কিউবান ম্যাকাও | |
---|---|
জ্যাকুয়াস বারাব্যান্ড এর আঁকা, ca. 1800 | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Psittaciformes |
মহাপরিবার: | Psittacoidea |
পরিবার: | Psittacidae |
উপপরিবার: | Arinae |
গোত্র: | Arini |
গণ: | Ara |
প্রজাতি: | A. tricolor |
দ্বিপদী নাম | |
Ara tricolor Bechstein, 1811 | |
কিউবা এবং ইজলা দে লা জ্যুভেন্টুডের অবস্থান | |
প্রতিশব্দ | |
|
কিউবান ম্যাকাও (দ্বিপদ নামঃ Ara tricolor), কিউবার লাল ম্যাকাও নামেও পরিচিত, একধরনের ম্যাকাও পাখি যারা কিউবার প্রধান দ্বীপে এবং সংলগ্ন ইজলা দে লা জ্যুভেন্টুডে বাস করে। এরা ১৯ শতকের শেষের দিক থেকে বিপন্ন হতে শুরু করে। অন্যান্য ম্যাকাও পাখিদের সাথে এদের সম্পর্ক সুনিশ্চিত না হলেও এরা স্কারলেট ম্যাকাও এর নিকটাত্মীয়, দেখতে একই রকম। এদের কোন আধুনিক কঙ্কাল নেই কিন্তু কিউবায় প্রাপ্ত কিছু উপ জীবাশ্ম আছে।
প্রথম দিকের অভিযাত্রী যেমন ক্রিস্টোফার কলম্বাস, ডিয়েও আলভারেজ চাংকার ১৪ ও ১৫ শতকের লেখায় কিউবার ম্যাকাও পাখির বর্ণনা আছে। প্রথম দিককার কিছু লেখায় দ্বীপের বর্ণনা প্রসংগে ম্যাকাও পাখির প্রসংগ উঠে এসেছে[২] In 1811, Johann Matthäus Bechstein scientifically named the species Psittacus tricolor.[৩] ১৮০১ সালে ফ্রাংকস লে ভেইলান্তের লেখাHistoire Naturelle des Perroquets বইয়ের পাখির বর্ণনা উপর ভিত্তি করে বেকস্টেইন বর্ণনা করেন।[৪][৫]। ১৮১১ সালে জোহান ম্যাথিউস বেখস্টেইন এদের নাম রাখেন Psittacus tricolor। কিউবান ম্যাকাও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে পৃথিবীর ১৫ টি সংগ্রহশালায় ১৯ টি কিউবার লাল ম্যাক্যাও পাখির চামড়া সংরক্ষিত আছে। এদের ডিম কোথাও সংরক্ষিত নেই।[৬]
কিউবান ম্যাকাওয়ের কপালের দিকের পালকের রঙ লাল, এরপরে কমলা, কাঁধের কাছে এসে হলুদ পালক। এদের মুখ, গলা, বুক, তলপেট এবং পায়ের রঙ কমলা। পায়ের পালকহীন অংশের রঙ বাদামী। এদের ঠোঁটের রঙ কালো, গাঢ় কালো, ধূসর কালো। স্ত্রী ও পুরুষ কিউবার ম্যাকাও দেখতে একই রকম।
১৯ শতকের মাঝামাঝি কিউবার ম্যাকাওরা বিরল হতে শুরু করে এবং সম্ভবত মধ্য ও পশ্চিম কিউবাতে এরা সীমিত হয়ে পড়ে। ১৯ শতকের সকল বর্ণনা এসেছে গুন্ডলাচের বর্ণনা থেকে, তিনি যাপাতা জলাভুমির আশপাশের ম্যাকাও পাখির বর্ণনা করেন।
কিউবার ম্যাকাও সম্পর্কে খুব কম তথ্য জানা যায়। এরা জোড়া বেঁধে অথবা পরিবার আকারে বাস করতো। এদের স্বভাব ও ডিম সম্পর্কে কোন তথ্য নেই, একজন বর্ণনা করেন যে এরা পাম গাছের গর্তে বাসা বাঁধে। ১৮৭৬ সালে গুন্ডল্যাচ লিখেছেন, কিউবার ম্যাকাও ফল, রয়্যাল পাম ও চাইনবেরি গাছের বীজ এবং অন্যান্য বীজ খেয়ে থাকে।