এরিস্টটলের জীববিজ্ঞান

এরিস্টটল পর্যবেক্ষণ করেন যে, অক্টোপাস বিরক্তবোধ করলে তার রঙ পরিবর্তন করতে পারে।

এরিস্টটলের জীববিজ্ঞান হলো জীববিজ্ঞানের তত্ত্ব, যা প্রধানত প্রাণীবিজ্ঞান সম্পর্কিত নিয়মতান্ত্রিক পর্যবেক্ষণ এবং তথ্য সংগ্রহের উপর ভিত্তি করে বর্ণিত, এরিস্টটলের বিজ্ঞানের উপর রচিত বইগুলিতে মূর্ত। এর অনেক পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন হয়েছিলো তার লেসবোস দ্বীপে অবস্থান করা কালীন, বিশেষ করে পেইরা উপসাগরের, যেটি বর্তমানে ক্যালোনি উপসাগর নামে পরিচিত, সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানের বর্ণনা সম্পর্কিত বিষয়াবলীর ক্ষেত্রে। তার তত্ত্ব তার রূপের ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা থেকে উদ্ভূত, কিন্তু এটি প্লেটোর রূপের তত্ত্বের বিপরীতে।

প্রভাব

[সম্পাদনা]

থিওফ্রাস্টাসের ওপর

[সম্পাদনা]

এরিস্টটলের ছাত্র এবং তার লাসিয়ামের উত্তরসূরি থিওফ্রাস্টাস উদ্ভিদবিজ্ঞানের প্রথম শাস্ত্রীয় বই হিস্টোরিয়া প্লান্টারাম লিখেন। এটিতে এরিস্টটলীয় কাঠামো রয়েছে, তবে আনুষ্ঠানিক কারণগুলির উপর দৃষ্টিনিক্ষেপ করার পরিবর্তে, এরিস্টটলের মতো, থিওফ্রাস্টাসও বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে উদ্ভিদ কাজ করে।[][] যেখানে এরিস্টটল বৃহত্ তত্ত্বের উপর বিস্তৃত হয়েছিলেন সেখানে থিওফ্রাস্টাস ভিন্ন ভাবে অভিজ্ঞতামূলক ছিলেন।[] যেখানে এরিস্টটল জোর দিয়েছিলেন যে স্থানিক প্রকৃতিতে প্রজাতির একটি নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে, থিওফ্রাস্টাস পরামর্শ দিয়েছেন যে এক ধরণের উদ্ভিদ অন্যটিতে রূপান্তরিত হতে পারে, যেমন গমের জন্য বপন করা ক্ষেত আগাছায় পরিণত হয়।[]

টীকাসমূহ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Mayr 1985, পৃ. 90–91।
  2. Mason 1962, পৃ. 46।
  3. Leroi 2014, পৃ. 32–33।
  4. Leroi 2014, পৃ. 296–297।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Aristotelianism