রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য | |
---|---|
বাণিজ্যিক নাম | Actimoxi, Alphamox, Amocla, Amoxil, Trimox, among others |
এএইচএফএস/ ড্রাগস.কম | মনোগ্রাফ |
মেডলাইনপ্লাস | a685001 |
গর্ভাবস্থার শ্রেণি |
|
প্রয়োগের স্থান | Oral, শিরাতে |
এটিসি কোড | |
আইনি অবস্থা | |
আইনি অবস্থা |
|
ফার্মাকোকাইনেটিক উপাত্ত | |
জৈবপ্রাপ্যতা | ৯৫% মুখের মাধ্যমে শোষিত |
বিপাক | ৩০%ও কম লিভার কর্তৃক বিপাক হয় |
বর্জন অর্ধ-জীবন | ৬১.৩ মিনিট |
রেচন | বৃক্কীয় |
শনাক্তকারী | |
| |
সিএএস নম্বর | |
পাবকেম সিআইডি | |
ড্রাগব্যাংক | |
কেমস্পাইডার | |
ইউএনআইআই | |
কেইজিজি | |
সিএইচইবিআই | |
সিএইচইএমবিএল | |
কমপটক্স ড্যাশবোর্ড (আইপিএ) | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | 100.043.625 |
রাসায়নিক ও ভৌত তথ্য | |
সংকেত | C16H19N3O5S |
মোলার ভর | 365.4 g/mol |
থ্রিডি মডেল (জেএসমোল) | |
| |
|
এমোক্সিসিলিন (আইএনএন), পূর্বেকার অ্যামোক্সিসিলিন (বিএএন), এবং সংক্ষেপে এমোক্স হচ্ছে একটি মধ্যম পরিসরের (moderate-spectrum) ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী(ব্যাক্টেরিওলাইটিক/bacteriolytic) বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। এমোক্সিসিলিন সাধারণত ব্যাকটেরিয়া জাতীয় সংক্রমণের জন্য দায়ী জীবাণুর উপর ব্যবহার করা হয়। মুখে খাওয়া অন্য বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ শ্রেণীর মধ্যে এটি প্রথম পছন্দের (drug of choice) তালিকায় পড়ে। এমোক্সিসিলিন শিশুদের জন্য একটি অন্যতম সাধারণ নির্দেশিত অ্যান্টিবায়োটিক। বাংলাদেশে এটি মোক্সাসিল® (Moxacil®) - স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড,[১] অ্যামোক্সিল® (Amoxil®) – গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড,[২] ফাইমক্সিল® (Fimoxyl®) - ফাইসন্সসহ অনেক নামকরা ঔষধ কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন নামে বাজারজাত ও বিপণন করে আসছে।
বিটা ল্যাক্টামেজ (β-lactamase) নিঃসরণকারী ব্যাকটেরিয়া কর্তৃক সংবেদনশীল (susceptible), ফলে সহজে এটির গঠন বিচূর্ণ হয়ে যায়, যা উচ্চস্তরের বা বিস্তৃত পরিসরের (broad spectrum) অ্যান্টিবায়োটিক যেমন - পেনিসিলিন কর্তৃক ঘটে না। এই কারণে এটি প্রায়ই ক্লাভুলানিক এসিডের সাথে দেয়া হয়, যা একটি বিটা ল্যাক্টামেজ সংবাধক (β-lactamase inhibitor) ও একই নামে বাজারজাত করা হয় যেমন – মোক্সাক্লেভ ফর্ট (Moxacalve Forte) - গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড, ফাইমক্সিক্লাভ (Fimoxyclav) – এভেন্টিস লিমিটেড। এটি বিটা ল্যাক্টামেজের প্রতি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে এমোক্সিসিলিন এর কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়।
এমোক্সিসিলিন বহুসংখ্যক সংক্রামণের বিরুদ্ধে কাজ করে যেমন – একিউট ওটাইটিস মিডিয়া, স্ট্রেপটোকক্কাল ফেরিঞ্জাইটিস, নিউমোনিয়া, ত্বক সংক্রামণ (Skin Infection), মূত্রনালীর সংক্রামণ (ইউরিনারী ট্রাক ইনফেকশন), লাইম রোগ ও ক্লামাইডিয়া সংক্রামণ।[৩] ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোকার্ডাইটিস প্রতিরোধে বিশেষ করে যাদের দন্ত শল্য চিকিৎসা হয়েছে ও প্লীহাহীন ব্যক্তির স্ট্রেপটোকক্কাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং এনথ্রাক্স প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।[৩] এটি সিস্টিক এক্নি চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়।[৪] অপরদিকে, ইউকে (যুক্তরাজ্য) এন্ডোকার্ডাইটিস সংক্রমনে প্রতিষেধক (prophylaxis) হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেয় নি।[৫] এই পরামর্শ মোতাবেক সংক্রামণের হারের কোন পরিবর্তন আসেনি।[৬]
সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো অন্য বিটা ল্যাকটাম অ্যান্টিবায়োটিকের মত যেমন – বমিভাব, বমি, ছোট ছোট রক্ত ফুসকুড়ি (র্যাশ), অ্যান্টিবায়োটিক-গঠিত কোলাইটিস, এমনকি ডায়ারিয়াও হতে পারে। দুর্লভ কিন্তু কিছু কিছু কারণ যেমন – মানসিক পরিবর্তন, অলোকসংবেদনশীলতা-জনিত মাথাব্যথা, ঘুম কম হওয়া বা অনিদ্রা, বিভ্রান্তি, উদ্ভিগ্নতা, আলোক ও শব্দ সংবেদনশীলতা এবং অপরিষ্কার চিন্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে রোগীর বিবরণী পাওয়া যায়। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। অ্যামক্সিসিলিনের প্রতি এল্যার্জিক প্রতিক্রিয়া হঠাৎ ও প্রবল হতে পারে। যত শীঘ্রই সম্ভব জরুরি চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। মানসিক ভারসাম্য পরিবর্তন দিয়ে শুরু হয়ে তীব্র চুলকানির দরুন প্রায়ই ত্বকে র্যাশের সৃষ্টি হয়ে থাকে (আঙ্গুলের ডগা থেকে কুঁচকিতে ছড়িয়ে পড়ে) এবং জ্বরের তীব্রতা, বমিভাব, বমি। অন্য উপসর্গসমূহ সন্দেহপ্রবণ হলে গুরুত্বের সহিত নেয়া উচিত। অন্য আরো উপসর্গ যেমন র্যাশ, চিকিৎসা চলাকালীন অথবা চিকিৎসা বন্ধের সপ্তাহ পরে যে কোনো সময়ে দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু লোকের যাদের এমোক্সিসিলিনের প্রতি এলার্জি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। এমোক্সিসিলিনের সাথে ক্লাভুলানিক এসিডের যুগলে ব্যবহার কোনো কোনো রোগীদের সামান্য হেপাটাইটিসের ভাব হয়। ছোট শিশুদের এমোক্সিসিলিনের অতিমাত্রায় লিথার্জি, বমি ও রেনাল ডিসফাংশন প্রতীয়মান হয়।[৭][৮]
৩ থেকে ১০ শতাংশ শিশুদের যারা এমোক্সিসিলিন বা এম্পিসিলিন চুলাকানি সহ প্রায়ই র্যাশ দেখা যায়, যা এমোক্সিসিলিন র্যাশ নামে ডাকা হয় (গ্রহণের ৭২ঘণ্টার পর ও আগে গ্রহণ করে নি এজাতীয় পেনিসিলিন ঔষধ)। প্রাপ্ত বয়স্কদেরও র্যাশ দেখা যায়। র্যাশকে ম্যাকুলোপ্যাপুলার বা মর্বিলিফর্ম (হামের মত, মেডিক্যাল টার্মঃ এমোক্সিসিলিন-ইন্ডিউসড মর্বিলিফর্ম র্যাশ[৯])। মধ্যশরীর থেকে আরম্ভ হয়ে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পরে। প্রকৃত এল্যার্জিক প্রতিক্রিয়া মতন নয় ফলে না ভবিষ্যতে এমোক্সিসিলিন ব্যবহারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া আছে না জরুরিভাবে বন্ধের প্রয়োজন। তবে, কোন্টা সাধারণ এমোক্সিসিলিনের ফলে তৈরি র্যাশ ও কোন্টি মারাত্মক এলার্জিক প্রতিক্রিয়ার কারণে সৃষ্টি পেশাগত দক্ষ চিকিৎসকের দুয়ের মধ্যে তফাৎ জানা থাকা দরকার।[১০]
এল্যার্জিবিহীন এমোক্সিসিলিন র্যাশ সংক্রামক মননিউক্লিওসিসের নির্দেশক হতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ রোগী এপস্টেইন বার ভাইরাস সংক্রামক হতে সৃষ্ট র্যাশ এমোক্সিসিলিন বা এম্পিসিলিন কর্তৃক চিকিৎসা করা হয়।[১১]
এমোক্সিসিলিন নিন্মোক্ত ঔষধের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে -
এটি ব্যাক্টেরিয়ার কোষ প্রাচীরকে সৃষ্টিকে বাধাগ্রস্ত করে। এটি পেপ্টাইডোগ্লাইকেন পলিমার আড়াআড়ি সংযুক্ত চেইনকে -যেটি গ্রাম-পজেটিভ ও গ্রাম-নেগেটিভ উভয় ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর তৈরিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে, তাঁকে প্রতিহত করে। এর দুটি আয়নিত গ্রুপ আছে। একটি এমাইড কার্বনিল গ্রুপের আলফা-পজিশনে এমাইনো (-NH2) গ্রুপ ও কার্বক্সিল গ্রুপ (-COOH)।
এমোক্সিসিলিন ট্রাইহাইড্রেট আকারে ক্যাপসুল, চুষে ও ডিস্পার্সিবল ট্যাবলেট এবং সিরাপ ও শিশুদের (pediatric) সাস্পেনশন হিসেবেও মুখে খাওয়ানোর ব্যবস্থা আছে। আর সোডিয়ামের (Na) লবণ আন্তঃশিরায় (ইন্ট্রাভেনাস) প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা হয় (অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে ইন্ট্রাভেনাস বা আইভি ফর্মুলেশন নেই)।[১৩] এমোক্সিসিলিন সাধারণত মুখে খাওয়া হয়। কোনো কোনো রোগীর জন্য যাদের ট্যাবলেট ও ক্যাপসুলের নিতে কষ্টবোধ করে তাদের জন্য তরল দ্রবণ (লিকুইড) আকারটি বেশি সাচ্ছন্দ্যময়। সম্প্রতি কিছু ইঁদুরের উপর এক গবেষণায় এমোক্সিসিলিনের ক্ষুদ্রকণা (amoxicillin-bearing microparticles) উদরে ইঞ্জেকশন-এর সফল প্রবেশ দেখা গেছে।[১৪]
অনেকগুলো সেমিসিন্থেটিক পেনিসিলিন ঔষধের মধ্যে মধ্যে এমোক্সিসিলিন হচ্ছে অন্যতম, যা বিকেম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন। এমোক্সিসিলিনের পেটেন্টটি (patent-সরকার প্রদত্ত অধিকারনামা/পত্র) মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার পরই বিভিন্ন নামে বাজারজাত করা শুরু হয়। এতে আছে - এক্টিমোক্সি, আলফামোক্স, আমোক্লা, এএমকে, এমোক্সিবস, এমোক্সিক্লাভ সান্ডোস, এমোক্সিডাল, এমোক্সিল, এমোক্সিন, এমোকসিক্লাভ (সাথে ক্লাভুলানিক এসিড), এমোক্সিবায়োটিক, এমোক্সিসিলিনা, এমোক্সিডাল, এপো-এমোক্সি, অগমেন্টিন (সাথে ক্লাভুলানিক এসিড), ব্যাক্টক্স, বিটালেক্টাম, বায়োডোনা, সিলামক্স, ক্লামোক্সিল, কুরাম, ডেডোক্সিল, ডিস্পারমোক্স, ডুওমোক্স, ই-মক্স, এনহেন্সিন, গিমালঝিনা, গেরামক্স, হিকন্সিল, ইসিমোক্সিন, ক্লাভাক্স, ক্লাভসিন, ক্লাভক্স, লামক্সি, লারগপেন, মক্সাটাগ, মক্সিলেন, মক্সিপেন, মক্সিভিট, নোবেক্টাম, নোভামক্সিন, অস্পামক্স, পানক্লাভ (সাথে ক্লাভুলানিক এসিড), অপ্টামক্স, পামক্সিসিলিন, পানামক্স, পলিমক্স, সাম্থংসিলিন, সেনক্স, সিনাসিলিন, স্টারমক্স, ট্রিমক্স, টোলোডিনা, টোরমোক্সিন।
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=
(সাহায্য)
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)