ওসমান শাহ মসজিদ | |
---|---|
Τέμενος Οσμάν Σαχ | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | ত্রিকালা, গ্রিস |
স্থানাঙ্ক | ৩৯°৩৩′০.৩৮″ উত্তর ২১°৪৬′১৬.১৩″ পূর্ব / ৩৯.৫৫০১০৫৬° উত্তর ২১.৭৭১১৪৭২° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | মিমার সিনান |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | উসমানীয় স্থাপত্য |
ভূমি খনন | ১৫৬৬/৬৭ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৫৭০ |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজের ব্যাস (বাহিরে) | ১৮ মি (৫৯ ফু) |
মিনার | ১ |
উপাদানসমূহ | পর্যায়ক্রমে পাথর এবং ইটের স্তর |
ওসমান শাহ মসজিদ (গ্রিক: Τέμενος Οσμάν Σαχ) বা কুরসুম মসজিদ (Κουρσούμ Τζαμί, তুর্কি: kurşun camii থেকে ' লিডেন মসজিদ ') গ্রীসের ত্রিকালা শহরে অবস্থিত ১৬ শতকের একটি উসমানীয় মসজিদ।
মসজিদটি ওসমান শাহ, (কারা ওসমান পাশা নামেও পরিচিত) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওসমান শাহ, সুলতান সেলিমের কন্যা এবং মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত উজির ইস্কেন্দার পাশার (মৃত্যু ১৫১৫) পুত্র ছিলেন। ওসমান শাহ স্থানীয় প্রদেশের গভর্নর হিসেবে ত্রিকালায় দীর্ঘকাল বসবাস করেন।[১] মসজিদটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের স্থপতি মিমার সিনান নকশা করেছিলেন, যা তার নকশাকৃত আধুনিক গ্রীসের একমাত্র নকশা।
মসজিদটির নির্মাণের সঠিক তারিখ জানা যায়নি, তবে এটি সম্ভবত ১৫৫০-৬০ সময়কালে নির্মিত হয়েছিল, খুব সম্ভবত ১৫৫০ এর দশকের শেষের দিকে।[১] ওসমান শাহ মসজিদের সাথে কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত করেছিলেন। সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি মাদ্রাসা, একটি ভিক্ষার ঘর এবং একটি কাফেলা। ১৬৬৭/৮ সালে তার মৃত্যুর পর তাকে মসজিদের দক্ষিণ প্রাঙ্গণে একটি তুরবে সমাহিত করা হয়েছিল।[১] এক শতাব্দী পরেও ইভলিয়া সেলেবির সফরের সময় এই মসজিদটি শহরের প্রধান মসজিদ ছিল।[২]
ইভলিয়া সেলেবির সফরকালে তিনি ত্রিকালা শহরে যে আটটি মসজিদের কথা উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে এটিই একমাত্র মসজিদ হিসেবে এখনও টিকে আছে।[১] মসজিদ ভবনের প্রার্থনা হলটি বর্গাকার আকৃতির এবং এর উপরে একটি বড় ১৮ মিটার (৫৯ ফু) ব্যাসের আধা-গোলাকার গম্বুজ রয়েছে।[৩] সম্মুখ ভাগের বারান্দাটি (রেভাক) ১৯৯৮ সালে সংস্কার করে সম্পূর্ণরূপে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।[৩] [৪]
পাথরের মিনারটি উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত এবং এর ছাদ ব্যতীত বাকি অংশ ভালভাবে সংরক্ষিত আছে। প্রতিষ্ঠাতার অষ্টভুজাকৃতির সমাধি ব্যতীত মসজিদের সাথে সংযুক্ত অন্যান্য সমস্ত ভবন অদৃশ্য হয়ে গেছে, যা প্রত্নতাত্ত্বিক খনন থেকে উদ্ধারকৃত প্রত্নবস্তুর স্টোরেজ সাইট হিসাবে ব্যবহৃত হয়।[১] মসজিদটি এখন ছোটখাটো অনুষ্ঠানের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি ইউনেস্কোর একটি সুরক্ষিত স্থান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]