ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | স্যার কনরাড ক্লিওফাস হান্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | গ্রীনল্যান্ড প্লান্টেশন, শোরেজ ভিলেজ, সেন্ট অ্যান্ড্রু, বার্বাডোস | ৯ মে ১৯৩২||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সিডনি, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৬৭)||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডারহাতি মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৯৮) | ১৭ জানুয়ারি ১৯৫৮ বনাম পাকিস্তান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ জানুয়ারি ১৯৬৭ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫০/৫১-১৯৬৬/৬৭ | বার্বাডোস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ জানুয়ারি ২০১৮ |
স্যার কনরাড ক্লিওফাস হান্ট, কেএ (ইংরেজি: Conrad Hunte; জন্ম: ৯ মে, ১৯৩২ - মৃত্যু: ৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৯) বার্বাডোসের সেন্ট অ্যান্ড্রু এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৭ সময়কালে ৪৪ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন কনরাড হান্ট।
বার্বাডোসের উত্তরে সেন্ট অ্যান্ড্রু পারিশের গ্রাম্য এলাকায় কনরাড হান্টের জন্ম। বাবা আখ চাষকর্মে নিয়োজিত ছিলেন।[২] হান্টের পরিবার আর্থিক দিক দিয়ে বেশ দূর্বল ছিল। নয় ভাই-বোনকে নিয়ে এককক্ষবিশিষ্ট গৃহে হান্ট বড় হন। ছয় বছর বয়স থেকে গ্রামের বালকদেরকে নিয়ে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন।[২] ভালোমানের শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে তার পিতা তিন মাইল দূরবর্তী পায়েহাঁটা রাস্তা দিয়ে বেলেপ্লেইন বয়েজ স্কুলে ভর্তি করান।[৩][৪] শুরুতেই স্বীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন কনরাড হান্ট। দশ বছর বয়সেই বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশে ঠাঁই হয় তার। তার তুলনায় লম্বা ও বয়সে বড়োদের সাথে খেলতে থাকেন। ১২ বছর বয়সে বৃত্তিলাভ করে অ্যালিয়েন সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তি হন। তার প্রতিভা বিদ্যালয়ের ক্রীড়াশিক্ষকের নজর কাড়ে ও বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্ত করেন। সেখানে তিনি অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদের বিপক্ষে খেলেন। উদ্দীপনা জোগাতে প্রতি ২৫ রানের জন্য ক্রীড়াশিক্ষক হান্টকে এক সিলিং করে দিতেন। শেষ তিন বছর বিদ্যালয় দলের অধিনায়ক মনোনীত হন।[৩] বিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে থাকাকালে নবপ্রতিষ্ঠিত বেলেপ্লেইন স্পোর্টস এন্ড সোশ্যাল ক্লাবে খেলার জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়।
বার্বাডোস ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) উত্তরাঞ্চলে বেলেপ্লেইন খেলতো। দলটি দরিদ্র ও গ্রাম্য বার্বাডীয়দেরকে নিয়ে গঠন করা হয়েছিল। ১৯৫০ সালে বিসিএলে দলের বার্ষিক খেলায় অভিজাত ও সামাজিক মর্যাদাসম্পন্নদের নিয়ে গড়া বার্বাডোস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। ইনিংসের শুরুতে টেস্ট খেলোয়াড় ডেনিস অ্যাটকিনসনের বোলিংয়ে আউট থেকে বেঁচে যাবার পর মনোরম ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে প্রথম বিসিএল খেলোয়াড় হিসেবে পূর্ব-নির্ধারিত বার্ষিক প্রতিযোগিতায় সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন।[২][৩]
বিসিএল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পর বার্বাডোস ক্রিকেট দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে কনরাড হান্টের। ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম খেলায় তিনি প্রথম ইনিংসে ৬৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫ রান তুলেন।[৫] এভারটন উইকসের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন তিনি। বার্বাডোস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম বিভাগের অন্যতম প্রধান ক্লাবে উইকস খেলেছিলেন। এ ক্লাবের পক্ষে খেলার জন্যও তিনি প্রস্তাব পান। ঐ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খুব কমই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হতো। ফলে হান্টের ক্রিকেট জীবনও বেশ ধীরলয়ে উত্তরণ ঘটতে থাকে।
এক পর্যায়ে সেন্ট সিমন্স মিক্সড স্কুলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, বার্বাডোস সিভিল সার্ভিসে হিসাব করণিক ও পরবর্তীতে জীবনবীমার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে স্বীয় প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হন। তিনি শূন্য ও তিন রান তুলতে পেরেছিলেন।[৬] অবশেষে পরের মৌসুমে হান্ট তার সক্ষমতার কথা জানান দেন। ই. ডব্লিউ. সোয়ানটনের ব্যবস্থাপনায় সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দুই খেলায় ১৫১ ও ৯৫ রান তুলেন।
১৯৫৬ সালে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ড চলে যান। ইংরেজ লীগ ক্রিকেটে পেশাদারী চুক্তিতে খেলার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। ল্যাঙ্কাশায়ারে অবস্থানকালে বাস নির্মাণ ও তুলার কারখানায় কাজ করেন তিনি। এরপর নর্দার্ন লীগে লেল্যান্ড মটর্স ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন। পরের বছর ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে এনফিল্ড ক্রিকেট ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। হান্ট ও এনফিল্ডের মধ্যকার সম্পর্ক বেশ চমৎকার ছিল। অধিকাংশ পেশাদার ক্রিকেটারই বিরক্তবোধ করলেও হান্ট ঐ ক্লাবে ছয় মৌসুম অতিবাহিত করেন। ১৯৫৯ সালে এক মৌসুমে সর্বাধিক রান তুলে ক্লাবের নতুন রেকর্ড গড়েন।[৭]
ইংল্যান্ডে গমনকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ড সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যতা লাভের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত হন। এ সফরে আমন্ত্রণবার্তা লাভের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এছাড়াও, ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে কেন্টের পক্ষে খেলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। আমন্ত্রণবার্তা না আসায় পরের মৌসুমের জন্য এনফিল্ডের সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীকালে হান্ট বলেছিলেন যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি) তাকে চিঠি প্রেরণ করেছিল। তবে, ল্যাঙ্কাশায়ারে অবস্থানকালে তিনি চিঠি পাননি। এনফিল্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবার পর ডব্লিউআইসিবির সদস্যদের কাছ থেকে বার্তা পান। তাতে লেখা ছিল যে, যদি তিনি আগ্রহ ব্যক্ত করেন, তাহলে তাকে দলের সদস্যরূপে নেয়া হবে। এর প্রত্যুত্তরে হান্ট জানিয়েছিলেন, এনফিল্ড কর্তৃপক্ষ চুক্তি থেকে তাকে দায়মুক্ত করতে প্রস্তুত। তবে, সফরের জন্য দলের নাম ঘোষণা হলে হান্টের নাম বাদ যায়। হান্টকে অগ্রাহ্য করার বিষয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ ক্ষমা প্রার্থনা করে। তার পরিবর্তে নাইরন আসগরআলী ও অ্যান্ডি গ্যানটিউমকে মনোনীত করা হয়। তবে, তারা টেস্ট খেলাগুলোয় তেমন সফলতা লাভ করতে পারেননি।
পরবর্তী শীতকালে ১৭ জানুয়ারি, ১৯৫৮ তারিখে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে কনরাড হান্টের। কেনসিংটন ওভালের নিজমাঠে ফজল মাহমুদের প্রথম দুই বল মোকাবেলা করে বাউন্ডারি মারেন। এরপর প্রথম ইনিংসে ১৪২ রান তুলেন। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ২৬০ রান তুলেন। এ সময় গারফিল্ড সোবার্সের সাথে ৪৪৬ রানের স্মরণীয় জুটি গড়েন। এ জুটির সংগ্রহটি তৎকালীন ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও অদ্যাবধি ষষ্ঠ সর্বোচ্চ সংগ্রহরূপে বিবেচিত।[৮] অন্যদিকে সোবার্স অপরাজিত ৩৬৫ রান তুলে তৎকালীন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৯০/৩ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। সিরিজের চতুর্থ টেস্টে আরও একটি সেঞ্চুরি করেন কনরাড হান্ট। অভিষেক সিরিজে ৭৭.৭৫ গড়ে ৬২২ রান তুলেন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।
অভিষেক সিরিজে শুভ সূচনার পর পরবর্তী নয় বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। তন্মধ্যে আট বছর দলের সহঃ অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেন কনরাড হান্ট। এ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল অন্যতম সফল সময় অতিবাহিত করে। অংশগ্রহণকৃত দশটি সিরিজের সাতটিতেই দল সিরিজ জয় করেছিল।
১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। আক্রমণধর্মী খেলা উপহার দিয়ে দলের ইনিংসের ভিত্তি গড়েন। দুইটি সেঞ্চুরিও করেন তিনি। গ্রীষ্মের প্রথম ইনিংসে ১৮২ রান তুলে দলকে ১০ উইকেটে জয় এনে দেন। গ্রীষ্মের চূড়ান্ত টেস্টে পরাজয় এড়িয়ে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে চতুর্থ ইনিংসে ২৫৩ রানে অগ্রসর হয়। দুই দিনে এ লক্ষ্যমাত্রাকে বেশ কঠিন মনে করা হয়েছিল। তবে, হান্ট অপরাজিত ১০৮ রান তুললে দল আট উইকেটে জয়ী হয়। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। ঐ সিরিজে ৫৮.৬৭ গড়ে রান তুলেন কনরাড হান্ট।
ইংল্যান্ড সফরের পর ফ্রাঙ্ক ওরেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব থেকে অবসর নেন। হান্টকে তার স্থলাভিষিক্ত করার কথা আশা করলেও গারফিল্ড সোবার্সকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। ফলে মনক্ষুণ্ণ হয়ে খেলার বাইরে ছয় সপ্তাহ ছিলেন ও পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। তবে খেলার জগতে ফিরে আসেন ও ১৯৬৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। সেঞ্চুরিবিহীন অবস্থাতে দশ ইনিংসের ছয়টিতে অর্ধ-শতক করে তিনি ৫৫০ রান তুলেন। সর্বোচ্চ রান করেন ৮৯ ও রানের গড় ছিল ৬১.১১। সেঞ্চুরিবিহীন অবস্থায় সিরিজে তার গড়া এ রেকর্ড পরবর্তীকালে ১৯৯৩ সালে মাইক অ্যাথারটন ১৯৯৩ সালে ছয় টেস্টের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৫৩ রান তুলে নিজের করে নেন।
১৯৫৮ থেকে ১৯৬৭ সময়কালে কনরাড হান্ট ৪৪ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সময়ে ব্যাটিং উদ্বোধনে তেরোজন খেলোয়াড়কে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন। ৪৫.০৬ গড়ে ৩,২৪৫ রান তুলতে পেরেছেন। আটটি ভিন্ন দেশের প্রত্যেকের বিপক্ষে কমপক্ষে একটি করে মোট আটটি সেঞ্চুরি করেছেন। ১৯৬৪ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন তিনি।[৯] দুইজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারের একজনরূপে স্যার কনরাড হান্ট টেস্টের ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে অপরাজিত ছিলেন।[১০] ১৯৯৮ সালে বার্বাডোসের সর্বোচ্চ সম্মাননা সেন্ট অ্যান্ড্রু নাইট উপাধীতে ভূষিত হন।
১৯৬৭ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যবাদ প্রথার সমাপ্তিলগ্নে নবপ্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা ইউনাইটেড ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আলী বাখেরকে সহায়তা করেন ও কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত শহর এবং গোত্রগুলোকে একীকরণে এগিয়ে আসার প্রস্তাব দেন। মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের অর্থায়ণে সাত বছর ধরে ন্যাশনাল ডেভেলপম্যান্ট কোচের দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৭১ সালে 'প্লেয়িং টু উইন' শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। বেশ কয়েকবছর ব্রিটেনে অবস্থানের পর জর্জিয়ার আটলান্টায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত উত্তরণে সহায়তা করেন। সেখানেই তিনি স্থানীয় সংবাদ পাঠিকা প্যাট্রিসিয়ার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক গড়েন। তাদের সংসারে তিন কন্যা জন্মগ্রহণ করে। কনরাড হান্ট ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ভূক্ত ব্যক্তি ছিলেন।
১৯৯৯ সালে বার্বাডোস সরকারের পরামর্শক্রমে নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যান। বার্বাডোস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। নিজ দেশে ক্রিকেটের প্রসারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তবে দায়িত্বভার নেয়ার দুই মাস পর অস্ট্রেলিয়ায় এমআরএ-এর সম্মেলনে বক্তব্য রাখাকালে ৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে ৬৭ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনিতে কনরাড হান্টের দেহাবসান ঘটে।