ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ওয়াজির মোহাম্মদ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জুনাগড়, জুনাগড় রাজ্য, ব্রিটিশ ভারত | ২২ ডিসেম্বর ১৯২৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | হানিফ মোহাম্মদ (ভ্রাতা) রইছ মোহাম্মদ (ভ্রাতা) মুশতাক মোহাম্মদ (ভ্রাতা) সাদিক মোহাম্মদ (ভ্রাতা), ওয়াকার মোহাম্মদ (পুত্র), শোয়েব মোহাম্মদ (ভ্রাতৃষ্পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৪) | ১৩ নভেম্বর ১৯৫২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৩ নভেম্বর ১৯৫৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ এপ্রিল, ২০২০ |
ওয়াজির মোহাম্মদ (উর্দু: وزیر محمد; জন্ম: ২২ ডিসেম্বর, ১৯২৯) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের জুনাগড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে বাহাওয়ালপুর ও করাচি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।
১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম পর্যন্ত ওয়াজির মোহাম্মদের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। শক্ত প্রতিরক্ষাব্যূহ গড়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন।[১]
১৯৫০ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত ওয়াজির মোহাম্মদের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের স্থিতিকাল ছিল। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমের কায়েদ-ই-আজম ট্রফি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় করাচি হোয়াইটসের অধিনায়কত্ব করেন ও দলকে স্বল্প ব্যবধানে জয়লাভে ভূমিকা রাখেন।[২]
১৯৬৩ সালে পাকিস্তান ঈগলেটসের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরের ১৮ জন খেলোয়াড়ের ১৪ জনই পরবর্তীতে টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছিলেন। এছাড়াও, চারজন টেস্ট অধিনায়কের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে বিশটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ওয়াজির মোহাম্মদ। ১৩ নভেম্বর, ১৯৫২ তারিখে মুম্বইয়ে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৩ নভেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে ঢাকায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৫৪ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১২ আগস্ট লন্ডনের ওভালে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অপরাজিত ৪২ রান তুলে দলের শীর্ষ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন। ঐ খেলায় পাকিস্তান দল নাটকীয়ভাবে স্বাগতিকদেরকে ২৪ রানে পরাজিত করেছিল।[৩] টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান তুলেন ১৮৯। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে এ ইনিংসটি খেলেন। দীর্ঘ পৌনে সাত ঘণ্টা ক্রিজে আঁকড়ে পড়ে থাকেন ও পাকিস্তানের ইনিংস ব্যবধানের বিজয়ে ভিত্তি গড়েন।[৪]
পেশাগত জীবনে ব্যাংকার ছিলেন। অধিকাংশ সময়ই পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংকে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন।[৫] তার কনিষ্ঠ ভ্রাতৃত্রয় - হানিফ মোহাম্মদ, মুশতাক মোহাম্মদ ও সাদিক মোহাম্মদ পাকিস্তানের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৬]
১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ইসরার আলী’র মৃত্যুর ফলে তিনি পাকিস্তানের প্রবীনতম জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।[৭]