কঙ্গনা রানাওয়াত | |
---|---|
জন্ম | ভাম্বলা, মণ্ডী জেলা, হিমাচল প্রদেশ, ভারত | ২৩ মার্চ ১৯৮৭
অন্যান্য নাম | কঙ্গনা রনৌত |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ২০০৬–বর্তমান |
পুরস্কার | সম্পূর্ণ তালিকা |
সম্মাননা | পদ্মশ্রী (২০২০) |
ওয়েবসাইট | officialkanganaranaut |
কঙ্গনা রানাওয়াত (উচ্চারিত [kəŋɡənaː raːɳoːʈʰ]; কঙ্গনা রনৌত, জন্ম: ২৩ মার্চ ১৯৮৭) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি নিজেকে বলিউড চলচ্চিত্রে অন্যতম একটি জায়গায় অধিষ্ঠিত করেছেন। তিনি মোট চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন, তন্মধ্যে তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ও একবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে। এছাড়াও তিনি ৪টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন। ফোর্বসের ভারতের ১০০ তারকা তালিকায় ছয়বার তার নাম এসেছে। ২০২০ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে।
হিমাচল প্রদেশের ছোট শহর ভাম্বলায় জন্মগ্রহণকারী রানাওয়াত তার পিতামাতার পীড়াপীড়িতে শুরুতে ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। তার নিজের কর্মজীবন শুরুর লক্ষ্যে তিনি ১৬ বছর বয়সে দিল্লিতে পাড়ি জমান এবং অল্প সময় মডেলিং করেন। মঞ্চ পরিচালক অরবিন্দ গৌড়ের নিকট প্রশিক্ষণ লাভের পর রানাওয়াত ২০০৬ সালের থ্রিলার চলচ্চিত্র গ্যাংস্টার-এর মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন করেন এবং এই কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি নাট্যধর্মী ওহ্ লামহে (২০০৬), লাইফ ইন আ... মেট্রো (২০০৭), ও ফ্যাশন (২০০৮) চলচ্চিত্রে ভাবানুভূতিপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। তন্মধ্যে ফ্যাশন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
কঙ্গনা মিডিয়াতে তার সৎ মতামত প্রকাশের জন্য জনসাধারণের কাছে বিশেষভাবে সুপরিচিত এবং নিজেকে অন্যতম একজন ভারতীয় সেলিব্রেটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
কঙ্গনা ১৯৮৭ সালের ২৩ মার্চ হিমাচল প্রদেশের মান্দি জেলার একটি শহরের রাজপুত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১][২][৩] তার মা আশা রানাওয়াত একজন স্কুল শিক্ষিকা এবং তার বাবা অমরদ্বীপ রানাওয়াত একজন ব্যবসায়ী।[৪] তার রাঙ্গোলী নামের একটি বড় বোন এবং আকশাত নামে ছোট ভাই রয়েছে।[৫][৬] তার পিতামহ সারজু সিং রানাওয়াত আইনসভার একজন খ্যাতনামা সদস্য ছিলেন এবং তার দাদীমা ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা ছিলেন।[৭] তিনি ভাম্বলার পৈতৃৃক বাড়িতে যৌথ পরিবারের মধ্যে দিয়ে লালিত পালিত হন এবং তার শৈশবকাল "সাধারণ ও সুখী" ছিল বলে বর্ণনা করেন।[৬][৮]
রানাওয়াত চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তন্মধ্যে ফ্যাশন (২০০৮) চলচ্চিত্রের জন্য একবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে এবং কুইন (২০১৪), তনু ওয়েডস মনু (২০১৫) ও মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি (২০১৯) চলচ্চিত্রের জন্য তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে। এছাড়াও তিনি ৪ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পুরস্কার পান যথাক্রমে গ্যাংস্টার (২০০৬) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে, ফ্যাশন (২০০৮) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে, কুইন (২০১৪) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে এবং তনু ওয়েডস মনু (২০১৫) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (সমালোচক) বিভাগে। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০২০ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে।[৯][১০][১১]