কুয়েতে পতিতাবৃত্তি অবৈধ,[১][২] কিন্তু সাধারণভাবে চালু আছে।[৩][৪] এই বৃত্তিতে যুক্ত যৌনকর্মীদের অধিকাংশই বিদেশী নাগরিক।[৩]
আইন প্রয়োগকারীরা সাধারণত যৌনকর্মীদের বিতাড়িত করে অথবা তাদের মুক্তির আগে একটি "ভাল আচরণের অঙ্গীকার" পত্রে স্বাক্ষর করায়। যারা যৌনকর্মীদের চালনা করে তারা সাধারণত কারাদণ্ড পায়।[৫] অভিযোগ আছে যে কিছু পুলিশ যৌনপল্লি থেকে ঘুষ গ্রহণ করে এবং তাদের আগাম অভিযান সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়।[৪]
বিভিন্ন জাতীয়তার যৌনকর্মী এবং তাদের নিয়ন্ত্রক দালাল বিভিন্ন এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়। ফিলিপিনোদের আহমাদি প্রশাসনিক অঞ্চলে, ইথিওপিয়দের হাওয়ালি প্রশাসনিক অঞ্চলে, এবং ভারতীয়, শ্রীলঙ্কাবাসী ও বাংলাদেশীদের ফারওয়ানিয়া প্রশাসনিক অঞ্চলী ও সালমিয়ার কিছু অংশে দেখতে পাওয়া যায়। ভারতীয় ও চীনারা সালমিয়ায় শপিং মলে কাজ করে।[৩] এই দেশে আরব এবং ইউরোপীয় যৌনকর্মীও রয়েছে।[৩][৪]
পতিতালয়গুলি আল জাহরা, হাওয়াল্লি, জীব আল-শুয়ূখ, সালমিয়া, ফাহাহিল, ফিন্টাস এবং জাবরিয়া অঞ্চলে আছে বলে জানা যায়।[৩]
বাধ্যতামূলক পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে কুয়েত হল পুরুষ ও মহিলাদের জন্য গন্তব্য একটি দেশ। কুয়েতের পৃষ্ঠপোষকতা আইন—যা একজন অভিবাসী শ্রমিকের আইনি বাসস্থান এবং একজন নিয়োগকর্তার সাথে বৈধ অভিবাসন অবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তার সাহায্যে শ্রমিকদের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয় এবং অপমানজনক কর্মস্থল ত্যাগ করতে গেলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ গণ্য হয়। সূত্রের খবর, পলাতক গৃহকর্মীদের অবৈধ অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে দালাল বা অপরাধীরা কখনও কখনও জোরপূর্বক তাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে॥[৬]
কুয়েত সংবাদপত্রের কিছু শিরোনাম :-
২০১৬ সালে, সরকার ছয়টি সম্ভাব্য যৌন উদ্দেশ্যে মানব পাচার মামলার তদন্ত করেছিল এবং ১৫জন সন্দেহভাজনের বিচার করেছিল। সেই তুলনায় আগের পর্যায়ে ছয়টি মামলার তদন্ত করা হয়েছিল এবং ২০ জন সন্দেহভাজনের বিচার করা হয়েছিল। বিবৃত বছরের শেষে ২০১৫ সালের সাতটি মামলা মুলতুবি রয়েছে। পাচার বিরোধী আইনের অধীনে সরকার এক কুয়েতী নাগরিকসহ নয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে, আগের বছর আটটি দণ্ড দেওয়া হয়েছিল; অভিযুক্ত পাঁচ পাচারকারীকে খালাস দেওয়া হয়েছে[৬]
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর অফিস টু মনিটরিং অ্যান্ড কমব্যাট ট্রাফিকিং ইন পারসনস কুয়েতকে 'দ্বিতীয় স্তরের নজর তালিকা'র দেশ হিসেবে স্থান দিয়েছে।[৬]