কুয়েত সরকার আমিরাত শাসনব্যবস্থার অন্তর্গত।[১] এটি একটি নিযুক্ত বিচার বিভাগ, নিযুক্ত সরকার (আল সাবাহ পরিবারের আধিপত্য), এবং নামমাত্র নির্বাচিত সংসদ নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা।[১]
কুয়েতের সংবিধান ১৯৬২ সালের ১৭ই নভেম্বর অনুমোদন লাভ করে এবং জারি করা হয়।[২]
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের নির্বাচন করেন, যাদেরকে নিয়ে সরকার গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শাসক পরিবারের একজন সদস্য এবং আমির কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত।
১৯৬১ সালের সংবিধানে আমিরের ক্ষমতা বর্ণনা করা হয়েছে। তার ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ প্রদান যিনি মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের নির্বাচন করেন। আমিরের মৃত্যুর পর যুবরাজ ক্ষমতা অধিগ্রহণ করেন।
কুয়েতের আইন ব্যবস্থা সরকারের থেকে স্বাধীন নয়। আমি সকল বিচারকদের নিয়োগ দেন এবং অনেক বিচারক মিশরের নাগরিক। কুয়েতের প্রতিটি প্রশাসনিক জেলায় একটি করে সামারি আদালত (ট্রাফিক আদালত বা প্রশাসনিক আদালতের মত এক বা একাধিক বিভাগ সংবলিত কোর্টস অব ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স); আপিল আদালত, ক্যাসেশন আদালত এবং সাংবিধানিক আদালত থাকে। সাংবিধানিক আদালত সংবিধানের ব্যাখ্যা করে এবং আইনের সাংবিধানিকতা সম্পর্কিত বিরোধসমূহ মোকাবেলা করে। কুয়েতে দেওয়ানি আইন ব্যবস্থাও রয়েছে।
কুয়েতের আইনসভা হল জাতীয় পরিষদ, যা ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[২] এই আইনসভার পূর্বসূরি ১৯৩৮ সালের জাতীয় পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৩৯ সালে বিলুপ্ত হয়ে যায় যখন সুলাইমান আল-আদাসানি অন্যান্য পরিষদ সদস্যদের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ইরাকের রাজা গাজীকে সম্বোধন করে কুয়েতকে অবিলম্বে ইরাকে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান। আইনসভার বণিক সদস্যরা আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর কাছ থেকে তেলের টাকা তোলার চেষ্টা করার পরে এই দাবিটি আসে। এই পরামর্শটি তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যার ভিত্তিতে তিনি ১৯৩৯ সালে আইনসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন এবং তাদের গ্রেফতার করেন।[৩]
জাতীয় পরিষদে ৫০ জন পর্যন্ত সংসদ সদস্য থাকতে পারে।[৪] ডেপুটিরা চার বছরের মেয়াদের জন্য একটি অ-হস্তান্তরযোগ্য ভোট দ্বারা নির্বাচিত হয়। মন্ত্রিসভার সদস্যরাও ডেপুটি হিসেবে সংসদে বসেন। সংবিধান মন্ত্রিসভার আকার ১৬-এ সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের নিম্নলিখিত দুটি ব্যতিক্রম ছাড়া নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মত অধিকার রয়েছে: (ক) তারা কমিটির কাজে অংশগ্রহণ করে না, এবং (খ) মন্ত্রিসভার একজন সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হলে তারা ভোট দিতে পারে না। ২০০১ সালে, নাথান জে. ব্রাউন দাবি করেন যে কুয়েতের জাতীয় পরিষদ আরব বিশ্বের সবচেয়ে স্বাধীন সংসদ। ২০০৯ সালে ইসরায়েলি পণ্ডিত এরান সেগাল দাবি করেন যে এটি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম "সবচেয়ে শক্তিশালী" সংসদ।[৫]
১৯৯০-১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় সাদ্দাম হুসাইন কুয়েতকে ইরাকের ১৯তম প্রদেশ (কুয়েত গভর্নরেট নামে পরিচিত) ঘোষণা করে। ফলে আলি হাসান আল-মাজিদ সেখানকার গভর্নর হন এবং মূল সরকার থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।