ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কারেন লুইস রোল্টন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অ্যাডিলেড, অস্ট্রেলিয়া | ২১ নভেম্বর ১৯৭৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১২৭) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৩ জুলাই ২০০৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭৭) | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ জুন ২০০৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ২১ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬-বর্তমান | সাউথ অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬ |
কারেন লুইস রোল্টন (ইংরেজি: Karen Rolton; জন্ম: ২১ নভেম্বর, ১৯৭৪) অ্যাডিলেডে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক মহিলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে বামহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে দক্ষ কারেন রোল্টন। মহিলাদের টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বাধিক রান সংগ্রহ করেছেন।[১] ঘরোয়া ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান স্করপিয়ন্সের পক্ষে খেলেছেন তিনি। শীত মৌসুমে হকি খেলায় অংশ নিতেন তিনি।
১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২০০১ সালে হেডিংলিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ অপরাজিত ২০৯ রান তোলেন।[১] এরফলে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এছাড়াও, একদিনের আন্তর্জাতিকে সর্বাধিক ১৪১টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন যা পরবর্তীতে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের শার্লত এডওয়ার্ডস ভঙ্গ করেন। ১৯৯৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া দলের সহঃ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ সালে বেলিন্ডা ক্লার্কের অবসর নেয়ার পর তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হন।[২]
২০০৫ সালের মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলায় ১০৭ রান তুলেছিলেন। এরফলে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়াও, নিজস্ব সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৬ রান তোলেন মহিলাদের টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে যা অদ্যাবধি সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
নিউজিল্যান্ডীয় কোচ স্টিভ জেনকিন একবার মজা করে বলেছিলেন যে, রোল্টনের বিপক্ষে সেরা কৌশল হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদেরকে আউট না করা যাতে তিনি ব্যাটিং করার সুযোগ পেতে না পারেন।[৩]
তিনি দুইবার বর্ষসেরা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভ করেন। ২০০২ ও ২০০৩ সালে ধারাবাহিকভাবে নৈশকালীন অ্যালান বর্ডার পদক বিতরণীতে এ সম্মাননা লাভ করেছিলেন। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল প্রবর্তিত বর্ষসেরা মহিলা খেলোয়াড়ের উদ্বোধনী পুরস্কারে ভূষিত হন।
১৪ বছরের বর্ণাঢ্য খেলোয়াড়ী জীবন শেষে জানুয়ারি, ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন রোল্টন।[৪]
পূর্বসূরী নব প্রবর্তিত |
আইসিসি বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটার ২০০৬ |
উত্তরসূরী ঝুলন গোস্বামী |