এস. এ. হুসেইন | |
---|---|
![]() ২০০৮ সালে হুসেইন | |
জন্ম | করকাল, মাঙ্গলুরুর নিকটবর্তী | ১৩ আগস্ট ১৯৪৪
মৃত্যু | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ করকাল | (বয়স ৬৫)
নাগরিকত্ব | ভারত |
মাতৃশিক্ষায়তন | শ্রী ভুবনেন্দ্র মহাবিদ্যালয় |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পক্ষিবিজ্ঞান |
সৈয়দ আবদুল্লাহ হুসেইন (১৩ আগস্ট ১৯৪৪ - ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯) হলেন একজন ভারতীয় পক্ষীবিদ। সেলিম আলীর সাথে বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটিতে (বিএনএইচএস) করা কাজের জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিত। তার বাড়ির কাছে কুদুরেমুখে প্রাপ্ত নিক্টিবাট্রাচুস হুসেইনি (Nyctibatrachus hussaini) প্রজাতির ব্যাঙটির নামকরণ তার নামানুসারে করা হয়; যদিও প্রজাতিটির এই নামকরণটি পরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।[১][২]
হুসেইন ম্যাঙ্গালোরের (তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির একটি অংশ) কাছে করকালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যেখানে তার পিতা সৈয়দ হুসেইন একজন প্রখ্যাত আইনজীবী ছিলেন। তার প্রাথমিক শিক্ষার সূচনা ঘটে বাস্তি মিশন স্কুলে এবং তিনি করকালের শ্রী ভুবনেন্দ্র মহাবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটির পরিযায়ী পক্ষী পর্যবেক্ষণ প্রকল্পে একজন মাঠ গবেষক হিসাবে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন এবং যদিও প্রাণিবিদ্যায় তার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না কিন্তু সেলিম আলী তাকে খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাকেই নিয়োগ দান করেন।
হুসেইন আলীর সাথে অসংখ্য অভিযানে গিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি নিজেই বিভিন্ন জরিপ পরিচালনা করেন। হোসেন ১৯৭৯ সালে বিএনএইচএস-এর সহকারী কিউরেটর হন, ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত একজন জেষ্ঠ্য বিজ্ঞানী এবং তারপর ১৯৯২ সাল পর্যন্ত গবেষণা উপ-পরিচালক ছিলেন। পরে তিনি মালয়েশিয়া চলে যান যেখানে তিনি এশিয়ান ওয়েটল্যান্ড ব্যুরোর প্রধান ছিলেন। তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনালের ভাইস-চেয়ারম্যানও ছিলেন।[৩][৪] ১৯৭৪ সালে তিনি এমন একটি দলের অংশ ছিলেন যারা রিচার্ড মেইনার্টজহেগেন দ্বারা মিথ্যা দাবি করা একটি এলাকায় বন পেঁচার সন্ধানে গিয়েছিল।[৫]
চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি করকালে ফিরে আসেন যেখানে তিনি "বায়োডাইভারসিটি ইনিটিয়েটিভ ট্রাস্ট" শুরু করেন। সংস্থাটি স্থানীয়ভাবে কাজ করে, বিশেষ করে কুদুরেমুখ অঞ্চল সংরক্ষণের জন্য। ২০০৩ সালে তিনি কুদুরেমুখ লৌহ আকরিক কোম্পানির শহরটিকে জীববৈচিত্র্য গবেষণা কেন্দ্রে রূপান্তর করার জন্য একটি পরিকল্পনার পরামর্শ দেন কারণ ভারত সরকার এই জীববৈচিত্র্যের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত খনিটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।[৬] ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর তিনি নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তার বেশ কিছু প্রাথমিক প্রকাশনা বিএনএইচএস-এ পাখি সংগ্রহের গবেষণা ভিত্তিক ছিল। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ঘাটে ডিনোপিয়াম শোরির পরিসরের সম্প্রসারণ,[৭] ওটাস বাক্কামোইনা স্টুয়ার্তির অবস্থানের নিশ্চয়তা,[৮] এশীয় তালবাতাসির (সিপসিউরাস পারভাস ইনফুমেটাস) পরিসরের (ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তরে) সম্প্রসারণ।[৯] তার ভ্রমণের সময় তিনি চিলকা থেকে বাদামী-পাখাওয়ালা মাছরাঙা,[১০] ভরতপুর হতে সেট্টিস ওয়ার্বলার,[১১] মুসৌরি (পশ্চিমতম প্রান্ত) থেকে বেগুনি কাকাতুয়া সহ[১২] বেশ কয়েকটি পরিসরের সম্প্রসারণ লক্ষ্য করেছিলেন।