৯০–১০০% | |
৭০–৮০% | কাজাখস্তান |
৫০–৭০% | |
৩০–৫০% | উত্তর মেসেডোনিয়া |
১০–২০% | |
৫–১০% | |
৪–৫% | |
২–৪% | |
১–২% | |
< ১% |
দেশ অনুযায়ী ইসলাম |
---|
ইসলাম প্রবেশদ্বার |
কাজাখতস্তানের সর্বাধিক প্রচলিত ধর্ম ইসলাম।২০০৯ সালের জাতীয় আদমশুমারি অনুযায়ী দেশটির প্রায় ৭০.২ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী।[২] নৃতাত্ত্বিক কাজাখরা প্রধানত হানাফী মাজহাবভুক্ত সুন্নী মুসলিম।[৩] এখানে কিছু সংখ্যক শিয়া ও আহ্মদীয়া মতাবলম্বী মুসলিমও রয়েছে।[৪] ভৌগোলিকভাবে বলতে গেলে, কাজাখাস্তান বিশ্বের সর্বউত্তরে অবস্থিত মুসলিম প্রধান দেশ। এর উত্তরে রাশিয়া, পূর্বে গণচীন, দক্ষিণে কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, ও তুর্কমেনিস্তান এবং পশ্চিমে কাস্পিয়ান সাগর ও রাশিয়া। কাজাখস্তান প্রায় সম্পূর্ণভাবে এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। কাজাখ নামের তুর্কীয় জাতি এদশের প্রধান জনগোষ্ঠী যারা মোট জন্যসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এবং অন্যান্য মুসলিম নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীগুলো হলো উজবেক, উইঘুর এবং তাতার।[৫] অষ্টম শতাব্দিতে আরব অঞ্চল থেকে প্রথমে এই অঞ্চলের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ইসলাম প্রচার শুরু হয়।
মধ্যম এশিয়াতে আরবরা অষ্টম শতাব্দিতে যখন আসা শুরু হয় সে সময় কাজাখদের মধ্যে ইসলাম ধর্মের প্রচার শুরু হয়। প্রথম দিকে ইসলাম তুর্কিস্থানের দক্ষিণ অংশে প্রচার হওয়া শুরু হয় এবং এরপর ধীরে ধীরে উত্তরাঞ্চলের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সামানি সাম্রাজ্যের শাসকদের উদ্যোগী ধর্মপ্রচার কাজের জন্যও ইসলাম এই অঞ্চলে শক্ত ভীত পায়, বিশেষ করে তারাজ এর আশপাশের এলাকা, যে যেখানে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কাজাখ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। উপরন্তু, চর্তুদশ শতাব্দির শেষের দিকে, গোন্ডেন হোর্ড কাজাখ এবং অন্যান্য মধ্যম এশীয় উপজাতীয়দের মধ্যে ইসলাম ধর্মের প্রচার শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দিতে, রাশিয়ার প্রভাব দ্রুত এই অঞ্চলের দিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাণী ক্যাথেরিন এর সময়ে রুশগণ ইসলাম ধর্মের বিস্তারকে অনুমতি দেয়, মুসলিম প্রচারকদেরকে আমন্ত্রণ করা হয় কাজাখদের মধ্যে ইসলাম প্রচারের জন্য যাদেরকে রুশরা "অসভ্য" ও "অজ্ঞ" হিসাবে বিবেচনা করত।[৬][৭] কিন্তু রাশিয়ার নীতি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে থাকে, তারা প্রাক-ইসলামী আসাবিয়াত উৎসাহিত করে ইসলামকে দুর্বল করার চেষ্টা করতে থাকে। এ ধরনের প্রচেষ্টার অংশ ছিল প্রাক-ইসলামী ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের বন্দনা করা এবং কাজাখদেরকে রুশ সামরিক প্রতিষ্ঠানে প্রেরণের মাধমে তাদের মধ্যে হীনম্মন্যতা জন্ম দেয়া। কাজাখ ধর্মীয় নেতারা এর প্রতিক্রিয়া দেখান প্যান-তুর্কিজম প্রসারের মাধমে, যদিও এর ফলে অনেকে নির্যাতিত হন। সোভিয়েত আমলে মুসলিম প্রতিষ্ঠানগুলি শুধু সেসব এলাকায় টিকে থাকে যেখানে কাজাখরা অমুসলিমদের চেয়ে সংখ্যায় বেশি ছিল। কম্যুনিস্ট ধারণার সাথে কাজাখদেরকে মিলানোর জন্য জেন্ডার সম্পর্ক ও কাজাখ সংস্কৃতির অন্যান্য উপাদানকে সামাজিক পরিবর্তনের লক্ষ্যবস্তু করা হয়।