কুমারজীব | |
---|---|
জন্ম | ৩৩৪ খ্রিস্টাব্দ |
মৃত্যু | ৪১৩ খ্রিস্টাব্দ চাং'আন, চীন |
পেশা | বৌদ্ধ ভিক্ষু, পণ্ডিত ও অনুবাদক |
পরিচিতির কারণ | সংস্কৃত থেকে চীনা ভাষায় বৌদ্ধ সাহিত্য অনুবাদ |
কুমারজীব (সরলীকৃত চীনা: 鸠摩罗什; প্রথাগত চীনা: 鳩摩羅什; ফিনিন: Jiūmóluóshí; ওয়েড-জাইলস: Chiu1 mo2 lo2 shih2, ৩৩৪-৪১৩ খ্রিষ্টাব্দ)[১] কুচ রাজ্যের একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু, পণ্ডিত ও অনুবাদক ছিলেন। তিনি প্রথমে সর্বাস্তিবাদ মতবাদের শিক্ষালাভ করেন ও পরবর্তীকালে মহাযান বৌদ্ধধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নাগার্জুনের মাধ্যমক দর্শন সম্বন্ধে শিক্ষালাভ করেন।
কুমারজীব ষোল রাজ্যের যুগে চাং'আন অঞ্চলে বসবাস করেন এবং সেই সময়ে তিনি অগণিত বৌদ্ধ শাস্ত্রকে সংস্কৃত থেকে চীনাভাষায় অনুবাদ করেন।
কুমারজীবের পিতা কুমারযান কাশ্মীর অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন,[২][৩][৪] যিনি বৌদ্ধ ভিক্ষু হয়ে কাশ্মীর ত্যাগ করে পামির পর্বতমালা পেরিয়ে কুচ রাজ্যে প্রবেশ করে সেখানকার রাজপুরোহিত হিসেবে নিযুক্ত হন। কুচ রাজ্যের একজন বিদূষী রাজকুমারী জীবক তাকে বিবাহ করেন ও ৩৩৪ খ্রিষ্টাব্দে কুমারজীবের জন্ম হয়।
কুমারজীবেবয়স যখন নয় বছর তখন জীবক তাকে কাশ্মীরে বন্ধুদত্ত নামক এক বৌদ্ধ পণ্ডিতের নিকট নিয়ে যান, যেখানে কুমারজীব পরবর্তী তিন বছর দীর্ঘ, মধ্যম ও ক্ষুদ্র আগম সম্বন্ধে শিক্ষালাভ করেন। এরপর তিনি কাশগড় অঞ্চলে এক বছর বসবাস করে দুইজন রাজকুমারকে দীক্ষা দেন এবং কাশ্মীরি বৌদ্ধ ভিক্ষু বুদ্ধযশের নিকট সর্বাস্তিবাদী অভিধম্মপিটক সহ মতবাদ সম্বন্ধে শিক্ষালাভ করেন। একবছর পর তিনি মায়ের সাথে তুর্পান অঞ্চলে যান বৌদ্ধ পণ্ডিত সূর্যসোমের নিকট মহাযান গ্রন্থগুলি সম্বন্ধে শিক্ষালাভ করেন।
তুর্পান রাজ্যে একজন তীর্থিক শিক্ষককে তর্কে পরাজিত করার পর কিশোর কুমারজীবের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। কুচ রাজ্যের রাজা পো-শুইনিজে তুর্পান রাজ্যে এসে তাকে কুচ রাজধানীতে প্রত্যাবর্তনের অনুরোধ করলে তিনি রাজি হন। ২০ বছর বয়সে কুমারজীব ভিক্ষু হিসেবে ভিক্ষু হিসেবে দীক্ষালাভ করেন। এই সময় তিনি তিনি কাশ্মীরি পণ্ডিত বিমলাক্ষের নিকট সর্বাস্তিবাদী বিনয়পিটক সম্বন্ধে শিক্ষা লাভ করেন। এরপর কুমারজীব পঞ্চবিংশতিসহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতাসূত্র সম্বন্ধে শিক্ষালাভ করেন।