সংঘ | কুয়েত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন |
---|---|
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল | |
আইসিসি মর্যাদা | অনুমোদিত (১৯৯৮) Associate (২০০৫) |
আইসিসি অঞ্চল | এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল |
বিশ্ব ক্রিকেট লিগ | না (আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট) |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | |
প্রথম আন্তর্জাতিক | কুয়েত বনাম. বাহরাইন (কুয়েত সিটি; ৩০ অক্টোবর ১৯৭৯) |
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ অনুযায়ী |
কুয়েত জাতীয় ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় কুয়েত-এর প্রতিনিধিত্ব করে। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল-এর সহযোগী সদস্যপদ লাভ করা দেশটির ক্রিকেট কুয়েত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা পরিচালিত হয়। তাঁরা ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আইসিসির অনুমোদিত সদস্য ছিল।.[১] ১৯৭৯ সালে কুয়েতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়, তবে তাঁরা নিয়মিত ভাবে ২০০০ সালের পর থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করে। ২০০০ সালের পর থেকে তাঁরা নিয়মিতভাবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। ২০১০ এর দশকের শুরুর দিক থেকে তাঁরা বিশ্ব ক্রিকেট লীগ-এর বিভিন্ন আসরে অংশ নেয়। যদিও তাঁরা ২০১৩ ষষ্ঠ বিভাগ টুর্নামেন্টের পর আঞ্চলিক পর্যায়ে অবনমিত হয়।[২]
কুয়েত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ১৯৯৬ সালে গঠিত হয় [৩] এবং এর ২ বছর পর আইসিসির অনুমোদিত সদস্য হয়।[১]
কুয়েত ২০০০ সালে প্রথমবারের মত এসিসি ট্রফিতে অংশ নেয়। কিন্তু সেই টুর্নামেন্টে তাঁরা প্রথম রাউন্ডের বেশি যেতে পারে নি।[৪] ২০০২ সালেও তাঁরা এই ফলের পুনরাবৃত্তি ঘটায়।[৫]
২০০৪ সালে কুয়েত কয়েকটি অঘটন ঘটিয়ে, ঐ বছরের টুর্নামেন্টে ৩য় স্থান লাভ করে, তবে তাঁরা ২০০৫ আইসিসি ট্রফির বাছাইয়ে অংশ নেয়ার সুযোগ পায় নি। তবে তাঁরা ২০০৫ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ-এর বাছাইপর্বের ২য় ধাপে খেলার সুযোগ পায়।[৬]। সেখানে তাঁরা ৫ম স্থান নির্ধারণী খেলায় কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের কাছে হেরে ৬ষ্ঠ হয়।[৭]
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এসিসি আয়োজিত মধ্য প্রাচ্য এশিয়া কাপে ৫ দলের মধ্যে কুয়েত ৩য় হয়।[৮] একই বছরের আগস্ট মাসে তাঁরা এসিসি ট্রফিতে অংশ নেয় কিন্তু ২০০৪ সালের মত শক্ত পারফরমান্স দেখাতে তাঁরা অসমর্থ হয়। তাঁরা ১ম রাউন্ডেই বিদায় নেয়, যদিও হংকংয়ের সাথে হওয়া একটি টাই ম্যাচে যদি তাঁরা জিততে পারত তবে তাঁরা কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারত। কিন্তু তা না হওয়ায় রান রেটের হিসাবে কুয়েত গ্রুপে ৩য় হয়।[৯]
২০০৭ সালে কুয়েত স্বাগতিক হিসেবে এসিসি টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নেয়। তাঁরা টুর্নামেন্টে ৩য় স্থান লাভ করে। ৩য় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কুয়েত সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৩ রানে হারায়।[১০]
কুয়েত ২০১০ সালে কয়েকটি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ-এর আসরে অংশ নেয় এবং ২০১০ অষ্টম বিভাগে স্বাগতিক হিসেবে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়।[১১] তাঁরা ২০১১ সালের মে মাসে বতসয়ানায় অনুষ্ঠিত ২০১০ সপ্তম বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়।[১২] তবে তাঁরা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত ২০১১ ষষ্ঠ বিভাগে ৩য় হয়। কুয়েত ২০১৪ এসিয়ান গেমসে নেপালের বিপক্ষে ২০ রানে অলআউট হয়ে নেপাল্কে টি-টয়েন্টির ইতিহাসে অন্যতম সর্বনিম্ন লক্ষ্য দেয়।[১৩]
এসিসি টুর্নামেন্ট এবং বিশ্ব ক্রিকেট লীগ-এর ম্যাচে কুয়েতের পরিসংখ্যান
মোহাম্মদ ইরফান - ১২৯* বনাম সৌদি আরব - কালাং গ্রাউন্ড, সিঙ্গাপুর, ১৩ জুন ২০১৪
ইরফান ভাট্টি - ১১১ বনাম ভানুয়াতু - কেওসিএইচ গ্রাউন্ড, আহমাদী সিটি, ৭ নভেম্বর ২০১০
হিশাম মির্জা - ১১১ বনাম ভানুয়াতু - কেওসিএইচ গ্রাউন্ড, আহমাদী সিটি, ৭ নভেম্বর ২০১০
মোহাম্মদ আহসান -৯১* বনাম সিঙ্গাপুর - কিনরারা একাডেমী ওভাল, কুয়ালালামপুর, ২৬ জুলাই ২০০৮
খালিদ বাট - ৮৫* বনাম ভুটান - ডিইসি গ্রাউন্ড, কুয়েত সিটি, ৭ এপ্রিল ২০১০
সাদ খালিদ - ৬/১২ বনাম ভুটান - শুলাবিয়া গ্রাউন্ড, কুয়েত সিটি, ৯ নভেম্বর ২০১০
মোহাম্মদ মুরাদ - ৬/৩৯ নরওয়ে - বিসিএ ২ নং ওভাল, গ্যাবোরোন, ২ মে ২০১১
মোহাম্মদ মুরাদ - ৫/১৫ বনাম জাম্বিয়া - ডিইসি গ্রাউন্ড, কুয়েত সিটি, ১১ নভেম্বর ২০১০
সাদ খালিদ - ৫/২৪ বনাম নাইজেরিয়া - লোবাটসে ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লোবাটসে, ৪ মে ২০১১
সাদ খালিদ - বনাম ৫/২৬ বাহরাইন - পদং, সিঙ্গাপুর, ৭ জুন ২০১৪
সিবটাইন রাজা - ৫/২৭ বনাম মালদ্বীপ - শারজাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ২৭ জানুয়ারি ২০১৫
শুয়াদ কমর - ৫/২৮ বনাম জার্মানি - কেওসিএইচ গ্রাউন্ড, আহমাদী সিটি্ ১২ নভেম্বর ২০১০
সিবটাইন রাজা - ৫/৫৫ বনাম কাতার - বায়ুইয়েমাস ওভাল, কুয়ালালামপুর, ২৯ জুলাই ২০০৮
শাহরুখ কুদ্দুস - বনাম ৫/৫৯ নাইজেরিয়া - গ্রেইনভিল, সেইন্ট সেভিয়ার, ২২ জুলাই ২০১৩