | ||||||||||||||
পর্তুগাল | ০ | |||||||||||||
বেলজিয়াম | ১ | |||||||||||||
২৬ জুন ২০২১ – লন্ডন | ||||||||||||||
ইতালি | ২ | |||||||||||||
ইতালি (অ.স.প.) | ২ | |||||||||||||
৬ জুলাই ২০২১ – লন্ডন | ||||||||||||||
অস্ট্রিয়া | ১ | |||||||||||||
ইতালি (পে.) | ১ (৪) | |||||||||||||
২৮ জুন ২০২১ – বুখারেস্ট | ||||||||||||||
স্পেন | ১ (২) | |||||||||||||
ফ্রান্স | ৩ (৪) | |||||||||||||
২ জুলাই ২০২১ – সেন্ট পিটার্সবার্গ | ||||||||||||||
সুইজারল্যান্ড (পে.) | ৩ (৫) | |||||||||||||
সুইজারল্যান্ড | ১ (১) | |||||||||||||
২৮ জুন ২০২১ – কোপেনহেগেন | ||||||||||||||
স্পেন (পে.) | ১ (৩) | |||||||||||||
ক্রোয়েশিয়া | ৩ | |||||||||||||
১১ জুলাই ২০২১ – লন্ডন | ||||||||||||||
স্পেন (অ.স.প.) | ৫ | |||||||||||||
ইতালি (পে.) | ১ (৩) | |||||||||||||
২৯ জুন ২০২১ – গ্লাসগো | ||||||||||||||
ইংল্যান্ড | ১ (২) | |||||||||||||
সুইডেন | ১ | |||||||||||||
৩ জুলাই ২০২১ – রোম | ||||||||||||||
ইউক্রেন (অ.স.প.) | ২ | |||||||||||||
ইউক্রেন | ০ | |||||||||||||
২৯ জুন ২০২১ – লন্ডন | ||||||||||||||
ইংল্যান্ড | ৪ | |||||||||||||
ইংল্যান্ড | ২ | |||||||||||||
৭ জুলাই ২০২১ – লন্ডন | ||||||||||||||
জার্মানি | ০ | |||||||||||||
ইংল্যান্ড (অ.স.প.) | ২ | |||||||||||||
২৭ জুন ২০২১ – বুদাপেস্ট | ||||||||||||||
ডেনমার্ক | ১ | |||||||||||||
নেদারল্যান্ডস | ০ | |||||||||||||
৩ জুলাই ২০২১ – বাকু | ||||||||||||||
চেক প্রজাতন্ত্র | ২ | |||||||||||||
চেক প্রজাতন্ত্র | ১ | |||||||||||||
২৬ জুন ২০২১ – আমস্টারডাম | ||||||||||||||
ডেনমার্ক | ২ | |||||||||||||
ওয়েলস | ০ | |||||||||||||
ডেনমার্ক | ৪ | |||||||||||||
ক্রোয়েশিয়া | ৩–৫ (অ.স.প.) | স্পেন |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
ফ্রান্স | ৩–৩ (অ.স.প.) | সুইজারল্যান্ড |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
|
পেনাল্টি | ||
৪–৫ |
সুইজারল্যান্ড | ১–১ (অ.স.প.) | স্পেন |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন | |
পেনাল্টি | ||
১–৩ |
ইউক্রেন | ০–৪ | ইংল্যান্ড |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
এই প্রতিযোগিতায় ৮০ জন খেলোয়াড় ৫১টি ম্যাচে ১৪২টি গোল করেছেন (১১টি আত্মঘাতী গোলসহ), যা ম্যাচ প্রতি গড়ে ২.৭৮টি গোল।
৫টি গোল
৪টি গোল
৩টি গোল
২টি গোল
১টি গোল
১টি আত্মঘাতী গোল
উৎস: উয়েফা[১৮৩]
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের এই আসর শেষে নিম্নলিখিত পুরস্কারগুলো প্রদান করা হয়েছে:
অবস্থান | খেলোয়াড় | গোল | অ্যাসিস্ট | মিনিট |
---|---|---|---|---|
১ | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | ৫ | ১ | ৩৬০ |
২ | পাত্রিক শিক | ৫ | ০ | ৪০৪ |
৩ | করিম বেনজেমা | ৪ | ০ | ৩৪৯ |
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুরস্কারের অর্থমূল্য চূড়ান্ত করা হয়েছিল।[১৮৯] প্রত্যেক দল €৯.২৫ মিলিয়ন ইউরো উপার্জন করবে যেখানে বিজয়ী দল সর্বোচ্চ €৩৪ মিলিয়ন ইউরো উপার্জন করেছে।
অর্জন | পরিমাণ | দলের সংখ্যা |
---|---|---|
চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা | €৯.২৫ মিলিয়ন | ২৪ |
গ্রুপ পর্ব | প্রত্যেক জয়ের জন্য €১.৫ মিলিয়ন প্রত্যেক ড্রয়ের জন্য €৭৫০,০০০ |
২৩ |
১৬ দলের পর্ব | €২ মিলিয়ন | ১৬ |
কোয়ার্টার-ফাইনাল | €৩.২৫ মিলিয়ন | ৮ |
সেমি-ফাইনাল | €৫ মিলিয়ন | ৪ |
রানার-আপ | €৭ মিলিয়ন | ১ |
বিজয়ী | €১০ মিলিয়ন | ১ |
অবস্থান | দল | ইউরো (মিলিয়ন) |
---|---|---|
১ | ইতালি | ৩৪ |
২ | ইংল্যান্ড | ৩০.২৫ |
৩ | স্পেন | ২২.৫০ |
৪ | ডেনমার্ক | ২১ |
৫ | বেলজিয়াম | ১৯ |
৬ | চেক প্রজাতন্ত্র সুইজারল্যান্ড |
১৬.৭৫ |
৮ | ইউক্রেন | ১৬ |
৯ | নেদারল্যান্ডস | ১৫.৭৫ |
১০ | সুইডেন | ১৫ |
১১ | অস্ট্রিয়া ফ্রান্স |
১৪.২৫ |
১৩ | পর্তুগাল ক্রোয়েশিয়া জার্মানি ওয়েলস |
১৩.৫০ |
১৭ | ফিনল্যান্ড স্লোভাকিয়া রাশিয়া হাঙ্গেরি |
১০.৭৫ |
২১ | পোল্যান্ড স্কটল্যান্ড |
১০ |
২৩ | তুরস্ক উত্তর মেসিডোনিয়া |
৯.২৫ |
নিম্নলিখিত অপরাধের জন্য একজন খেলোয়াড়কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী ম্যাচের জন্য বরখাস্ত করা হয়:[১]
এই আসরের চূড়ান্ত পর্বের ম্যাচগুলোর জন্য যে সকল খেলোয়াড় বরখাস্ত হয়েছে তা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে:[১৯০]
খেলোয়াড় | অপরাধ | বরখাস্ত |
---|---|---|
জেগজ ক্রিখোভিয়াক | ২০২১ সালের ১৪ই জুন তারিখে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ ই-এর ম্যাচে | গ্রুপ ই বনাম স্পেন (১৯ জুন ২০২১) |
মার্কো আরনাউতোভিচ | ২০২১ সালের ১৩ই জুন তারিখে উত্তর মেসিডোনিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ সি-এর ম্যাচে অন্য এক খেলোয়াড়কে অপমান[১৯১] |
গ্রুপ সি বনাম নেদারল্যান্ডস (১৭ জুন ২০২১) |
ইথান আম্পাডু | ২০২১ সালের ২০শে জুন তারিখে ইতালির বিরুদ্ধে গ্রুপ এ-এর ম্যাচে | ১৬ দলের পর্ব বনাম ডেনমার্ক (২৬ জুন ২০২১) |
হাকান চালহানোয়লু | ২০২১ সালের ১৬ই জুন তারিখে ওয়েলসের বিরুদ্ধে গ্রুপ এ-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২০শে জুন তারিখে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ এ-এর ম্যাচে |
এই আসর হতে বিদায় |
চায়লার সোয়ুনজু | ২০২১ সালের ১১ই জুন তারিখে ইতালির বিরুদ্ধে গ্রুপ এ-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২০শে জুন তারিখে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ এ-এর ম্যাচে |
এই আসর হতে বিদায় |
এজজান আলিয়স্কি | ২০২১ সালের ১৩ই জুন তারিখে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ সি-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২১শে জুন তারিখে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গ্রুপ সি-এর ম্যাচে |
এই আসর হতে বিদায় |
দেয়ান লোভরেন | ২০২১ সালের ১৮ই জুন তারিখে চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে গ্রুপ ডি-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২২শে জুন তারিখে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ ডি-এর ম্যাচে |
১৬ দলের পর্ব বনাম স্পেন (২৮ জুন ২০২১) |
ইয়ান বোরিল | ২০২১ সালের ১৮ই জুন তারিখে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ ডি-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২২শে জুন তারিখে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ ডি-এর ম্যাচে |
১৬ দলের পর্ব বনাম নেদারল্যান্ডস (২৭ জুন ২০২১) |
অন্দ্রেই দুদা | ২০২১ সালের ১৮ই জুন তারিখে সুইডেনের বিরুদ্ধে গ্রুপ ই-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২৩শে জুন তারিখে স্পেনের বিরুদ্ধে গ্রুপ ই-এর ম্যাচে |
এই আসর হতে বিদায় |
এন্দ্রে বোতকা | ২০২১ সালের ১৯ই জুন তারিখে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গ্রুপ এফ-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২৩শে জুন তারিখে জার্মানির বিরুদ্ধে গ্রুপ এফ-এর ম্যাচে |
এই আসর হতে বিদায় |
কিফার মুর | ২০২১ সালের ১২ই জুন তারিখে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ এ-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২৬শে জুন তারিখে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ১৬ দলের পর্বে ম্যাচে |
এই আসর হতে বিদায় |
হ্যারি উইলসন | ২০২১ সালের ২৬শে জুন তারিখে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ১৬ দলের পর্বে ম্যাচে | এই আসরের পর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে |
মাটেইস ডে লিখট | ২০২১ সালের ২৭শে জুন তারিখে চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৬ দলের পর্বে ম্যাচে | এই আসরের পর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে |
মার্ৎসেলো ব্রোজোভিচ | ২০২১ সালের ১৩ই জুন তারিখে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ ডি-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২৮শে জুন তারিখে স্পেনের বিরুদ্ধে ১৬ দলের পর্বে ম্যাচে |
এই আসর হতে বিদায় |
গ্রানিত জাকা | ২০২১ সালের ২০শে জুন তারিখে তুরস্কের বিরুদ্ধে গ্রুপ এ-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২৮শে জুন তারিখে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ১৬ দলের পর্বে ম্যাচে |
কোয়ার্টার-ফাইনাল বনাম স্পেন (২ জুলাই ২০২১) |
বঁজামাঁ পাভার | ২০২১ সালের ১৯শে জুন তারিখে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে গ্রুপ এফ-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২৮শে জুন তারিখে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬ দলের পর্বে ম্যাচে |
এই আসর হতে বিদায় |
মাটিয়াস গিন্টার | ২০২১ সালের ১৯শে জুন তারিখে পর্তুগালের বিরুদ্ধে গ্রুপ এফ-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২৯শে জুন তারিখে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬ দলের পর্বে ম্যাচে |
এই আসর হতে বিদায় |
মার্কুস দানিয়েলসন | ২০২১ সালের ২৯শে জুন তারিখে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ১৬ দলের পর্বে ম্যাচে | এই আসরের পর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে |
রেমো ফ্রয়লার | ২০২১ সালের ২রা জুলাই তারিখে স্পেনের বিরুদ্ধে ১৬ দলের পর্বে ম্যাচে | এই আসরের পর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে |
মারিও গাভ্রানোভিচ | ২০২১ সালের ১৬ই জুন তারিখে ইতালির বিরুদ্ধে গ্রুপ এ-এর ম্যাচে ২০২১ সালের ২রা জুলাই তারিখে স্পেনের বিরুদ্ধে ১৬ দলের পর্বে ম্যাচে |
এই আসর হতে বিদায় |
২০১৬ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর তারিখে লন্ডনের সিটি হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সময় এই আসরের আনুষ্ঠানিক লোগো উন্মোচন করা হয়েছে। লোগোটিতে অঁরি দেলোনে শিরোপা প্রদর্শিত হয়েছে, যেখানে একটি সেতুতে ভক্তদের উদ্যাপন লক্ষ্য করা যায়; উয়েফার মতে, ফুটবল কীভাবে মানুষকে সংযুক্ত করে এবং একীভূত করে এই লোগোটি তা-ই প্রতিনিধিত্ব করে।[১৯২][১৯৩] এই আসরের আনুষ্ঠানিক স্লোগান হচ্ছে "লাইভ ইট, ফর রিয়াল" (ইংরেজি: Live It. For Real, অনুবাদ 'সত্যিকার অর্থে জীবন উপভোগ কর'। এই স্লোগানটি ইউরোপজুড়ে স্টেডিয়ামে সরাসরি ম্যাচগুলো দেখতে উৎসাহিত ভক্তদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।[১৯৪]
প্রতিটি স্বতন্ত্র আয়োজক শহরের নিজস্ব অনন্য লোগোও রয়েছে। আয়তাকার লোগোতে উপরে "উয়েফা ইউরো ২০২০" লেখা, নিচে "আয়োজক শহর" পাঠ্যের উপরে শহরের নাম (সব উপরের ক্ষেত্রে), বাম দিকে এই আসরের মূল লোগো এবং ডানদিকে একটি স্থানীয় সেতু রয়েছে। প্রতিটি লোগো ইংরেজিতে (প্রযোজ্য হলে স্থানীয় ভাষার বৈচিত্র্যসহ) বিদ্যমান। লোগোগুলো ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত উন্মোচন করা হয়েছিল।
আয়োজক শহর | তারিখ | সেতু | অন্যান্য ভাষা | সূত্র |
---|---|---|---|---|
লন্ডন | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬[ক] | টাওয়ার সেতু | — | [১৯৩] |
রোম | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | পোন্তে সান্তাঙ্গেলো | ইতালীয় | [১৯৫] |
বাকু | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | বাকু ক্যাবল-স্টেয়েড ব্রিজ | আজারবাইজানি | [১৯৬] |
বুখারেস্ট | ১৬ অক্টোবর ২০১৬ | বাসারাব ওভারপাস | রোমানীয় | [১৯৭] |
গ্লাসগো | ২৫ অক্টোবর ২০১৬ | ক্লাইড আর্ক | — | [১৯৮] |
মিউনিখ | ২৭ অক্টোবর ২০১৬ | ভিটেলসবাখারব্রুকে | জার্মান | [১৯৯] |
কোপেনহেগেন | ১ নভেম্বর ২০১৬ | সার্কেল ব্রিজ | ডেনীয় | [২০০] |
বুদাপেস্ট | ১৬ নভেম্বর ২০১৬ | শেচেনয়ি চেন ব্রিজ | হাঙ্গেরীয় | [২০১] |
আমস্টারডাম | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ | মাগেরে ব্রুজ | ওলন্দাজ | [২০২] |
সেন্ট পিটার্সবার্গ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ | প্যালেস ব্রিজ | রুশ | [২০৩] |
সেভিয়া | — | আলামিয়ো ব্রিজ | স্পেনীয় | [২০৪] |
আয়োজক শহর | তারিখ | সেতু | অন্যান্য ভাষা | সূত্র |
---|---|---|---|---|
ডাবলিন | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ | স্যামুয়েল বেকেট ব্রিজ | আইরিশ | [২০৫] |
ব্রাসেল্স | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ | পন্ট সোবিয়েস্কি | ওলন্দাজ এবং ফরাসি | [২০৬] |
বিলবাও | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ | সান আন্তোন ব্রিজ | স্পেনীয় | [২০৭] |
২০১৯ সালের ৬ই নভেম্বর তারিখে উয়েফা এক ঘোষণায় জানিয়েছিল যে, আডিডাসের ইউনিফোরিয়াকে এই আসরের আনুষ্ঠানিক ম্যাচ বল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রধানত সাদা, বল নীল, নিয়ন এবং গোলাপী ডোরার সাথে কালো রেখা বিশিষ্ট। এই নামটি "ঐক্য" এবং "উচ্ছ্বাস"-এর একটি পোর্টম্যান্টো থেকে উদ্ভূত।[২০৮]
এই আসরের আনুষ্ঠানিক মাসকটের নাম হচ্ছে স্কিলজি, যা ২০১৯ সালের ২৪শে মার্চ তারিখে উন্মোচন করা হয়েছিল। এই চরিত্রটি ফ্রিস্টাইল ফুটবল, স্ট্রিট ফুটবল এবং পান্না সংস্কৃতি দ্বারা অনুপ্রাণিত।[২০৯]
২০১৯ সালের ১৯শে অক্টোবর তারিখে ওলন্দাজ ডিজে এবং রেকর্ড প্রযোজক মার্টিন গ্যারিক্সকে এই আসরের আনুষ্ঠানিক সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।[২১০] তিনি এই আসরের আনুষ্ঠানিক গান তৈরির পাশাপাশি ম্যাচ পূর্ববর্তী ওয়াকআউট সঙ্গীত এবং টেলিভিশন সম্প্রচার সঙ্গীত প্রযোজনা করবেন। রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আসরের গানটি প্রথম সম্পূর্ণভাবে পরিবেশিত হয়েছে।[২১১] "উই আর দ্য পিপল" গানটিতে আইরিশ রক ব্যান্ড ইউটুর বোনো এবং দ্য এজ রয়েছেন। এই গানটি ২০২১ সালের ১৪ই মে তারিখে মুক্তি পেয়েছে।[২১২][২১৩]
২০২০ সালের জুন মাসে, এই আসরের ভিডিও গেমটি কোনামি ইফুটবল পিইএস ২০২০ বিনামূল্যে ডিএলসি হিসেবে প্রকাশ করেছিল এবং উন্মোচনের দিন ২০২১ মৌসুমের হালনাগাদ প্রকাশ করেছে। এটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৫৫টি উয়েফা দলের জন্য আনুষ্ঠানিক পোশাক এবং খেলোয়াড়ের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হালনাগাদে এই আসরের ১১টি মাঠের ৫টি এবং আনুষ্ঠানিক ম্যাচ বল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[২১৪][২১৫]
নিম্নে এই আসরের বৈশ্বিক পৃষ্ঠপোষকগুলো উল্লেখ করা হয়েছে:
ইন্টারন্যাশনাল ব্রডকাস্ট সেন্টার (আইবিসি) নেদারল্যান্ডসের ভিয়ফহইজেনের এক্সপো হারলেমারমেরে অবস্থিত ছিল।[২২৮]