কাওয়া[২] (বৈজ্ঞানিক নাম: Euploea core(Cramer)) যার শরীর ও ডানা গাঢ় খয়েরি রঙের, ডানার প্রান্তে সাদা তিলক দেখা যায়। এরা মাঝারি আকারের প্রজাপতি। এরা নিমফ্যালিডি পরিবারের সদস্য এবং 'ডানায়িনি' উপগোত্রের অন্তর্ভুক্ত।
এই প্রজাপতিটি ভারতের প্রায় সর্বত্র দেখা যায়। হিমালয়ের ৮০০০ফুট উচ্চতা পর্যন্ত এদের দেখা যায়। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমার[৪], দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এদের পাওয়া যায়।
উত্তরাখণ্ডেরকুমায়নেরসাততালে কাওয়া(পুরুষ)(Euploea core) ফেরমন ছড়িয়ে স্ত্রীকে নিজের দিকে আকর্ষিত করার জন্য হেয়ার পেন্সিলগুলি নির্গত করে রেখেছে। [৫]
কাওয়ার ডানার ওপর-পিঠ তুলনায় বেশি গাঢ় খয়েরি বা চকোলেট বর্ণের। পিঠের ডানার দুই পাশে প্রান্ত বরাবর সাদা তিলকের রেখা দেখা যায়, দুটি সারি জুড়ে। প্রান্তের দিকের সারির সাদা তিলকগুলি ছোট এবং গোলাকার হয়।[৬] সামনের ডানার নিচের দিকে একটা সাদা বিন্দু আছে।
এদের প্রায় সব জায়গায় দেখা যায়।
কাওয়ার ডিম চকচকে হলদেটে সাদা বর্ণের এবং আকৃতিতে লম্বাটে হয়। ডিমের নিচের দিকটা সামান্য চাপা হয়। স্ত্রী কাওয়া সাধারণত কচি পাতার ওপর পিঠে ডিম পাড়ে। ডিম ফোটার কয়েকদিন আগে ডিমটি ছাই রঙা এবং উপর দিকটি কালো বর্ণ ধারণ করে।
কাওয়ার শূককীট গুলি লম্বাটে। সাধারণত এরা পাতার ওপর পিঠে থাকে। গায়ে সাদা, খয়েরি, গাঢ় খয়েরি রঙের বেড়ি দেখা যায়। এদের শ্বাস ছিদ্র বরাবর সাদা পটি থাকে এবং পাশে কমলা ও নীলচে সবুজ ফোঁটা দেখা যায়। শূককীটের ৩,৪,৬ এবং ১২ নম্বর দেহখন্ডে এক জোড়া করে মোট চার জোড়া মাংসল শুঁড় আছে। শুঁড়্গুলি লাল বর্ণের তবে নিচের দিকটিতে লালচে খয়েরি রং। সামনের শুঁড় জোড়া লম্বায় সবথেকে বড় এবং সোজা, বাকী শুঁড়গুলির সামনের দিকটা গোল করে পাকানো থাকে। এদের মাথায় লালচে খয়েরি এবং সাদা রঙের ডোরা থাকে।
কাওয়ার মূককীট উজ্জ্বল সোনালী বর্ণের হয়। বক্ষ এবং উদরের অংশ দুটি উঁচু হয়ে থাকে এবং উদর অংশে কয়েকটি কালো কালো ছিটে দেখা যায়। সাধারণত গাছের ডালে বা পাতায় এই মূককীট ঝুলতে থাকে।